নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
ইতিহাসে বঙ্গদেশ (পর্ব ০১)
প্রায় চার হাজার বছরের পুরনো তাম্রযুগের ধ্বংসাবশেষ বাংলায় পাওয়া গেছে। ইন্দো-আর্যদের আসার পর অঙ্গ, বঙ্গ এবং মগধ রাজ্য গঠিত হয় খ্রীষ্টপূর্ব দশম শতকে। এই রাজ্যগুলি বাংলা এবং বাংলার আশেপাশে স্থাপিত হয়েছিল। অঙ্গ বঙ্গ এবং মগধ রাজ্যের বর্ণনা প্রথম পাওয়া যায় অথর্ববেদে প্রায় ১০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে। খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকে বাংলার বেশিরভাগ এলাকাই শক্তিশালী রাজ্য মগধের অংশ ছিল। মগধ ছিল একটি প্রাচীন ইন্দো-আর্য রাজ্য। মগধের কথা রামায়ণ এবং মহাভারতে পাওয়া যায়। বুদ্ধের সময়ে এটি ছিল ভারতের চারটি প্রধান রাজ্যের মধ্যে একটি। মগধের ক্ষমতা বাড়ে বিম্বিসারের (রাজত্বকাল ৫৪৪-৪৯১ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ) এবং তার ছেলে অজাতশত্রুর (রাজত্বকাল ৪৯১-৪৬০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ) আমলে। বিহার এবং বাংলার অধিকাংশ জায়গাই মগধের ভিতরে ছিল। ৩২৬ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সেনাবাহিনী মগধের নন্দ সাম্রাজ্যের সীমানার দিকে অগ্রসর হয়। এই সেনাবাহিনী ক্লান্ত ছিল এবং গঙ্গা নদীর কাছাঁকাছি বিশাল ভারতীয় বাহিনীর মুখোমুখি হতে ভয় পেয়ে যায়। এই বাহিনী বিয়াসের কাছে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং আরও পূর্বদিকে যেতে অস্বীকার করে। আলেকজান্ডার তখন তাঁর সহকারী কইনাস (Coenus) এর সাথে দেখা করার পরে ঠিক করেন ফিরে যাওয়াই ভাল।
দিল্লির বিড়লা মন্দিরে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের মূর্তি
মৌর্য সাম্রাজ্য মগধেই গড়ে উঠেছিল। মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। এই সাম্রাজ্য অশোকের রাজত্বকালে দক্ষিণ এশিয়া, পারস্য, আফগানিস্তান অবধি বিস্তার লাভ করেছিল। পরবর্তীকালে শক্তিশালী গুপ্ত সাম্রাজ্য মগধেই গড়ে ওঠে যা ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরাংশে এবং পারস্য এবং আফগানিস্তানের কিছু অংশে বিস্তার লাভ করেছিল। বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজা ছিলেন শশাঙ্ক যিনি ৬০৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে রাজত্ব করেছিলেন।প্রথম বৌদ্ধ পাল রাজা প্রথম গোপাল ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে গৌড়ে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। পাল বংশের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই রাজা ছিলেন ধর্মপাল (রাজত্বকাল ৭৭৫-৮১০ খ্রিস্টাব্দ) এবং দেবপাল (রাজত্বকাল ৮১০-৮৫০ খ্রিস্টাব্দ)।
মৌর্য্য সাম্রাজ্য
প্রাচীন ভারতে লৌহ যুগের একটি বিস্তীর্ণ সাম্রাজ্য ছিল। মৌর্য্য রাজবংশ দ্বারা শাসিত এই সাম্রাজ্য ৩২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত টিকে ছিল। ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্বদিকে সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমতলভূমিতে অবস্থিত মগধকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র।
মৌর্য্য সাম্রাজ্য তৎকালীন যুগের অন্ততম বৃহত্তম সাম্রাজ্য হিসেবে পরিগণিত হত, শুধু তাই নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে এর চেয়ে বড় সাম্রাজ্য কখনো তৈরী হয়নি। ৩২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য নন্দ রাজবংশ উচ্ছেদ করে এই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং তারপর মহান আলেকজান্ডারের সেনাবাহিনীর পশ্চাৎ অপসারণের সুযোগে নিজ সামরিক শক্তিবলে মধ্য ও পশ্চিম ভারতের আঞ্চলিক রাজ্যগুলিকে জয় করে বিরাট সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। ৩১৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যেই গ্রীক সত্রপগুলিকে পরাজিত করে মৌর্য্য সাম্রাজ্য সম্পূর্ণ উত্তর-পশ্চিম ভারত জুড়ে বিস্তৃত হয়। বর্তমান যুগের মানচিত্রের নিরিখে এই সাম্রাজ্য উত্তরে হিমালয়, পূর্বে অাসাম, পশ্চিমে বালুচিস্তান ও হিন্দুকুশ পর্বতমালা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য ও বিন্দুসার এই সাম্রাজ্যকে দক্ষিণ ভারতে বিস্তৃত করেন এবং অশোক কলিঙ্গ রাজ্য জয় করে সমগ্র দক্ষিণ ভারতে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের শাসন প্রতিষ্ঠিত করেন। অশোকের মৃত্যুর পঞ্চাশ বছরের মধ্যেই ১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই সাম্রাজ্যের পতন ঘটে মগধে শুঙ্গ রাজবংশের উত্থান ঘটে।
সরকার -- রাজতন্ত্র-- সম্রাট
খ্রিঃপূঃ ৩২০-২৯৮ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য
খ্রিঃপূঃ ২৯৮-২৭২ বিন্দুসার
খ্রিঃপূঃ ২৬৮-২৩২ অশোক
খ্রিঃপূঃ ২৩২-২২৪ দশরথ
খ্রিঃপূঃ ২২৪-২১৫ সম্প্রতি
খ্রিঃপূঃ ২১৫-২০২ শালিশুক
খ্রিঃপূঃ ২০২-১৯৫ দেববর্মণ
খ্রিঃপূঃ ১৯৫-১৮৭ শতধনবান
খ্রিঃপূঃ ১৮৭-১৮৫ বৃহদ্রথ
চলবে.....
(তথ্য সূত্রঃ উইকিপিডিয়া)
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৬
এম আর তালুকদার বলেছেন: না রাজীব নুর ভাই আর চালাবো না কারন এর থেকে চটির সংগ্রাহক হলে পাঠক বেশি পেতাম। আলোচনা, বিতর্ক বেশি হত। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫
শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেছেন: লেখক লিখে মনের তাগিদে, পাঠক দেখে নয়। আর বিতর্ক চান তো বিতর্কিত বিষয় নিয়ে লিখুন। আপনি ইতিহাস নিয়ে লিখছেন, লিখুন। যার মন চায় পড়বে।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০
এম আর তালুকদার বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
তবে পাঠকদের আলোচনা সমালোচনা থেকে অনেক কিছু বের হয়ে আসে, এই ইতিহাসে নির্মাতা বা লেখক আমি নই তাই আমি পড়েই ক্ষান্ত থাকতে পারতাম এখানে পোষ্ট করার প্রয়োজন ছিল না।
৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: গ্রীক সত্রপ কারা? আর গ্রীকরা ভারতে এসেছিল কেন?
২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮
এম আর তালুকদার বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রশ্ন করার জন্য।
আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট ফিরে গেলেও তার দখলকৃত রাজ্য গুলি গ্রীক সত্রপ হিসেবে তার অধীনে থেকে যায়।
৩২৬ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সেনাবাহিনী মগধের নন্দ সাম্রাজ্যের সীমানার দিকে অগ্রসর হয়। এই সেনাবাহিনী ক্লান্ত ছিল এবং গঙ্গা নদীর কাছাঁকাছি বিশাল ভারতীয় বাহিনীর মুখোমুখি হতে ভয় পেয়ে যায়। এই বাহিনী বিয়াসের কাছে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং আরও পূর্বদিকে যেতে অস্বীকার করে। আলেকজান্ডার তখন তাঁর সহকারী কইনাস (Coenus) এর সাথে দেখা করার পরে ঠিক করেন ফিরে যাওয়াই ভাল।
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৬
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আচ্ছা ফিরে যায় গ্রীকরা। তাহলে ভারতে গ্রীকরা আসল কিভাবে?
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৬
এম আর তালুকদার বলেছেন: আলেকজান্ডারের ভারতবর্ষ আক্রমণের প্রাক্কালে উত্তর-পশ্চিম ভারত পরস্পরবিরোধী অনেকগুলো রাজ্যে বিভক্ত ছিল। তাদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বহিরাক্রমণ ঠেকানো সম্ভবপর ছিল না। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৮ অব্দের মধ্যে সমগ্র পারস্য এবং আফগানিস্তান আলেকজান্ডারের দখলে আসে। অত:পর আলেকজান্ডার খ্রিস্টপূর্ব ৩২৭ অব্দে হিন্দুকুশ পর্বত অতিক্রম করে ভারত অভিমুখে অগ্রসর হন। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৬ অব্দে তিনি ভারত নাম ভূখণ্ডে পদার্পণ করেন। আলেকজান্ডার পুষ্কলাবতীর রাজা অষ্টককে পরাভূত করেন, অশ্বক জাতিও তার নিকট পরাভূত হয়, তক্ষশীলার রাজা তার নিকট স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে, ঝিলাম রাজ পুরু বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে পরাভব মানতে বাধ্য হনঅ অত:পর আরেকজান্ডার রাভি নদীর উপকূলবর্তী রাজ্যসমূহ দখল করেন এবং বিপাশা নদী পর্যন্ত অগ্রসর হন। এই স্থলে তার রণক্লান্ত সেনাবাহিনী দেশে প্রত্যাবর্তনে উণ্মুখ হয়ে পড়লে আলেকজাণ্ডার ভারত অভিযান বন্ধ করে গ্রিসে প্রত্যাবর্তন শুরু করেন। প্রত্যার্তনের পথে তিনি বেলুচিস্তান ও পাঞ্জাব অধিগত করেন্ ঝিলাম ও সিন্ধু নদের অন্তবর্তী সকল রাজ্য তার অধিগত হয়। ভারত ভূঘণ্ডে আরেকজাণ্ডার প্রায় ১৯ মাস অবস্থান করেছিলেন। তিনি ভারত ত্যাগের পর প্রায় দুই বৎসরকাল তার বিজিত অঞ্চলসমূহে গ্রিক শাসন বজায় ছিল।
৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪১
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ওদের মাধ্যমেই তাহলে ভারতীয় সাম্রাজ্যে মিশ্র জাতির উদ্ভব ঘটে?
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৯
এম আর তালুকদার বলেছেন: ভাই আপনের মত একজন পাঠক পেয়ে এবং আপনার প্রশ্নগুলো পেয়ে আমি সত্যিই ধন্য হলাম। আমি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।
উত্তরঃ শুধু তাদের মাধ্যমেই নয় তবে বলতে পারেন ভারতীয় সাম্রাজ্যে মিশ্র জাতির উদ্ভবে তারাও আছে...
সঙ্গেই থাকুন পরের পর্বগুলো পড়ুন এবং প্রশ্ন করতে থাকুন। ধন্যবাদ।
৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১২
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আচ্ছা, ধর্মে কি গ্রীকরা কোন প্রভাব ফেলেছিল ভারতীয় মহাদেশে?
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩২
এম আর তালুকদার বলেছেন: আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণ এর ফলে উপমহাদেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিজয়ী গ্রিকদের সভ্যতা, সংস্কৃতি ও চিন্তাভাবনার সাথে পরিচিত হয়ে ওঠার সুযোগ পায়। উত্তর-পশ্চিম উপমহাদেশ ও মগধের সাথে রেশম, মশলা ও সোনাকে কেন্দ্র করে গ্রিস তথা ইউরোপের বাণিজ্যের বিকাশ ঘটে। শিল্প, সংস্কৃতি, লিখন-পদ্ধতি, শাসন ব্যবস্থা, যুদ্ধরীতি, প্রভৃতি নানা বিষয়ে এই অভিযানের প্রভাব ছিল । ধর্মীয় প্রভাব সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি কারন তারা বেশিদিন ভারতে রাজত্ব্য করেনি।
৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৯
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আমি ভাবছিলাম, গ্রীক ও হিন্দু উভয়েই দেব দেবী মানে। তাই তাদের ধর্মের মাঝে কোন কিছুর বিনিময় ঘটেছিল কিনা।
আর গ্রীকরা কি পুরোপুরি এখান থেকে চলে গিয়েছিল?
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৮
এম আর তালুকদার বলেছেন: ইতিহাস থেকে জানা যায় চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য গ্রীক সত্রপ গুলো পরাজিত করে দখল করেছিল তবে তাদের বিতারিত করেছিল বলে জানা যায়নি, এ থেকে বোঝা যায়না গ্রীকরা কি পুরোপুরি এখান থেকে চলে গিয়েছিল নাকি থেকে গিয়েছিল।
৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৪
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আচ্ছা, মৌর্য্যরা এত স্ট্রং হল কিভাবে এত বিভক্তির মাঝে? কলিংগ যুদ্ধ নিয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্যের পোস্ট দিতে পারবেন?
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০১
এম আর তালুকদার বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পূর্বে একটু অধ্যায়ন করে নিতে চাই কারন আমি কোন ভুল উত্তর দিতে চাই না।
৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৩
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আপনার পরিশ্রমের জন্য ধন্যবাদ। আপনার পেশা জানা যাবে?
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৬
এম আর তালুকদার বলেছেন: আমি দীর্ঘ দিন কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা ও কয়েকটি সংবাদ পত্রের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছি, বর্তমানে নিজের ব্যাবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকি।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: চলুক---।