নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মির্জা শাহনেওয়াজ লতিফ (লিও)

পুরান আমি নব ভাবনায় বিভোর..

শাহনেওয়াজ লতিফ

জন্মাবধি আমার বুক পকেটে ঋণের কাগজ একখানা। প্রেরক বাংলাদেশ ... বুক পকেটে কাগজ একখানা প্রেরক বাংলাদেশ ... জন্মাবধি প্রেরক বাংলাদেশ .. মাতৃগর্ভ ও মাতৃভুমির ঋণ খেলাপি আমি , ই মাটির লাঙ্গল, সুই, রিক্সার হ্যান্ডেল, মুখোরিত যৌবনের কাছে আমি ঋনি । বুক পকেটে এক খানা ঋনের কাগজ আমার... আর ঋন খেলাপি আমি...।

শাহনেওয়াজ লতিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা সবাই রাজা(কার)..

২৪ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:১৪

এটি একটি অরাজনৈতিক পোস্ট।

যদিও এই লেখাটি লিখতে আমার ভয় হচ্ছে। কারন এখন এই সরকারের আমলে বিরোধী মতবাদের কেউ কারো আত্মীয় হওয়াটাও অপরাধ। জি অপরাধ।

জি আমি আমার পরিবারের একজন গুরত্বপূর্ন সদস্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর কথা বলছি। সবাই তাঁকে নিপাট ভদ্রলোক হিসেবেই জানেন।
পারিবারিক ভাবে ফখরুল চাচাকে ছোট বেলা থেকেই চিনি।খুব কাছ থেকে দেখেছি আমাদের গ্রামের মির্জাপুর স্কুলের ১০০বছরপুর্তির উৎযাপন এর সময়। ফখরুল চাচা খুব অসুস্থ্য। হয়তো তিনিও মারা যাবেন অন্যদের মতই জেলখানায়। এসব ভেবে বেশ কষ্ট হচ্ছে।

ব্যক্তিগত ভাবে যারা তাঁকে চিনেন এবং জানেন তারা বলবেন প্রাক্তন ঢাকা কলেজ শিক্ষক হিসেবে খুব সাধারন জীবন যাপন করেন তিনি। নির্লোভ এবং সৎ হিসেবে তাঁর এলাকায় দলমত সবাই তাঁকে স্যার বলে সম্বোধন করেন। সম্পদ বলতে তাঁর সন্তান রা। আজীবন প্রগতিশীল রাজনীতি করা এই ব্যক্তিটি এখন রাজনৈতিক কারনে জেলে।
১৯৬৯ গন অভ্যুত্থান এর সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এসএম হলের ছাত্র ইউনিয়ন এর সেক্রেটারি ছিলেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হোন তিনি। খুবই বিনয়ী এই মানুষটাকে এভাবে অসুস্থ্য অবস্থায় জেলে পুরে রাখা কতটুকু মানবিক।
বাদ দেন।

একটা চমৎকার ব্যাপার খুব সফলভাবে করেছে সরকার। জামাত জুজুর কারনে আজ সকল বিরোধীমনাদের তারা কাবু করেছেন। সবাই আজ রাজাকার, মুক্তিযুদ্ধের ডিপুটি চিফ কেউ চামচামি না করে সত্য লেখার জন্য রাজাকার হতে হয়।

বিশ্বাসী আনন্দলোকে বিচরণ করে। সংশয়ীরা বিপদগামী, অহংকারী।

চলুন একটা কবিতা পড়া যাক।


জয়ী নই, পরাজিত নই
– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়



পাহাড়-চুড়ায় দাঁড়িয়ে মনে হয়েছিল
আমি এই পৃথিবীকে পদতলে রেখেছি
এই আক্ষরিক সত্যের কছে যুক্তি মূর্ছা যায়।
শিহরিত নির্জনতার মধ্যে বুক টন্‌‌টন করে ওঠে
হাল্‌কা মেঘের উপচ্ছায়ায় একটি ম্লান দিন
সবুজকে ধূসর হতে ডাকে
আ-দিগন্ত প্রান্তের ও টুকরো ছড়ানো টিলার উপর দিয়ে
ভেসে যায় অনৈতিহাসিক হাওয়া
অরণ্য আনে না কোনো কস্তুরীর ঘ্রাণ
কিছু নিচে ছুটন্ত মহিলার গোলাপি রুমাল উড়ে গিয়ে পড়ে
ফণমনসার ঝোপে
নিঃশব্দ পায়ে চলে যায় খরগোশ আর রোদ্দুর।

এই যে মুহূর্তে, এই যে দাঁড়িয়ে থাকা–এ‌র কোনো অর্থ নেই
ঝর্নার জলে ভেসে যায় সম্রাটের শিরস্ত্রাণ
কমলার কোয়া থেকে খসে পড়া বীজ ঢুকে পড়ে পাতাল গর্ভে
পোল্‌কা ডট্‌ দুটি প্রজাপতি তাদের আপন আপন কাজে ব্যস্ত
বাব্‌‌লা গাছের শুক্‌নো কাঁটাও দাবী করেছে প্রকৃতির প্রতিনিধিত্ব।
সব দৃশ্যই এমন নিরপেক্ষ
আমি জয়ী নই, আমি পরাজিত নই, আমি এমনই একজন মানুষ
পাহাড় চূড়ায় পৃথিবীকে পদতলে রেখে, আমার নাভিমূল
থেকে উঠে আসে বিষণ্ন, ক্লান্ত দীর্ঘশ্বাস
এই নির্জনতাই আমার ক্ষমাপ্রার্থী অশ্রুমোচনের মুহূর্ত।।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:২৩

আনস্মার্ট বলেছেন: আমি কিছু বলে জেলে যেতে চাই না

২৪ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:৪৯

শাহনেওয়াজ লতিফ বলেছেন: কমেন্ট কইরাও জেল জরিমানা হতে পারে জনাব।।।

২| ২৪ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:২৯

মোস্তাক খসরু বলেছেন: লজ্জা হচ্ছে এটা জেনে যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এসএম হলের ছাত্র ইউনিয়ন এর সেক্রেটারি ছিলেন। বামেরা পচলে কতটা পচতে পারে সেটার উদাহরন হয়ে রইলেন তিনি।

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:৩৯

ভয়ংকর বিশু বলেছেন: পেট্রল বোমায় মানুষ মারার সময় উনার বিবেক কই ছিলো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.