নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২ সেপ্টেম্বর ২০১০ | প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম | সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন | ছবিগুলো আমার তোলা। লেখাটা © Deutsche Welle তে প্রকাশিত
নৌকায় করে দূর যাত্রার গল্প নতুন নয়৷ সেই ক্রিস্টোফার কলম্বাস থেকে শুরু করে হালের কোরঁত্যাঁ দ্য শাতেলপেরঁ সবাই নৌকায় করেই পাড়ি দিয়েছেন হাজার হাজার মাইল৷ খটকা লাগছে নাতো! কলম্বাসকে তো চেনেন কিন্তু এই শাতেলপেরঁ আবার কে?
ফরাসি তরুণের পাটের নৌকা
কোরঁত্যাঁ দ্য শাতেলপেরঁ একজন ফরাসি প্রকৌশলী৷ সম্প্রতি সমুদ্র পথে বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্স পর্যন্ত নৌকায় ভ্রমণ করেছেন তিনি৷ তাও আবার যে সে নৌকা নয়, পাট আর কাচ দিয়ে তৈরি নৌকা৷ সাকুল্যে নৌকার দৈর্ঘ্য নয় মিটার৷ কোরঁত্যাঁ এজন্য সময় নিয়েছেন ১৮৩ দিন৷ কিন্তু কেন তাঁর এই নৌকা ভ্রমণ৷ কোরঁত্যাঁ'র কথায়, ‘‘বাংলাদেশের জন্য এমন একটা কাজ করতে পেরে আমি অনেক খুশি৷ আমি আবার বাংলাদেশে যাবো৷ এর উপরে আরো কাজ করতে৷ আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি"
কোকোর যাত্রা শুরু ১৬ ফেব্রুয়ারি
কোরঁত্যাঁ দ্য শাতেলপেরঁ ডাক নাম কোকো৷ তাঁর দীর্ঘ নৌযাত্রার শুরুটা হয় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি, কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত থেকে৷ পুরো সফরে তাঁর সঙ্গী শুধু নৌকাটাই৷ তবে মাঝখানে অল্প একটু বিপদসঙ্কুল পথ তিনি পাড়ি দিয়েছেন একটি জাহাজের সহায়তা নিয়ে৷ সেটি অবশ্য শুধুই জলদস্যুর আতঙ্কে৷ এছাড়া অবশ্য সমুদ্রের পাখি আর ডলফিনদের কিছুটা সঙ্গ পেয়েছেন তিনি৷
১৭ আগস্ট ফ্রান্সের লা সিওতায় পৌঁছে কোকোর নৌকা৷ গায়ে লাল-সবুজ গেঞ্জি চাপিয়ে নিজ দেশে পা রাখেন তিনি৷ কোন রকম পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই ছিল তাঁর এই রোমাঞ্চকর যাত্রা৷
শতভাগ জৈব উপকরণ দিয়ে জাহাজ
কোকোর যাত্রা শুরুটা এবং শেষটা দেখেছেন বাংলাদেশের মুনতাসির মামুন ইমরান৷ কোকোর সফর সম্পর্কে ডয়চে ভেলেকে তথ্য এবং আলোকচিত্র দিয়ে সহায়তা করেছেন তিনি৷ মুনতাসির মামুন এর কথায়, ‘‘কোকোর বয়স হচ্ছে ২৬ বছরের মতো৷ নৌকার নির্মাণশৈলী দেখে সে উদ্বুদ্ধ হয়৷ এরপর পাটের সঙ্গে এই নৌকাকে জুড়ে দেয়ার চিন্তা শুরু করে সে৷''
কোকোর ইচ্ছা বাংলাদেশের পাট নিয়ে গবেষণার৷ কেননা এই পাট দিয়ে জাহাজ তৈরি সম্ভব৷ প্রাথমিকভাবে যে নৌকাটি কোকো তৈরি করেছেন সেটিতে ৪০ শতাংশ পাটের আঁশ আর ৬০ শতাংশ কাচ রয়েছে৷ সেটিকে সাগরে ভাসিয়ে সফলতাও দেখিয়েছেন তিনি৷ তাই এবার শতভাগ জৈব উপকরণ দিয়েই জাহাজ বানাতে চান কোকো৷
কাচ নয় পাট
আসতে পারে পাটের আঁশকে নৌকা তৈরিতে বেছে নিলেন কেন কোকো? তাঁর কথায়, শন বা এ জাতীয় প্রাকৃতিক আঁশ নিয়ে ফ্রান্সে বহু গবেষণা হয়েছে৷ বাংলাদেশে গবেষণা করা হয়েছে পাটের আঁশ নিয়ে৷ তবে, নৌযান তৈরির ক্ষেত্রে পাট নিয়ে সরাসরি কোন সমীক্ষা হয়নি
কোকোর মতে, বাংলাদেশের মতো একটি দেশে আঁশ জাতীয় কাচ থেকে জাহাজ বানানো লাভজনক নয়৷ তাই, এর বিকল্প হতে পারে পাটের আঁশ৷ মোটের ওপর পাট দিয়ে তৈরি নৌকা সহজে ডোবারও ভয় নেই বলে জানান কোকো৷
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সোনালী আঁশ পাট৷ সাম্প্রতিক সময়ে পাটের জেনোম আবিষ্কার ছিল বাংলাদেশের অন্যতম বড় সাফল্য৷ সেই সাফল্যের সঙ্গে জাহাজ তৈরিকে জুড়ে দিলে বাণিজ্যিকভাবে অনেকটাই লাভবান হওয়া সম্ভব৷ সম্ভব এই খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো - বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷
view this link
০৭ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৪২
মুনতাসির বলেছেন: এখানে কিছু ছবি আছে।
https://flickr.com/photos/muntasir/albums/72157623252371657/with/4903881233
২| ০৭ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৩১
শায়মা বলেছেন: এই দুঃসাহসী মানুষগুলো মনে হয় বীর সিনবাদের বংশধর ছিলেন। যাইহোক এই মানুষটির কথা জেনে ভালো লাগলো!
৩| ০৭ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:১২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বিষয়টা জেনে ভাল লেগেছে।
৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৩২
জে.এস. সাব্বির বলেছেন:
৫| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৩৪
জে.এস. সাব্বির বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:১৩
ধুলো মেঘ বলেছেন: সুবহানাল্লাহ! অসাধাধারণ ইফোর্ট। কর্তাকে আমার অভিনন্দন ও একজন সামান্য বাংলাদেশী হিসেবে প্রাণঢালা শুভেচ্ছেয়া। নৌকাটার একটা ছবি দেখতে পারলে ভালো লাগতো।