![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বের ৮০ শতাংশ উদ্ভিদের প্রত্যক্ষভাবে (পরোক্ষভাবে মানুষ ও প্রাণীর) বংশবৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে মৌমাছি। এরা যেই কাজগুলো করে, তা যদি যন্ত্রের মাধ্যমে করা সম্ভব হতো তবে এই কাজের বাত্সরিক মূল্য দাড়াত আনুমানিক ২৬ হাজার কোটি ইউরো (প্রায় ২৬ লক্ষ কোটি টাকা)
শুধু তাই নয়, মধুতে রয়েছে এমন কার্যকরী উপাদান যা হজমে, মাথার চুলপরা রোধে, দেহের রোগ-নিরাময় ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, শরণশক্তি বৃদ্ধিতে, শিশুদের শ্বাসনালীর সংক্রমণে কাশির চিকিৎসায়, ক্ষত ও জখমের উপশমে সহ আরো অনেক অনেক ব্যাপারে অতি কার্যকর।
অপরদিকে এরা যদি না থাকতো (আল্লাহ যদি এদেরকে মানবের/বিশ্বের জন্যে সৃষ্টি না করতেন), তবে প্রকৃতির বিশাল এক বিভাজন-বিস্তৃতি পুরোপুরি অসম্ভব হতো।
"আপনার পালনকর্তা মধু মক্ষিকাকে আদেশ দিলেনঃ পর্বতগাহ্রে, বৃক্ষ এবং উঁচু চালে গৃহ তৈরী কর, এরপর সর্বপ্রকার ফল থেকে ভক্ষণ কর এবং আপন পালনকর্তার উম্মুক্ত পথ সমূহে চলমান হও। তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।" - (সূরা নাহল :১৬:৬৮-৬৯ )
এছাড়াও গন্ধবিচার করবে মৌমাছি। এটি কোনো ফুল, ফল বা মধুর গন্ধ নয়। এরা চিনবে ক্যান্সারের প্রাথমিক ধাপের গন্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের পতঙ্গ গবেষকরা দাবি করেছেন, প্রয়োজনীয় ট্রেনিং দিলে মৌমাছিরা সহজেই ক্যান্সারের গন্ধ বিচার করতে পারবে। পর্তুগিজ গবেষক সুসানা সোয়ারেস এমন একটি কাচের যন্ত্র তৈরি করেছেন যার দুটি কুঠরি। ছোট কুঠরিতে রোগীর নিঃশ্বাস ও অন্য কুঠরিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মৌমাছিরা থাকবে। যদি মৌমাছিরা ক্যান্সার রোগীদের গন্ধযুক্ত নিঃশ্বাসের সঙ্গে আগে থেকে পরিচিত হয় তাহলে ছোট চেম্বারের দিকে উড়ে যাবে। আর নিঃশ্বাসের মধ্যে ক্যান্সারের গন্ধ না থাকলে মৌমাছিরা নিজেদের চেম্বারেই থেকে যাবে। মৌমাছির গন্ধ চেনার বিশেষ ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে এ পরীক্ষা করা হয়। মানুষ ক্যান্সারের পৃথক গন্ধকে চিনতে পারে না। তাই মৌমাছির সহায়তায় ক্যান্সার শনাক্ত করে যত দ্রুত ওই রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।
©somewhere in net ltd.