নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শেরপা

দেখতে চাই ধরনী

মুনতাসির

আমি পাহাড়ে চড়ি,সাগরে ডুবি, পৃথিবী আমার প্রেম

মুনতাসির › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই আলাদা। সম্প্রতি, পশ্চিমবঙ্গের এক বন্ধুর সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তার সহজ উক্তি ছিল—“তো জাতির জনক নিয়ে আমাদের অন্তত মাথাব্যথা নেই। উনি মেসো , পিষো টাইপের।” তার কাছে এটা বড় কিছু নয়, বরং এমন একটি বিষয় যা নিয়ে ভাবার প্রয়োজন সে খুব একটা অনুভব করে না।

এই কথোপকথন থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশে এবং পশ্চিমবঙ্গে জাতির ধারণার মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। ভাষা, সাহিত্য আর সংস্কৃতি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা নিজেদের পরিচয় তৈরি করে। এই অঞ্চলের মানুষ জাতির জনক ধারণাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না।

ভাষা দিয়ে সংযোগ
বাংলা ভাষাই বাঙালিদের মধ্যে প্রাথমিক সংযোগের মাধ্যম। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের ভাষার ব্যবহার ভিন্ন হতে পারে, তবে এই ভাষার প্রতি দুই দেশের মানুষের ভালোবাসা অটুট। তবে, প্রশ্ন থাকে—এই ভাষা কি সব বাঙালির ঐক্যের ভিত্তি হতে পারে?

সাংস্কৃতি দিয়ে ঐক্য
বাঙালিদের মধ্যে সাংস্কৃতিক সংযোগ শক্তিশালী। বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ এবং পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো বাঙালিদের আলাদা আলাদা ঐতিহ্য তুলে ধরে। যদিও উৎসব আলাদা, তবু ঐতিহ্যের মধ্যে একটি গভীর সংযোগ রয়েছে। কিন্তু এই সংযোগ কি একটা বড় জাতীয় ঐক্য তৈরি করতে পারবে?

রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক ভিন্নতা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং ভাষা আন্দোলন জাতীয় চেতনার মূল ভিত্তি। পশ্চিমবঙ্গে এই সংগ্রামগুলোর গুরুত্ব তেমন নয়, কারণ তারা ভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছে। এ কারণে, রাজনৈতিক পরিচয়ের ক্ষেত্রে দুই বাংলার বাঙালির মধ্যে পার্থক্য রয়ে গেছে।

জাতির জনক নিয়ে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি
যেখানে বাংলাদেশের বাঙালিরা একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সম্মান করে, পশ্চিমবঙ্গ এবং আসামের বাঙালিরা তাদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির মধ্যে নিজেদের পরিচয় খুঁজে পায়। তাই, একটি প্রশ্ন থেকেই যায়—একজন জাতির জনক সব বাঙালির জন্য প্রাসঙ্গিক হতে পারে কি?

সর্বজনীন বাঙালি জাতীয়তাবাদের সম্ভাবনা
শেষমেশ প্রশ্নটি থেকেই যায়—বাঙালি জাতির ঐক্যের ধারণা কি বাস্তবায়নযোগ্য? নাকি এটি কেবলমাত্র আমাদের কল্পনার মধ্যে সীমাবদ্ধ?

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

খন জাতির জনক হচ্ছে আবু সাইদ অথবা ইউনুছ।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৬

আহরণ বলেছেন: এত প্যাচঘোচ কী দরকার। যে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ দুর্নীতিবাজ, দাঙ্গাবাজ, ঘুষখোর অসৎ, চোর, ধাপ্পাবাজ...... সেই দেশের জাতির পিতা রাজাকার গো-আজম হলেও সমস্যা কী??

০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০৮

মুনতাসির বলেছেন: এখানে সমস্যা হল জাতি আর দেশ তো এক নয়। জাতি বললে পুরো বাঙ্গালি জাতিকে বলতে হবে। যদি তা বলা হয় তবে একতা বড়ো অংশ ভিন্ন মত পোষণ করছেন বা করতে পারছেন।

উনিফিকাসন এর ব্যাপারটা আসছে না। জাতি তত্ত্বে জনক প্রশ্ন অমিমাশিত থেকে যাচ্ছে।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ৫৩ বছর পার হয়ে গেল তবুও জাতির পিতা সমস্যা সমাধান হইলো না।

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪

নীল বিদ্রোহ বলেছেন: কোন দেশের জাতির পিতা থাকা কি খুব জরুরী!

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫

নতুন বলেছেন: বাঙালি জাতির জনক কে

৪০০০ বছর পুরোন জাতির জনক ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ স্বাধীনের ভুমিকার জন্য নিবার্চত হলে সেটা কতটুকু যৌক্তিক?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভুমিকা বাংলাদেশ স্বাধিনতার অনস্বীকর্য। উনার ৭ মার্চের ভাষন শুনলে এখনো যে কোন বাঙ্গালী উজ্জেবিত হবে।

আয়ামীলীগ চেতনা বিক্রি না করলে উনার ভুমিকা নিয়ে বাংলাদেশীদের মনে কোন দিনই তার সন্মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতো না।

০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৬

মুনতাসির বলেছেন: আমরা যদি বৃহত্তর পরিমণ্ডলে দেখি, যেমন জাতি আর রাষ্ট্র এক সত্তা নয়। জাতি বললে সেটা অনেক বেশি বড়ো হইয়ে যায় যেখানে ভারতের বাঙ্গালিরাও যুক্ত হয়ে পরে। সমস্যা টা সেখানে।

৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২

এ আর ১৫ বলেছেন: নতুন বলেছেন: বাঙালি জাতির জনক কে
৪০০০ বছর পুরোন জাতির জনক ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ স্বাধীনের ভুমিকার জন্য নিবার্চত হলে সেটা কতটুকু যৌক্তিক?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভুমিকা বাংলাদেশ স্বাধিনতার অনস্বীকর্য। উনার ৭ মার্চের ভাষন শুনলে এখনো যে কোন বাঙ্গালী উজ্জেবিত হবে।
আয়ামীলীগ চেতনা বিক্রি না করলে উনার ভুমিকা নিয়ে বাংলাদেশীদের মনে কোন দিনই তার সন্মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতো না


--------- ভুতের মুখে রাম নাম , অন্তরে আপনি যে রাজাকার সেটার প্রমাণ আমরা পেয়েছি , বাহিরে প্রগতিশীলতার ভেক ধরে আছেন।
কোটা আন্দোলনের সম্মনয়করা যেমন প্রগতিশীলতার ভেক ধরেছিল কিন্তু তারা ছিল শিবির / হেজবুল তেহেরি , আপনি ও ঠিক তাই । আপনাদের মত ভেকধারিদের মুখোশ খোলা জরুরি । কোটা আন্দোলনের পক্ষে ছিল যে সব প্রগতিশীল , তারা ব্যপারটা বুঝতে পেরে অবস্থান পরিবর্তন করেছে , এমন কি বিএনপি পর্যন্ত কথার সুর পাল্টিয়ে ফেলেছে কিন্তু এই ফোরামে আপনি ছাড়া । আপনার কাছে থেকে বঙ্গবন্ধুর কোন সার্টিফিকেট আমরা চাই না ।

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮

নতুন বলেছেন: এ আর ১৫ বলেছেন: --------- ভুতের মুখে রাম নাম , অন্তরে আপনি যে রাজাকার সেটার প্রমাণ আমরা পেয়েছি , বাহিরে প্রগতিশীলতার ভেক ধরে আছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সন্মান জানালেই শেখ হাসিনাকে সাইকোপ্যাথ বলা যাবেনা এমনটা কোন বাইবেলে লেখা নাই।

আয়ামীধর্ম পালন করে যারা শেখ হাসিনা তাদের কাছে পীর হতে পারে। কিন্তু ২০২৪ এর হত্যার জন্য শেখ হাসিনার দায় অস্বীকার কোন মানুষ করতে পারেনা।

আফসোস লীগের মিথ্যাচার সমর্থন না করলেই শিবির /হেজবুল তেহেরি B-))

৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৪

এ আর ১৫ বলেছেন: @ নতুন

কিন্তু ২০২৪ এর হত্যার জন্য শেখ হাসিনার দায় অস্বীকার কোন মানুষ করতে পারেনা।


এই জন্যেই তো বলি অনন্তের রাজাকার , যারা প্রগতিশীল এবং কোটা আন্দোলনের পক্ষে ছিল,, তারা বুঝহে গেছে , যে হত্যাকান্ড শিবির হিজবুল তাহেরির ক্যাডার স্নাইপাররা ঘটিয়েছিল এবং সব দোষ পড়েছিল সরকারের উপরে যার কারনে এডভোকেট জেড আই খান পান্না সহ মুফফাসিল ইসলাম --- এরা ইউনুস সরকারে বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করেছে , গোলাম মাওলা রনি এবং বিএনপি কথার সুর পাল্টিয়ে ফেলেছে । আপনি যে অনন্তরে রাজাকার তাই -- আপনার সুর পাল্টাবে না ।

৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১০

নতুন বলেছেন: কিন্তু ২০২৪ এর হত্যার জন্য শেখ হাসিনার দায় অস্বীকার কোন মানুষ করতে পারেনা।


ভাই আপনি মানুষ না হইয়া আয়ামীলীগ হইতেই পারেন।

আয়ামীলীগ কি করতে পারে সেটা সবাই জানে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.