নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নতুন বাঙ্গাল

নতুন বাঙ্গাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুষ্ট বুড়ি, মহানবী( স : )এর মহানুভবতা এবং আমাদের ইসলাম রক্ষার হামলা

০২ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:২৪

প্রথমেই বলে নেই আমি ধর্মীয় বিষয়ে গভীর জ্ঞানচর্চা করিনা।তবে মুসলমান হিসাবে পারিবারিক ভাবে যেসব ধর্মীয় বই বা প্রতিষ্ঠানিক ইসলাম শিক্ষা বইয়ে যতটুকু জানতে পেরেছি, তাতে কোথাও দেখিনি কোন হিংসা্ত্মক কর্মকান্ডের উপদেশ বা উদাহারন।



বরং মহানবী( স : )এর শিশুকাল থেকে নব্যুয়াত প্রাপ্তি, ইসলাম প্রচার, মদিনায় হিজরত, মদিনা সনদ কিংবা বিদায় হজ্বের ভাষন পর্যন্ত সব জায়গায় অসিম ধ্যর্য, ক্ষমা, উদারতা, সহমর্মিতার শিক্ষা দিয়েছেন তিনি।জোর জবরদস্তি করে কাউকে ধর্মান্তারিত করা, কিংবা অন্য কোন ধর্মের মানুষকে তাদের ধর্ম পালনে বাধা দেয়ার কনো নজির সেখানে নেই।



অথচ আজকে আমাদের ধর্মিয় অনুভুতি জাগ্রত হয় শুধুমাত্র অন্য ধর্মের কেউ কিছু বললে বা করলে।অথচ আমরা নিজেরাই প্রতিনিয়ত ইসলাম ধর্মকে খাটো করছি, অবমাননা করছি, অবজ্ঞা করছি, নিজেদের প্রতিদিনের জীবনে।



আমি একটু অবাক হচ্ছিলাম , যখন দেখলাম মহানবী( স : )কে অবমাননা করে বানানো চলচ্চিত্রকে কেন্দ্র করে দেশে দেশে সহিংস বিক্ষোভ চলছিল তখনও এদেশে ইসলামের সোল এজেন্টরা কিছু করতে পারছিলনা। শেষমেষ একদিনের নামকাওস্তে 'পবিত্র' (ওলামারা যা কিছু করেন সেটা অবশ্যই পবিত্রই হওয়ার কথা) হরতাল ডেকেও যখন উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটল না,তাখনই তারা পেয়ে গেলেন মোক্ষম সুযোগ পেয়ে গেলেন রামুতে , ঝাপিয়ে পরলেন তাদের ঈমান আকিদার জোর দেখাতে।তারা হয়তো উত্তীর্ন হয়েছেন তাদের সেই ঈমানী পরিক্ষায়, এখন তাদের আরব ভাইদেরকে মুখ দেখানোর একটা সমাধান হয়তো হল। কিন্তূ ইসলাম অবমাননা প্রতিরাধের নামে আমরা যে মানবতার অবমাননা করলাম, মহানবী( স : )শেখানো মহানুভবতার অবমাননা করলাম সেটা কি ইসলামের অবমাননা নয়?





আমাদের প্রতিদিন পাচ ওয়াক্ত নামাজ পরার কথা, অথছ কয়জন আমরা সেই কাজটি ঠিকমত করছি? যারা রামুতে হামলা করেছেন তাদের কয়জন ওইদিন রাতে এশার নামাজ পরেছেন? কয়জন এমন ঈমানী(!?) দায়িত্ব পালন করার পর ফজরের নামাজ পরেছেন?যদি না পরে থাকেন তাহলে তারা কি রাসুল( স : )এর তরিকা, আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করেন নি? এই অমান্যতা , এই অবজ্ঞা কি আবমাননা নয়? তাহলে এই অবমাননার শাস্তি কি তারা পাবে না?



আমাদের ইসলামের বিধান রয়েছে জাকাত দেয়ার। এখানে পরিমাপ হিসাবে একতি নিদিস্ট পরিমান স্বর্ন বা রুপা এক বছর ঘরে মজুদ থাকলে জাকাত ফরজের কথা বলে হয়েছে এবং অনুপাতের কথা বলে দেয়া আছে। আমাদের মধে্য কয়জন মুসলমান আছেন যে এই জাকাতের বিধান সঠিকভাবে পালন করি?বরং ঈদের আগে নামকাস্তে কতগুলি শাড়ি লুংগি কিনে সমাজে নিজের অবস্থান জানান দেয়ার উপায় হিসাবে সবচেয়ে কমদরের কাপড় বিলানোর মেকি আয়োজন করি, মিডিয়া কভারজের জন্য হট্টগোল সৃষ্তি করে মানুস মারা ফন্দিও থাকে সেখানে।অথচ ইসলামের নিয়ম অনুসারে প্রতিটি মধ্যবিত্ত/নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবার জাকাত দেয়ার যোগ্য এবং সেটা ঠিক মত দিলে এই দেশে দাড়িদ্র বলে কিছু থাকার কথা না।আমরা জাকাত দেয়ার কথা উঠলে নানা অযুহাতে, ব্যাখায় সেটা এড়িয়ে যাই, অথবা দায়সারাভাবে লোক দেখানো কিছু করি, যা ইসলামের বিধানের অবজ্ঞা, এই অমান্যতা , এই অবজ্ঞা কি আবমাননা নয়?



রোজার সময় সংযমের কথা বলা আছে, অথছ আমরা ইফতারিতে টেবিল ভর্তি খাবার সজিয়ে, পেটে গ্যাস্ট্রিক বাধিয়ে গলা পর্যন্ত খাবার খাওয়ার সময়ও পাশের বস্তিতে কিংবা রান্না ঘরের বুয়ার প্লেটে বাসি খাবার ছারা কিছু দিতে চাইনা। ঈদে হাজার/ লাখ টাকার শপিং করে হয়রান হয়ে যাই। তবুও বাসার কাজের লোকের ঈদের বাজেট হাজার ছুতে পারেনা কখনো।অথছ আমরা সবাই সেই এতিম বালকের গল্প জানি যাকে মহানবী( স : )ঈদের কাপড় দিয়ে তারপর ঈদের নামাজ পরতে গিয়েছিলেন।

আজ এই যে সংযমের শিক্ষা, মানুষের সাথে আনন্দ ভাগাভাগির যে শিক্ষা ইসলাম আমাদের দিয়েছে, সেতা পালনের এই যে অনীহা, এই যে অবজ্ঞা, এই যে অমান্যতা, সেটা কি আবমাননা নয়?



কুরবানী ঈদ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর।এই কুরবাননীর মাংস ভাগে ইসলামের বিধান হল, সমান তিন ভাগ করে একভাগ গরীব মানুষকে বিলিয়ে দেয়া, একভাগ নিজের আত্মীয় স্বজনকে দিয়ে, অবশিষ্ট ভাগ নিজেরা খাওয়া। অথছ কুরবানির সময় আমরা সবচেয়ে লোভনীয় মাংস নিজেদের জন্য রেখে প্রায় বাতিল, অখাদ্য, হাড্ডিসার মাংশ একটুকরা করে বিলিয়ে কুরবানীর মাংসের হাজারটা আইটেম বানিয়ে পেটের বারোটা বাজাই।

সর্বষেশ চামড়ার টাকার ভাগ নিয়ে কুরবানীর মাংসের হিসাব মিলাই বাজারদরে কত পরলো।কিন্তু কখনোই ভাবিনা আসল উদ্দেশ্য, আসল বিধান সঠিকভাবে পালন হল কিনা।এই যে অবজ্ঞা, এই যে অমান্যতা, সেটা কি আবমাননা নয়?



হজ্ব হচ্ছে নিজেকে পরিশুদ্ধ করার মাধ্যম।ধনী মুসলমানদের উপর ফরজ, হজ্ব পালনের আগে পরে অনেক বিধিবিধান আছে, যার অধিকাংশই মানুষের আত্মিক এবং বাহ্যিক শুধ্বতার শিক্ষা দেয়, যেমন- সমস্ত অণ্যায় থেকে দুরে থাকে, নিজের পরিবারের সব দ্বায়িত্ব পু্র্নকরা ইত্যাদি। অথচ আমরা হ্বজ পালন করি, আলহ্বাজ টাইটেল ব্যবহার করি,কিন্তু অন্যায় কাজ থেকে নিজেকে দুরে রাখতে পারি না, নিজের পরিবারের ব্যপারে উদাসীন থাকি?এই উদাসিনতা, এই অপারগতা কি ইসলাম আবমাননা নয়?



একই ভাবে ইসলামে নারীদের পর্দা করার বিধান, নারীদেরকে সম্মানের দৃস্টিতে দেখার কথা আছে, কিন্তু আমরা নিজেদের মেয়ে, বোনকে ইহুদি,হিন্দুদের ডিজাইন করা অর্ধনগ্ন পোশাক কিনে দেই।আবার বাইরে গিয়ে আন্য মেয়েদের দিকে কামনার দৃস্টিতে তাকিয়ে থাকি, যতক্ষন দেখা যায়, তাতে আমাদের ওযু নস্ট হলো কিনা সেটা চি্ন্তা ভাবার সময় পাই না। ইসলামের বিধানের এই যে অবজ্ঞা, এই যে অমান্যতা, সেটা কি আবমাননা নয়?



তাহলে এই অবমাননার শাস্তি কি হওয়া উচিত। এই অবমাননার জন্য আমাদের কি কি জ্বালি্য়ে দেয়া উচিত?এই অবমাননার জন্য আমাদেরকে কে জ্বালাবে?কেউ কেউ ওয়াজ করবেন , ইহার জন্য আমাদের কঠিন আজাব ভোগ করিতে হইবে। আমরা জাহান্নামের আগুনে জ্বলবো।মহান আল্লাহতালা আখিরাতে আমাদের কঠিন বিচার করবেন এই সব অবমাননার জন্য।তাহলে আমি বলবো আমাদের শাস্তির জন্য যদি আখিরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়, তবে অন্যদেরকে শাস্তি দেয়ার অধীকার আমাদের কে দিয়েছে?



আমরা যদি সত্যিকারের মুসলমান হই, যদি সবই মুহাম্মাদ ( স : ) এর উম্মত হই, তবে কিভাবে একজন অন্যজনকে কাফির/মুনাফেক বলি? কিভাবে রাজরবাগ আর দেওয়ানবাগ সৃস্টি হয়? কিভাবে চরমোনাই আর আটরশিরর মুসলমানদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়? কিভাবে আমরা কাবা শরিফ ব্যতীত , পীর ,মাজারে সেজদা দেই? ইসলামের কোন কিতাবে শিক্ষা দেয়া হয়েছে এগুলো? আর যদি কোন হাদিস শরীফে না থাকে , কোরাআন শরীফে না থাকে তাহলে এসব কর্মকান্ড কি ইসলাম অবমাননা নয়?





গল্পটি অনেকেই জানেন,তারপরও সেটা দিয়েই শেষ করছি।



আমদের রাসুল( স : )যেপথ দিয়ে প্রতিদিন যাতায়ত করতেন, সেপথে কাটা বিছিয়ে রাখতো এক বিধর্মী বুড়ি, কারন মহানবী( স : )ইসলাম প্রচার করছেন, তাই তাকে অপছন্দ করতো বুড়ি এবং কাটা পায়ে ফুটে যাতে তিনি কষ্ট পান সেটাই ছিল তার উদ্দেশ্য।যাই হোক প্রতিদিন এভাবে কাটা বিছিয়ে রাখতো সেই বুড়ি এবং মহানবী( স : )এর পায়ে ফুটলে তিনি ব্যাথা পেতেন, বুড়ি সেতা দেখে মজা পেত এবং দুর থেকে দেখে হাসতো।মহানবী( স : )তার পায়ের কাটা খুলে, পথ থেকে দুরে ফেলে দিতেন যাতে তা অণ্যের পায়ে না বিধে।এভাবে বেশ কিছুদিন পর হঠাত মহানবী( স : )খেয়াল করলেন তার চলার পথে আর কাটা নেই, তিনি একতু অবাক হলেন তারপর খোজ নিয়ে জানতে পারলেন যে সেই বুড়ি অসুস্থ।তখন তিনি তাকে দেখতে গেলেন এবং তার সেবা শশ্রুষা করলেন।মহানবএই মহানুভবতা দেখে বুড়ি অবাক হলেন এবং নিজের কর্মকান্ডের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাইলেন।



সত্যি ভাবতে খুব অবাক লাগে আমরা এহেন মহানুভব নবীর উম্মত, যিনি মানুষকে ভালবাসতে শিখিয়েছেন, ক্ষমা আর উদারতার দৃস্টান্ত স্থাপন করেছেন।অথছ সেই নবীর উম্মত হয়ে আজকে আমরা যেটা করছি সেটাকি আসলেই আমাদের মহানবী( স : )এর শিক্ষা?সামান্য বিষয় নিয়ে আমরা আমদের ঈমানী পরিক্ষা দিতে গিয়ে অন্য ধর্মের মানুষকে পুড়িয়ে মারছি, ঘরবাড়ি জালিয়ে দিচ্ছি এটা কোন ধরনের মুসলমানের পরিচয়?



পরিশেষে বলবো, যেকোন ধর্মকে অবমাননা করাই অন্যায় এবং একজন মুসলমান হিসাবে ইসলামের অবমানানা, কুরআন শরীফের অবমাননা কিংবা রাসুল( স : )অবমাননা কোনটাই সমর্থনযোগ্য নয় বরং ঘৃন্য কাজ। কিন্তু সেই অজুহাতে দুর্বল,সংখালঘু, নিরিহ মানুষের উপর নির্যাতনের কোন শিক্ষা ইসলাম যেহেতু দেয় না, তাই সেটা করা অবশ্যই ইসলামের বিধান তথা ইসলামের অবমাননা, এবং সেই অবমাননার দায় আমাদের নিজেদেরই।তাই এখন একটু ভাবেন আমরা যদি একই দোষে দোষি হই তাহলে আমাদেরও কি একই শাস্তি প্রাপ্য নয়?

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৮

মদন বলেছেন: +++++++++++

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৭

দুরের পাখি বলেছেন: গল্পটা বানানো । হাদিসে বা সিরাতে কোথাও নাই ।

০২ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৪

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: হতে পারে এই গল্পটা বানানো আমি সেটা বলতে পরবো না , তবে এখানে মহানুভাবতার যে শিক্ষা এখানে দেয়া হয়েছে ইসলাম বা রাসুল (স:) এর জীবনীতে সেটা পাওয়া যায়

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৭

দুরের পাখি বলেছেন: মূল হাদিস বা সিরাত গ্রন্থের রেফারেন্স থাকলে দিয়েন ।

০২ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৫

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: ভাই আমি আসলে দু:খিত যে আমার জানার পরিধি এতটা গভীর নয়, তাই সঠিক রেফেরেন্স এই মুহুর্তে দিতে পরছি না।

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:০০

দুরের পাখি বলেছেন: খুজে দেখতে পারেন হয়তো রাসুলের জীবনীতে যেসব শিক্ষা পাওয়া যায় বলে মনে করছেন তার সবগুলাই এইরকম কাল্পনিক কাহিনী থেকে ।

যেই গল্পের সত্যতা জানেন না , সেটা দিয়া বিশাল একটা অনুস্বিদ্ধান্ত দিয়ে দেয়া কি ঠিক হইলো ?

০২ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৩

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: আচ্ছা এগুলো যে আসলই কাল্পনিক সেটা আপনি নিশ্চিত হলেন কিভাবে?
আমি এগুলো কোন না কোন পাঠ্য বইয়ে পরেছি।আসল হাদীস বা মুল গ্রহ্নথের রেফারেন্স এজন্য দিতে পরছি না।তবে পাঠ্যবইয়ে নিশ্চই মন গড়া কিছু দিবে না।

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:০৫

পরের তরে বলেছেন: ভাই নতুন বাঙ্গাল আমার সালাম গ্রহণ করুন। সত্যিই আপনার লিখা গল্প পড়ে ভেতরটা নড়ে উঠল। আমি ও কষ্ট পেয়েছি এটা ভেবে যে, একটা অবমাননাকর ছবি নিয়ে আমরাই কেন আমাদের ভাইদের মারছি। আপনি দেখবেন পাকিস্থান, বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া সহ অনান্য দেশে এর প্রতিরোধে মিছিল সহ অনান্য কর্মসুচিতে মুসলমানরাই তো মারা গেল তাহলে লাভটা কোথায়? তাই বলে অন্য ধর্মের লোকেরা মারা যাক এটাও আমার চাওয়া নয়। আমি শুধু বলতে চাচ্ছি আসলেই আমরা নবীর দেখানো পথ হতে অনেক দুরে সরিয়ে এসেছি।

০২ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৪

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আসলেই আমাদের নিজেদের নিয়ে ভাববার সময় হয়েছে

৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৭

দুরের পাখি বলেছেন: তবে পাঠ্যবইয়ে নিশ্চই মন গড়া কিছু দিবে না।

এই মানসিকতা হলেতো অনেক কিছুকেই সত্য মনে হবে ।



সিহাহ সিত্তাহ বলে পরিচিত ছয়টা হাদীস গ্রন্থ এবং ইবনে ইসহাকের সিরাত বইয়ে এই ঘটনা নাই । এর বাইরের যেসব সোর্স সেগুলার রেফারেন্সও পাই নাই । পাইলে দেখা যাইতে পারতো ।

০২ রা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৯

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: ভাই আচ্ছা ধরেন এটা মনগড়া তবে এই শিক্ষাটাকি গ্রহনযোগ্য নয়? আমি ইসলামের মুল্যবোধ নিয়ে বলার চেস্টা করছি।আপনি কি বলতে চান ইসলামি মুল্যবোধ ভিন্ন শিক্ষা দেয়, অত্যাচার করতে বলে, মানুষ মারতে বলে?

৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৯

ShusthoChinta বলেছেন: কাটাওয়ালা দুষ্টু বুড়ির ঘটনার ভ্যালিডিটি জানিনা,তবে এই ধরণের আরেকটি ঘটনা নির্ভরযোগ্য অনেক হাদিস ও ইতিহাস গ্রন্থে দেখেছি। ঘটনাটা সংক্ষেপে এমনঃ মক্কাবিজয়ের সময় এক বুড়ি পোটলা পুটলি গুছিয়ে পালাচ্ছিল,কিন্তু বয়সের দূর্বলতায় গোত্রের অন্যান্যদের চেয়ে পিছিয়ে পড়ে বুড়ি। নবীজি যাচ্ছিলেন সেই পথে,বুড়িকে দেখে তার সমস্যা জিজ্ঞেস করলে বুড়ি নবীজিকে না চেনায় উত্তরে বলে,মুহাম্মদ তার বাহিনী নিয়ে মক্কা দখল করেছে তাই সে প্রাণভয়ে পালাচ্ছে! নবীজি বুড়ির পোটলা নিজে বহন করে তার গোত্রের কাছে পৌছিয়ে দিলে গোত্রের লোকজন নবীকে দেখে আতংকিত হয়ে পড়ে,বুড়ি নবীজিকে তখন চিনতে পেরে সম্প্রদায়ের কাছে ঘটনা খুলে বললে তারা আস্বস্ত হয় এবং মক্কায় ফিরে আসে।

০২ রা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩০

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: ধণ্যবাদ ভাই

৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৬

মেংগো পিপোল বলেছেন: ভাই আপনাকে ধন্য বাদ এরকম একটা অহিংসা পূর্ন লেখার জন্য, কিছু কিছু ব্যাপারে কিনচৎ দ্বিমত থাকলেও বেশির ভাগ ব্যাপারেই একমত। তবে ঢালাও ভাবে সবাইকে দোষারপ করা ঠিক না।

একবার এক যুদ্বের ময়দানে নবীকরিমের উপর একটা আয়াত নাজীল হয়েছিলো, আয়াত টা এমন যে,

যদি কোন অমুসলিম তোমাকে হত্যা করতে আসে তুমি তাকে হত্যা কর।

এটাই ঠিক মুসলমান দের ক্ষেত্রে আঘাত প্রাপ্ত না হলে প্রতি ঘাত করার সুজগ নেই।

বিনা উস্কানিতে আমি বা কেউ অন্য ধর্মাবলম্বিদের ক্ষতি করলে তার হিসাব কেয়ামতের মাঠে দিতে হবে। আর উস্কানী দাতা দেরও বলছি, জেনে সুনে ভিমরুলের থোকায় ঢিল মারা থেকে বিরত থাকুন।

তবে যারা এখানে বুড়ির ঘটনার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন তাদের কে বলছি, আমি হাদিসে রেফারেন্স দিতে পারবনা, তবে চ্যানেল আইয়ের কাফেলা অনুষ্ঠানে সেই বুড়ি যে পথে কাটা বিছিয়ে রাখত সেই পথে এবং সেই বুড়ির বাড়ি দেখিয়েছিল। ইউটিউব বন্ধ থাকায় ভিডিও লিংক দিতে পারলামনা।

ঘটনাটা রুপক (কারো কারো মতে) যদি হয়েও থাকে তাতেও কিছু আশে যায়না লেখাটায়, কারন উনি ঘটনা দেয়ার আগেই যা বলার তা বলে দিয়েছিলেন।

ধন্যবাদ লেখক।

View this link

০২ রা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৫

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।আপনার মন্তব্য এই লেখাটাকে সম্মৃদ্ধ করেছে

৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৪

মেলবোর্ন বলেছেন: দুরের পাখি বলেছেন: খুজে দেখতে পারেন হয়তো রাসুলের জীবনীতে যেসব শিক্ষা পাওয়া যায় বলে মনে করছেন তার সবগুলাই এইরকম কাল্পনিক কাহিনী থেকে ।

যেই গল্পের সত্যতা জানেন না , সেটা দিয়া বিশাল একটা অনুস্বিদ্ধান্ত দিয়ে দেয়া কি ঠিক হইলো ?


দুরের পাখি হাদিসে সেই বুড়ির স্টোরি নেই এটা সত্য এই স্টোরিটা কোন হাদিসে খুজে পাইনি কেই যদি পান তবে জানাবেন , তাই বলে আপনিও যে বললেন সবগুলাই এইরকম কাল্পনিক কাহিনী এখন আপনাকেও প্রশ্ন করি, সব গুলোর যেহেতু সত্যতা জানেন না, সেটা দিয়া একটা অনুস্বিদ্ধান্ত দিয়ে দেয়া কি ঠিক হইলো ?

একটা স্টোরি নাই বটে কিন্তু মক্কার লোকেদের ক্ষমা করা থেকে শুরু করে মহানুভবতার অনেক ঘটনা রয়েছে মহানবীর জীবনে, আর কোরআনেও অনেক আয়াত রয়েছে ক্ষমা করার, না জেনে আপনিও অনুস্বিদ্ধান্ত দিবেন না , মানুষের মর্যাদার আয়াত গুলো দেখুন:

"নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি, আমি তাদেরকে স্থলে ও জলে চলাচলের বাহন দান করেছি; তাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদেরকে অনেক সৃষ্ট বস্তুর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি। " ১৭) সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত নং ৭০

"হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেযগার। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন। "৪৯) সূরা আল হুজরাত আয়াত নং ১৩

"দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। "
২) সূরা আল বাক্বারাহ আয়াত ২৫৬

আর তোমার পরওয়ারদেগার যদি চাইতেন, তবে পৃথিবীর বুকে যারা রয়েছে, তাদের সবাই ঈমান নিয়ে আসতে সমবেতভাবে। তুমি কি মানুষের উপর জবরদস্তী করবে ঈমান আনার জন্য? ১০) সূরা ইউনুস আয়াত নং ৯৯

আর যেখানে অনুমতি না নিয়ে বাসায় ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে সেখানে কি ভাবে আমরা মানুষের ঘর জালিয়ে দেই "হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত আলাপ-পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না কর। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম, যাতে তোমরা স্মরণ রাখ। " ২৪) সূরা আন-নূর আয়াত নং ২৭

আল্লাহ নিজেই ঘোষনা করেন মোহাম্মদ (সঃ) কোমল মনের ছিলেন দেখুন :"আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের জন্য কোমল হৃদয় হয়েছেন পক্ষান্তরে আপনি যদি রাগ ও কঠিন হৃদয় হতেন তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতো। কাজেই আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করুন এবং কাজে কর্মে তাদের পরামর্শ করুন। অতঃপর যখন কোন কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলেন, তখন আল্লাহ তা’আলার উপর ভরসা করুন আল্লাহ তাওয়াক্কুল কারীদের ভালবাসেন। " ৩) সূরা আল ইমরান আয়াত নং ১৫৯

The greatest Prophet (s) said to Imam ‘Ali: ‘O ‘Ali, the noble traits of this world and the next are mildness of speech, magnanimity, and the forgiveness of he who wrongs you.'

আর যারা মুসলমান তাদের চারিত্রিক বৈশিস্ট্য সম্পর্কে আল্লাহ বলেন "যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?

ভাল ও মন্দ সমান নয়। জওয়াবে তাই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সাথে যে ব্যক্তির শুত্রুতা রয়েছে, সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু।

এ চরিত্র তারাই লাভ করে, যারা সবর করে এবং এ চরিত্রের অধিকারী তারাই হয়, যারা অত্যন্ত ভাগ্যবান। " ৪১) সূরা হা-মীম সেজদাহ আয়াত ৩৩-৩৫

এরকম আরো অনেক আয়াত পাবেন কোরআনে যা মানুষকে সবর অন্যের অধিকার খর্ব না করা ও সকলে মিলে মিশে চলার জন্য আদেশ করা হয়েছে। আর মহানবী (সঃ) ছিলেন কোরআনের পরিপুর্ন অনুসারী ও বাস্তবায়নকারী তাই ওনার চরিত্রেই পাবেন মানবতার সকল উপাদান।

পোস্টে প্লাস

০২ রা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৭

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।আপনার মন্তব্য এই লেখাটাকে সম্মৃদ্ধ করেছে

১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩১

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: আপনার মন্তব্য এই লেখাটাকে আরও সম্মৃদ্ধ করেছে। অনেক ধন্যবাদ ভাই

১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৪

রিমন০০৭ বলেছেন: শূকর নামক প্রাণীদের কাজই হল, কাদা ঘেঁটে গু বের করা।

তাই ইসলাম কিংবা হযরত মুহাম্মদ (সা) কে নিয়ে কোনো লেখা দেয়ার আগে ভালমত পড়াশোনা করবেন, আর লেখার সময় রেফারেন্স দিবেন। তানাহলে শূকর নামক প্রাণীরা খাবারের গন্ধ পাবে যে!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৫৮

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার পরামর্শের জন্য।আসলে আমার পোস্টের মুল উদ্দেশ্য কিন্তু হাদিস বা কুরআন শরীফের আয়াত/রেফারন্স সংকলিত জ্ঞানগর্ভ আলোচনা নয়, বরং ইসলামের কিছু মৌলিক বিষয়ে আমাদের দৈনন্দিন বিচ্যুতি গুলো তুলে ধরা।কিন্তু খেয়াল করলাম 'দুরের পাখি ' ভাই মুল বিষয়কে পাশ কাটিয়ে রেফারন্স নিয়ে লাফালাফি করছে।

যাইহোক আমার লেখার উদ্দেশ্য বেশিরভাগ পাঠক ধরতে পেরেছেন মনেহয়।এজন্য আপনি সহ সবাইকে কৃতজ্ঞতা।ভবিষ্যতে অবশ্যই আরো প্রস্তুতি নিয়ে চেষ্টা করব।

ধন্যবাদ

১২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৫৭

আধারের কবি বলেছেন: দুরের পাখি বলেছেন: খুজে দেখতে পারেন হয়তো রাসুলের জীবনীতে যেসব শিক্ষা পাওয়া যায় বলে মনে করছেন তার সবগুলাই এইরকম কাল্পনিক কাহিনী থেকে ।

যেই গল্পের সত্যতা জানেন না , সেটা দিয়া বিশাল একটা অনুস্বিদ্ধান্ত দিয়ে দেয়া কি ঠিক হইলো ?

You got mad?? Textbook has the story and still you need reference? Stupid

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:০০

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।

১৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:১৭

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:

আমার যতদূর মনে পড়ে, বুড়ির এই কাহিনীটা কবি গোলাম মোস্তাফার লেখা বিশ্বনবী বইয়ে পড়েছিলাম। এখনও তা আছে কি না, সেইটা বলতে পারবো না।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:০১

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।

১৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৩৪

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এই গল্পটা হাদীসে নাই। থাকার দরকারও নাই। কারণ এটা রসুলের জীবনীতে আছে।

তবে আপনার লেখার মূলসুরের সঙ্গে একমত। পৃথিবীর কোন ধর্মই অন্য ধর্মের লোকদের উপর ঝাপিয়েঁ পড়তে বলে না। কিন্তু কেতাবের কথা আর কে মানে ? এরাই পৃথিবীর যাবতীয় অশান্তির মূলে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:০১

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভাই

১৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৪১

মনাপাগলা৪২০ বলেছেন: যারাই এমন ঘৃন্য কাজটি করেছে তাদের উপর আল্লাহর লানত পড়ুক। আমি মন থেকে তাদের ঘৃনা জানাই

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:০২

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই

১৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৪৪

মনাপাগলা৪২০ বলেছেন: @ নিষ্কর্মা ভাই , গোলাম মোস্তাফার লেখা বিশ্বনবী বইটির কোন লিংক কি আছে??

১৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:০৩

মোঃ তানভির বলেছেন: ++++++++++++

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:০২

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই

১৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:২৪

বিষাদ সময় বলেছেন: পোস্টটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আসলে ভাই র্ধমের বিষয়গুলো কন্ট্রাডিকটরি। একদিকে 'বুড়ির গল্প' বা 'তায়েফের ময়দানে কাফিররা নবীকে প্রস্তর নিক্ষেপে রক্ত ঝরিয়েছে কিন্তু তিনি তাদের বদ দোয়া পর্যন্ত করেননি' এ গল্প যেমন আছে তেমনি আল্লাহকে বা রাসুলকে নিন্দা করে কেউ কিছু বললে ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এ কথাও সত্য।তবে বিনা অপরাধে অন্য ধর্মের লোকদের ইসলাম অত্যাচার করতে বলেছে এ কথা কখনও শুনিনি। রামুতে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা ধর্মীয়, সামাজিক বা আইনগত সকল দৃষ্টিতেই চরম অপরাধ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:০৩

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই

১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:০০

রোদ বৃিষ্ট মেঘের দেশে বলেছেন: মেংগো পিপোল ভাইকে ধন্যবাদ।আমিও ঐদিন রোজার সময় ইফতারির আগ মুহুর্তে চ্যানেল আইয়ের কাফেলা অনুষ্ঠানটি দেখেছিলাম।যেখানে ইসলামের অনেক ঐতিহাসিক স্থান নিয়ে ধারাবাহিক প্রামান্যচিত্র দেখানো হত। সেই বুড়ি যে পথে কাটা বিছিয়ে রাখত সেই পথে এবং সেই বুড়ির বাড়ি দেখিয়েছিল ।আরো দেখিয়েছিল সেই বড়ই বৃক্ষটির শুকনো ডাল ।যেটি কালের সাক্ষী হিসাবে দীর্ঘকাল আল্লাহর নিদর্শন হিসাবে বেচেছিল। বিগত কয়েক দশক আগে যেটি মারা যায়।সৌদি সরকারের কাছে এই ঐতিহাসিক নিদর্শনটি সংরক্ষিত আছে।ঘটনাটি যে সত্য এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নাই।

পোষ্টে লেখকের বক্তব্যের সাথে একমত।প্রকৃত মুসলিমরা কখনো ধর্মীয় সংখালঘুদের সাথে এমন ঘৃন্য কাজ করতে পারেনা।যারা এ ঘৃন্য কাজ করেছে তাদের সকলের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:০৩

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই

২০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৫৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনার লেখার মূলসুরের সঙ্গে একমত। পৃথিবীর কোন ধর্মই অন্য ধর্মের লোকদের উপর ঝাপিয়েঁ পড়তে বলে না।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:০৪

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই

২১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩২

দুরের পাখি বলেছেন: আধারের কবি

You got mad?? Textbook has the story and still you need reference? Stupid


Where do you think textbooks get their stories ? Are you the moron who thinks milk come from milk-trucks ?

২২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৯

দুরের পাখি বলেছেন: লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এই গল্পটা হাদীসে নাই। থাকার দরকারও নাই। কারণ এটা রসুলের জীবনীতে আছে।
[/su


কোন জীবনীতে ?

২৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: গল্পটা বানোয়াট না হবার সম্ভাবনাই বেশী। কারন মহানবী (সা) শত্রু মিত্র সবার খবরাখবর নিতেন এবং সবার প্রতি সদাশয় ছিলেন।ঊনার চরম শত্রুরা উনার এসব গুনের প্রশংসা করেছেন। এই মানবীয় গুনাবলীর কারনে তিনি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন।

রাইয়ানা ইহুদি বিধায় রাসুল (সা) এর প্রতি বিরূপ ছিলেন প্রথম দিকে। পরবর্তীতে তিনি রাসুল (সা) এর চরিত্র মাধুর্যে মুগ্ধ হয়ে যান এবং ইসলাম গ্রহন করেন। এইরকম ঘটনা সীরাত বইতে অগুনতি সংখ্যায় রয়েছে।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:২০

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: সহমত।ধন্যবাদ আপনাকে

২৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যি ভাবতে খুব অবাক লাগে আমরা এহেন মহানুভব নবীর উম্মত, যিনি মানুষকে ভালবাসতে শিখিয়েছেন, ক্ষমা আর উদারতার দৃস্টান্ত স্থাপন করেছেন।অথছ সেই নবীর উম্মত হয়ে আজকে আমরা যেটা করছি সেটাকি আসলেই আমাদের মহানবী( স : )এর শিক্ষা?


আসুন মহানবীর প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হই।
দেশ, দুনিয়াকে আলোকিত করি।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:১৯

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।আসলেই মহানবীর প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।

২৫| ০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪

এম.আই.শাতিল বলেছেন: ভাই "কাটা বিছানো বুড়ির ঘটনা হাদিসে উল্লেখ আছে"

উইকি লিঙ্কঃhttps://ar.wikipedia.org/wiki/أم_جميل

বাংলায় রেফার সহ অনুবাদঃ

[১] ইউকিপিডিয়া থেকে যে অনুবাদ দিয়েছিলাম তার মূল আরবি টেক্সট হল এই:

وأخرج ابن جرير والبيهقي في الدلائل وابن عساكر عن ابن عباس في قوله‏:‏ ‏{‏ وامرأته حمالة الحطب‏ }‏ قال: كانت تحمل الشوك فتطرحه على طريق النبي ليعقره وأصحابه.

ইবন জারীর ও বাইহাকী আদ-দালায়েলে উল্লেখ করেন এবং ইবন আসাকির ‘وامرأته حمالة الحطب‏’ (১১১:৪) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবন আব্বাস থেকে উল্লেখ করেন যে ‘এই মহিলা (উম্মু জামিল) কাঁটা-কণ্টক (কাঁটাময় লতাগুল্ম, ডাল, আবর্জনা) বহন করে নবীর আসা-যাওয়ার পথে ছড়িয়ে রাখত যাতে তিনি এবং তাঁর সঙ্গীরা কাঁটাবিদ্ধ হন’ (wiki-link)। English translation: Ibn Jarīr and Bayhaqī in ‘al-Dalā’il and Ibn ‘Asākir from Ibn Abbās in regard to the verse, ‏‏ وامرأته حمالة الحطب‏, “She [Umm Jamīl] used to carry thorns/thorny shrubs and throw on the way of the Prophet so that he and his companions can get injured.” (wiki-link)

ইউকিপিডিয়ায় শুধু ইবন জারীর, বাইহাকী, ইবন আসাকির এবং সঙ্কলনের নাম ‘দালাইল’ উল্লেখ হয়েছে। এর চেয়ে বেশি details ওখানে দেয়া হয় নাই। তবে এই হাদিসটি এত বেশি বর্ণিত যে আমরা তফসীরের বইপুস্তক খুললেই পেয়ে যাই। এটা কখনো বানোয়াট নয়। আমার রেফরেন্স হচ্ছে নিম্নোক্ত:

[২,ক] আমি এবারে অবিকল বর্ণনাটি ইবন জারীর আত-তাবারীর (মৃ. ৩১০ হি.) তাফসীর ‘জামি‘ আল-বায়ানে’ গ্রন্থ সূত্রস্থ করতে যাচ্ছি। তাবারীতে এই ঘটনার অনেক বর্ণনা রয়েছে। কোথাও বর্ধিত আকারে এবং কোথাও সংক্ষেপিত আকারে। এখানে শুধু আগের উল্লেখিত ইউকি-সূত্রের বর্ণনাটি সূত্রস্থ হল।

حدثني محمد بن سعد، قال: ثني أبي، قال: ثني عمي، قال: ثني أبي، عن أبيه، عن ابن عباس، في قوله: { وَامْرأتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ } قال: كانت تحمل الشوك، فتطرحه على طريق النبيّ صلى الله عليه وسلم، ليعقره وأصحابه

বর্ণনাসূত্র: মুহাম্মাদ বিন সা‘দ<তার পিতা থেকে<তিনি তার চাচা থেকে<তিনি তার পিতা থেকে<তিনি তার পিতা থেকে< ‘وَامْرأتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ’ এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবন আব্বাস উল্লেখ করেন, ‘এই মহিলা (উম্মু জামিল) কাঁটা-কণ্টক (কাঁটাপূর্ণ লতাগুল্ম, ডাল) বহন করে নবীর আসা-যাওয়ার পথে ছড়িয়ে রাখত যাতে তিনি এবং তাঁর সঙ্গীরা কাঁটাবিদ্ধ হন’ (জামিউল বায়ান আন-তা’ইয়ীল আই ইল-কোরান, লিঙ্ক)।

[২,খ] এই ঘটনা কুরতুবী এভাবে আনেন, وقال ابن زيد والضحاك: كانت تحمل العِضاه والشوك، فتطرحه بالليل على طريق النبيّ صلى الله عليه وسلم وأصحابه؛ وقاله ابن عباس. قال الربيع: فكان النبيّ صلى الله عليه وسلم يَطأُه كما يطأُ الحرير. যায়েদ ও দাহহাক বলেন, ‘এই মহিলা (উম্মু জামীল) কাঁটাযুক্ত লতা-গুল্ম ও কাঁটাযুক্ত ডাল বহন করে আনত, অতঃপর রাতের বেলায় নবী ও তাঁর সঙ্গীদের যাওয়া-আসার পথে ছড়িয়ে রাখত’ (আল-কুরতুবী, মৃ. ৬৭১ হি., تفسير الجامع لاحكام القرآن , Al-tafsir.com লিঙ্ক

[২,গ] জালালুদ্দীন মাহাল্লী (মৃ.৯১১ হি.) ও জালালুদ্দীন সুয়ূতী (মৃ.৯১১ হি.), তাফসীর আল-জালালাইন, ১১১:৪ আয়াতের ‘হাতাব’ শব্দের অর্থ (الشوك) কাঁটা-কন্টকযুক্ত জিনিস, আবর্জনা, কাঁটাবিশিষ্ট ডাল (السعدان) তরুলতা করেছেন এবং বলেছেন, ‘এগুলোই এই মহিলা (উম্মু জামীল) নবীর (সা) চলার পথে রেখে দিত’ (তাফসীর জালালাইন, দার ইহয়ায়ুত তুরাছ আল-আরবি, বৈরুত, ১৯৯৯, পৃ.৬০৩)।

[২,ঘ] যেহেতু উম্মু জামীল এই শিষ্টাচারহীন কাজটি প্রায়ই করত, তাই এর বিবরণও ভিন্নভাবে এসেছে। যাদের ঘরে মাওলানা আবুল আ’লা মাওদূদীর তাফহীমুল কোরান আছে তারা ১১১:৪ আয়াতের ব্যাখ্যায় (নং টীকায়) এই মর্মে একটি বর্ণনা পাবেন। (আমাকে যেহেতু অনুবাদ করতে হচ্ছে না, তাই সংযুক্ত করছি)। তিনি বলেন, “মূল শব্দ হইল حَمَّالَةَ الْحَطَبِ ইহার শাব্দিক তরজমা হইল ‘কাষ্ঠবহনকারিনী’। তফসীরকারগণ ইহার কয়েকটির তাৎপর্যের উল্লেখ করিয়াছেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ), ইবনে যায়দ (রাঃ), দহহাক ও রুবাই ইবনে আনাস বলেন, আবু লাহাবের স্ত্রী উম্মে জামীল রাত্রিবেলা কাঁটাযুক্ত গাছের ডাল আনিয়া রাসূলে করীম (সাঃ)-এর ঘরের দরজায় ফেলিয়া রাখিত। এই কারণে এই সূরায় তাহাকে ‘কাষ্ঠবহনকারিনী’ বলা হইয়াছে’ (তাফহীমুল কোরান, উনবিংশ খণ্ড, অনুবাদক মুহাম্মদ আব্দুর রহীম, আধুনিক প্রকাশনী, ঢাকা, ১৯৮০, পৃ. ২৮৯)।



অতিরিক্ত:

এত কথা বলার পর উম্মু জামীলের কিছু পরিচয় দেয়াটা ভাল হবে। উম্মু জামীলের আসল নাম আল-আওরা বিনত হারব (العوراء بنت حرب – أم جميل)। তিনি আবু সুফিয়ানের বোন। আওরা শব্দের অর্থ ‘একচোখা’ (one eyed)। তবে বাস্তবে সে একচোখা ছিল না। আরবরা এভাবেই নাম রাখত। নিজেদের জন্য সাধারণত এমন নাম রাখত যা শত্রু পক্ষে ত্রাস অথবা অনীহা সৃষ্টি করে। আর নিজেদের দাস-দাসীদের খুব সুন্দর সুন্দর নাম দিত। তা নিজেদের জন্য। তবে ডাক-নাম কখনো ভালও দিত। উম্মু জামীল মানি সুন্দরী, (আবার কারও সন্তানের নাম জামীল হলে সেটা ভিন্ন অর্থ, অর্থাৎ জামীলের মা)। উম্মু জামীলের শিষ্টাচার-বহির্ভূত আচরণের কারণে তাকে উম্মু কাবীহ বা কুৎসিতা হিসেবেও পরিচয় করা হত। কোরানে তার অথবা তার স্বামী (আব্দুল উজ্জা)-এর আসল নাম উল্লেখ করা হয়নি। কোরানে নবী রাসূল ও মাত্র কয়েকটি নাম ছাড়া বাকী নামগুলো কর্ম ও আচরণের প্রতীক হিসেবে এসেছে যা চিরন্তনতায় পর্যবসিত। ফিরাউন নাম নয়, উপাধী। আল্লাহ চাইলে নাম ব্যবহার করতে পারতেন। কিন্তু এখানে আত্মিক ও জাগতিক অবস্থানই প্রধান। আল্লাহর বাণীর মোকাবেলায় আজও ফিরাউন আছে, আবু লাহাব ও ইন্ধন বহনকারিণী আছে।

আমারও ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানের পরিধি কম, তবে অনুসন্ধানের ইচ্ছা রয়েছে, তাই আপনার জানার আরও প্রশ্ন থাকলে লিখিত আকারে দিবেন আমি যথাসম্ভব তার সত্যতা তুলে ধরবো । ভাল থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.