নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একনিষ্ট প্রচেষ্টা সফলতার প্রতিক

মোস্তফা শওকাত ইমরান শাহীন

নিজের ঢোল নিজে পিডাই না

মোস্তফা শওকাত ইমরান শাহীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকার কতৃক খুৎবা নিয়ন্ত্রন প্রসঙ্গে

১৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২৩

সরকার কতৃক খুৎবা নিয়ন্ত্রন প্রসঙ্গে একটা গল্প মনে পড়ে গেলো! ,
এক হুজুর শহরের মসজিদে ইমামতি করতেন। আর থাকতেন খাইতেন সভাপতির বাড়িতে। তো একদিন ইমাম সাহেব জুম্মার খুৎবায় পর্দার পক্ষে আর বেপর্দার বিপক্ষে আলোচনা করলেন। এতে সভাপতির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সে ইমাম কে বলল আমার বউ মেয়ে পর্দা করেনা, বাজারে যায়। এগুলো তুমি লুকাই লুকাই দেখো। আর মসজিদে আসি মানুষদের বলে বেড়াও। তুমি কাল ই এখান থেকে চলে যাও। , পরে ঐ জায়গা থেকে এসে চাকরি নিলো উপশহরে। সেখানে থাকা খাওয়া সেক্রেটারিরর বাড়িতে। পরের জুম্মায় সে ভাবলো আমি পর্দা নিয়ে ওয়াজ করে চাকরি হারাইছি।এখানে আবার পর্দা নিয়ে ওয়াজ করে এ চাকরিও হারাতে চাইনা। আমি আজকে সুদের বিপক্ষে ওয়াজ করব। যা আছে কপালে, দেখা যাবে সকালে। সে সুদের বিরুদ্ধে কড়া ওয়াজ করলেন। মসজিদ থেকে বের হয়ে দেখে যে, সেক্রেটারির মুখে যেনো বর্ষা কালের মেঘ জমেছে। ইমাম সাহেব সেক্রেটারি কে জিজ্ঞেস করলেন, ভাইজানের কি মন খারাপ? সেক্রেটারি তেলে বেগুনে ক্ষেপে গেছে।, আরে মিয়া আমি করি সুদের কারবার, ে কথা লোকদের বলা কি দরকার? আগামী কাল থেকে তুমি আর নাই। গাঁট্টি বেঁধে রাখো, সকালে চলে যাবে। , বেচারা ইমামের মন খারাপ। ধুর আর শহর কেন্দ্রীক ইমামতি ই করবনা। চলে গেলেন পাড়া গাঁয়ে। সেখানে এক মসজিদে ইমামতি নিলেন। থাকতেন খাইতেন ক্যাশিয়ারের বাড়িতে। জুম্মা দিন সে চিন্তায় পড়ে গেলো। কি ওয়াজ করব? যেটাই বলি সেটাই সভাপতি সেক্রেটারির বিরুদ্ধে যায়। না আমি আজ কোন ওয়াজ ই করবনা। সবাই সুন্নত পড়ুক। সময় হলে ফরজ নামাজে দাড়াই যাবো। যা ভাবা তা কাজ। খুৎবা ছাড়াই নামাজে দাড়াই গেলেন। সুরা ফাতিহা শেষ করে টান ধরলেন" ইয়াসিন, ওৃযাল কুরআনিল হাকিম" বলে। পিছনে ক্যাশিয়ারের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। নামাজ শেষ হতেই সে ইমাম কে ধরলো, এই মিয়া! থাকো আমার বাড়ি খাও আমার বাড়ি। আর নামাজে সুরা পড়ো সাবেক ক্যাশিয়ার ইয়াসিন মিয়ার নামে। লগে তার বাপ হাকিমের নাম সহ পড়ে দিলা। শুনে রাখো, আগামী জুম্মায় আমার নামে সুরা পড়বা। না পড়লে ঐ দিন ই চাকরি শেষ। ইমাম পড়লো বিপদে। ক্যাশিয়ারের নাম হলো বাবর। এ নামে কোন সুরা কুরআন শরিফে নাই। এখন কি করবে! চিন্তায় চিন্তায় চলে এলো পরের জুম্মা। আজ ক্যাশিয়ার সাহেব বিয়ের দিনের দুলার পাঞ্জাবী পরে আতর গোলাপ মেখে মসজিদের প্রথম কাতারে হাজির। ইমামের বুকে কামড় ধরে গেছে। সময় মত নামাজে দাড়ালো।সুরা ফাতিহা শেষ হতেই, পেছন থেকে হু হু হু। ইমাম সাহেব উপস্থিত একটা সুরা বানিয়ে ফেললো,। ইয়া বাবর! আন্তা কালবুন, আন্তা আবুকা খিনজির, ওয়া জাদ্দুকা হিমার। ওয় ইন্নাকুম জাহিলিন। ( অর্থাৎঃ- হে বাবর! তুমি কুকুর, তোমার বাপ শুকুর, তোমার দাদা গাঁধা, আর তোমরা সবাই মুর্খের জাত) ইমাম সাহেব কেরাত শেষ না হতেই, মি. বাবর আমিন বলে চিৎকার করে উঠলো। মসজিদের সবাই পরের সপ্তায় আর ঐ ইমামের পিছনে নামাজ পড়তে আর আসেনি। , বিঃদ্রঃ ইমামকে যদি মারো এঙ্গেলে, ইমাম মারবে নামাজে প্যন্ডেলে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: =p~ =p~ =p~

জ্ঞান, প্রজ্ঞা, আত্মমর্যাদাহীন, আত্মপরিচয়হীন মানুষদের যা হয় আরকি?

এই খুতবা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদিও এখন হুজুররা বার চান্দের বারটা খুতবা মুখস্ত তোতা পাখীর মতো বলে। তাতে কোন উপকার অপকার কিছূই নাই!

প্রকৃত খুতবা হল সাপ্তাহিক ভাষন। জাতীয় দিকনির্দেশনা! নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য এবং আমজনতার প্রতি কর্মাদেশ।
এই খুতবায় নাম বলা না বলা নিয়ে ইয়াজিদের সেকি আক্রোশ, শত হাজার হাজার ঘটনা! কারবালার মর্মন্তুদ ঘটনা!

পরবর্তীতে তা বদলে যখন ইসলামকে উপসনা ধর্মী, আচার ধর্মী ফ্রেমে আটেক ফেলা হল তখন থেকে ১২ চান্দে বার খুতবা ফিক্সড হয়ে গেল!!!!!!!!

সর্বাঙ্গে ব্যাথা, ঔষধ দেবেন কোথা???

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

মোস্তফা শওকাত ইমরান শাহীন বলেছেন: Hummmmmm. Thanks

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

সালমা শারমিন বলেছেন: দারুন বললেন.....................

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২০

সাহরাব বলেছেন: ইয়া বাংলাদেশী ! আন্তা কালবুন, আন্তা আবুকা খিনজির, ওয়া জাদ্দুকা হিমার। ওয় ইন্নাকুম জাহিলিন।

৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫২

আবু ছােলহ বলেছেন:



''সাহরাব বলেছেন: ইয়া বাংলাদেশী ! আন্তা কালবুন, আন্তা আবুকা খিনজির, ওয়া জাদ্দুকা হিমার। ওয় ইন্নাকুম জাহিলিন।''

@সাহরাব,

-মস্করার সীমা অতিক্রমকারীরা কিন্তু আবার তস্কর নামে আখ্যায়িত হয়ে পড়ে কখনও কখনও। সুতরাং প্রশ্ন করি, আপনি তা... কোথাকার আমেরিকান আরবি হাবশি হয়ে এখানে নাজিল হলেন? কয় অক্ষর আরবি শিখছিলেন জানি..........? ও, খবর জানেনতো? মরুভূমিতে অভিজ্ঞ উটের রাখালের চাহিদা আগের চেয়ে বেড়েছে মনে হয়!

ভাল থাকার কামনা থাকলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.