![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেসবুকে আমাদের এক গুরুদেবতুল্য ব্যক্তি ট্যাগে ট্যাগে অস্থির হয়ে নিষ্কৃতি চেয়েছেন। না হলে ফেসবুক ত্যাগ করবেন বলে আর্তনাদ করেছেন। তাকে বলেছি, ফেসবুক ত্যাগ করবেন না। চোরের ওপর রাগ করে মাটিতে ভাত খাওয়ার পেছনে যুক্তি থাকতে পারে। তবে ‘ট্যাগানোদের’ বাল-সুলভ অত্যাচারে ফেসবুক ত্যাগের কোনো মানে থাকতে পারে না। বরং প্রথমেই ‘মুক্তকণ্ঠে’ ট্যাগানোদের ভাগান। নো মার্সি। ধরুন আর ঝেঁটিয়ে বিদায়। তিনি কতজনকে বিদায় করেছেন জানি না। আনন্দের কথা হলো, এখন ত্যাগ করেন নি ফেসবুক ।
সত্যি, বিনা কারণে ‘ট্যাগ’ মেরে দেয়া এক এক জনের ক্ষেত্রে বিকৃতির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ফেসবুকে মানদণ্ডে ‘হাঁচি’ বা ‘কাশি’র মতো নেহাৎ ‘প্রাকৃতিক’ কর্মগুলোকেও তারা ‘অতীব জনগুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে গণ্য করেন। এবং সাথে সাথেই ‘ট্যাগ’ মেরে দেন। মাবাপের চোখে নিজ সন্তান সবসময়ই সেরা। এমন যুক্তিতে, নিজ প্রসব করা সব পোস্টই তাদের কাছে শীর্ষ গুরুত্ববহ হতেই পারে। অপত্য স্নেহের ঘোরে যদি কাণ্ডজ্ঞান মাটি চাপা পড়ে বা নিখোঁজ হয়ে যায় তবেই গাঞ্জাম বাধে।
ফলে ফেসবুকে পা দিয়ে পড়তে হয় আতংকে। এ সব কিরে বাজান! ট্যাগানোর কোলাহলে নজর ফেলা দায়। ফলে সত্যিকার গুরুত্ব বা অর্থপূর্ণ পোস্ট এতে চোখ এড়িয়ে যায়। ক্ষতি হয় নিজের।
তাই এ সব ট্যগানোকে কি করে বাগানোর কথা ভাবতে যেয়ে বাঘেও হয়ত ভয় পায়। বা ভাবনা করে ‘পাবনা’ গেলেও বাগে আনার শেষ খেয়া পাওয়া যায় না। বরং জীবনের অন্তিত চিকিৎসা হিসেবে হয়ত ‘অপারেশন ভাগানোর’ পথই ধরতে হয়।
‘লাফ ফাল ফালতু’ সেক্টরের ‘ট্যাগবীরোত্তম’ ভাই বা বোনেরা ইহাতে আপনারা মাইন্ড ‘খাইয়েন না!’
©somewhere in net ltd.