নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপরকে মানুষ মনে করেন তাহলে নিজেও মানুষ হতে পারবেন।

ক্ষুদ্র মস্তিস্ক

নিজেকে মানুষ মনে করি।

ক্ষুদ্র মস্তিস্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হঠাত দেখা হাস্যোজ্জল মেয়েটি-২

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

রিফাতের চলে যাওয়ার পর রিনি অনেকটাই খাদে পড়ে গিয়েছিল।পর পর দুই সেমিস্টার খারাপ করে রিনি।একটা পর্যায়ে মুফসাতসহ অন্য বন্ধুদের হাত ধরে খাদ থেকে উঠে আসে।খুব ভালভাবেই ফিরে আসে সদা হাস্যোজ্জ্বল রিনি।মুফসাত আর রিনির বন্ধুত্ব এখন অনেক বেশী রকমের ভাল।ভার্সিটির সবার মাঝেই গুঞ্জন মুফসাত-রিনি প্রেম সাগরে পাড়ি দিচ্ছে !!!



-‘কিরে এভাবে বসে আছিস ক্যান??’-মাথায় হালকা চাপড় দিয়ে বলল রিনি।

-নাহ!!হতাশ!!

-কেন??এই মেয়েও ভাল লাগলো না!!!

-ধূর!!এই মেয়ে সারাক্ষন ভেটকি মাছের মত হাসে।হাঁসি দেখলেই মাথা গরম হয়ে যায়!!!



(রিনি হাসছে আর মুফসাত এক দৃষ্টিতে সেই দিকে তাকিয়ে আছে)



-আচ্ছা!!আহারে কাঁদে না গাধা!!—হাঁসতে হাঁসতে রিনি

-দেখ গাধা বলবি না।।

-তো কি বলব?শেষ সেমিস্টার চলে তোর আর ভার্সিটির একটা মেয়েও তোর ভাল লাগে না!!

-ভাল লাগার মেয়েতো আছেতো।

-আছে??!!কোথায়??তাড়াতাড়ি দেখা।।

-এই যে এই মেয়েটা!!!



(বন্ধ মোবাইলের ডিসপ্লে রিনির মুখের সামনে ধরে।)



-গাধা মোবাইলের ডিসপ্লেতো বন্ধ!!কোন ছবিই দেখা যাচ্ছে না!!

-বন্ধ ডিসপ্লেতে যেই মেয়েটাকে দেখা যাচ্ছে ঐ মেয়েটা।

-হইছে!!আর ফাজিলামি করতে হবে না!!এখন যাই।পরে কথা হবে ক্লাস আছে।।

-আচ্ছা যা।বাই!!

-বাই......



‘মেয়েটা অদ্ভুত সুন্দর।মেয়েটিকে নীল শাড়িতে দেখার খুব ইচ্ছা!!শেষ সেমিস্টার অথচ ভাল লাগার কথা ঠিক করে বলা হল না।’—রিনির যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে ভাবছে মুফসাত।।





পরপর তিনদিন বন্ধ ভার্সিটি।বাইরে বৃষ্টি পড়ছে।বারান্দার গ্রিল ধরে দাড়িয়ে আছে রিনি।ফেলে আসা দিনগুলির কথা ভাবছে।এই সেমিস্টার পর মুফসাত আর ভার্সিটিতে থাকবে না ভাবতেই কেমন যেন লাগছে।ঠিক খারাপ না আবার ভালও না।ক্লাসে যাওয়ার আগে মুফসাতের চোখে যা দেখছে তা কি সত্য??সেই প্রথমদিন থেকে মুফসাতের সাথে বন্ধুত্ব।আজ চারবছর পর বন্ধুত্ব কেমন যেনো এলোমেলো লাগছে।।



মোবাইলের শব্দে ভাবনার বিচ্ছেদ ঘটলো!!মুফসাতের কল।।

-হ্যালো।

-কি করিস পাগলী??

-বৃষ্টি দেখি।

-বৃষ্টি কি দেখার জিনিষ??

-হ্যাঁ।

-না।বৃষ্টি হল অনুভবের বিষয়।।

-হ্যাঁ।তা ঠিক কিন্তু এখন অনুভব করতে পারছি না।।

-আহারে!!!

-চল কালকে বৃষ্টিতে ভিজবো!!!

-হু হু হু.........

-কি হু হু হু??

-যদি বৃষ্টি থাকে কাল।

-আচ্ছা আমি কল দিব।তখন না বললে মাইর খাবি।

-আচ্ছা ঠিক আছে। তাহলে এখন রাখি পাগলি!!

-মাইর খাবি......

-বাই...

-হুহ!!!





ছাতা মাথায় রিনির বাসার কাছের এক গলির মুখে দাঁড়িয়ে আছে মুফসাত।প্যান্টের একপাশের পকেটসহ শার্টের একপাশ কিছুটা ফুলে আছে মুফসাতের।ফোন দিচ্ছে তারপরও ফোন ধরছে না রিনি।হঠাত মেয়ে রিনি হঠাত করেই একটা রিকশাসহ মুফসাতের সামনে হাজির।

ঠিক যেমনটি ভেবেছিল ঠিক তেমনভাবেই নীল শাড়ি পড়ে এসেছে মুফসাতের হঠাত মেয়েটি।এক দৃষ্টিতে তাকেই দেখছিল।রিনির গাধা ডাকে বাস্তবে ফিরে এলো মুফসাত।

-এই গাধা!!রিকশাতে উঠ!!

কোন কথা ছাড়া রিকশাতে উঠে বসল মুফসাত।





-কিরে চুপ করে আছিস কেন?

-চিন্তা করছি পাগল কত প্রকার!!!

-কি হয়ছে?

-তুই বৃষ্টিতে ভিজবি কি শাড়ি পড়ে??

-হু দেখা যাক!!

-মানে কি?

-মানে কিছু না গাধা!!

-হঠাত শাড়ি পড়লি কেন?

-তোর প্রেমিকাকে দেখাতে যাবো তাই!!

-ও আচ্ছা।।



কিছুক্ষনের নিরবতা.........অতঃপর...

-রিনি তোর হাতটা দেখি।।

-কেন?

-হাত দেখবো।শিখছি নতুন করে!!!

-নে দেখ.........



পকেটের গোলাপ দুইটি রিনির হাতে রেখে মুফসাত উপর থেকে তার হাত রাখলো।।

‘সামনের প্রতিটিদিন ঠিক এমন করেই তোর হাত ধরে থাকতে চাই।সব রকমের পাগলামী করতে চাই তোকে সাথে নিয়ে।যেতে চাই বহুদুর।পাশে রাখবি গাধাটাকে??’---অনেক শান্ত কন্ঠে বলল মুফসাত।বলতে বলতেই রিকশা শহিদ মিনারের সামনে এসে দাঁড়ায়।



চোখের পানি আড়াল করতেই হুট করে রিকশা থেকে নেমে পড়ল রিনা।আর মুফসাত তাকিয়ে দেখছে রিনির পাগলামি।



হাতের গোলাপ দুইটা নিয়ে মাথা নেড়ে রিনি ‘এই গাধা!!পাগলামি করবা না?রিকশা থেকে নামো।’



মুফসাত রিকশা থেকে নামতেই হঠাত করে বৃষ্টি বেড়ে গেল............

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভাল লাগল

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৬

ক্ষুদ্র মস্তিস্ক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লেগেছে। +++++++

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৬

ক্ষুদ্র মস্তিস্ক বলেছেন: পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.