নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিভৃতচারী

জ্ঞানের দৈন্য আমি পূরণ করি-অধ্যয়ন দিয়ে আর মেধার দৈন্য –অনুশীলন দিয়ে

খান ইখতিয়ার

আমার প্রিয় শিক্ষক কবিয়াল এস,এম, নুরুল আলম (মরহুম) বলতেন,'অখ্যাত থেক তবু কুখ্যাত হয়োনা'। আমি আমার এই সাধাসিধে জীবনে এই শিক্ষাটুকু পরম ভক্তির সাথে মেনে চলার চেষ্টা করি।

খান ইখতিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হায়রে তৌহিদী জনতা হায় নবী প্রেমিকেরা

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

বাংলাদেশে এখন নবীপ্রেমের জোয়ার নয়, বন্যা বইছে। ইসলাম বাঁচাতে মাঠে নেমেছে হেফাজতে ইসলাম, অর্থায়ন ও ক্ষমতায়ন করছে জামায়াতে ইসলাম, একাত্ন হয়েছে জাতীয়তাবাদী ইসলাম, ভয়ে থরহরিকম্প আওয়ামী ইসলাম। ইসলাম বাঁচানোর কথায় কৈশোরের একটি ঘটনা মনে পড়ে গেলঃ তখন অষ্টম বা নবম শ্রেনীর ছাত্র আমি। একদিন আমাদের আরবী সাহিত্যের শিক্ষকের হাতে দেখলাম খুবই সুন্দর মলাটের ছোট একটি পুস্তিকা। আমরা জিজ্ঞেস করাতে তিনি ঐ পুস্তিকা থেকে কিছু অনুবাদ করে শোনালেন। পুস্তিকাটি পুরো আরবী ভাষায় লেখা এবং আমাদের সন্নিকটের একটি কওমী বা ওয়াহাবী মাদ্রাসা থেকে প্রকাশিত। হুজুর যা অনুবাদ করে শোনালেন তার সারমর্ম হলোঃ “আমাদের দেশে ইসলাম এখন বিপন্ন, চারদিকে খৃস্টান মিশনারীরা সরলপ্রাণ মুসলমানদের বিভিন্ন লোভ লালসা দেখিয়ে ইসলাম ধর্ম থেকে বিচ্যুত করে খৃস্টান বানিয়ে ফেলছে। সুতরাং বাংলাদেশে ইসলাম তথা মুসলমানিত্ব বাঁচাতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন”। এই পুস্তিকাটি পাঠানো হয়েছিল সৌদিআরব সহ বিভিন্ন আরব দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তি ও দাতব্য প্রতিষ্টানের কাছে। এভাবে ইসলাম বাঁচাতে আমাদের দেশে এসেছে কোটি কোটি পেট্রো ডলার আর তা লগ্নি করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কওমি কেল্লাগুলো প্রতিষ্টায়, যার ফলাফল দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে ৬ এপ্রিল শাপলা চত্ত্বরে। তেমনি ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের পরে আমাদের এলাকার এক জামায়াত নেতাকে দেখেছিলাম আমাদের মসজিদ ও এলাকার ভাঙ্গাচোরা ঘরবাড়ির ছবি উঠিয়ে নিতে, কোন ত্রাণ বা সাহায্য পাঠাতে তাকে দেখিনি, তবে তিনি সৌদি আরবে এক আরবীর ড্রাইভারের চাকুরী করে এখন চট্টগ্রাম শহরে কয়েকটি বিল্ডিং ও প্রচুর অর্থসম্পদের মালিক। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, যারা এখন নবীপ্রেমের বন্যা নিয়ে মাঠ গরম করছে তাদের সাথে ইসলামের মূলধারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিরোধ মূলত নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আউলিয়া কেরামের প্রতি তাদের কটাক্ষমূলক মন্তব্য ও আচরণের কারণে। তাদের এরূপ নবীপ্রেমের (?)কিছু নমুনা আমি তুলে ধরব। আগে একটু পেছন ফিরে দেখা যাকঃ

দুটো হাদীসঃ

১. একদিন রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি দো’আ করছিলেন, হে আল্লাহ আমাদের শাম প্রদেশে আমাদের জন্য বরকত দান করুন, আমাদের ইয়েমেন প্রদেশে আমাদের জন্য বরকত দান করুন। উপস্থিত সাহাবীদের মধ্যে একজন আরজ করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ (দঃ) আমাদের নজদের জন্য দোয়া করুন। রাসুল (দঃ) পূনরায় দোয়া করলেন, কিন্তু নজদের নাম উচ্চারণ করলেননা। পূনরায় নজদের কথা বলা হলে তৃতীয়বারে তিনি বললেন, ‘হুনাকায যালাযিলু ওয়াল ফিতানু ওয়া বিহা ইয়াতলাউ কারনুশ শয়তান’ অর্থাৎ নজদ থেকে ফিতনা ও ভূমিকম্প আরম্ভ হবে এবং ওখান থেকে শয়তানের শিং তথা শয়তানী দলের আবির্ভাব হবে। ( তিরমিজী ও মিশকাত)

২. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত, আমরা একদিন রাসুল (দ)এর দরবারে ছিলাম, এসময় তিনি গনীমতের মাল বন্টন করতে ছিলেন। এমতাবস্থায় নজদের বনী তামীম গোত্রের যুল খোয়াইছারা নামে এক ব্যক্তি এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ (দঃ) আপনি (বন্টনে) ইনসাফ করুন। উত্তরে রাসুল (দঃ) বললেন, তোমার জন্য আফসোস, আমিই যদি ন্যায় পরায়ন না হই তাহলে আর কে হবে? আমি ন্যায়পরায়ন না হলে তুমি ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্তে পতিত হবে। অতঃপর উমর (রাঃ) আরজ করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ (দঃ) আপনি অনুমতি দিন আমি তার গর্দান উড়িয়ে দেই। রাসুল (দঃ) বললেন, হে উমর – তাকে ছেড়ে দাও। তার অনেক সাথী রয়েছে (এবং হবে)। তোমাদের নামাজকে তাদের নামাজের সাথে এবং তোমাদের রোজাকে তাদের রোজার সামনে তুচ্ছ মনে হবে। তারা কোরআন পাঠ করবে সত্য তবে তা তাদের কন্ঠ হতে নীচের দিকে যাবেনা। সজোরে নিক্ষিপ্ত তীর যেমন শিকারকে ভেদ করে বের হয়ে যায়, তদ্রুপ এরা ইসলামের গন্ডি হতে বের হয়ে যাবে। (মিশকাত)

অপর এক হাদিসের বর্ণনায় এসেছে- এ ব্যক্তির বংশধরদের মধ্যে এমন এক সম্প্রদায়ের আবির্ভাব হবে- যারা কোরান পড়বে সত্য কিন্তু তা এদের কন্ঠনালী অতিক্রম করবেনা। তারা ইসলাম হতে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন শিকার ভেদ করে তীর বের হয়ে যায়। তারা মুসলমানদের হত্যা করবে অথচ মূর্তি পূজারীদের আপন অবস্থায় ছেড়ে দেবে। যদি আমি তাদের পেতাম তাহলে আদ জাতির ন্যায় তাদের হত্যা করতাম। (বোখারী ও মুসলিম)

ইতিহাস কি বলেঃ

১৭০৩ খৃস্টাব্দে এই নজদে যুল খোয়াইছারার বনু তামীম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহাব নজদী, যিনি ওয়াহাবী মতবাদের প্রতিষ্টাতা। তিনি ১৭৪৫ সালে নিজ এলাকার (ভন্ড নবী মুসাইলামাতুল কাজ্জাবের বিরুদ্ধে জিহাদে শাহাদাত বরণকারী) সাহাবী হযরত যায়েদ ইবনে খাত্তাব (রাঃ)এর মাজার ভাঙ্গার মধ্য দিয়ে ওহাবী আন্দোলনের সূচনা করেন। “ওয়াহাবী মাযহাবের আসল হাকীকত” গ্রন্থে বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে তার সে সময়কার কুকীর্তি তুলে ধরা হয়েছে। আমি সংক্ষিপ্ত কিছু তুলে ধরছি। * এসব লোক নজদ থেকে বের হয়েছে , তারা দুই হেরেম শরীফের উপর আধিপত্য প্রতিষ্টা করে নিয়েছে। এরা নিজেদের হাম্বলী মাজহাবের অনুসারী বলে দাবী করে, কিন্তু তাদের অবস্থা এই যে, নিজেদের ছাড়া বাকী সকল মুসলমানকে , যারা তাদের আকীদার পরিপন্থী হয়,কাফের মনে করে এবং তাদের রক্তপাত ঘটানোকে জায়েজ মনে করে। সুতরাং তারা আহলে সুন্নাত এবং তাদের আলেমদের হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করেনি। * মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাব নজদী যখন নিজের বাতিল আক্বীদা এবং ভ্রান্ত চিন্তাধারা প্রকাশ করার ইচ্ছা করলো, তখন সে মদীনা মুনাওরাহ থেকে পূর্বদিকে চলে গেল। আর লোকজনকে তার সাজানো মনগড়া কথাগুলো শুনালো আর বুঝালো যে, তারা যেসব আকীদা পোষণ করে সব শির্ক ও ভ্রান্ত। আর তার ভ্রান্ত আক্বীদাকে ধীরে ধীরে প্রকাশ করতে লাগলো। যখন সাধারণ জঙ্গলী লোকেরা তার আক্বীদাগুলোকে গ্রহণ করে নিলো, ১১৫০ হিজরিতে এর বিভিন্ন জেলায় তার এসব কথা ছড়িয়ে পড়লো এবং দেরঈয়া এলাকার শাসক মুহাম্মদ ইবনে সৌদ তার সাহায্যকারী হয়ে গেল এবং শায়খ ই নজদীকে তার দেশ সম্প্রসারণের মাধ্যম করে নিল। দেরঈয়াবাসীকে সে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাবের অনুসরণে উদ্বুদ্ধ করলো। সুতরাং দেরঈয়া ও আশেপাশের লোকেরা তার অনুসরন করলো। * ইবনে আব্দুল ওয়াহাবের অপবিত্র কর্মকান্ডগুলোর মধ্যে এটাও আছে যে, যখন সব লোককে নবী করীম (দঃ) এর জিয়ারাত করতে বাঁধা দেওয়া হলো, তখন কিছু লোক আহসা থেকে বের হলেন ও নবী (দঃ) এর জিয়ারাত করলেন। এ খবর তার কাছে পৌছলে জিয়ারাতকারিরা ফেরার পথে দেরঈয়া নামক স্থানে তাদের দাঁড়ি মুন্ডিয়ে দিল এবং দেরঈয়া থেকে ইহসা পর্যন্ত বাহনের উপর উল্টোদিকে বসিয়ে পাঠিয়ে দিল। * ইবনে আবুল ওয়াহাব নজদী অনেক কিতাব জ্বালিয়ে দিয়েছে, অনেক আলেম এবং সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে, তাদের সম্পদ হালাল জ্বেনে লুন্ঠন করেছে। * দালাইলুল খায়রাত ,দরুদ শরীফ ও ওয়াজিফা পড়তে এবং নবী কারীম (দঃ) এর মীলাদ শরীফের আয়োজন, মিনার গুলোর উপর আজানের পর দরুদ পাঠ করতে নিষেধ করে দিলো।

যারা আরো বিস্তারিত জানতে চান নীচের লিঙ্ক থেকে ওয়াহাবী মাযহাবের আসল হাকীকত বইটি নামিয়ে নিতে পারেন।

এক অজানা ইতিহাস নামে এক প্রবন্ধে লেখা হয়েছে-“অনেক বিষয়ে নিষ্প্রয়োজনীয় বাড়াবাড়ির ফলে তার সঙ্গে তদানীন্তন সউদী আলেম উলামাদের মহামতানৈক্য সৃষ্টি হয়। তিনিই মহানবী (সঃ) এর রওজার উপর বিস্তৃত গম্বুজটি ভেঙ্গে দেয়ার পরিকল্পনা করেন এবং ভিন্ন মতাবল্মীদেরকে পবিত্র হজ্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন ও তাদেরকে কাফির, মুশরিক ইত্যাদি জঘন্যতম আখ্যায় আখ্যায়িত করতে থাকেন। ফলে ভয়াবহ ফিৎনা-ফাসাদ ও বিশ্ব মুসলিম সমাজে পারস্পরিক কোন্দলের সূচনা হয়। পক্ষান্তরে যারা তার মতবাদের তাক্বলীদ করতে থাকে তাদেরকে মুসলমানগণ ওয়াহাবী বলে আখ্যায়িত করতে থাকেন”।

তার এ মতবাদ প্রচারে বৃটিশ গোয়েন্দা মি. হ্যাম্পার গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করেন বলে জানা যায়। মি. হ্যাম্পার’র ডায়েরী পড়লে ওয়াহাবী মতবাদের থলের বেড়াল বের হয়ে আসে।

(Click This Link)

বস্তুত মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাবের ভ্রান্ত ধ্যান ধারণা, মুহাম্মদ ইবনে সৌদের উচ্চাকাংখা যার নামে আজকের সৌদিআরব এবং ওসমানীয় খিলাফত ভেঙ্গে আরব বিশ্ব কব্জায় নেওয়ার বৃটিশ কূটচাল থেকেই ওয়াহাবী মতবাদের সৃষ্টি।এবং তখন থেকেই এই তৌহিদী জনতার আমদানী, কারণ তাদের মতে,বিশ্বের মুসলমানরা মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাবের জন্মের পূর্বে আল্লাহ্‌র একত্ববাদ থেকে সরে গিয়েছিল, মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাব যাবতীয় ইসলামী স্থাপনা ভেঙ্গে, জান্নাতুল বাকীর উপর বুলডোজার চালিয়ে, পদে পদে রাসুলে আকরাম (দঃ) এর অবমাননা করে আল্লাহ্‌র তাওহীদ তথা একত্ববাদ প্রতিষ্টা করলেন। তখন থেকে তার অনুসারীরা হলো তৌহিদী জনতা আর তামাম দুনিয়ার মুসলমানরা হলো মুশরিক।(নাউজুবিল্লাহ)

সেখান থেকেই আমাদের এ উপমহাদেশে সৈয়দ আহমদ ব্রেলভীর মারফতে ওয়াহাবী মতবাদের আমদানী এবং দেওবন্দ মাদ্রাসা ও আমাদের দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে কওমী মাদ্রাসা গুলোর মাধ্যমে এ মতবাদের প্রচার ও প্রসার। এরা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে কখনো ওয়াহাবী, কখনো মুহাম্মদী, কখনো সালাফী, কখনো আহলে হাদীস, কখনো তালেবান, কখনো আল কায়েদা, কখনো হরকাতুল জিহাদ, অধুনা হেফাজতে ইসলাম নামে নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি আল কায়েদা স্বীকার করেছে সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্টিটিও তাদের অংগ সংগঠন। সৃষ্টিলগ্ন থেকেই প্রতিপক্ষকে হত্যা ও ধ্বংসাত্নক রাজনীতি এদের রক্তে মিশে আছে। এদের হত্যার রাজনীতি দেখতে এই পোস্ট টি দেখে নিন (Click This Link)

অধুনা নাসির উদ্দীন আলবানীর হাতে ইবনে আব্দুল ওয়াহাবের ওয়াহাবী মতবাদ চাঁছাছোলা হয়ে আরো কট্টর হয়ে সালাফী হয়েছে। ইতিহাসের নির্মম পরিহাস এই যে, যে দেওবন্দীরা এ উপমহাদেশে ওয়াহাবী মতবাদ প্রতিষ্টা করেছে, সেই দেওবন্দী-তাবলীগিদের বিরুদ্ধেই এখন সৌদিআরব থেকে কুফরি শিরকের ফতোয়া দেওয়া হচ্ছে। এবার মূল রচনায় ফিরে আসি। আমাদের দেশে এরা এখন রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে নবীপ্রেমের বাজনা বাজালেও এদের সৃষ্টি মূলত নবী (দঃ) এর অবমাননার মধ্য দিয়ে। যার কয়েকটি আমি তুলে দিচ্ছি। যেসব সত্যানুসন্ধানী আরো বিস্তারিত জানতে চান, সংযুক্তির লিংক গুলো তাদের জন্য। ইদানিং তারা আবার নিজেদের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত দাবী করাও শুরু করেছে।

ওয়াহাবীদের আক্বীদাঃ

১. সকল মানুষ ভাই ভাই, যার মর্যাদা বেশি সে বড় ভাই। সুতরাং তাঁকে (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বড় ভাইয়ের মত সম্মান করতে হবে।

(ইসমাইল দেহলভী কৃত তাকভীয়াতুল ঈমান, পৃষ্টা-৪৪)

২. জেনার ওয়াস ওয়াসা থেকে নিজের বিবির সাথে সহবাসের খেয়াল নামাজে করা উত্তম, শায়খ অথবা কোন বুযর্গ এমনকি নবী (দঃ) এর খেয়াল করা ( নামাজে) গরু, গাধা এমনকি জেনার খেয়ালের চেয়েও খারাপ। ( ইসমাঈল দেহলভী কৃত সিরাতে মুস্তাকীম, পৃষ্টা-১৬৭)

৩. ইলমে গায়েব বলতে যদি কতেক গায়েব ধরা হয়, তাহলে এতে নবী (দ)এর কি বিশেষত্ব রয়েছে, এ ধরণের ইলমে গায়ব তো যায়েদ, আমর, শিশু, পাগল, ছাগল এমনকি চতুস্পদ জন্তু জানোয়ারেরও রয়েছে। ( আশরাফ আলী থানভী কৃত হিফজুল ঈমান, পৃষ্টা-১৫)

৪. শয়তানের ইলম কোরান হাদীসের দ্বারা প্রমাণিত, কিন্তু নবীজির ইলমের কোন প্রমাণ নেই। ( খলীল আহমদ আম্ভেটবী কৃত বারাহীনে কাতিয়া, পৃষ্টা-৫৫)

এই হলো এদের নবীপ্রেমের নমুনা, মাত্র কয়েকটি তুলে দিলাম।

মওদুদীর আক্বীদাঃ

১. নবী (দঃ) অপরের কল্যান তো দূরে নিজের কল্যান করতেও সক্ষম নন। ( মাওলানা মওদুদীর লন্ডনের ভাষণ )

২. এ মর্মে দোয়া করুন যে, এ বিরাট কাজ (নবুয়তী দায়িত্ব) পালন করতে গিয়ে আপনি যে ভুল-ভ্রান্তি বা দোষ-ত্রুটি করেছেন, তা সব তিনি যেন মাফ করে দেন। তাফহীমুল কুরআন, ১৯ তম খন্ড, আবুল আলা মওদূদী, সূরা আন নসর, পৃষ্ঠা: ২৮৭। অনুবাদ: আবদুল মান্নান তালিব, আধুনিক প্রকাশনী, ঢাকা।

৩. রাসূল না অতিমানব, না মানবীয় দুর্বলতা থেকে মুক্ত। তিনি যেমন খোদার ধন-ভান্ডারের মালিক নন, তেমনি খোদার অদৃশ্যের জ্ঞানেরও অধিকারী নন বলে সর্বজ্ঞ নন। (মাওলানা মওদুদীর লন্ডনের ভাষণ)

৪. নবীগণ মা’ছূম নন। প্রত্যেক নবী গুনাহ করেছেন।” (নাঊযুবিল্লাহ)(তাফহীমাত,২য় খণ্ড, ৪৩ পৃষ্ঠা)

৫. এখানে আর একটি প্রশ্নের উদ্রেক হয় যে, হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম যখন নক্ষত্র দেখে বলেছিলেন, এটা আমার প্রতিপালক এবং চন্দ্র-সূর্য দেখে এগুলোকেও নিজের প্রতিপালক হিসাবে আখ্যা দিয়েছিলেন, তখন সাময়িকভাবে হলেও কি তিনি শিরকে নিপতিত হননি?” (তাফহিমুল কোরআন ১মখণ্ড, ৫৫৮ পৃ.)

আরো অনেক আছে, এতো অল্প কয়েকটা।

মহান স্রষ্টাকে সাক্ষী রেখে ঈমান ও বিবেকের মানদন্ডে বিচার করুন এদের নবীপ্রেম ও এই নবীপ্রেমের উৎস। এরা নবীপ্রেমিক নয়, পেট্রো ডলারের প্রেমিক। এরা ইসলাম প্রতিষ্টা করতে চায়না, এরা কেউ ভ্রান্ত ওয়াহাবী মতবাদ আর কেউ ঘৃণিত মওদুদীবাদ প্রতিষ্টা করতে চায়।

পুনশ্চঃ

আমার এ লেখা দেখে ইসলাম বিদ্বেষীদের খুশি হওয়ার কোন কারণ নেই। শাহবাগের আন্দোলন ও এর মূল উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির দাবীর প্রতি আমার অকুন্ঠ সমর্থন রয়েছে। তবে কোন নাস্তিকের প্রতি নয়। আমি মনে করি, প্রত্যেকের অধিকার আছে যে কোন মতবাদ, আদর্শ গ্রহন-বর্জন করার, কিন্তু বাকস্বাধীনতার নামে কোন ধর্মকে অশালীন, অভদ্র, অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করার অধিকার কারো নেই।

সংযুক্তিঃ

১. ওয়াহাবী মতবাদের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখতে “ওয়াহাবী মাযহাবের আসল হাক্বীকত” বইটি নামিয়ে নিনঃ

http://www.mediafire.com/?62667juaqc1zd6y

২. দেওবন্দীদের বিভিন্ন ভন্ডামীর নমুনা দেখুন “যলযালা” বইটি থেকেঃ

http://www.mediafire.com/?ecklembl87mqjo4

৩. বৃটিশ গোয়েন্দা মি. হ্যাম্পার এর ডায়েরীতে ওয়াহাবী মতবাদের প্রতিষ্টাঃ

Click This Link

৪. ঐ সময়কার মক্কার প্রধান মুফতি শায়খুল ইসলাম আহমাদ জায়নি দাহলান(রঃ) রচিত “Fitnatu-l-Wahhabiyyah” দেখুনঃ

Click This Link

৫. আয়ুব সাবরী পাশা(উথমানীয় খিলাফতের সময় সম্ভবত সেনাবাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন) তিনিও তার Mir’at al-Haramain: 5 volumes, Matba’a-i Bahriyye, Istanbul তেও বলেছিলেন আব্দুল ওয়াহাবের সাথে ব্রিটিশ গোয়েন্দা হ্যাম্ফারের সম্পর্ক ছিল। দেখুনঃ

Click This Link

৬. এটিও দেখে নিতে পারেনঃ http://www.terrorism-illuminati.com/wahhabis

৭. বিভিন্ন ভ্রান্ত আক্বীদার কোরান হাদীস ভিত্তিক বিশ্লেষন দেখুনঃ

Click This Link

৮. এরা বলে শুধু আমাদের দেশেই মাজার রয়েছে, অন্য কোথাও নেই। বাস্তব সত্য হচ্ছে, সৌদি আরবসহ কয়েকটি আরব রাষ্ট্রে ওয়াহাবী- সালাফিরা মাজার গুলো বুল্ডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিলেও পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে হাজার হাজার মাজার। সচিত্র প্রতিবেদন দেখুনঃ http://www.aulia-e-hind.com/

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.