নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিভৃতচারী

জ্ঞানের দৈন্য আমি পূরণ করি-অধ্যয়ন দিয়ে আর মেধার দৈন্য –অনুশীলন দিয়ে

খান ইখতিয়ার

আমার প্রিয় শিক্ষক কবিয়াল এস,এম, নুরুল আলম (মরহুম) বলতেন,'অখ্যাত থেক তবু কুখ্যাত হয়োনা'। আমি আমার এই সাধাসিধে জীবনে এই শিক্ষাটুকু পরম ভক্তির সাথে মেনে চলার চেষ্টা করি।

খান ইখতিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌদিদের দৃষ্টিতে তাবলিগীরা বিদয়াতী ও মুশরিক

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১২

এটি আমার স্বকীয় কোন পোস্ট নয়। নীচের লেখাগুলো লিখেছিলামঃ মোঃ আনারুল হকের '' তাবলীগ বিদআত কিনা ?? এর উত্তর" শীর্ষক পোস্টে। লেখাগুলো শেষে ইজতেমা বিদআত কিনা- এ প্রশ্ন রেখেছিলাম। তিনি যথার্থ উত্তর দিতে না পেরে আমার মন্তব্যই ব্লক করে দিলেন। তাই পোস্ট আকারে তুলে ধরলামঃ



কুখ্যাত ওয়াহাবী মতবাদের জন্ম সৌদি আরবের নজদে। ইবনে সৌদের সহায়তায় মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহাব নজদী এ মতবাদ প্রতিষ্টা করেন। সৈয়দ আহমদ ব্রেলভীর মাধ্যমে এ মতবাদ পাক ভারত উপমহাদেশে আমদানি হয়। পরবর্তীতে দেওবন্দ মাদ্রাসা ও তাবলীগ জামাত এ মতবাদ প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কোন এক রহস্যজনক কারণে সম্প্রতি সৌদিআরব থেকে দেওবন্দী ও তাবলীগিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফতোয়া দেওয়া হচ্ছে, যেটা এমনকি শির্ক- বিদআত পর্যন্ত পৌছেছে।

সৌদি সরকার তাদের কট্টর ওয়াহাবী মতবাদ প্রচারের জন্য বিভিন্ন ভাষায় কিছু এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছে। বাংলা ভাষায় এ দায়িত্ব পালন করছেন - শায়খ মতিউর রহমান মাদানী।

তাবলীগ জামাত সম্পর্কে তার একটি বয়ান আমি শুনেছি, যাতে তিনি তাবলীগ জামাতকে শির্ক ও বিদআতে লিপ্ত বলেছেন, তিনি বলেনঃ

১। ফাযায়েলে আমলে বিদআত ও শির্ক আছে।

২। বইটির ভূমিকাতে আছে(বঙ্গানুবাদ) - অনেকে শির্ক বিদয়াতে লিপ্ত আছে , কিন্তু শির্ককে শির্ক মনে করেনা। আমি (মতিউর রহমান মাদানী) বলছি- জনাব আপনি ঐ অবস্থায় আছেন, অন্যদের কেন তোহমদ দিচ্ছেন?

৩। তাবলীগ জামাতের মূল মারকাজ দিল্লীর নিজামুদ্দীনে যেখানে ছয়টি কবর রয়েছে। এই কবরগুলি ডানপাশে রেখে এরা নামাজ পড়ে। এরা নিজেদের মারকাজকে শির্ক মুক্ত করতে পারেনি। শির্ক তাদের কিতাবেও রয়েছে, মারকাজেও রয়েছে, আক্বীদাতেও রয়েছে, আমলেও রয়েছে।

৪। প্রচলিত তাবলীগ জামাত শুরু হয় প্রথম মেওয়াত গ্রাম থেকে, যা ১০০ বছরের বেশী হয়নি।



এর সাথে তিনি কিছু ফতোয়াও যুক্ত করেন, যেমনঃ

১। আব্দুল আজিজ ইবনে বায বলেন- ভারতের তাবলীগ জামাতের আক্বীদায় বহু কুসংস্কার রয়েছে, তাদের বেশকিছু বিদআত ও শির্ক রয়েছে।

২। নাসিরুদ্দীন আলবানী বলেন- তাবলীগ জামাত আল্লাহ্‌র কিতাব কোরানে করীম এবং রাসুলুল্লাহ (দঃ) এর সুন্নত আর সালফে সালেহীনের তরিকার উপর প্রতিষ্টিত হয়নি। তাদের সাথে বের হওয়া জায়েজ নয়।



কথাগুলো আমার নয়, সুতরাং আমাকে আক্রমণ করে লাভ হবেনা। পারলে মাদানী সাহেবকে বুঝান- নিজেরা নিজেরা কামড়াকামড়ি করলে অন্যেরা কী বলবে?

তাকরীরের ডাউনলোড লিংকঃ

লিঙ্ক

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

খান ইখতিয়ার বলেছেন: ইতিপূর্বে তিনি ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) কে বিদআত সাব্যস্থ করে পোস্ট করেছিলেন এবং মিলাদুন্নবী (দঃ) পালনকারীদের জাহান্নামের পথে বলেছেন। আমি যখন প্রশ্ন করলামঃ বিশ্ব ইজতেমা কেন বিদআত নয়?
তিনি উত্তর না দিয়ে মন্তব্য ব্লক করে দিলেন।
এর মধ্যে তিনি আবার ইজতেমার সপক্ষে একটি পোস্টও দিলেন।
আর ইজতেমা বিদআত কিনা এর উত্তর এড়িয়ে গেলেন।
তাদের যুক্তিমতে, মিলাদুন্নবী (দঃ) পালন যদি বিদআত তাহলে বিশ্ব ইজতেমাও বিদআত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.