নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বেদুঈন, আমি চেঙ্গিস, আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ। আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনা চিৎকার, বুকের ব্যাথা বুকে চাপিয়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার। এক মুঠো সুখের সন্ধানে ঘুরে বেড়াই অবিরত…

এম আর তালুকদার

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।

এম আর তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামাজিক অসঙ্গতির বিরুদ্ধে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরন (পর্ব - ০১)

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১৮


দীর্ঘ দিন যাবৎ ভাবছি লিখবো কিন্তু লিখতে বসলেই হাজারো দুঃচিন্তা মাথায় ঘোরপাক খায় আর সেই জন্যই এমন শিরোনামে লেখা শুরু করলাম। আমার এই লেখাটি পড়ে কেউ আমাকে বলবে নাস্তিক, কেউ বলবে মহা পন্ডিৎ, কেউ বলবে গন্ডমূর্খ এছাড়াও নানা প্রকার মন্তব্য আসতে পারে সে জন্য মন্তব্যের ঘর উন্মক্ত আছে।

এবার শুরু করতে যাচ্ছি আলোচনা তবে প্রথমে আলোচনার বিষয়বস্তু উল্লেখ করতেছিঃ

* ধর্ম ব্যবসাসী
* মূর্খদের মুখে জ্ঞানীদের সমালোচনা
* সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিষর্যন


আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু ধর্ম ব্যবসাসী

যেহেতু আমাদের দেশে মুসলিম সংখ্যগরিষ্ট (আমিও মুসলিম) সেহেতু সংখ্যলঘুদের নিয়ে টানাটানি না করে সংখ্যগরিষ্টদের নিয়েই কিছু লিখতেছি তবে দয়া করে আমার কথাগুলো একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ে আমার ভুল হলে সুধরে দিবেন। আমাদের দেশ যেহেতু মুসলিম প্রধান সেহেতু অসংখ্য মসজিদ থাকবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু এর ভিতরে কিছু অস্বাভাবিক দিক রয়েছে আজ তাই নিয়ে কথা বলবো।

ক। মসজিদ ব্যবসা
খ। মাহফিল ব্যবসা
গ। ফতোয়া ব্যবসা

ক। মসজিদ ব্যবসা

১। বলা হয় মসজিদ আল্লাহর ঘর। আসলেই কি আল্লাহ ঘর ? নাকি আমরা তার উপাসনা করার জন্য এই ঘর নির্মান করি !

২। বর্তমানের অনেক মসজিদের ভিতরে লেখা থাকে মসজিদে দুনিয়াবী কথা বলা নিষেধ, নবী (সঃ) এই ঘরে বসে বিচারকার্য করতেন। তাহলে যার মাধ্যমে ইসলাম প্রচার হল তার থেকেও কি আমরা এক ধাপ বেশি এগিয়ে গেলাম ?

৩। বর্তমানে মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ করে এক মসজিদের খানিক দূরে আরেক মসজিদ নির্মান করা হচ্ছে তারপর তার উন্নতির জন্য শুরু হচ্ছে চাঁদা তোলা বা ভিক্ষাবৃত্তি। বলা হচ্ছে আল্লাহর ঘরের জন্য দান করে যান। আমার আল্লাহ কি হত দরিদ্র যে তার জন্য তার সৃষ্টি মানুষের ঘর তৈরি করে দিতে হবে !? আপনারা কিভাবে কেমন মসজিদ তৈরি করে তার সিজদাহ করবেন এটা নিতান্তই আপনাদের ব্যাপার এখানে আল্লাহকে টেনে লাভ কি ?

৪। মসজিদ কমিটি একটা অতি দায়িত্বপূর্ন এবং ইহকালীন ও পরকালীন জবাবদিহিতামূলক কমিটি কিন্তু অনেক মসজিদ কমিটি এই মসজিদকে কেন্দ্র করে গড়ে তুলেছেন নিজেদের অর্থ উপার্জনের বিরাট উৎস হিসেবে।

৫। মসজিদের উন্নতি হচ্ছে বাড়ছে সৌন্দর্য কিন্তু শেষ হচ্ছে না মসজিদের দরিদ্র অবস্থা। এই প্রসঙ্গে একটা বাস্তব উদাহরন দিচ্ছি -
নারায়নগঞ্জরে এক মসজিদে গত রমজানে নামাজ পড়তে গিয়ে সিজদাহ দিতে গিয়ে দেখি নিজের চেহারা দেখা যাচ্ছে এবং এসির বাতাসে ঠান্ডা লাগতেছে তবুও নামাজ শেষ পড়লাম। নামাজের মধ্যে ইমাম সাহেব জানালেন মসজিদের উন্নয়ন কাজ চলতেছে এবং রমজান শেষে ইমাম মুয়াজ্জিনের বেতন দরকার তাই আল্লাহর ঘরের জন্য যে যা পারেন মুক্ত হস্তে দান করুন শুনে খুব খারাপ লাগলো কারন দানের টাকায় চাকচিক্য হচ্ছে ! নামাজ শেষে একজন হাফেজকে বললাম ভাই যে টাকায় এই চাকচিক্য করা হয়েছে সেই টাকায় উন্নয়নের আর একটু অগ্রগতি হত বা এই টাকা দিয়ে মসজিদের নামে কোন হালাল ব্যবসা শুরু করলে অন্ততপক্ষে ইমাম মুয়াজ্জিনের বেতনের জন্য দান ক্ষয়রাত চাইতে হত না। আমার এই কথা শুনে তিনি যা বললেন তার সেই মন্তব্যের উপর আপনাদের মন্তব্য জানতে চাই, হাফেজ বলিছিলেন আপনারা এই বিষয়ে কতটুকু জানেন আর কিইবা বোঝেন! যা বোঝেন না সেই বিষয় নিয়ে কথা বলা ঠিক না, আপনার চেয়ে অনেক ভলভাল লোকেরা আছে তারা ভাল বোঝেন। মক্কা মদিনায় ও এভাবেই চলে। আমি আর কিছু বলতে পারি নাই, এবার আপনারা যা বলার বলুন।


খ। মাহফিল ব্যবসা

ইসলামে দ্বীন প্রচার করতে বলা হয়েছে কিন্তু অর্থের বিনিময়ে ধর্ম প্রচার করতে বলা হয়েছে কিনা আমার জানা নাই। এক ভাইয়ের কাছে একটা ঘটনা শুনে ছিলাম, এক বক্ত ২ ঘন্টা ৫০,০০০/- টাকা চুক্তিতে ওয়াজ করতে গেছেন। মাহফিল আয়োজক কমিটি আয়োজন করতে গিয়ে ১০,০০০/- যোগার করতে অসমর্থ্য হয়েছে। ওয়াজ শেষে বক্তা রাজকীয় আহার গ্রহন করে টাকা চাইলে আয়োজক কমিটি অতি বিনয়ের সহিত লজ্জিত হয়ে জানায় তারা শত চেষ্টা করেও ১০,০০০/- যোগার করতে অসমর্থ্য হয়েছে। এই কথা শুনে বক্তা এমন ভাষায় গালি শুরু করলো যা শুনলে পতিতাও লজ্জায় মুখ লুকাবে, তার এই গালি শুনে উপস্থিত এক যুবক তাকে প্রহর করতে চাইলে কোন ভাবে তাকে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। গত বছর খুলনার এক উপজেলায় এক স্থানে মাস ব্যাপি ভিন্ন ভিন্ন বক্তার একই ওয়াজ (গদ বাধা কাহিনী) শুনে বিরক্ত হয়েছিলাম তবুও কিছু বলতে পারিনি কারন ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট। এই সেন্টিমেন্টের কাছে কিছু বললেই দফারফা।

** আমার প্রশ্ন হল পাড়ায় মহল্লায় এত মসজিদ থাকতে এত টাকা দিয়ে ২/১ ঘন্টার জন্য এই বক্তা আনার দরকার কি ? তাহলে এই ইমামগন কি করেন ? তারা কি কিছু না জেনেই ইমাম হয়ে বসে আছেন! তাহলে আমরা তাদের পিছনে নামাজ পড়ি কেন এবং তাদের উল্টাপাল্টা ফতোয়া কেন শুনি ?


গ। ফতোয়া ব্যবসা

এই বাংলায় ফতোয়া নতুন কিছু নয় এটা অনেক পুরনো একটা সমস্যা। শুনেছি ব্রিটিশ আমলে নোয়াখালী অঞ্চলের হুজুরেরা ফতোয়া দিতেন " ইজ্ঞানো গ্যাদার বাপ তর হোলারে ইংলিশ হড়াইসনো জাহান্নামে যাইবো" এই এক ফতোয়ায় হিন্দুরা ইংলিশ পড়ে ইংরেজদের কর্মচারী হিসেবে চাকুরি করেছে আর মুসলিমরা চাষী হয়েছে নির্যাতিত নিপিড়ীত। এখন দিন বদলেছে ফতোয়াও বদলেছে। এখন ফতোয়া হয়েছে এমন -

ফতোয়া চাওয়া ব্যাক্তিঃ হুজুর আমার গাছ থেকে নারিকেল চুরি করেছে বিচার চাই

হুজুরঃ চুরির কঠিন সাজা হওয়া উচিৎ। ইসলামে চুরির কঠিন শাস্তি। কে চুরি করছে !

ফতোয়া চাওয়া ব্যাক্তিঃ আপনের ছেলে

হুজুরঃ ডাব খাইছে না ঝুনা খাইছে !

ফতোয়া চাওয়া ব্যাক্তিঃ ডাব খাইছে

হুজুরঃ ঝুনা খাইলে গুনাহ হয় ডাব খাইলে মাফ হয়। এটা নিয়ে বিচার চাওয়ার কি আছে আল্লার নেয়ামত খাইছে এটা চুরি হইলে ক্যামনে ? তুই আমার পোলারে চোর কইছো আমি আজই মেম্বরের কাছে নালিশ দিমু। তুই নামাজ পড় তুই তো জাহান্নামে যাবি। ছিঃ তোর মত বেনামাজির গাছ থেকে ও খাইছে এটা তো তোর ভাগ্য। দুর হ এখান থেকে।

এখন কুরআন হাদিস থেকে ফতোয়া দেয়া হয় না, ফতোয়া দেয়া হয় ব্যাক্তিস্বার্থ্য চরিতার্থ করার জন্য। ফতোয়া দেয়া হয় মাজহাব থেকে, পীরের কথার রেফারেন্স টেনে, বাবার কথা শুনে। একএক জনের জন্য একএক ধরনের ফতোয়া।

মুসলিম আজ বিভক্ত সিয়া, সুন্নী আর মাজহাব নিয়ে, নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে। তাই তো এদের নিয়ে আমার লেখা কবিতা

"ঐক্যের আহব্বান"

এক বিশ্বাস, এক ধর্ম,
ভিন্ন কেন তোদের মত !
একতার অভাবে ছিন্নভিন্ন
হারিয়েছ শান্তির পথ।

হামাস মরছে ফিলিস্তিনে
রোহিঙ্গা মরে আরাকানে
মুসলিম দেশে আগুন জ্বলে
হত্যার প্রতিযোগিতা চলে।

তোদের দোষেই নিঃস্ব তোরা
ডুবছে তোদের তরী !
ঝড়ের মাঝেই দাড় টেনে যা
দিতে হবে সাগর পারি।

ওহে মুসলিম এক হও
ভুলে যাও সকল দন্দ,
হাতে হাত রেখে ঘুরে দাড়াও
হঠাও সকল মন্দ।

আর কতকাল দেখবি তোরা
নিজের ভাইয়ের রক্ত !
অত্যাচারীর দোষ দেবো কী!
তোরাই তাদের ভক্ত।

এমনি ভাবে থাকলে পরে
পুরে হবি ছারখার,
অত্যাচারের প্রতিবাদ করে
ঐক্য, শান্তির বিশ্ব গড়।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

আল ইফরান বলেছেন: ফতোয়া নিয়ে আপিল বিভাগের রায় ইতিমধ্যে কার্যকরী হয়ে গেছে, তার সাথে সাথে মানুষের সচেতনতাও বেড়েছে। আর দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে একটা সিজনে ওয়াজ মাহফিলের অত্যাচারে টেকা দায়, গিয়েছিলাম সেইরকম একজায়গায়। কেউ অসুস্থ মানুষ, বৃদ্ধ ও শিশুদের কথা ভাবে না, আর সারারাত ওয়াজ শুনে ফজরের নামাজ ক্বাযা করে।

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩২

এম আর তালুকদার বলেছেন: সারারাত ওয়াজ শুনে ফজরের নামাজ ক্বাযা করে এই কথাটি লিখতে ভুলে গেছিলাম, ধন্যবাদ মন্তব্য করে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৭

মিরোরডডল বলেছেন: নাস্তিক মহা পন্ডিত
কেউ কিছুই বলেনি এখন পর্যন্ত

সব জায়গায় ভাল এবং খারাপ মানুষ আছে
তাদের মধ্যেও আছে
এটা নতুন কিছু না
কিন্তু ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করা ভালো না

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

এম আর তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১০

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ভাবলাম পড়ব না কিন্তু কৌতুহল মিটাতে গিয়ে পড়লাম। ভালই লিখেছেন। এগুলো সমাজের বাস্তব সমস্যা।
বক্তাদের কাহিনী সত্য। ফতোয়ার গল্পটি ভালো লাগেনি।

শেষের কবিতাটি অসাধারন। শেষ কথা--
তোদের দোষেই নিঃস্ব তোরা
ডুবছে তোদের তরী !

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

এম আর তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১৯

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: ১) মসজিদে দুনিয়াবী কথা বলা হারাম- এটি তাবলীগ জামাত তৈরি করেছে এদেশে।
২) আমাদের দেশে মসজিদ তিনতলা, টাইলস বাঁধানো কিন্তু ইমাম ৩০০০ টাকার। অথচ হওয়ার কথা ছিল মসজিদ যাহোক ইমাম হতে হবে জাননেওয়ালা। আর জানওয়ালের পিছনে একটু বেশি খরচ করতে হবে এটাই স্বাভাবিক, এখানে ফতোয়া দেওয়ার সুযোগ আছে আমি সেই বিষয় যাচ্ছি না।
৩) মাহফিল ভাল তবে বর্তমান যেভাবে টাকার প্রতিযোগিতা সেভাবে ভাল নয় বরং মসজিদভিত্তিক পাঠাগার গড়ে তুললে আমার মতে ভাল হয়।

লেখাটি সম-সাময়িক, ভাল লাগল।

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩৭

এম আর তালুকদার বলেছেন: আপনার মতের সাথে সহমত। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: একমত

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪২

এম আর তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

আবু তালেব শেখ বলেছেন: আপনার কথা একেবারে সঠিক। আপনাকে নাস্তিক বলার কোন কারন দেখছি না। ওয়াজ মাহফিল বর্তমানে সবচেয়ে রমরমা ব্যবসা। 45মিনিট ওয়াজ করে 50 হাজার নিয়েছে খ্যাতিসম্পন্ন একজন বক্তা খুলনাতেই ,
বর্তমান আবার একজন হেলিকপ্টার যোগে নাকি বক্তৃতা করছে। সাথে আগ্নেয় স্ত্র সহ বডিগার্ড। একলক্ষ টাকা হাদিয়া আশিহাজার হেলিকপ্টার ভাড়া। বুঝলেন কিছু?

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪০

এম আর তালুকদার বলেছেন: বর্তমান আবার একজন হেলিকপ্টার যোগে নাকি বক্তৃতা করছে। সাথে আগ্নেয় স্ত্র সহ বডিগার্ড। একলক্ষ টাকা হাদিয়া আশিহাজার হেলিকপ্টার ভাড়া। বুঝলেন কিছু?

বোঝার সখ্যমতা হারাবার উপক্রম হয়েছে।

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

আবু তালেব শেখ বলেছেন: নিচের কবিতার ভাষাগুলো যদি মুসলিমরা বুঝতো তাহলে আজ আমাদের শনির দশা থেকে মুক্ত থাকতাম।
মসজিদ ফান্ডের টাকা দিয়ে হালাল ব্যবসা করে ইমাম মুয়াজ্জিনের বেতন দেয়ার আইডিয়াটা সুন্দর।

যখন আমাদের মসজিদে ইমামের বেতন মানুষের কাছে চাওয়া বা তাগাদা দেয়া হয় মনে হয় যেন ইমাম সাহেব মুসল্লিদের করুনার পাত্র

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০৬

এম আর তালুকদার বলেছেন: অনুধাবন করে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: বাস্তব সমস্যা। আমাদের দেশের ধর্ম ব্যবসা রমরমা। আপনার মতো আমিও একবার এক হুজুরকে প্রশ্ন করেছিলাম। তিনিও প্রায় এমন উত্তর দিয়েছিলেন - আপনি ইসলামের কি জানেন?! আপনি কি মাদ্রাসায় পড়েছেন?! যা জানেন না, তা নিয়ে কথা বইলেন না।
আমাদের গ্রামাঞ্চলের Maximum ইমাম'ই কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে না পারলে ক্ষ্যাপে যান। এটা সেটা বলে (ঈমান থাকবেনা) ভয় দেখাতে চান।

ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০৮

এম আর তালুকদার বলেছেন: ইসলাম ধর্ম যেন ঐ সকল ব্যাক্তির বাপ দাদার সম্পত্তি তাই এই অবস্থা। পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৪৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ১. মসজিদকে ব্যবসায় যারা পরিণত করেছে তাদের বিচার আল্লাহই করবেন। তবে সচেতনতা জরুরী। সাধারণ মুসুল্লীদের কিছুই করার নেই। আর উন্নয়ন নিয়েও আসলে ভাবনার অবকাশ আছে। একই মসজিদে এসি চলছে অথচ বের হওয়ার সময় ভিখারীর হাত খুবই বেমানান...
২. মাহফিল নিয়ে যা বলেছেন তা আসলেই ভয়াবহ। সেই আলেম নিজের বিবেককে কীভাবে মোকাবেলা করেন দিন শেষে আমি জানি না। অথচ নামাজ পড়িয়েও টাকা নেয়ার ব্যপারে অনেক মতভেদ আছে। সেটা ভিন্ন বিতর্ক...
৩. ফতোয়া সেভাবে আমাদের দেশে দেওয়া হয় না। যদি কোনদিন ইসলামী ভাবধারার সরকার আসে তখন হয়তো এ ব্যপারে বলা যাবে। তবে ফতোয়ার নেগেটিভিটি দেখানো হয় বেশীরভাগ সময় তালাকের ক্ষেত্রে। মুসলমানদের আরো সচেতন হতে হবে, আরো পড়তে হবে...

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

এম আর তালুকদার বলেছেন: মুসলমানদের আরো সচেতন হতে হবে, আরো পড়তে হবে...
আপনার এই উক্তিটি যথার্ত।
আলোচনার জন্য ধন্যবাদ।

১০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:১৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার লেখা পরে এখনো গালাগালি কেউ দেয়নি, কেউ পন্ডিত বলে টিটকিরি করেনি,মূর্খ বলেনি, আপনি নাস্তিক উপাধি পাননি (আমি খুবই দৃঢ়ভাবেই বিশ্বাস করি আপনি সেই উপাধি পাবেনও না আর অন্য যা আপনি চিন্তা করেছেন তার কোনো কিছুই কেউ বলবে না )| এই সহিষ্ণুতা ইসলাম ধর্ম নিয়ে দেশের বেশির ভাগ মানুষেরই কিন্তু আছে বলে আমি খুব বিশ্বাস করি |তাই অল্প কিছু মানুষের অবিবেচক কাজের জন্য পুরো ইসলাম বা দেশের ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী সবাইকেই পাইকারি ভাবে দায়ী করা হয় সেটা খুব খারাপ লাগে |

যাক, আপনার লেখা নিয়ে কিছু কথা | আপনি যে কিছু অসঙ্গতি নিয়ে কথা বলেছেন সেগুলো ইসলামের অসঙ্গতি না | সেগুলো আমাদের বানানো অসঙ্গতি | যেমন ফতোয়া, এটা ইসলামের অবিচ্ছেদ্য একটা অংশ |কিন্তু এই ফতোয়া দেবার জন্য যে ইসলামের মৌলিক জ্ঞানের বিশেষ অধিকারী হতে হবে সেটা কি ফতোয়া দেবার সময় আমরা মেনে চলছি ? তাই এমন সব ফতোয়া আসছে যেগুলো মাঝে মাঝে শুধু অসঙ্গতিপূর্ণ তাই না অনেক সময় হাস্যকরও হয়ে যাচ্ছে মনে হয় | অনেক মসজিদ নিয়েই স্রেফ ব্যবসা আর রাজনীতি আর ক্ষমতার কাড়াকাড়ি হচ্ছে দেশে এটাই সত্যি | মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিনের বেতন নিয়ে যা বলেছেন সেগুলো বেদনাদায়ক সত্যি | এই সাধারণ ম্যানেজমেন্ট গুলোও মসজিদ নিয়ে আমরা করতে পারি না কিন্তু এর সমালোচনাগুলো ইসলামের ওপর এসে পরে | এটাও আরেকটা কষ্টের ব্যাপার | চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ |

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

এম আর তালুকদার বলেছেন: আপনি ফতোয়ার বিষয়ে জোর দিয়েছেন এটা দেখে ভাল লাগলো কারন আমরা জানিইনা কে ফতোয়া দিতে পারবে। একজন মুফতি ব্যাতিতো কেউ ফতোয়া দেয়ার এখতিয়ার রাখেনা।

২য় যে বিষয়ে উল্লেখ করেছেন তার উত্তর একটা উদাহরন দিয়ে দিচ্ছি -
এক কলসি দুধের মধ্যে এক ফোটা গো মুত্র পরলে যেমন সেটা খাবার অযোগ্য হয়ে যায় তেমনি কিছু অবিবেচক মানুষ ও কিছু অসঙ্গতিপূর্ণ কাজের জন্য আজকে ইসলামের দশা। এই কিছুকেই শুধরানো না গেলে ইসলামকে তথা মুসলিমদের আরো বেশি ভুগতে হবে।

ধন্যবাদ আপনার জ্ঞানগর্ভ আলোচনার জন্য।

১১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:২৪

কানিজ রিনা বলেছেন: মসজিদে ইমামের বেতনে ইমামের পেট চলে
তাই প্রতিটি মসজিদ কমিটি এলাকার সামর্থ
বান লোক ১২ মাসের টাকা ১২ জনকে ভাগ
করে দিলে ভাল হয় বা বছরের প্রথমেই ওই
১২ জনের টাকা একসাথে ইমামকে দিয়ে দিলে
ইমাম সাহেব ব্যবসা করলে সচ্ছল চলতে
পারবেন। যদিও ইমাম সাহেবের পেট চলে
ইমামতি করে তথাপি ইসলাম প্রচার করে
পারিশ্রমিক নেওয়া কোনও হাসীসে প্রমান
নাই। সেইহেতু তাকে দান বলে বিবেচিত হবে।

মাহফিল করা যায় দক্ষ কোরআনের জ্ঞানী
দিয়ে। কোরআনের বানী শুনতে আসা অনেক
লোক সমাগম হয়। সেটা নিঃশন্দেহে ভাল
কাজ। কিন্তু জ্ঞানীরা যদি টাকার কন্টাক্টে
আসে আর টাকা নিয়ে বাড়িবারি করে সেটা
গর্হিতকর। কোরআনে সত্যিকার জ্ঞানীরা
কখনও এমন কাজ করেনা। তাদেরও যেটাকা
দেওয়া হয় দান হিসাবে গ্রহন করা উচিৎ।
দানের টাকা দরকসা যায়না। মাহফিলে লোক
সমাগম যতটুকু জায়গা পর্যন্ত সেই পর্যন্ত
মাইকের আওয়াজ সীমাবদ্ধ থাকা উচিৎ।
সবচেয়ে বেশী খারাপ লাগে মসজিদের জন্য
রাস্তাঘাটে বাজারে দান চাওয়ার বিষয়টা।
এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। যে এলাকায়
মসজিদ নির্মান করা হয় এলাকার বড় লোকেরা কি পারেনা একটা মসজিদ তৈরি
করতে? যে এলাকায় গরীবের বাস সবাই
মিলে গরীবানা হালেই মসজিদ তৈরি করবে।
রাস্তা ঘাটে দান ভিক্ষা কেন চাইতে হবে।
আসলে কিছু ধর্ম ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে
উঠেছে। তবে একটা কথা না বললে না
তাহল সব কিছু সুন্দর অন্তরে সুন্দর করে
দেখা। তবে ইসলামিক কাজে ভিক্ষা করা
পছন্দ লাগে না।
আপনার কবিতা অনেক ভাল হয়েছে। ধন্যবাদ।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪

এম আর তালুকদার বলেছেন: ইসলামিক কাজে ভিক্ষা করা পছন্দ লাগে না।
আমি এই কথাটির উপরেই বেশি জোর দিতে চেয়েছি। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর আলোচনার জন্য।

১২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাল বলেছেন। সমাজের কিছু অসঙ্গতি অতীব আন্তরিকতায় চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। ধন্যবাদ। আপনাকে নাস্তিক বলার সুযোগ দেখি না। আপনি যে ধার্মিক ব্যক্তি, আপনার এই পোস্টে তার অনেক প্রমান বিদ্যমান। আল্লাহ পাক আপনার প্রতি রহমত বর্ষন করুন। বেহুদাই আপনি ভীত হচ্ছেন। অথবা, মানুষের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টায় এরকমটা করছেন।

প্রচলিত ওয়াজ মাহফিল বর্তমানে সবচেয়ে রমরমা ব্যবসা। অধিকাংশ বক্তা অর্থের বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক ওয়াজ করেন। ইখলাস, তাক্কওয়া তথা আল্লাহ ভীতি, দাওয়াত ও তাবলিগের সহীহ নিয়্যাত বক্তার অন্তরে বিদ্যমান না থাকায়- এগুলোতে তেমন কোন ফায়দাও হয় না। মানুষের অন্তরে বক্তার কথার আছর পড়ে না। দাগ ফেলে না। মানুষ হেদায়েতের পথে আসে না। তবে, আলহামদুলিল্লাহ, আমার জানামতে, এমনও আল্লাহওয়ালা আলেমগন আমাদের দেশে আছেন, যাদের দাওয়াত দিয়ে মাহফিলে নিলে আল্লাহর শুকরিয়া, শত চেষ্টা করলেও তাদের কোনও অর্থ, হাদিয়া আপনি গ্রহন করাতে পারবেন না। এদের ভেতরে এমন যোগ্যতাসম্পন্ন আলেমে দ্বীনও রয়েছেন, আল্লাহ পাকের শুকরিয়া, বছরের অধিকাংশ সময় যাদের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াতে হয় দ্বীনের দাওয়াতের সফরে। যদিও এদের সংখ্যা নিতান্ত কম।

পোস্ট বিষয়ে বাকি কথা আমার আর সম্ভবত: বলার প্রয়োজন নেই। কারন, এই পোস্টে মন্তব্যে আসা প্রত্যেকেই জ্ঞানগর্ভ আলোচনা রেখে গেছেন। সকলকে মোবারকবাদ। তাদের কথাতেই আমার বাকি কথা উঠে এসেছে, দেখেছি। তারপরেও আমার না বলা বাকি কথার জন্য মলাসইলমুইনা ভাইয়ের মন্তব্যটি তুলে ধরছি। তার মন্তব্যে সহমত পোষন করছি। সুন্দর এবং সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি-

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার লেখা পরে এখনো গালাগালি কেউ দেয়নি, কেউ পন্ডিত বলে টিটকিরি করেনি,মূর্খ বলেনি, আপনি নাস্তিক উপাধি পাননি (আমি খুবই দৃঢ়ভাবেই বিশ্বাস করি আপনি সেই উপাধি পাবেনও না আর অন্য যা আপনি চিন্তা করেছেন তার কোনো কিছুই কেউ বলবে না )| এই সহিষ্ণুতা ইসলাম ধর্ম নিয়ে দেশের বেশির ভাগ মানুষেরই কিন্তু আছে বলে আমি খুব বিশ্বাস করি |তাই অল্প কিছু মানুষের অবিবেচক কাজের জন্য পুরো ইসলাম বা দেশের ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী সবাইকেই পাইকারি ভাবে দায়ী করা হয় সেটা খুব খারাপ লাগে |

যাক, আপনার লেখা নিয়ে কিছু কথা | আপনি যে কিছু অসঙ্গতি নিয়ে কথা বলেছেন সেগুলো ইসলামের অসঙ্গতি না | সেগুলো আমাদের বানানো অসঙ্গতি | যেমন ফতোয়া, এটা ইসলামের অবিচ্ছেদ্য একটা অংশ |কিন্তু এই ফতোয়া দেবার জন্য যে ইসলামের মৌলিক জ্ঞানের বিশেষ অধিকারী হতে হবে সেটা কি ফতোয়া দেবার সময় আমরা মেনে চলছি ? তাই এমন সব ফতোয়া আসছে যেগুলো মাঝে মাঝে শুধু অসঙ্গতিপূর্ণ তাই না অনেক সময় হাস্যকরও হয়ে যাচ্ছে মনে হয় | অনেক মসজিদ নিয়েই স্রেফ ব্যবসা আর রাজনীতি আর ক্ষমতার কাড়াকাড়ি হচ্ছে দেশে এটাই সত্যি | মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিনের বেতন নিয়ে যা বলেছেন সেগুলো বেদনাদায়ক সত্যি | এই সাধারণ ম্যানেজমেন্ট গুলোও মসজিদ নিয়ে আমরা করতে পারি না কিন্তু এর সমালোচনাগুলো ইসলামের ওপর এসে পরে | এটাও আরেকটা কষ্টের ব্যাপার | চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ |

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

এম আর তালুকদার বলেছেন: ভাই এখন যে অবস্থা চলতেছে তাতে কথা বললেই স্টিম রোলারের আঘাতে পিষ্ট হতে হয় তাই প্রথমে এভাবে উপস্থাপন করতে বাধ্য হয়েছি।

মলাসইলমুইনা সাহেবের উত্তর দিয়েছি।

আপনার আলোচনার জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:০৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আজকাল মসজিদ গুলোতে যারা নেতৃত্ব দেয় তারা বেশির ভাগই চরম মূর্খ।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

এম আর তালুকদার বলেছেন: জীবনে মসজিদে যায়নি, ঠিক ভাবে সূরা পড়তে পারেনা, কুরআন হাদিস ছুয়ে দেখেনি এমন লোক ক্ষমতার জোরে মসজিদের সভাপতি এমনও দেখেছি।

১৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

বারিধারা ৩ বলেছেন: টাইলস বা এসি মসজিদের সৌন্দর্য/ আকর্ষণ বাড়ায় না। মসজিদের আসল সৌন্দর্য তার মুসুল্লি - যে মসজিদে বেশি মুসুল্লি উপস্থিত হয় - সে মসজিদের আকর্ষণও বেশি। পূরান ঢাকায় খুব কাছাকাছি দূরত্বে দুটো মসজিদ দেখেছি - একটা চকচকে গর্জিয়াস, আরেকটা পুরনো আমলের। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, চকচকে মসজিদে যোহরের নামাজে দুই কাতারের বেশি লোক হয়না, কিন্তু পুরানো মসজিদে নীচতলা ভরে দোতালাতেও দু'তিন কাতার দাঁড়ায়।

আপনি লেখার শুরুতেই যেভাবে মাফ টাফ চেয়ে নিলেন, কোন মুমিন বান্দার জন্য তা একেবারেই দৃষ্টিকটু। মুমিন আল্লাহ ছাড়া আর কাউকেই ভয় করবেনা। যা বলবে, স্পষ্ট বলবে। মসজিদ, মাহফিল বা ফতোয়া বিষয়ে অনেক আলেম উলামাও ইতোপূর্বে আপনার মত মতামত দিয়েছিলেন, কেউ তাদেরকে সেজন্যে দোষারোপ করেনি। তাই সত্য প্রকাশে অযথা সংকোচ করবেন না।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

এম আর তালুকদার বলেছেন: ভাই এখন যে অবস্থা চলতেছে তাতে কথা বললেই স্টিম রোলারের আঘাতে পিষ্ট হতে হয় তাই প্রথমে এভাবে উপস্থাপন করতে বাধ্য হয়েছি।

টাইলস বা এসি মসজিদের সৌন্দর্য/ আকর্ষণ বাড়ায় না। মসজিদের আসল সৌন্দর্য তার মুসুল্লি - যে মসজিদে বেশি মুসুল্লি উপস্থিত হয় - সে মসজিদের আকর্ষণও বেশি।

আমি এটাই বুঝাতে চেয়েছি। অনুধাবন করে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

১৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চরম বলেছেন,
তবে গর্দভ না শোনে ধর্মের কাহিনী।
এদের কাছে.........
"পুরোহিতের মন্ত্রপাঠ আর পাঠার কান ঝাড়া"

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

এম আর তালুকদার বলেছেন: অল্প কথায় দারুন বলেছেন।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:২৭

শাহ আজিজ বলেছেন: খুব যৌক্তিক বয়ান করেছেন এবং কয়েক লাখ ভণ্ডের ভাত মেরেছেন ।

একটা লাইন ভুল পড়ছিলাম , তাহলো 'সাথে আগ্নেয় স্ত্রী' নিয়ে -----------, চশ্মা মুছে দেখি ওটা স্ত্রী নয় অস্ত্র । যা দিন কাল পড়ছে তাতে দুটোই সমান কার্যকর ।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

এম আর তালুকদার বলেছেন: হা হা হা । যা বলেছেন না হেসে পারলাম না।

পোষ্ট এবং মন্তব্য পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

১৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

আবু তালেব শেখ বলেছেন: জনাব শাহ আপনার চোখে সমস্যা দেখতে পাচ্ছি। আগ্নেয়াস্ত্র কে আপনি স্ত্রী বানিয়ে দিলেন? টাইপে একটা স্পেস হয়ে গেছে অসাবধানতায়। এটা নিয়ে কটাক্ষ করা জ্ঞানী জনের কর্ম নয়।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

এম আর তালুকদার বলেছেন: যাক ভাই হয়তো তিনি একটু আনন্দ দিতে চেয়েছেন আমাদের। তার হয়ে আমি বলছি দয়াকরে আপনি কষ্ট পাবেন না। এখানে আমরা আলোচনা করবো আমরা আনন্দ করবো, আমরা আমরাই তো। আমরা সবাই এক ব্লগ পরিবার।

১৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

কালীদাস বলেছেন: মসজিদে এসি লাগাতে পারলে মন্দ হয় না, সেটা যদি সব মুসল্লিরা মনে করে লাগালে ভাল, লাগাক সমস্যা কি? গত শীতে দেশে যেয়ে দেখলাম আমাদের মসজিদটাতেও এসি লাগিয়েছে; গরমকালে খবর হয়ে যেত আগে। তবে মসজিদ কমিটির ব্যাপারে একমত। এই জিনিষটা নিয়ে ব্যাপক নোংরামি দেখেছি অনেক জায়গাতেই। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রুলস পরিষ্কার থাকলেও সেটা সব জায়গায় কার্যকর হয় না।

মাহফিল ব্যবসা এবং ফতোয়া ব্যবসার ব্যাপারে পরিপূর্ণ সহমত। শহরাঞ্চলে জিনিষটা খুব বেশি টের পাওয়া যায় না, রুরাল এরিয়াগুলো এখনও ভালই চলে এদের আন্ডারে।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

এম আর তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।

তবে আপনার কাছে প্রশ্ন -
০১। আপনার মসজিদ কি আর্থিক স্বচ্ছল ?
০২। মসজিদের মাসিক আয় কত ?
০৩। ইমাম মুয়াজ্জিনের ভাতা কি চাঁদার উপরে নির্ভরশীল ?
আরো কিছু প্রশ্ন করতে পারতাম কিন্তু থাক।

এবার বলুন মসজিদের এসি লাগানো ঠিক আছে কিনা !

১৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধর্ম নিয়ে ব্যবসার চেয়ে বড় অধর্ম আর কি হতে পারে? কিছু লোকের কাছে এখন ধর্ম আর ধান্দা সমার্থক।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১

এম আর তালুকদার বলেছেন: সহমত।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

২০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

কালীদাস বলেছেন: দিলেন তো ফাঁসায়া :``>> ডিটেইলস তো জানি নারে ভাই, তবে সম্ভবত চাঁদার টাকাতেই চলে সব। ইমাম একটা মাদ্রাসার টিচার, ঐখানেই থাকে বেশিরভাগ সময়, মুয়াজ্জিনেরটা শিওর না। শুরু থেকেই চাঁদার উপরেই বিল মেটানো মসজিদের ইউটিলিটির, মসজিদের আকার বাড়ানো বা এসির প্রয়োজন যখন দেখা দিল, লোকালরা একমতই হয়েছিল।

ইয়ে মানে আমাদের মসজিদ মানে আমাদের পাড়ার মসজিদ যেটাতে সবসময় নামাজ পড়ি ছোটবেলা থেকেই।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

এম আর তালুকদার বলেছেন: তাহলে এবার নিজেই বলুন ভিক্ষা করে ঘরে এসি লাগানো উচিত নাকি নিজেকে আগে আর্থিক স্বচ্ছল করা উচিত ? ঐ এসি নষ্ট হলে সারানোর টাকার জন্য আবার শুরু হবে ভিক্ষাবৃত্তি। আসুন সবাই সচেতন হই এবং পরিবর্তন আনি এই অব্যবস্থাপনার।

২১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

করুণাধারা বলেছেন: উচিত কথা বলেছেন।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

এম আর তালুকদার বলেছেন: সহমত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

কালীদাস বলেছেন: মুটামুটি একটা ছোটখাট বিপ্লব প্রয়োজন হবে আপনার ভাষায় এই ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করে স্বনির্ভর মসজিদ গড়তে :P হাদিয়ার সংজ্ঞা নিয়ে ব্যাপক দড়ি টানাটানিও শুরু হবে হয়ত :#)

বাইদ্যাওয়ে, একটা প্রশ্ন আসল মনে। অনেক মসজিদেই দুপুরবেলা ইমাম/মুয়াজ্জিনরা ছোট বাচ্চাদের আরবী পড়ান। ঐ টাকার কোন পার্ট কি মসজিদ ফান্ডে যায় নাকি পুরাই পারসোনাল? প্রশ্নটা করার কারণ, এই কাজটার জন্য তারা মসজিদকে সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করছেন, অনেকটা স্কুলগুলোতে চলা কোচিং-এর মত; যে কারণে টিচাররা ইনকামের একটা পার্ট স্কুল কমিটিতে জমা দেয় ভেণ্যু চার্জ হিসাবে। জানেন কিছু এ ব্যাপারে?

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

এম আর তালুকদার বলেছেন: একজন ইমাম মুয়াজ্জিনের ভাতা খুবই সামান্য তাই আমার ধারনা আপনার প্রশ্নের ঐ টাকাটা তাদের নিজেদের কাছেই থাকে। তবে তাদের ভাতা বাড়িয়ে মসজিদ ভিত্তিক এমন শিক্ষার ব্যবস্থা করে মসজিদ ফান্ডে টাকাটা নেয়া যেতে পারে।

২৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

তারেক ফাহিম বলেছেন: নাস্তিক বলার মত প্রমান হয়নি, হবেও না।

সুন্দর আলোচান করলেন, ফিসতো দিতে পারবো না, তাই ধন্যবাদটুকু দিলাম।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

এম আর তালুকদার বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

২৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

রুদ্র পাঠক বলেছেন: খুব বাস্তব কথা তুলে ধরেছেন। তার জন্য ধন্যবাদ।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪

এম আর তালুকদার বলেছেন: অনুধাবন করে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

২৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

আমপাবলিক বলেছেন: শুধু মসজিদ, মাহফিল, ফতোয়া নিয়ে লেখলেন আরো তো কত কিছু রইয়া গেছে তা লইয়া লেখবেন নাহ !!!
লেখাটি ভালই লাকজে। বাস্তব কতাই লেকছেন। চালাইয়া যান।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

এম আর তালুকদার বলেছেন: আপনি হয়তো লক্ষ করেন নাই শিরোনামে পর্ব -০১ উল্লেখ করা আছে সেহেতু অপেক্ষা করুন অন্যান্য বিষয়ের উপরেও লেখার ইচ্ছা আছে। পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

২৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধুর মিয়া!
যে ডর দেখাইছিলেন! ভাবলাম কিনা কি???

সামুর বহুত পুরুনা একখান ডায়ালগ আপনার জন্য- আয় বাভুল বুকে আয় ;)
হা হাহা

খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়। কিন্তু এ বিষয়ে কোন আলমে ওলামার কোন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
বরং উল্টোটাই বেশি!

মহল্লার মসজদি কমটিরি এক সেক্রেটারীকে একদনি ধরেছিলাম। টাইলসিএসি প্রসংগে!
প্রথমে স্রেফ সূরা মাউনের অনুবাদ দিয়েই প্রমান করে দিলাম -উনারা আল্লাহর ভাষায় ঘোষিত বেদ্বীন! :P
আর এসি নিয়ে তাদের প্রচলিত ফতোয়াবাজির পয়েন্ট- রাসূল যা করেন নাই তা প্রচলনই বেদাত!
এই সূত্রে বানায়াদিলাম -বেদাতী :P

হা কইরা চাইয়া রইল। হাসতে হাসতে চলে এলাম!

প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ প্রয়োজন। কে নেবে এ ভার???

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

এম আর তালুকদার বলেছেন: প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ প্রয়োজন। কথাটি ভাল লেগেছে।

কে নেবে এ ভার???
সবাই যদি এভাবে প্রশ্ন করেই দ্বায়িত্ব শেষ মনে করি তাহলে কোন দিন এর সমাধান বের হবেনা, আসুন সবাই মিলে ভেবেচিন্তে এর সমাধান বের করার চেষ্টা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.