মুক্তি অথবা মৃত্যু

২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:২০

আমাদের কোন ভূমি নেই আজ।

আমাদের নেই কোন নেই আশ্রয়

এবং নিরাপত্তার জন্য এমন কোন অস্ত্র নেই

যা আমাদের স্বাধীনতা

বিশ্বাস

ধর্মাধর্ম

সংস্কৃতি-কৃষ্টি বাঁচাতে পারে।

আমি এবং আমরা এমনই অরক্ষিত এবং অসঙ্গত

স্বাধীনতার পতাকা উড়িয়ে চলেছি বহুকাল।



আমাদের মিত্র নেই-বৈরী চতুর্দিকে

আমাদের মাঝে নেই সমঝোতা-ঐক্য যা দিয়ে

দুর্ভেদ্য নিরাপত্তার দেয়াল রচনা করতে পারি।

ঠামাদের জাতিসংঘ নেই, নেই কোন লীগ

আমাদের পক্ষে এখন একটি মানচিত্রও নেই।



আমরা এমন এক জাহাজে চেপে দূর যাত্রা করচি

যার নেই কোন দক্ষ নাবিক

আমাদের মাঝে আত্মপ্রত্যয় এবং সুকীর্তি নেই

ঠামরা এখন সম্পূর্ণ উদ্ভাস্তু

ঊলা যায় শক্তিহীন পরমুখাপেক্ষী পরজীবি

এই যখন অবস্থা, আমরা তকন যুদ্বের সাইরেন বেজে উঠতে শুনছি

চারদিকে শানানো অস্ত্র তাক করা আমাদের দিকে

আর শাসানো হচ্ছে-আমরাই নিরাপত্তা,শান্তি বিঘœকারী!!

আমাদের দিকে ছুটে আসছে বি-৫২,স্টিরথ,মিরেজ,জাগুয়ার নামের

ভয়ংকর যুদ্ব বিমান টন টন বোমা নিয়ে।



আমাদের জমিতে জোর করে ছলে বলে কৌশলে

জেঁকে বসছে রণ প্রস্তুতি নিয়ে তারা-যারা মুখে উচ্চারন করে

শান্তি-শান্তি-শান্তি

আমরা এখন কী করতে পারি?

আমাদের সামনে অস্তিত্বের সংকট ঘড়ির পেন্ডুলামের মতো

দুলছে অবিরত ...............



কেউ কেউ এই অবস্থা থেকে গাঁ বাঁচাতে

‘সন্ধি-সন্ধি বলে গলা ফাটাচ্ছে

কেউবা বোকার মতো হুংকার ছুঁড়ছে রণ দামামার

প্রকৃতপক্ষে আমাদের এখন কী করার আছে??

প্রশ্নটি আপাত নিরর্থক . . . . . . . . . . .



আাজ তাই এমন সময়ে আমরা উপস্থিত এটাকে ক্রান্তিকাল বলে

উৎক্রান্তি পেতে আমাদের কোন পথে যেতে হবে??

যাওয়া উচিত?? প্রশ্নটি তাদের তাড়ায় তাদের জন্য-

মূলত আমাদের মিত্র নেই কেউ-এ লড়াইয়ে মিত্রশক্তি নেই

নিজের বিশ্বাসকে শাণিত করার এইতো সুযোগ, এইতো সময়

নিজেদের মধ্যে ঐক্যের তাঁবু গড়ে তোলার মোক্ষম সময়

আর পরস্পর গড়ে তোলো দেশের প্রতি কিছু দেবার মতো সুযোগ

ডবপ্লবের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করো, যতোটা পারো নিজেকে সাজাও বিপ্লবের জন্য।



মৃত্যুকে আহবান করো-বিজয়ের পতাকা ছিনিয়ে নিতে,

দীক্ষিত হও বিপ্লবের মহান আদর্শে-

বলো- মুক্তি অথবা মৃত্যু।।

০ টি +০/-০