নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে চাই কেউ আমার কথা শুনুক। এইতো।

মুহাম্মদ মাহিন

মুহাম্মদ মাহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুষখোরের মেয়ে।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৫

পর্ব-১

রাত দুটোর সময় চিৎকার দিয়ে উঠল নিশা। গত কয়েকদিন থেকেই তার এমন কাজ চলছে। বলা নেই কওয়া নেই হুট-হাট চিৎকার ।
নিশার সাথে পরিচয় আমার পারিবারিক ভাবে। বিয়ের জন্য পাত্রী খুজছিলাম। আমার মায়ের তেজকুনী পাড়ার বান্ধবী সোমার মেয়ের ননদের ননদ হচ্ছে নিশা। ওনার খুবই নিকট আত্মীয়। পারলে এক প্লেটে ভাত খায়। ঢাকায় বাড়ি নেই ওদের। মেয়ের বাবা সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন।এখন অবসরে আছেন। একটা ফ্ল্যাট আছে ওনাদের উত্তরাতে। মেয়েদের গ্রামের বাড়ি নওগাঁ, তবে ঢাকায় বসবাস। জানি না কোন হারবালের বড়ি খাওয়ালো মাকে, মা এই মেয়ে ছাড়া কিছুই বোঝে না।
কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার পাত্র আমি। ঢাকায় গাড়ি-বাড়ি আছে। পাত্রের বাজারে কম দাম হবে না। প্রেম করার অনেক সখ ছিল। কিন্তু সখ নামের একটি মেয়ে সে সখ খুব সুন্দর করে পুরণ করে দিয়েছিল। সেই গল্পে আরেকদিন ফিরব।
এক সোমবারে মেয়ে দেখতে গেলাম।যদিও আমার মোটেও ইচ্ছে ছিল না, যার কারণে আমি পাত্রীর ছবিও দেখিনি। কারণ আমি ঘুষখোরের মেয়ে বিয়ে করতে রাজী না। এ কথা আম্মার কানে যাওয়া্র পর, আম্মা আমার দিকে জুতা ছুড়ে মেরেছেন। কারণ ওনার বাবাও সরকারী অফিসার ছিল। এবং তালিকা করে ঘুষ খেতেন। যাই হোক, উনি বললেন এই মেয়েকে দেখতে যেতেই হবে। নাহলে সোমার মার কাছে ওনার ইজ্জত থাকবে না। বললাম, "ঘুষখোরের মেয়ে ঘরে আনলে তোমার ইজ্জত খুব বাড়বে?"। আগের বার ডান পায়ের জুতা ছুড়েছিল। এবার বাম পায়েরটা মারলেন। কিছুক্ষণ চুপ করে বললেন খোজ-খবর নিয়েছেন। মেয়ের বাবা ঘুষ খায় না। আমি জবাব দিলাম,"আয়কর বিভাগে এমন কেউ নাই যে ঘুষ খায়নি জীবনে।" এবার আর জুতা মারলেন না। পায়ে জুতা আর অবশিষ্ট নেই। সোফায় বসা ছিলেন, হাতের কাছেও কিছু ছিল না। এ যাত্রায় রক্ষা।
গোসল করে বের হয়ে দেখলাম হ্যাঙ্গারে ঝোলান গাড় নীল রঙ্গের ফুল স্যুট আর গোলাপী রঙ্গের একটা শার্ট সাথে নীল সাদা স্ট্রাইপের একটা টাই পড়ে আছে আমার খাটের উপর। খুব সম্ভব রান্নাঘর থেকে শব্দ ভেশে এল, "এগুলো পরে রেডি হয়ে নে।" "এই গরমের মধ্যে এগুলো পরব?", মনে মনেই বললাম শুধু রান্না ঘর থেকে খুন্তি ছুড়ে আসতে পারে এই ভয়ে। আমার প্রেম না করার অন্যতম একটা কারণ এই মহিলা। খামাখা একটা মেয়ের জীবন কেন নষ্ট করব? "উফফ" করে বড় একটা নিঃশ্বাস ফেলে বাজারে নিজেকে বিক্রির জন্য প্রস্তুত হওয়া শুরু করলাম। সালার এই দিনের জন্য কি ইঞ্জিনিয়ার হয়েছিলাম? কপাল আমার।
উত্তরায় মেয়েদের ফ্ল্যাটটা সুন্দর আছে, খারাপ না। ফ্ল্যাটের সামনে ছোট ছোট ফুলের গাছ। দরজাটা অনেক দামি মনে হচ্ছে। সেগুন কাঠের তার উপর ডিটেইলের কাজ অনেক বেশি। বিশেষ করে নকশী কাথার কাজ আছে বলা যায়। ঘুষখোরের রুচি ভাল। সালা মানুষের টাকা মেরে নিজের ঘর সাজাও। ঠাডা পড়ে মারা যায় না কেন এরা?
আমার সামনে আব্বা দাঁড়ানো। পেছনে রবিউলের হাতে মিষ্টি। প্রিমিয়াম সুইটস থেকে নেয়া। এখন বাজারে খুব চলছে। আব্বা নিজে গিয়েই কিনলেন। হরেক পদের ৫ কেজি মিষ্টি। গাড়িতে আসতে আসতে নাম বলছিল, কাল জাম,সন্দেশ।
সবার সামনে ডান পাশে দাঁড়ানো আম্মা। কলিং বেলের ডিং ডোং শব্দের পরে কে দরজা খুলে দিল খেয়া করিনি। আমার চোখ তখন আটকে ছিল দরজা পেরিয়ে ঠিক বিপরীতের আরেকটা দরজায়। দুটো চোখ এ দরজায় কাকে যেন খুঝছে। কে জানে, হতে পারে আমাকেই।রাত দুটোর সময় চিৎকার দিয়ে উঠল নিশা। গত কয়েকদিন থেকেই তার এমন কাজ চলছে। বলা নেই কওয়া নেই হুট-হাট চিৎকার ।
নিশার সাথে পরিচয় আমার পারিবারিক ভাবে। বিয়ের জন্য পাত্রী খুজছিলাম। আমার মায়ের তেজকুনী পাড়ার বান্ধবী সোমার মায়ের ননদের ননদ হচ্ছে নিশা। ওনার খুবই নিকট আত্মীয়। পারলে এক প্লেটে ভাত খায়। ঢাকায় বাড়ি নেই ওদের। মেয়ের বাবা সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন।এখন অবসরে আছেন। একটা ফ্ল্যাট আছে ওনাদের উত্তরাতে। মেয়েদের গ্রামের বাড়ি নওগাঁ, তবে ঢাকায় বসবাস। জানি না কোন হারবালের বড়ি খাওয়ালো মাকে, মা এই মেয়ে ছাড়া কিছুই বোঝে না।
কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার পাত্র আমি। ঢাকায় গাড়ি-বাড়ি আছে। পাত্রের বাজারে কম দাম হবে না। প্রেম করার অনেক সখ ছিল। কিন্তু সখ নামের একটি মেয়ে সে সখ খুব সুন্দর করে পুরণ করে দিয়েছিল। সেই গল্পে আরেকদিন ফিরব।
এক সোমবারে মেয়ে দেখতে গেলাম।যদিও আমার মোটেও ইচ্ছে ছিল না, যার কারণে আমি পাত্রীর ছবিও দেখিনি। কারণ আমি ঘুষখোরের মেয়ে বিয়ে করতে রাজী না। এ কথা আম্মার কানে যাওয়া্র পর, আম্মা আমার দিকে জুতা ছুড়ে মেরেছেন। কারণ ওনার বাবাও সরকারী অফিসার ছিল। এবং তালিকা করে ঘুষ খেতেন। যাই হোক, উনি বললেন এই মেয়েকে দেখতে যেতেই হবে। নাহলে সোমার মার কাছে ওনার ইজ্জত থাকবে না। বললাম, "ঘুষখোরের মেয়ে ঘরে আনলে তোমার ইজ্জত খুব বাড়বে?"। আগের বার ডান পায়ের জুতা ছুড়েছিল। এবার বাম পায়েরটা মারলেন। কিছুক্ষণ চুপ করে বললেন খোজ-খবর নিয়েছেন। মেয়ের বাবা ঘুষ খায় না। আমি জবাব দিলাম,"আয়কর বিভাগে এমন কেউ নাই যে ঘুষ খায়নি জীবনে।" এবার আর জুতা মারলেন না। পায়ে জুতা আর অবশিষ্ট নেই। সোফায় বসা ছিলেন, হাতের কাছেও কিছু ছিল না। এ যাত্রায় রক্ষা।
গোসল করে বের হয়ে দেখলাম হ্যাঙ্গারে ঝোলান গাড় নীল রঙ্গের ফুল স্যুট আর গোলাপী রঙ্গের একটা শার্ট সাথে নীল সাদা স্ট্রাইপের একটা টাই পড়ে আছে আমার খাটের উপর। খুব সম্ভব রান্নাঘর থেকে শব্দ ভেশে এল, "এগুলো পরে রেডি হয়ে নে।" "এই গরমের মধ্যে এগুলো পরব?", মনে মনেই বললাম শুধু রান্না ঘর থেকে খুন্তি ছুড়ে আসতে পারে এই ভয়ে। আমার প্রেম না করার অন্যতম একটা কারণ এই মহিলা। খামাখা একটা মেয়ের জীবন কেন নষ্ট করব? "উফফ" করে বড় একটা নিঃশ্বাস ফেলে বাজারে নিজেকে বিক্রির জন্য প্রস্তুত হওয়া শুরু করলাম। সালার এই দিনের জন্য কি ইঞ্জিনিয়ার হয়েছিলাম? কপাল আমার।
উত্তরায় মেয়েদের ফ্ল্যাটটা সুন্দর আছে, খারাপ না। ফ্ল্যাটের সামনে ছোট ছোট ফুলের গাছ। দরজাটা অনেক দামি মনে হচ্ছে। সেগুন কাঠের তার উপর ডিটেইলের কাজ অনেক বেশি। বিশেষ করে নকশী কাথার কাজ আছে বলা যায়। ঘুষখোরের রুচি ভাল। সালা মানুষের টাকা মেরে নিজের ঘর সাজাও। ঠাডা পড়ে মারা যায় না কেন এরা?
আমার সামনে আব্বা দাঁড়ানো। পেছনে রবিউলের হাতে মিষ্টি। প্রিমিয়াম সুইটস থেকে নেয়া। এখন বাজারে খুব চলছে। আব্বা নিজে গিয়েই কিনলেন। হরেক পদের ৫ কেজি মিষ্টি। গাড়িতে আসতে আসতে নাম বলছিল, কাল জাম,সন্দেশ আরো অনেক কিছু।
সবার সামনে ডান পাশে দাঁড়ানো আম্মা। কলিং বেলের ডিং ডোং শব্দের পরে কে দরজা খুলে দিল খেয়াল করিনি। আমার চোখ তখন আটকে ছিল দরজা পেরিয়ে ঠিক বিপরীতের আরেকটা দরজায়। দুটো চোখ এ দরজায় কাকে যেন খুঝছে। কে জানে, হতে পারে আমাকেই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.