নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুনিয়া বড়ই বিচিত্র!!!!

© এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের। তাই লেখকের অনুমতি ব্যতীত অন্য কোন প্রিন্ট বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে ব্যবহার না করার অনুরোধ রইল...

বইয়ের পোকা

সিনেমা দেখা, বই পড়া, গান শোনা ছাড়া আর কিছু করি না এবং পারিও না। পড়াশোনা করেছি পূরকৌশলে। আপাতত একজন আধাবেকার প্রকৌশলী :P

বইয়ের পোকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একে কি ঘটনা বলবো, নাকি দুর্ঘটনা?!!!! :)

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০১

১।

রাশিয়ানরা ম্যাপ দেখার জন্যে Google Maps এর পরিবর্তে সাধারণত তাদের নিজের দেশের Yandex Maps ব্যাবহার করে থাকে। এরকমই একদিন, রাশিয়ান মারিনা ভয়নোভা অচেনা এক জায়গায় যাওয়ার আগে ম্যাপে দেখে নিচ্ছিলেন। "street view" অপশন দিয়ে দেখছিলেন যেনো ভালো করে চিনে নেয়া যায়। তো, খুজতে খুজতে হঠাৎ, রাস্তায় পথচারীদের মধ্যে একজনকে কেমন যেনো পরিচিত মনে হয়। এক লোক একটি মেয়ের সাথে গলায় হাত দিয়ে হাটছিলো। সেই লোকটিই মারিনার বয়ফ্রেন্ড শাশা।



শাশা যখন বাড়ি ফিরলো, মারিনা তাকে সেই অ্যাড্রেসটি খুজে দিতে বললো অনলাইনে। যখন পেজটি লোড হলো, ততক্ষণে শাশার চেহারার রংই পাল্টে গেলো। সে পরে সব স্বীকার করে নেয়। দুজনের ভালোবাসা এরপরেও ছিলো কিনা, জানা যায়নি।







২।

পৃথীবিতে অদ্ভুত কতো কিছুই যে হয় তার সীমা নেই। ২০০২ সালে যখন অ্যালেক্স আর ডোনা বিয়ে করল।বিয়ের পরে দুজন দুজনের ছোটোবেলার ছবি দেখছিলো। হঠাৎ একটি ছবিতে চোখ আটকে গেলো। সেই ছবিতে ডোনার পিছনে অ্যালেক্স তার বাবাকে দেখতে পেল। ছবিটি ১৯৮০ সালে তোলা। এই ছবিটির ক্লাউনের ডান পাশে দাড়ানো মেয়েটি ডোনা আর পেছনে কালো জামা পড়া লোকটিই অ্যালেক্সের বাবা এবং স্ট্রোলারে বসা ছেলেটিই অ্যালেক্স!!! এরপর অ্যালেক্স তাদের বাসার ঐ সময়ে তোলা ছবি গুলো বের করলো এবং দেখলো আসলেই তাই। তার বাবা সেদিন একই পোশাক পড়েই ছিলেন।







৩।



কলরোডার অধিবাসী ব্রায়ান প্রিডি একদিন হঠাৎ তার ওয়ালেটটি হারিয়ে ফেললেন। তারপর থেকে বেচারী ওয়ালেটে থাকা কাগজপএ উদ্ধারে অনেক চেষ্টাই করলেন, কিন্তু কোনো লাভ হলো না। ওয়ালেটটিও আর খুজে পাওয়া গেলো না। ওদিকে, চোর কিন্তু প্রিডির চেক ভাঙিয়ে টাকাও ব্যাবহার করছিলো। কিন্তু কথায় আছে না, কপালে থাকলে ঠেকায় কে।



প্রিডি কাজ করতো একটি দোকানে। একদিন এক কাস্টমার আসলো এবং অ্যালকোহল কিনতে চাইলো, তখন প্রিডি তার কাছে ছবিওয়ালা কোনো আইডি কার্ড থাকলে তা দেখাতে বললো। সে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স এগিয়ে দিলো। আন্দাজ করতে পারেন, সেটা কার ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিলো?!!! প্রিডির!!!



প্রিডি এমন ভাণ করলো যেনো কিছুই হয়নি, সে পুলিশে খবর দিয়ে তার সাথে কথা বলতে লাগলো। এরমধ্যে পুলিশ এসে হাজির, এবং হাতেনাতে চোর ধরে নিয়ে গেলো।





এই সেই প্রিডি, ইনসেটে তার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ছবি।



৪।



স্টিভ ফ্লেগ, ডেলিভারি ট্রাক ড্রাইভার। ১৯৮৫ সালে জন্মের পরই তার মা তাকে দত্তক দিয়ে দেন। এরপরে তাদের মধ্যে আর কোনো ধরনের যোগাযোগ হয় নি। কিন্তু বড় হবার পর থেকে স্টিভ তার মায়ের খোজ করতে থাকে। তার দত্তক পিতামাতার ও এতে সায় ছিলো।১৮ বছর বয়সে তাকে যে প্রতিষ্ঠান থেকে দত্তক দেয়া হয়েছিলো সেখানে খুজতে যায় সে। কয়েকমাস অপেক্ষা করার পর তারা শুধুমাএ তার মায়ের নামটাই জানাতে পারে। স্টিভ ইন্টারনেটে খুজতে শুরু করেন। কিন্তু কোন ফল নেই। অবশেষে তার ২২তম জন্মদিনে সে আবারে তার মায়ের নাম লেখা কাগজটি বের করে এবং তখনই আবিষ্কার করে এক নতুন তথ্য। তার মায়ের নামের ভুল বানান দিয়ে খুজছিলো এতোদিন। তার মায়ের নাম ছিলো "Talladay." কিন্তু সে খুজতো "Tallady." এবং অবশেষে নতুন নাম দিয়ে আবার ইন্টারনেটে খুজতে থাকে সে। তার মাইলখানেকের মধ্যেই এই নামের একজনের খোজ পান।



তার পরদিন সে যখন তার বসকে জানায় এই ঘটনা। বস সব শুনে বলেন," তুমি কি হেড ক্যাশিয়ার ক্রিস ট্যালেডির কথা বলছ? সে গত ২ বছর ধরে এখানে কাজ করছে।"





এই সেই মা আর ছেলের ছবি।



৫।





প্রতি বছরের মতো মিসৌরির স্মিথ যখন ক্রিসমাসের শেষে ছবি তুলে ইন্টারনেটে পোস্ট করেন, তিনি নিশ্চয় ঘুনাক্ষরেও ভাবতে পারেন নি কি হতে যাচ্ছে।ভাবুনতো একবার, ফেসবুকে বা অন্য কোথাও পোস্ট করা আপনার একটি ফ্যামিলি ফটো যদি অন্য কোনো দেশের রাজধানীর মতো জায়গায় বিলবোর্ডে শোভা পায়, তাহলে কেমন অবাক হবেন। স্মিথের এক বন্ধু সেবার চেক রিপাবলিকের রাজধানীতে কি একটা কাজে গিয়েছিলেন। সেখান হঠাৎ রাস্তায় একটি গ্রোসারি স্টোরের বিলবোর্ডে চোখ আটকে যায়। ছবির মানুষগুলোকে কেন কেমন যেন চেনা চেনা মনেহয়। তিনি শেষমেষ চিনতে পারেন তবুও নিশ্চিত হবার জন্য একটা ছবি তুলে বন্ধুর কাছে ইমেইল করে দেন।



স্মিথ যখন ছবিটি দেখেন তিনিও তার বন্ধুর মতোই অবাক হন এবং সেই বন্ধুকে নিশ্চিত করেন এটা তাদেরই ছবি। দোকানের মালিককে যখন ব্যাপারটা জানানো হলো, সে জানায়, ইন্টারনেট থেকে খুজে পেয়েছিলো এটি।

তারা অবশেষে ছবিটি সরিয়ে নেয়। এবং দোকান মালিক তাদেরকে একটি ওয়াইনের বোতলও উপহার দিতে চেয়েছিলো (যদি তারা কাছাকাছি কোথাও থাকতো!!!)

অতএব ইন্টারনেটে কিছু পোস্ট করার আগে প্রাইভেসীর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নিন।



*************************************************



অসাধারণ কিছু বিজ্ঞাপন, ১৮+ না, তবুও দেখুন।



জুতার ফিতে বাধার আধুনিক কৌশল, শিখতে চাইলে ঢু মারুন

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১০

নিকষ বলেছেন: ইহারা কোকিলতালীয়।

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৬

বইয়ের পোকা বলেছেন: :D :D :D ভালো বলেছেন। একেবারে কোকিলতালীয় ঘটনা!

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৩

কালোপরী বলেছেন: :)

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

বইয়ের পোকা বলেছেন: সবচেয়ে ছোটো কমেন্টকারী হিসেবে কালোপরী কে পুরস্কৃত করার জন্য মডুদের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।

থেংকু :)

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৪

এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: হা হা হা হা হা হা হা

খুবই মজা পেলাম

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

বইয়ের পোকা বলেছেন: হে হে হে :)

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৬

নষ্ট শয়তান বলেছেন: বাহ বেশ লাগল তো

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৯

বইয়ের পোকা বলেছেন: শয়তানের ভালো লাগছে!!! তাহলেতো ঘটনা গুলা আসলেই ভালো!! B-) B-)

৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২১

মঈনউদ্দিন বলেছেন: :D

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

বইয়ের পোকা বলেছেন: :) :) :)

৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৯

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:

হা হা হা :) :) :)

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

বইয়ের পোকা বলেছেন: :) :) :)

৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

গগণজয় বলেছেন: মজা পাইসি।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

বইয়ের পোকা বলেছেন: আমিও মজা পাইসিলাম, তাই লিখে ফেললাম। :)

৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: খুবি মজার সব ঘটনা। পোষ্টে প্লাস।
++++

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

বইয়ের পোকা বলেছেন: এখন ঠ্যাং খান B-) B-) B-)

৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুণ সব ঘটনা।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৫

বইয়ের পোকা বলেছেন: দুনিয়ায় অদ্ভুত জিনিসের কোনো শেষ নাই।

১০| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৪

সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলেছেন: :-& =p~

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

বইয়ের পোকা বলেছেন: =p~ =p~ =p~

১১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

গোবর গণেশ বলেছেন: হমমমমমমমমম, ঘটনাগুলো বেশ মজার বটে, তবে আমাদের দেশের যে কোন ঘটনা এসবের চাইতে অনেক মজার আর রোমাঞ্চকর। বাংলাদেশের দু'একটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে দিলে ভালো হতো না? এই যেমন ধরেন: মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ বিমানের টিকিট কিনে এয়ারপোর্টে গেলেন, যথাসময়ে বিমান এলো না, আপনি বিমান পেলেন তিনদিন পরে; ততদিনে আপনার ব্যবসা/চাকুরীর বাঁশ মারা শেষ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

বইয়ের পোকা বলেছেন: এই ধরনের ঘটনা পত্রিকায় চলে আসে, এর বাইরের কিছু শেয়ার করার জন্যই এই লেখা।

১২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

নেক্সাস বলেছেন: মজায় মজা

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০০

বইয়ের পোকা বলেছেন: হুম :)

১৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

বোকামন বলেছেন: মজার ঘটনা ....
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

বইয়ের পোকা বলেছেন: আপনাকেও পড়ার জন্য ধন্যবাদ :)

১৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

অতল গহবর বলেছেন: কাক + তাল :) :)

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

বইয়ের পোকা বলেছেন: :) :)

১৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

অ-পার্থিব বলেছেন: মজার সব ঘটনা...
পোস্টে +

১৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: দারুন একটা ইন্টারেস্টিং পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.