নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিভৃতচারী

জ্ঞানের দৈন্য আমি পূরণ করি-অধ্যয়ন দিয়ে আর মেধার দৈন্য –অনুশীলন দিয়ে

খান ইখতিয়ার

আমার প্রিয় শিক্ষক কবিয়াল এস,এম, নুরুল আলম (মরহুম) বলতেন,'অখ্যাত থেক তবু কুখ্যাত হয়োনা'। আমি আমার এই সাধাসিধে জীবনে এই শিক্ষাটুকু পরম ভক্তির সাথে মেনে চলার চেষ্টা করি।

খান ইখতিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

জশনে জুলুছঃ হতে পারে একটি দিক নির্দেশনা

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

“পাশ্চাত্য হারামকে আকর্ষনীয়, আবেদনময়ী এবং প্রাচুর্যে ভরপুর করে তুলছে। হালালকে আমরা কঠিন, বিরক্তিকর এবং দুষ্প্রাপ্য করে তুলছি। ফতোয়া প্রদানের সহজ পথ ছেড়ে টেকসই সমাধান প্রদানের অতীব প্রয়োজনীয় ধারা আন্দোলনকে গ্রহণ করতে হবে। আমরা মানুষকে হারাম থেকে বিরত রাখতে চাইলে তাদের হালাল বিকল্প অবশ্যই সামনে দিতে হবে। --------- ইসলামী করণের জন্য বিনোদনের ক্ষেত্র উন্মুক্ত পড়ে আছে, কিন্তু এক্ষেত্রে অতি সামান্যই আমরা করতে পেরেছি”।

লেখাগুলো পড়েছিলাম ডক্টর হিশাম আল তালিবের “ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের প্রশিক্ষণ গাইড” বইয়ে। লেখাটা যখন পড়েছি তখন থেকেই আমাকে ভাবিয়েছে। আজ যখন চারদিকে অপসংস্কৃতির জোয়ার বইছে, অশ্লীল সংস্কৃতির প্লাবনে ভেসে যাচ্ছে রুচি, শিল্প, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ, তখন পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সামনে রেখে লেখাটা লিখতে গিয়ে আবারো উদ্বৃত্তিটুকু আমার ভাবনায় সর্বাগ্রে চলে এলো। সত্যিই তো, যে সুযোগটুকু হারিয়েছেন আমাদের অগ্রজরা, যে সমস্যার মুখোমুখি আমরা এবং যে সভ্যতা ও সংস্কৃতিহারা হবে আমাদের অনুজরা- তা কি এতই ঠুনকো ছিল? নাকি যোগ্য কর্মী ও সুষ্টু পরিচর্যার অভাবেই তার এই হাল?

রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে নিকটাত্নীয়দের মধ্যে গোপনে ইসলাম প্রচার করেছিলেন। এরপর এলো প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার ও শুরু হলো অত্যাচার নিপীড়ন। রাসুল (দঃ) দু’হাত তুলেছেন আসমান জমীনের মালিকের কাছে এর প্রতিকারের জন্য, কিন্তু অস্ত্রধারণ করেননি। কালের পরিক্রমায় এলো হিজরত এবং ইসলামী রাষ্ট্র। এবার রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে অন্যায়ের প্রতিকারের জন্য কোষমুক্ত হলো তরবারী। সংঘটিত হলো যুদ্ধের পর যুদ্ধ, অগ্রসর হলো ইসলাম দূর্বার গতিতে। কায়সার-কিসরা থেকে শুরু করে রডারিক-লক্ষন সেনদের মসনদ কেঁপে উঠল, ধ্বসে পড়লো। ইসলাম প্রতিষ্টিত হলো এক অপরাজেয় শক্তি হিসেবে।

কালের বিবর্তনে যুগের প্রয়োজনে ইসলামের এই যে পথ পরিক্রমা তা কী আমাদের নীতিনির্ধারকরা ভুলে আছেন? নাকি হারিয়ে বসেছেন তাদের ইজতিহাদি মনোভাব ও যোগ্যতা?

ঐতিহাসিক জশনে জুলুছের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা প্রমাণ করছে, আধুনিক ও যুগোপযোগী কর্মসূচী প্রণয়ন করতে পারলে তা বাস্তবায়নের মানুষের অভাব হয়না। মুর্শিদে বরহক আল্লামা তৈয়্যব শাহ (রঃ) গুটিকয়েক আশেকে রাসুল নিয়ে যে জশনে জুলুছের গোড়াপত্তন করেছিলেন তা ইতোমধ্যে পরিণত হয়েছে লক্ষ লক্ষ সুন্নী জনতার মিলনমেলায়।

রাসুল প্রেমে উজ্জীবিত লক্ষ লক্ষ মুমিন প্রমাণ করে দিচ্ছে আজ ইসলামের এ চরমতম দুঃসময়ে শান্ত, সৌম্য ও আধ্যাত্নিকতায় ভরপুর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের দর্শনই একমাত্র পথ দেখাতে পারে সঠিক পথহারা মুসলিম জনগোষ্টিকে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.