![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মূল দল ভেঙ্গে নতুন দল তৈরি করার ইতিহাস বাংলাদেশে বহু প্রাচীন। বহু বড় বড় নেতা দল ভেঙ্গে নতুন দল গড়তে চেয়েছেন। কিন্তু সে সব প্রচেষ্টা হালে পানি পায়নি। বাংলাদেশের মানুষ প্রধান দুই দলকে যেভাবে বরণ করে নিয়েছে, নতুন গড়া কোনো দলকে সেভাবে নিতে পারছে না। এ দেশে একসময় মুসলিম লীগ ছিল। মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়ার সময় সর্ব প্রথম খোন্দকার মুশতাক আহমাদ নেতৃত্বে একটি গ্রুপ বিদ্রোহী ঢাকার নাজিমুদ্দীন রোডে আওয়ামী মুসলিম লীগের সাইনবোর্ড টানিয়ে পাল্টা দল খাড়া করে। কিন্তু সে দল দুদিনও টেকেনি। আইয়ুব-মোনেম আমলে সালাম খানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একদল প্রবীণ নেতা শেখ মুজিবর রহমানকে দল থেকে বহিস্কার ঘোষণা দিয়ে পাল্টা আওয়ামী লীগ গঠন করেছিল। সালাম খানের পাল্টা আওয়ামী লীগ দুদিন না যেতেই পটল তুলেছে। স্বাধীনতা উত্তর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে মিজানুর রহমান চৌধরী, অধ্যাপক ইউসুফ আলী, সোহরাব হোসেন প্রমুখ কয়েকজন তখনকার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাকে ভাগিয়ে এনে সোহরাওয়ার্দী আওয়ামী লীগ নামে পাল্টা আওয়ামী লীগ খাড়া করে। শেখ হাসিনা তখনও রাজনৈতিক অঙ্গনে আসিনি। তবে সেই চেষ্টা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী লীগের দুর্দিনে দলটির ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত হেনেছেন ড. কামাল হোসেন। হাসিনাকে উৎখাত ও আওয়ামী লীগ ভাঙ্গার লক্ষ্যে তিনি গণফোরাম তৈরি করেছেন। প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের মতো প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা এবং বঙ্গবন্ধুর একান্ত বিশ্বস্ত সহচর বন্ধু পর্যন্ত দল ছেড়ে ভিন্ন দল তৈরি করার চেষ্টা করেছে। সে চেষ্টা সফল হয়নি। ঠিক বিএনপি ভাঙ্গার জন্যও এ ধরনের নানা চেষ্টা হয়েছে। তবে কোনো চেষ্টা সফল হয়নি। আসলে বাংলাদেশের মানুষ মূল দল ছাড়া পাতি দলকে স্বীকৃতি দিতে চায় না। আজকে বিএনপির দুর্দিনে যারা বিএনপি ভাঙ্গার স্বপ্ন দেখেন, তারাও ভুল পথে গন্তব্য খোজেন। আসলে বিএনপি ভাঙ্গবে না। তবে বিএনপি পরিণতি মুসলিম লীগের মতো হতে পারে। এই করূণ পরিণতির জন্য আমার দৃষ্টিতে বিএনপির বোমা নীতি দায়ি নয়। এ দেশে বোমাবাজিতে কোনো দলই সাধু সাজতে পারবে না। সব দলেরেই কম বেশি ইতিহাস আছে। বিএনপি যদি কখনোও মুসলিম লীগের পথ ধরে তাহলে আমার ধারণা সেটা তাদের অযোগ্যতার কারণেই ধরবে। রাজনৈতিক অযোগ্য লোকদের দিয়ে আর যাই হোক রাজনীতি হয় না।
©somewhere in net ltd.