নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তবতার পোস্টমর্টেম

মুন্ডূ হীণ

আমি নিজেকে বদলে দিতে চাই না। আমি চাই আমার পাশের মানুষটার জন্য আমাকে বদলে যেতে হোক। আমার লেখা যথেষ্ট খারাপ হওয়া সত্ত্বেও আমার টুকিটাকি লিখতে কেন জানি ভালো লাগে। আমি এক ধরণের নিরেট বোকা। খুব সচেতন থকা সত্ত্বেও বোকামি করি। রাস্তায় বের হয়ে বাংলাদেশের খুঁত খুঁজে নয়, বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশকে খুঁজে বের করতে ভালোবাসি। বিঃদ্রঃ আমি গায়ে-গতরে মানুষ হলেও মাঝে মাঝেই অমানুষের মতো কাজ করে ফেলি।

মুন্ডূ হীণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কল্পকথা-কিছুটা গল্পের মতো-০২

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৭

-হ্যালো, হ্যালো, হ্যালো ...........
-আরে, হ্যা অনেকটা হেলে গেছি তো, আরো হেলতে হবে???!
-আউম হাউম, বাসি জিনিস, হজম হবে না।
-ওওওও, আচ্ছা।
-কি বলবি বল।
-তুই কল দিলি, আমি কি বলবো!!!
-ও, আচ্ছা। আমার বলার কিছু নাই। রেখে দিলাম।
-রেখে দিবি??? আমার মনে হলো তোর মন খারাপ, তাই ভুলে কল দিয়ে ফেলেছিলাম।
সরি।
অনেকক্ষণ কোনো শব্দ না পেয়ে আমি ফোনটা আয়েশ করে পকেটে রেখে দিলাম। পকেটে কি যেন খচখচ করে উঠলো। মনে হয় কোনো প্যাকেট।
হাতে বের করে দেখলাম, প্যাকেটই , একটা খয়েরী রং এর চকলেট ভিতরে। নিশ্চই পূর্না দিয়েছিল। পকেটে রেখে দিয়েছিলাম, খেতে মনে নেই হয়তো।
নাড়াচাড়া করতে করতে হঠাতই "ইউরেকা" বলতে ইচ্ছে হলো। কারন হঠাতই মনে পড়লো, বৃদ্ধাঙ্গুলি সাইজের এই প্যাকেট মাত্র ৩ মাস ১৭ দিন পকেট বন্দি ছিল। ( ৩ মাস হয়তো সত্য, কিন্তু ১৭ দিন আন্দাজে, ইচ্ছে করেই বললাম, কারন কাটায় কাটায় ৩ মাস পরেই আবার প্যাকেটের খোজ পাওয়া, হিন্দি সিরিয়াল এর টক টক গন্ধের মতো মনে হচ্ছিল। )
পূর্না ওর জন্মদিনে খেতে দিয়েছিল। কিন্তু, দাত মেজে খাব ভেবে রেখে দিয়েছিলাম। আজ অবশ্য খাওয়াই যায়, সকালে নতুন পেস্ট দিয়ে দাত মেজেছি। দাত পরিষ্কার হলেও, গোড়ায় একটু একটু হইলদা ভাব রয়েই গেছে। থাক তাতে চকলেট খেতে সমস্যা হবে না। বরং দাতের গোড়ায় একটু চকলেটি ভাব আসবে।
ফোনে রিং বাজছে। পূর্নাই হয়তো। আমাকে কেবল ৩ কিছিমের মানুষ কল দেয়- বাবা, পূর্না, আরেকটা রং নাম্বার।
কলটা ধরে লাউড স্পিকার অন করে দিলাম।
-আমি হেলেই আছি, কি বলবি বল।
-হেলেই আছিস মানে!
-পোস্ট অফিসের দেয়ালে হেলান দিয়া হেলে আছি।
-খুব ভাল, কিন্তু মন খারাপ কেনো?
-আমার মন খারাপ! হিহুহিহুহিহুহিহু
-ইয়াক ইয়াক, এভাবে কেউ হাসে? আমি আমার মন খারাপ কেনো জিজ্ঞেস করছি এবং তোকেই জিজ্ঞেস করছি।
আমি ভাবলেশহীন ভাবে বললাম, " ওওও তোর!! তাইলে ঠিক আছে। "
-মানে কি!! মন ভাল করে দে, এক্ষুনি।
-উঁহু উঁহু, আমি এত্তো বড় রিস্ক নিতে পারবো না।
-মানে কি!!!
-মানে হচ্ছে, আমি ইচ্ছে করলেই তোর মন ভাল করে দিতে পারি।কিন্তু, যদি দেই, তাহলে আজকের পর বারবার তোর মন খারাপ হবে, বারবার তোর মন ভাল করে দিতে আমাকে ডাকবি। আমি বারেবারে ভাল করে দিবো। একসময় তোর আমাকে ভাল লাগবে, আমাকে রহস্য করে প্রোপজ করবি। আমি না করে দিবো। এরপর তুই উল্টাপাল্টা করবি, আর আমাকে ফাসাবি , আমি এর মদ্ধে নাই।
আমি জানি কথাগুলো শেষে পূর্না একটা শব্দই শুনতে পাবে " টুটটুট টুটটুট টুটটুট........"
কেটে দিয়েছি কলটা, ওর কথা শুনতে ইচ্ছে করছিল না।
চকলেট মুখে দিয়ে হাটছি। নোনতা নোনতা লাগছে। পূর্না যখন তখন কাঁদতে পারে।কিন্তু, পূর্নার চোখের পানি কি আমার দু'ঠোটের মাঝে এসে জমেছে?!? নাকি........
ছি!! ছি!! আমি কাদবো কেনো!!! মনে হয়, আমাকে বাগে পেয়ে রাস্তা থেকে ধুলা উড়ে চোখে এসে পড়েছে।
আমি কিন্তু কাদিনি। আমিতো চকলেট খাচ্ছি!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.