![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার, আমি আরও বেশী জানতে, শিখতে, অর্জন করতে চাই, মহান আলাহ রব্বুল আলামিনের নিকট চাওয়া, তিনি যেন আমাকে সঠিক জ্ঞান দান করেন
খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ নিউটেস্টামেন্টের প্রথম চারটি অধ্যায়ের নামঃ
1। গসপেল অফ ম্যাথিউ
2। গসপেল অফ মার্ক
3। গসপেল অফ লুক
4। গসপেল অফ ইউহোন্না (অনেক জায়গায় "গসপেল অফ জন" নামে পরিচিত)
এসব গসপেলে সাধারনত যিশু খ্রিস্টের কথা, বানী, উপদেশ এবং বিভিন্ন শিক্ষনীয় ঘটনা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
খ্রিস্টানদের গসপেল গুলোকে মুসলিমদের হাদিস গ্রন্থের সাথে তুলনা করা যায়। আমরা মুসলিমরা যেমন, আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ(সঃ) এর কথা, উপদেশ এবং শিক্ষনীয় ঘটনাকে হাদিস বলি, খ্রিস্টানরাও তেমনি যিশু খ্রিস্টের কথা, উপদেশ এবং বিভিন্ন শিক্ষনীয় ঘটনা যে বইতে লিপিবদ্ধ করেছে, তার নাম দিয়েছে গসপেল।
উপরে উল্লেখিত চারটি গসপেল ছাড়াও আরও অনেক গসপেলের অস্তিত্ব রয়েছে। কিন্তু সব গসপেলকে খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ নিউটেস্টামেন্টে স্থান দেয়া হয়নি। শুধুমাত্র উপরে উল্লেখিত চারটি গসপেলই নিউটেস্টামেন্টে স্থান পেয়েছে। কি কারনে শুধুমাত্র চারটি গসপেলকেই নিউটেস্টামেন্টে স্থান দেয়া হল আর বাদ বাকি গসপেল গুলো উপেক্ষিত রয়ে গেল? তার জবাব আমার জানা নাই। তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন অথচ নিউটেস্টামেন্টে স্থান পায়নি এমন গসপেলের মধ্যে "গসপেল অফ বার্নাবাস" অন্যতম। বার্নাবাস ছিলেন প্রাথমিক যুগের খ্রিস্ট ধর্মের প্রচারক এবং একজন ধর্মীয় শিক্ষক। তিনি ছিলেন যিশু খ্রিস্টের ১২ জন সাহাবীর মধ্যে একজন। তাঁর রচিত গসপেল 325 সাল পর্যন্ত খ্রিস্টান চার্চ গুলোতে পবিত্র গ্রন্থ হিসাবে বিবেচিত হত। আর, এই গসপেল অফ বার্নাবাসে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যিশু খ্রিস্ট ঈশ্বরের প্রেরিত বান্দা এবং রাসূল, কোন অবস্থাতেই ঈশ্বরের পুত্র হতে পারেন না। (গসপেল অফ বার্নাবাস, 53:6)
©somewhere in net ltd.