নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুহাম্মাদ উল্লাহ উজানী

mohammadujany

আমার পরিচয় আমি একজন মুসলিম ।

mohammadujany › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইয়া নাবী সালামুয়ালাইকা, ইয়া রাসুল সালামুয়ালাইকা

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৪

আলোচনা - ইয়া নবী সালাম আলাইকা
ইয়া রাসুল সালাম আলাইকাআলাইকা প্রসঙ্গঃ

بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله وكفى وسلام على عباده الذين اصطفى. أما بعد!
আজ হঠাৎ করে ইলমে নাহুর একটি প্রসদ্ধি কতিাব যা" শরহে মুল্লা জামী" নাড়াদতিইে " মারেফা ও নাকেরা " এর মাসআলা ভেসে উঠল।আর মারেফা ও নাকেরার বিবরণ পড়তে গিয়ে "" ইয়া নবী ও ইয়া রাসুল সালাম আলাইকা"এর কথা স্বরণ হলো।তাই আজ ইচ্ছে হলো আরবী গ্রামারের আলোকে " ইয়া নবী ও ইয়া রাসুল সালাম আলাইকা " এর র্পযালোচনা করব।

ইয়া নবী ও ইয়া রাসুল এর আলোচনা শুরুকরার র্পূবে " মারেফা ও নাকেরা" র পরচিয় তুলে ধরা আবশ্যক মনে করছ।

মারেফা ও নাকেরাঃ
আরবী গ্রামাররে পরভিাষায় র্অথ আছে এমন শব্দ যা কোন কাল বা সময়রে সাথে সম্পৃক নয়, সে শব্দকে " ইসম" বলা হয়। ইসম এর অনেক প্রকার রয়ছে। এক র্পযায়ে ইসম দুই প্রকারঃ-
১। নাকেরা।
২।মারেফা।
১। অপরচিতি ব্যক্তি বা বস্তু নাকেরা।যেমন-( নবী) শব্দটি নাকেরা। র্অথাৎ এর দ্বারা কোন নর্দিষ্টি নবীকে বুঝায় না। আরো যেমন-(রাসুল) শব্দটিও নাকেরা। র্অথাৎ এর দ্বারা কোন নির্দিষ্টি রাসুল বুঝায় না।
২। পরিচিত ব্যক্তি বা বস্তু মারেফা।যেমন -( আননবী) শব্দটি মারেফা। এর দ্বারা কোননির্দিষ্টি নবীকে বুঝায়।আরো যেমন-( আররসুল) শব্দটিও মারেফা।তেননা এর দ্বারা নির্দিষ্টি বা পরিচিত কোন রাসুল বুঝায়।

আলোচনা চলবে শুধূ মারেফা নিয়ে:
আরবী ভাষায় কোন ইসম মারেফা হওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি আছ। তা হতে একটা পদ্ধতি হল, কোন নাকেরা শব্দরে শুরুতে ال(আলিফ মাল) যুক্ত হলইে শব্দটি মারফো হয়ে যায়।

যেমন -(নবী) শব্দটি নাকেরা, এর মধ্যে ال(আলীফ লাম) যুক্ত করে النبى (আননবী) বললেই মারেফা হয়ে যায়। ঠিক তেমনি ভাবে (রাসুল) শব্দটিও নাকেরা, যখন তার শুরুতেال (আলীফ লাম) যুক্ত করে الرسول ( আররাসুল) বললেই মারফো হয়ে যায়।

মূল আলোচনাঃ
যে সকল শব্দ ال (আলফি লাম)যুক্ত হয়ে মারেফা হয় সে সকল শব্দের শুরুতে যদি সম্বোধন বোধক অব্যয় পদى ( ইয়া) যুক্ত হয় তখন আরবী ব্যকারণরে বিধান মতে ي( ইয়া) শব্দরে পরে ايها ( আয়ুহা) যুক্ত করতে হয়।

(নবী বা রাসুল) শব্দটা নাকেরা থাকা অবস্থায় যখন এর সাথে সম্বোধনবোধক অব্যয় পদي (ইয়া) যুক্ত হয় তখন আরবী গ্রামারের এক সুত্রমতে মারেফার অর্ন্তভুক্ত হয়। এখানে গভীর ভাবে বুঝার বিষয় হলো, নাকেরা শব্দ যদিও ي (ইয়া) যুক্ত হলে মারফো হয় তবুও এ মারেফাটা শুধুমাত্র সম্বোধনকারীর কাচ্ছে মারফো হয়। অন্যদরে কাছে নয়।

বাংলাভাষাতেও এর ব্যবহার রয়েছে যেমন -কেউ কাউকে "ওময়িা " বলে ডাকে তাহলে শুধুমাত্র যে ডাকে সেই চিনে সে কাকে ডাকছ। এছাড়া শুধু ওময়িা কথাটা শুনে অন্যদরে চেরার উপায় নাই যে এর দ্বারা কাকে ডাকা হয়।

সুতরাং يا نبي ইয়া নবী ( র্অথাৎ ও নবী) বলে ডাকলে শুধুমাত্র যে ডাকল তার কাছে পরিচিত নবী বুঝায়, অন্যদের পরিচিত বুঝায় না। কারণ এখানে নবী শব্দ মারেফা হয়ছেে সম্বোধনেব পর। অথচ আমাদের নবী সম্বোধনের র্পুব থেকেই শুধু পরিচিতই নন বরং সুপরচিতি।শুধু সম্বোদনকারীর কাছেই নয়, সমস্ত জগদ্বাসীর কাছে সুপরিচিত। কাজেই শুধু يا نبي ( ইয়া নবী) বলে ডাকা তার সুপরিচিতির পরপিন্থ।

পক্ষান্তরে ي (ইয়া) শব্দের র্পুবে যদি ايها (আয়ুহা) শব্দ যুক্ত করে ايها النبي (ইয়া আয়ুহান্নবী) বলে ডাকলে বুঝা যাবে যেو তাকে যিনি ডাকছেন শুধু তার কাছেই তিনি পরিচিত নন,বরং ডাকার র্পুব থেকেই তিনি অন্যান্যদের কাছেও সুপরিচিত।

উল্লেখিত আলোচনা দ্বারা একথা পরস্কিার হয়ে গলে য, আরবী গ্রামারের পরভিাষায় নাকেরা বলতে অপরচিতি এবং মারেফা বলতে পরিচিতকেই বুঝায়। আর গ্রামার মতেই কোন শব্দ মারফো হওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি আছ। তন্মধ্যে কারো ব্যক্তিগত নাম হল তার মারেফঅ হওয়ার একটা বিশেষ পদ্ধত।কন্তিু যেহেতু আল্লাহ পরত্রি কুরআনে আমাদের নবী (সা:) কে কোথাও নাম ধরে ডাকেন নি, তাই সে সর্ম্পকে আলোচনা অপ্রাসাঙ্গকি।আল্লাহ যখনই নবীকে নবী বা রাসুল শব্দ দ্বারা সম্বোধন করছেনে,তখনই
يا ايها النبي او يا ايها الرسول
( ইয়া আইয়ুহান্নাবী বা ইয়া আইয়ুহার রাসুল) বাক্যদ্বয় দ্বারা সম্বোধন করেছেন।কন্তিু কোথাও ইয়া নবী বা ইয়া রাসুল বাক্য দ্বারা সম্বোধন করনে ন।

ইয়া নাবী সালামু আলাইকা বা ইয়া রাসুল সালামু আলাইকা বলে বেদাতিরা রাসুলের শানে বেয়াদবি করছে।

কারণ: আগেই বলা হয়ছেে নবী বা রাসুল শব্দ দুটি আরবী বাক্যে নাকেরা। আর দ্বতিীয় কথা হল নাকেরাকে মারেফা করার আরকেটা পদ্ধতি হল তার শুরুতে সম্বোধন বোধক পদ " ইয়া " যুক্ত হওয়া। কাজেই নবী বা রাসুল শব্দের সাথে " ইয়া" যুক্ত করে "ইয়া নবী " বললে এবং রাসুল শব্দের সাথে " ইয়া " যুক্ত করে " ইয়া রাসুল " শব্দদ্বয় শুধুমাত্র " ইয়া " যুক্ত হওয়ার কারণে মারেফা হল। এর আগে নাকেরা ছিল। ( বিস্তারিত মারেফার বিবরণ দেখূন শরহে মুল্লা জামী ১২২পৃষ্ঠা) কন্তিু আমাদরে নবী এমন নন যে তাকে সম্বোধন করার কারণে তিনি পরিচিত হয়েছেন। বরং আমাদের নবী কে ইয়া নবী বলে সম্বোধন করার র্পুব থেকেই তিনি সুপরচিতি। কাজেই তাকে বাংলাদেশে বসে ইয়া নবী বলে সম্বোধন করা চরম রাসুলের খেলাফে শান।

প্রক্ষান্তরে النبي আন্নবী শব্দটি র্পুব থেকেই মারেফা। আর আলীফ লাম যুক্ত নবী তথা আন্নবী শব্দে ইয়া শব্দ যুক্ত হলে গ্রামারের বিধান মতে উভয় শব্দের মধ্যে " আইয়ুহা" শব্দ যুক্ত করে " ইয়া আইয়ুহান্নাবী" বলতে হয়। তখন আর একথা বুঝায় না যে এ নবী সম্বোধন করার পরে মারেফা হয়ছে, র্পুবে নাকেরা ছিলেন। বরং আইয়ুহান্নাবী বলে সম্বোধন করলে র্মম দাড়ায় সম্বোধনরে র্পূব থেকেই তিনি মারেফা বা পরচিতি ছিলেন। আর এটাই হল বাস্তবিক ভাবে আমাদের নবী সা . এর শান, র্মযাদা। আর এভাবেই আল্লাহ কুরআনে তাকে সম্বোধন করছেনে। এমনকি নামাজে তাশাহহুদ বা আত্তাহয়্যিাতু এর মাধ্যমে নবী সা. নিজেও আমাদেরশিক্ষা দিয়েছেন তাকে সালাম দেওয়ার সময় আইযুহান্নসবী বলে। ইয়া নবী বলে নয়।

এরপরও বিদাতিদের হটকারিতা করে তারা নবীজিকে আল্লাহ ও রাসুলের শিক্ষা দেওয়া পদ্ধতিতে এবং নবীর শান মতে সম্বোধন না করে নবীর শানের বিপরিত, মনগড়া পদ্ধতইি অবলম্বন করে নবীর আশেক বলে দাবী করে। আর নবীর শিক্ষা দেওয়া পদ্ধতি মতে আসসালামু আলাইকা আইয়ুহান্নাবয়্যিু বলে নবী কে সালাম দিলে বিদাতিদের মনগড়া মলিাদ কয়িামরে সুররে তাল ঠিক থাকেনা, জনগণেরও মন ভুলানো যায়না। এজন্যই তারা ইয়া নবী সালাম আলাইকা এবং ইয়া রাসুল সালাম আলাইকা এ দুটি মনগড়া ভুল বাক্যকে তাদের প্রচলিত মীলাদের অংশে পরণিত করে নিয়েছে।আর যারা এমন ভুল বাক্য বলেন না এবং মনগড়া মিলাদে অংশ গ্রহন করেন না, তাদেরকে বিদাতিরা মীলাদ শরীফ বিরুধীو দুরুদو সালাম বিরুধী আখ্যাদিয়ে ওয়াহাবী এমনকি মুনাফিক র্পযন্ত বলে সরল জনসাধারণকে প্রতারণা করে যাচ্ছ।
আল্লাহ তা'য়ালা মুসলমানদেরকে উক্ত বিদাতি প্রতারকদের প্রতারণা থকেে হেফাজত করুক, আমীন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.