![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুফতি মুহাম্মাদ শোয়াইব
ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে নেপাল। নিহতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার। মৃদু ভূকম্প অনুভূত হয়েছে আমাদের বাংলাদেশসহ পাকিস্তান ও চীনের তিব্বতেও। বাংলাদেশে নিহত হয়েছেন তিনজন। এ ধরনের ভূকম্প কয়েক দিন পরপর আসতে দেখা যায়। বেশি বেশি ভূমিকম্পনের বৈজ্ঞানিক কারণ যাই হোক না কেন, এর পেছনে যে আমাদের অপকর্মের প্রভাব রয়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সমাজে যে হারে পাপকর্ম বাড়ছে, তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। ব্যভিচার, সুদ-ঘুষ, চুরি-ডাকাতি, ধোঁকাবাজি, মজুদদারি, কালোবাজারি, ছিনতাই, খুনখারাবির মতো এমন সব গর্হিতকর্ম অবাধে চলছে, যা আল্লাহর আজাব-গজবকেই শুধু ত্বরান্বিত করে। সুতরাং এ অবস্থায় আল্লাহর আসমানি গজব আসাটা বিচিত্র কিছু নয়।
পৃথিবীতে যখন পাপকর্ম বেশি হয়, তখন আল্লাহ তায়ালা গজব নাজিল করে মানুষকে সতর্ক করেন। তারপরও যদি তারা সতর্ক না হয়, তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাদের আরও ভয়ঙ্কর আজাবের মুখোমুখি করেন। তার আখেরাতের পরিণাম হয় অত্যন্ত শোচনীয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'যে কেউ আমার উপদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবন হবে অত্যন্ত কষ্টকর, আর কেয়ামতের দিন আমি তাকে অন্ধ অবস্থায় উঠাব।' সে বলবে, ওগো প্রভু! আমাকে অন্ধ করে উঠালেন কেন? আমি তো আগে চোখে দেখতাম। আল্লাহ তায়ালা বলবেন, 'এরূপ তোমার কাছে আমার নির্দেশগুলো এসেছিল; কিন্তু তুমি তার প্রতি কোনো খেয়াল করনি। সেরূপ আজ তোমার প্রতিও খেয়াল করা হবে না।' (সূরা তাহা : ১২৩-১২৫)।
বস্তুত পৃথিবীতে আমাদের কৃত অবিচারের কারণে আমরা বিপজ্জনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছি। অন্যত্র এরশাদ হয়েছে, 'তারা কি দেখে না যে, ক্রমেই আমরা তাদের জমিনকে এর বহিঃপরিসরের দিক দিয়ে সঙ্কুচিত করেছি।' (সূরা রাদ : ৪১)। সমুদ্রের আয়তন ক্রমে দীর্ঘ হতে থাকায় স্থলভাগের পরিসর ছোট হয়ে আসছে। সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রের তলদেশ বাইরের দিকে প্রসারিত হওয়ায় স্থলভাগের ঝুঁকি বাড়ছে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির মতো ভয়ানক দুর্যোগ। পবিত্র কোরআনে এ দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে, 'যখন সমুদ্রগুলো উত্তাল করে তোলা হবে।' (সূরা তাকবির : ৬)।
ইতিহাস সাক্ষী, অতীতের প্রতাপশালী রাজা-বাদশাহ ও বিভিন্ন সম্প্রদায় তাদের কৃতকর্মের কারণে ধ্বংস হয়েছে। আদ ও ছামুদ সম্প্রদায়, ফেরাউন, হামান, কারুন, সাদ্দাদ, হজরত নুহ (আ.) এর সম্প্রদায় ও হজরত লুত (আ.) এর সম্প্রদায় ধ্বংস ও বিনাশ হয়েছিল আল্লাহর নাফরমানির কারণে। আমরা যখন আল্লাহর নাফরমান হয়ে উঠছি, আল্লাহ তায়ালা এ জাতীয় দুর্যোগ দিয়ে আমাদের বারবার সতর্ক করে দিচ্ছেন। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা আল্লাহর আজাব থেকে বাঁচার পদক্ষেপ গ্রহণ করছি না।
এভাবে বিভিন্ন সময় আমাদের ওপর আসমানি বালা-মসিবত অবতীর্ণ হয়। অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, দুর্ভিক্ষ মহামারী, ভূমিকম্প, জলোচ্ছ্বাস, ভবন ধসের মতো দুর্যোগ বারবার আসে। এসব আমাদের ওপর অবতীর্ণ হয় মূলত আমাদের সতর্ক করার জন্য। কিন্তু অত্যন্ত আফসোসের বিষয় হলো, আসমানি সতর্কবাণী আসা সত্ত্বেও আমরা সতর্ক হই না। বরং বিপযর্য়ের বাহ্যিক কারণ বের করার চেষ্টা করি। বাহ্যিক কারণ যাই থাকুক, মসিবতটা যে আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষকে সতর্ক করার জন্য আসে, সেটা বোঝার চেষ্টা করি না। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'যেসব বালা-মসিবত তোমাদের ওপর অবতীর্ণ হয়, তা তোমাদেরই কৃতকর্মের ফল। অথচ আল্লাহ তায়ালা অনেক বিষয়েই মাফ করে দেন।' (সূরা শূরা : ৪০)। অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'জলে-স্থলে মানুষের কৃতকর্মের ফলে নানা ধরনের বালা-মসিবত ছড়িয়ে পড়েছে। তা দ্বারা আল্লাহ তায়ালা তাদের মন্দ কর্মের কিয়দংশের স্বাদ ভোগ করান, যাতে তারা তা থেকে ফিরে আসে।' (সূরা রুম : ৪১)।
- See more at: Click This Link
২| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
পাগলা সাইফুল বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো লেগেছে লেখাটা।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মে, ২০১৫ সকাল ১১:২২
বিজন শররমা বলেছেন: নেপালে পাচ হাজার (প্রায় সবাই হিন্দু) মারা যাবার পর তাদের পোড়ানো হয়েছে। সমস্যা হয়েছে, কিন্তু তার সমাধান ও হয়েছে । বাংলাদেশের ঢাকায় ভূমিকম্পে পাচ হাজার মানুষ মারা গেলে ঢাকার সব খোলা মাঠে তাদের কবর দিয়ে মানুষকে ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে । কবর দেয়ার বিধান মরুভূমির দেশে প্রযোজ্য, জনবহুল কৃষিপ্রধান দেশে নয় ।