নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শেরপা

দেখতে চাই ধরনী

মুনতাসির

আমি পাহাড়ে চড়ি,সাগরে ডুবি, পৃথিবী আমার প্রেম

মুনতাসির › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়েনভেনিদো, আর্জেন্টিনা

১৬ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৫০



আমার আর্জেন্টিনায় আসার স্বপ্ন পূরণ হতে অনেক সময় লেগে গেল। আসলে, অনেক আগেই চেষ্টা করেছিলাম — ২০০৮ সালে, যখন আমি চাকরি ছেড়ে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছিলাম। ব্রাজিল ছিল সেই সময়ের গন্তব্যগুলোর একটি, আর সেখান থেকে আর্জেন্টিনায় যাওয়ার ইচ্ছা ছিল, কারণ দেশ দুটি কাছাকাছি। কিন্তু তখন পারিনি। ভিসা পাইনি।

এরপর অনেক বছর কেটে গেল, জীবন এগিয়ে গেল, আর সেই স্বপ্নও থেকে গেল অপূর্ণ। অবশেষে, এতদিন পর আমি আর্জেন্টিনায়!

আমার প্রথম দিনটা ছিল কৌতূহল, উত্তেজনা আর কিছুটা শঙ্কার মিশেলে। ঢাকার বিমানবন্দরে আমার যাত্রা শুরুটা সহজ ছিল না — কাস্টমস কর্মকর্তারা আমার ভিসা পরীক্ষা করতে করতেই ৪০ মিনিট পার করে দিলেন! সে গল্প পরে বলব।

আমি যখন বুয়েনোস আইরেসের এজেইজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলাম, তখনো খানিকটা দুশ্চিন্তা কাজ করছিল। যদিও আমি নিজেকে অভিজ্ঞ পর্যটক বলতে পারি, তবু প্রতিবার নতুন দেশে নামলে এক ধরনের অস্বস্তি কাজ করে।

আমার প্রথম দিনটা ছিল কৌতূহল, উত্তেজনা আর কিছুটা শঙ্কার মিশেলে। ঢাকার বিমানবন্দরে আমার যাত্রা শুরুটা সহজ ছিল না — কাস্টমস কর্মকর্তারা আমার ভিসা পরীক্ষা করতে করতেই ৪০ মিনিট পার করে দিলেন! সে গল্প পরে বলব।

আমি যখন বুয়েনোস আইরেসের এজেইজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলাম, তখনো খানিকটা দুশ্চিন্তা কাজ করছিল। যদিও আমি নিজেকে অভিজ্ঞ পর্যটক বলতে পারি, তবু প্রতিবার নতুন দেশে নামলে এক ধরনের অস্বস্তি কাজ করে।

এইবার, তবে, কিছুই হলো না। দশ মিনিট পর অফিসার ফিরে এলেন, কম্পিউটারে কয়েকটি তথ্য টাইপ করলেন, তারপর হাসিমুখে বললেন — “ওয়েলকাম টু আর্জেন্টিনা!” ব্যস!

বিদায় নেওয়ার আগে আমি একটা ছোট অনুরোধ করলাম — “পাসপোর্টে একটা স্ট্যাম্প দিতে পারবেন?”

অনেক দেশ এখন ডিজিটাল সিস্টেমের কারণে পাসপোর্টে স্ট্যাম্প দেয় না। কিন্তু আমার কাছে এগুলো একেকটা স্মৃতি, একেকটা গল্প। অফিসার হাসলেন, অন্য একটা বুথে গেলেন, তারপর ফিরে এসে পাসপোর্টে একখানা স্ট্যাম্প বসিয়ে দিলেন।

বিয়েনভেনিদো, বুয়েনোস আইরেস!



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৪০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনি চাকুরী ছেড়ে ভ্রমণ করতেছেন তাও বিশ্ব ভ্রমণ
কিন্তু টাকার যোগান দেয় কে ভাইয়া?

দারুন ভ্রমণ পর্ব ইংশাআল্লহ উপভোগ করবো ... এমন ছোট ছোট পর্বে দিয়েন কিন্তু

১৬ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫

মুনতাসির বলেছেন: টাকা আসলে নিজেকে জোগাড় বা কামাতে হয়। সেটা যে শুদু চাকরির মাধ্যমে সম্ভব তা কিন্তু নয়। এখানে ইম্পরট্যান্ট হল আপনি কোন কাজ কে প্রাধান্য দিবেন। সেটা ঠিক করতে পারলে হইত অনেক কিছুই করা সম্ভব। কঠিন তবে অসম্ভব নয়। কাজ ধরা আর ছেড়ে দেয়ার বিস্তর অভিজ্ঞতা আমার :) তাই সময় লাগে একটা ভ্রমণ থেকে আরেকটা তে যাওয়া।

ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:৩৯

জনারণ্যে একজন বলেছেন: @ মুনতাসির, একটু তাড়াহুড়া করে লিখেছেন মনে হলো? তারপরেও ভালো লেগেছে পড়তে, এত চমৎকার আপনার লেখার হাত!

আপনি চাকরি ছেড়ে ভ্রমণে বের হয়েছেন, এটা জেনে খুব বেশি বিস্মিত হইনি। কেন যেন এটা অনুমেয়ই ছিল। আপনি পেরেছেন, আর আমি শত চেষ্টাতেও পারিনি। সবাইকে দিয়ে সবকিছু হয়না, সবাই সবকিছু পারেনা।

ঘোড়ার কাজ যেমন গাধাকে দিয়ে করানো যায়না।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার লেখার হাত চমৎকার, কিন্তু এখানে ভ্রমণ-বৃত্তান্ত কোথায়? এটি তো শুধুই এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর গল্প!

এছাড়া, আপনার এই সংক্ষিপ্ত পোস্টে ততধিক সংক্ষিপ্ত দুটি প্যারাগ্রাফ (৩ এবং ৪ নম্বর) দুইবার এসেছে। আশা করি, এটি ঠিক করে দেবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.