![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে টুকরো কোরে,টুকরো টুকরো কোরে যদি ফেলে রাখো এই রাজকীয় রাজপথে, আইনের লাল গৃহগুলো খোঁজও নেবে না।
শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস আমাদের জাতীয় জীবনের বড় সম্যাগুলোর অন্যতম। এ সমস্যা জাতির প্রাণ শক্তিকে কুরে কুরে খাচ্ছে। সন্ত্রাসের ফলে শিক্ষাঙ্গনে মুহূর্তের মধ্যে তৈরী হয় প্রতিদ্বন্ধী গ্রুপের রণক্ষেত্র। ফলে শিক্ষার পরিবেশ হয় বিনষ্ট।জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয় অনির্ধারিত ছুটি ঘোষনা করতে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে দেশরে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমাহীন সেশনজট, চার বছরের শিক্ষাজীবন যেনতেন ভাবেই শেষ হয় আট বছরে।ছাত্রবস্থাতেই অতিক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে সরকারী চাকুরীর বয়সসীমা।সন্ত্রাসী গ্রুপের দৌরাত্মে নিরীহ ছাত্র সমাজ হয়ে পড়ছে তাদের ইচ্ছার ওপর জিম্মী। স্বাধীনতার পরে তাই খালি হয়েছে কয়েকশ মায়ের বুক।সন্তান বুক ভরা আশা নিয়ে শিক্ষাংগনে ঢুকেছে, আর ফিরে গেছে মা বাবার কাছে রাশ হয়ে কাফন পরে।শত শত তাজা প্রাণ হারিয়েছে বিভিন্ন অংগ-প্রত্যংগ।এ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক সবাই। তাই শুধু বিত্তশালী নয় মধ্যবিত্তরা পর্যন্ত সন্তানের ভবিষ্যত জীবনের প্রতি শংকিত হয়ে লেখা পড়ার জন্য বিদেশে পাঠাচ্ছে।
হানাহানি, হত্যাকান্ড, অংগ-প্রত্যংগ ছেদন প্রভৃতির সাথে যুক্ত হয়েছে সন্ত্রাসের নতুন মাত্রা, তাহলো জাতীয় সম্পদের ক্ষতি সাধন।দরিদ্র দেশে বহু কষ্টে সংগৃহীত দ্রব্যাদি, অফিস-আসবাব, পরিবহন ব্যাবস্থা ইত্যাদি ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ। সন্ত্রাসীদের কবলে পড়ে নিগৃহীত হচ্ছেন শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, ব্যাবসায়ী, ঠিকাদার ও সরবরাহকারী মহল। উন্নয়নের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার হয়ে হড়েছে দুষ্কর।টেন্ডার প্রদানে বাঁধা সৃষ্টি, অর্থ প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে প্রাণ নাশের হুমকি, প্রাশাসনিক অযাচিত হস্তক্ষেপ ইত্যাদি কার্যাবলী উন্নয়ন কার্যক্রমে বাঁধা সৃষ্টি করে চলছে।শিক্ষাঙ্গনকে "মানুষ গড়ার আঙ্গনিা" বলা হয়ে থাকে, তা াাজ পরিনত হয়ে পড়েছে "ডাকাতদের গ্রাম"-এ্ জাতির জন্য এর চেয়ে বড় দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে?
গভীরভাবে চিন্তা ও পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের প্রধান কারন হলো অশুভ রাজনীতি।দুনিয়ার পাওনা খুব তাড়াতাড়ি বুঝে নেবার জন্য অনেকেই রাজনীতিকে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে বেছে নেন। ছাত্র সমাজকে সন্ত্রাসের আখড়ায পরিনত করছে রাজনীতির অশুভ খেলা, বিশেষ করে যে সকর রাজনৈতিক দলের তেমন কোন আদর্শ নাই, জাতিকে দেবার মতো কোন প্রোগ্রাম নাই সেসব অন্তঃসারশূণ্য দরের উচ্চবভলাসী অথচ আদর্শহীন নেতারা কোমলমতি ছাত্রদেরকে দাবার ঘুটি হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন।ছাত্রদের পিঠে পা রেখে তারা ক্ষমতার সোপানে আরোহন করতে চান্তারা ছাত্র সমাজকে তাদের নোংরা রাজনীতির দলীয এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন।এমন সব দল ও তাদের নেতৃবৃন্দ আমাদের শিক্ষাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এসব অন্তঃসারশূণ্য দল তাদের অস্তিত্ব প্রকাশের একমাত্র উপায় দলীয় অংগ সংগঠন ছাত্র সংগঠনকে শ্লোগান, মিছিল ও সন্ত্রাসী তৎপরতার মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্বকে জিইয়ে রাখে।এ উদ্দেশ্য তারা ছাত্র যুব সমাজের হাতে তুলে দেয় অস্ত্র, এর ফলে পরিনতি যা হওয়ার তাই হয়-সারা দেশে আজ তারা বেপরোয়া।
শিক্ষাঙ্গনের এরূপ সন্ত্রাস জাতির কাম্য নয়, এর দ্রুত অবসান দরকার।শুধু াাখের গোছানো নয় বরং দেমের সত্যিকার মংগলের জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও তাদের নেতৃবৃন্দকে নিবেদিত হতে হব। এর পাশাপাশি আমাদের ছাত্র সমাজকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিতে হবে যে াামরা সন্ত্রাসের পক্ষে নয় জাতির পক্ষে ব্যবহৃত হবো্
আসুন, সন্ত্রাস প্রতিরোধে আমরা ছাত্র সমাজ জেগে উঠি।
০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪১
জ্ঞান িপপাসু মুনতািসর বলেছেন: ভালো বলছেন................
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪
চড়ুই বলেছেন: "সন্তাস মুক্ত শিক্ষাঙ্গন ও ছাত্রসমাজ চাই" এমন জিনিষ ক্যান চান ভাই যেটা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া সম্ভব না।