কল্পনার রাজ্যের রাজকন্যা

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮

আমি যার কথা লিখছি ওর নাম স্নিগ্ধতা,ভোরের স্নিগ্ধতার মতই সে কোমল ও পবিত্র।বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষে উঠে যখন প্রথম-দ্বিতীয় বর্ষে দেয়া ড্রপ কোর্স তুলতে তুলতে আমি ক্লান্ত ঠিক সেই সময়ের কোন এক বিকেলে তাঁর সাথে আমার প্রথম দেখা।সে তাঁর বন্ধুদের সাথে ক্লাস করে ডিপার্টমেন্ট থেকে ফিরছিল।কবি রবিঠাকু হলে লিখতাম,আমি উহাকে দেখিলাম এবং ধন্য হইলাম পাশপাশি প্রথমবারের মত বুকের বামপাশে মৃদু একটা ব্যাথার মত অনুভব করিলাম।তাঁকে দূর থেকে দেখি,কল্পনার রাজ্যে রাজপুত্র হয়ে তাঁকে উদ্ধার করি।ছাত্রী হলের পিচঢালা পথ ধরে যখন সে একলা চলে কতবার যে ভেবেছি তাঁর পথের সঙ্গী হব কিন্তু পারিনি অজানা এক ভয়ে। তাঁর সাথে দেখা হবার পরেই আমি বুঝেছি আমি কতটা ভীতু,ভালোবাসার মানুষের কাছে নাকি সবারেই এমন হয়।বেশ ভালোই যাচ্ছিলো দিনগুলো ,ক্লাস না থাকলেও ডিপার্টমেন্টে গিয়ে বসে থাকি একটু দেখার জন্য। যেদিন দেখা হয় সেদিন অ্যালেকজান্ডারের বিশ্ব জয়ের আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফিরি। যেদিন নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করে সিদ্ধান্ত নিলাম তাঁকে জানানোর ঠিক সেদিনেই তাঁকে অন্যএকজনের সাথে দেখি। আমার মনের আকাশ কালো মেঘে ভরে উঠে ,কালো মেঘের কালবৈশাখীতে তছনছ হয় আমার ভিতরটা।সাহিত্যে আছে ,মেয়েরা নাকি বুঝতে পারে কে তাঁকে ভালোবাসে।আমি হয়তো তাঁকে কখনোই বুঝতে দেইনি,তাঁর সাথে আমার কখনোই কথা হয়নি।বন্ধুরা যখন সবাই কাউকে খুঁজে নিয়েছে আর জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকায় তখন আমি তাঁকে ভেবে মনেরভিতর দীর্ঘশ্বাস ফেলি। তাঁকে নিয়ে এখনো আমি কল্পনায় হাতে হাত রেখে হেঁটে ক্যাম্পাসের চিরসবুজ এক কিলো পাড়ি দেই,শীতের সকালে টঙে বসে ধোঁয়া উঠা চা খেতে খেতে গল্প করি। সুখে থাকো কল্পনার রাজ্যের রাজকন্যা

৩ টি +১/-০