নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিভৃতচারী

জ্ঞানের দৈন্য আমি পূরণ করি-অধ্যয়ন দিয়ে আর মেধার দৈন্য –অনুশীলন দিয়ে

খান ইখতিয়ার

আমার প্রিয় শিক্ষক কবিয়াল এস,এম, নুরুল আলম (মরহুম) বলতেন,'অখ্যাত থেক তবু কুখ্যাত হয়োনা'। আমি আমার এই সাধাসিধে জীবনে এই শিক্ষাটুকু পরম ভক্তির সাথে মেনে চলার চেষ্টা করি।

খান ইখতিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমাদের ইসলামে এতো বোমাবাজি কেন

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

ছোটবেলা থেকে আমরা জেনে এসেছি, ইসলাম শান্তির ধর্ম, সাম্যের ধর্ম, সম্প্রীতির ধর্ম। ইসলামের ইতিহাস আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছে। এই উপমহাদেশেও ইসলাম এসেছে খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রঃ), হযরত শাহজালাল (রঃ), শাহপরান (রঃ), খানজাহান আলী, শাহ আমানত, মোহসেন আউলিয়া, শাহচান্দ আউলিয়া, ইয়াসিন আউলিয়া, নুর কুতুবুল আলম প্রমূখ আধ্যাত্নিক সাধকের হাত ধরে সাম্য-শান্তির ব্যানারে। তারা ইসলাম প্রচার করেছেন ইসলামের মহত্ত্ব, সততা, সাম্য ও স্বীয় চারিত্রিক গুণাবলী দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে নয়। তাঁরা অস্ত্র ধরেছেন নিতান্ত আত্নরক্ষার খাতিরে। কিন্তু বর্তমানে সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী ইবনে আব্দুল ওয়াহাব নজদীর মতাদর্শী আল কায়েদা, হিজবুত তাহরির, জমিয়তুল মুজাহিদীনদের কার্যক্রমে যেন ইসলাম মানে শান্তি কথাটা মিথ্যে মনে হচ্ছে। এদের বিভ্রান্ত ওয়াহাবী ইসলাম মানুষকে জোর করে গলাধঃকরণের জন্য যেন এরা উঠে পড়ে লেগেছে। এদের বিভ্রান্ত ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিশ্বে ইসলামী আন্দোলন ও জঙ্গিবাদকে সমার্থক করে তুলছে। আফগানিস্তানে তালেবানদের উত্থান, পশ্চাদপদ শাসনব্যাবস্থা ও পতন বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে। ইসলামের নামে অনৈসলামিক কর্মকান্ড, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর উপর অত্যাচার, নারীদের জোরপূর্বক অন্তরীন করে রাখার মত হীন কার্যক্রম তাদের পতন ত্বরান্বিত করেছে। পশ্চিমা বিশ্বের বিন লাদেন খোঁজা তো একটা বাহানা মাত্র। পাকিস্তানে ধারাবাহিক বোমা হামলা যেন তাদের এক প্রদর্শনী হয়ে দাড়িয়েছে। ভাবতেও অবাক লাগে কোন মুসলমান কি আল্লাহ্‌র ঘর মসজিদে বোমা হামলা করতে পারে? মাজারের মত পবিত্র স্থানে কার হাত ধরে বোমাবাজি চলে? মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়া আরেক মুসলমান ভাইয়ের প্রতি বোমা নিক্ষেপ তোমাদের কোন ইসলাম শিখিয়েছে? ইসলামে আরেক মুসলমান ভাইয়ের রক্ত তোমার জন্য হারাম, আত্নঘাতী হওয়া হারাম এ শিক্ষা তোমাদের কপালে জুটেনি? আর রাসুলে আকরাম (দঃ) যে বলেছেন, কোন মুসলিম রাষ্ট্রে অমুসলিম নির্যাতিত হলে হাশরের ময়দানে রাসুল স্বয়ং ঐ অমুসলিমের পক্ষ নিয়ে বিচারপ্রার্থী হবেন- এই শিক্ষা তোমরা পাওনি। তাহলে ইসলামের নামে নরহত্যার এ ঊৎসব কার স্বার্থে? আমাদের দেশেও দেখেছি এই সব তথাকথিত ইসলামপন্থীদের সিরিজ বোমা হামলা। আব্দুর রাহমান, বাংলা ভাই দের মৃত্যুর পর ধ্বংসাত্নক কার্যক্রম দৃশ্যত কমে গেলেও থেমে যায়নি এদের তৎপরতা । এরা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নিজেদের মতাদর্শী খতিব না পেয়ে মসজিদে জুমার নামাজে জুতা মারামারি, বিশৃংখলা করেছে কয়েক সপ্তাহ। চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিবকেও এরা কয়েক মাস আগে জুমার নামাজ শেষে লাঞ্ছিত করেছে। আল্লাহ্‌র ঘর মসজিদে বোমাবাজি-বিশৃংখলা, নিরপরাধ মানুষ হত্যা যেন এজিদী কর্মকান্ডের কথা মনে করিয়ে দেয় ।

ইসলামকে আর কতভাবে বিকৃত করা যায় তার প্রমাণ সাম্প্রতিক সিরীয় জঙ্গীদের ‘যৌন জিহাদ’ তত্ত্ব। নিজেদের অন্যায়-অনাচারকে জায়েয করতে ইচ্ছামত ফতোয়া দাড় করানো যেন এদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

বলাই বাহুল্য, বিশ্বব্যাপী এইসব ইসলামের নাম দিয়ে জঙ্গী কর্মকান্ডের সাথে সৌদি সমর্থিত ওহাবীরাই জড়িত। মধ্যপ্রাচ্যের পেট্রো ডলারের আশ্রয়ে গড়ে উঠা কওমী মাদ্রাসা গুলো এসব কর্মকান্ডের সূতিকাগার। আমি সব ওহাবী বা কওমীকে এজন্য দোষারোপ করছিনা বা সবাই যে জড়িত তাও বলছিনা তবে সব জঙ্গীই যে কওমী সংশ্লিষ্ট তা অস্বীকার করার জো নেই।

সম্প্রতি চট্টগ্রামে হেফাজতের নায়েবে আমীর মুফতি ইজহারের মাদ্রাসায় বোমা বিস্ফোরন ও হতাহতের ঘটনা আবারো এসব উগ্রপন্থী আধুনিকতা বিবর্জিত শিক্ষা ব্যাবস্থার বাস্তবতা সামনে নিয়ে এসেছে। এসব শিক্ষা ব্যাবস্থার সংস্কার ও যথোপযুক্ত পর্যবেক্ষন আজ সময়ের দাবী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.