নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ সাবিকুল ইসলাম (হৃদয়)

মানুষ বাঁচে আশায় আর দেশ বাঁচে ভালবাসায়।তাই সবাই মিলে দেশের জন্য কাজ করি।

মোঃ সাবিকুল ইসলাম (হৃদয়) › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীর কাজের প্রতি বন্ধকতা সৃষ্ট না করে পাশে দাঁড়ান ,নারীকে নারী নয় মানুষ ভাবুন ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

নারীর প্রতি বৈষম্য শুরু হয় জন্মের পর থেকে , ছেলে সন্তান জন্মের পরে তাকে আযান দিয়ে স্বাগতম জানানো হয় কিন্তু একজন কন্যা সন্তান জন্মানোর পরে তাকে আযান দিয়ে স্বাগতম জানানো হয় না । জন্মের পর থেকে একজন নারী শিশু বৈষম্যের শিকার হয়ে বাবা ঘর থেকে শ্বাশুর বাড়ি পর্যন্ত এবং নারী তার কর্মক্ষেত্রে গিয়ে ও নারী বৈষম্যের শিকার হয় । নারীকে তাঁর কর্মক্ষেত্রে শারীরিক ভাবে দুর্বল মনে করা হয় ।আমাদের দেশের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীকে ভোগের সামগ্রী হিসেবে দেখা হয় ।নারীকে মানুষ হিসেবে দেখা হয় না । নারী তার কর্মক্ষেত্রে সবার কাছ থেকে সাহায্য আশা করে কিন্তু সে সব সময় বৈষম্যের শিকার হয় । বর্তমানে বাংলাদেশের পোষাক শিল্পে নারীর অধিক হারে অংশ গ্রহন করে থাকে কিন্তু পুরুষ শাসিত সমাজে সেখানে সঠিক শ্রমের মাপকাটিতে দেখা হয় না । তারা প্রাপ্ত পারিকশ্রমিক পায় না । সেখানে তাদের প্রতি বৈষম্যের শিকার হতে হয় । কর্মক্ষেত্রে নারীকে সহকর্মীর কাছ থেকে যৌন হয়রানির শিকার হতে হয় । মাঝে মাঝে নারীকে ধর্ষিত হতে হয় কর্মক্ষেত্রে এতে নারীর প্রতি আরো বৈষম্য বেড়ে যায় সমাজ ও পরিবার থেকে সে পেয়ে থাকে লাঞ্ছনা ও অপবাদ । অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় নারী তার অপমান সইতে না পেরে আত্নহত্যার পথ বেঁচে নেয় । আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে প্রতিক্ষেত্রে নারীকে বৈষম্যের শিকার হতে হয় । বর্তমানে নারী পোষাক শিল্পে কাজ করে বলে নারীকে কটাক্ষ করে মৌলবাদী এক তথাকথিত হুজুর বলেছেন ‍‌‌‌, নারীকে তেঁতুলের সাথে তুলনা করেছেন । আর বলেছেন , নারীকে কেন কেন ? রাতের আধারে পোষাক শিল্পে কাজ করতে হবে, নারী তাঁর ঘর সামলাবে ,বাচ্চাকে দেখা-শোনা করবে অথ্যাৎ তিনি নারীকে সন্তান উৎপাদনের মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেছেন ।তিনি বাবা-মা উদ্দেশ্য করে বলেছেন ,রাতের আধারে তোমাদের মেয়েরা পর পুরুষের সাথে জিনার কাজে লিপ্ত হয়ে টাকা-পয়সা রোজগার করে । জানি না আমাদের দেশের নারী সমাজ ও পুরুষ সমাজ এটাকে কি ভাবে মেনে নিছে । আমরা অবাক হই কতটুকু নিম্ন মন মানুসিকতা থাকলে আমাদের দেশের একজন প্রধান আলিম এরকম মন্তব্য করতে পারে । তবু নারী আজ সকল বাঁধা অতিক্রম করে তার পরিবার ও রাষ্ট্রকে সচল রাখতে সাহায্য করছে । নারী আজ তার পরিবার ,সন্তান-সন্তানাদি সামলিয়ে ,স্বামী শ্বাশুর ,শ্বাশুড়ীর মন জয় করে পোষাক শিল্পে ও বিভিন্ন অফিস আদালতে কাজ করে যাচ্ছে । এদেশে নারীর প্রতি বৈষম্যের ফলে নারীরা ঘরে বসে থাকেনি ,তারা শত বাধা অতিক্রম করে আজ দেশ বিদেশে সুনাম কুঁড়িয়ে আনছে । আজ পোষাক শিল্পে নারী শ্রমিক ছাড়া উন্নয়ন কল্পনা করা যায় না । নারী তার ভয়কে জয় করতে শিখেছে তাই আজ নারী তার যৌগ্যতার বলে পুরুষের পাশা-পাশি কাজ করে দেশ রাষ্ট ও পরিবারের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছে । বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শিল্প হচ্ছে পোষাক শিল্প ।পোষাক শিল্প বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের একটি বিরাট স্থান দখল করে আছে । বাংলাদেশের ২,৫০০ পোষাক প্রস্তুতকারী কারখানায় ৩ লাখের ও বেশি নারী শ্রমিক কাজ করছে যার মোট হার হচ্ছে মোট শ্রমিকের ৯০ শতাংশ । অথ্যাৎ বাংলাদেশে প্রায় ৯০% নারী পোষাক শিল্পে নিয়োজিত রয়েছে । বাংলাদেশের পোষাক শিল্পে দিন দিন নারী শ্রমিকের উপস্থিতি বাড়ছে ।তাই দেশ ও জাতির স্বার্থে পোষাক শিল্পসহ বিভিন্ন অফিস আদালতে নারীর জন্য যে সকল বৈষম্য আছে দূর করে দিয়ে নারীকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে সকলকে । আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজের নিম্ন মন মানুসিকতা পরিহার করে নারীর অগ্রগতির পথে বাঁধা না হয়ে বরং তাকে সাহায্য সহযোগিতা করে ও সাহস যোগাতে হবে । আর পোষাক শিল্পে বা অফিস আদালতের সহকর্মী তারা যেন নিম্ন মন মানুসিকতা পরিহার করে সাহায্যের হাত বাড়ি দেন । নারী বলে তাদের সাথে খারাপ আচারন না করে সহকর্মী ভাবুন । তাহলে আমাদের দেশে কর্মক্ষেত্রে নারীকে আর বৈষম্যের শিকার হতে হবে না । নারী পুরুষ হাতে হা্ত মিলিয়ে এদেশকে এগিয়ে নিব উন্নতি শিখরে ।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.