নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য প্রকাশ করুন, অশ্লীলতা বর্জন করুন!

পঙ্খিরাজে চাদেঁর দেশে

ফয়জুল আলম বেলাল

সত্য পথে জোর কদমে মিথ্যা পায়ে দলে জ‌ীবন চালাই প্রভূর দেয়া বিধান মতে চলে।

ফয়জুল আলম বেলাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন নদীর নাইয়া

১৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৮:৩২





ছড়া কবিতার খাতার ফাঁকে ফাঁকে দু’একটি সঙ্গিত রচনা করি। ছড়া কবিতার গ্রন্থ প্রকাশিত হলেও সঙ্গিতের কোন গ্রন্থ প্রকাশ হয়নি। ফলে লেখাগুলো প্রায় অগোচরে অস্থিত্ব হারানোর উপক্রম। এজন্য আমার অক্ষমতাই দায়ী। কারণ সঙ্গিতের ব্যাপারে যতটুকু জানা বা সাধনা প্রয়োজন, আমার তা নেই। তাই বলে নিজের সৃষ্টিকে তো আর অবজ্ঞা করা যায় না। যেভাবে কোন সন্তান কোনভাবে প্রতিবন্ধি হলেও তার প্রতি মাতাপিতার ভালোবাসার কোন তারতম্য হয় না। তেমনি প্রত্যেক লেখকের নিজের সব প্রকার লেখার প্রতি রয়েছে অকৃত্রিম দরদ। এই মমত্ববোধ থেকে আমার নতুন পুরনো সব খাতার পাতা ঘেটে এই পান্ডুলিপি তৈরী করি।

আমি ধন্যবাদ জানাই মো: শফিক মিয়া কে, (যাকে নানা ডাকি) যিনি আমার ছড়া কবিতা পড়ে বলতেন তুমি গান লেখতে পারবে! তখন ভাবতাম ছড়া-কবিতা-লেখা আর গান লেখা এক বিষয় নয়। কিন্তু তিনির কথায়ও আস্বত্ব হতাম। কারণ তিনি বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের সান্নিধ্যে প্রায় থাকতেন। তিনি নিজেও বাউল গানের আসরে আমার আব্বার সাথে অংশগ্রহণ করতেন। তাদের একটি গ্রাম্য বাউল গানের দল ছিল। এসব আমার শৈশবের কথা। কৌশরে আর দেখিনি। মাঝে মাঝে মনে হত হয়তো তিনি দেখেছেন কিভাবে বাউল সম্রাট গান লেখেন। আমার লেখায় তা তিনি দেখতে পাচ্ছেন! ১৯৯৭ সালে তিনি স্থায়ীভাবে বৃটেন চলে আসেন, আর কেউ এভাবে বলে নি। তুমি গান লেখতে পারবে, এ বাক্যটি বারবার মনে হত! ১৯৯৯ সালে অনেক চেষ্টা করে কয়েকটি গান লেখে তাঁকে পোষ্টে পাঠাই। এভাবে সঙ্গিত লেখা শুরু করি।

২০০০ সালে সিলেট ল কলেজে অধ্যয়ন কালে সহপাঠী নজমুল হোসেন অত্যন্ত আবেগ দিয়ে আমার রচিত গান পরিবেশন করত। সে বলত তুমি নতুন গান লেখো দো¯ত, আমি গাইব। সে বিভিন্ন সময় এসব গান পরিবেশন করে শুনাত। এমন কি ২০০১ সালে আমি ইংল্যান্ড আসার সময় একটি ক্যাসেট রেকর্ড করে দেয়। অবশ্যি তাকে সহযোগিতা করেছে সাঈম চৌধুরী, জুবের সোহেল, আজমল খাঁন, আরিফ তালুকদার প্রমুখ। এছাড়া কন্ঠশিল্পী এফ রহমান ফারুক মাঝে মাঝে জিন্দাবাজারের তিন তারা বিপনীর আমার রুমে এসব গান গাইত। তাদের অনুপ্রেরণায় আমার এই গ্রন্থ প্রকাশিত হল।





স্রষ্টার প্রতি আরাধনায় দূর হয় অন্তরের যত দু:খ ক্লান্তি!

সব চাওয়া পাওয়ার এই স্থান, হৃদয় ভরে যায় শুধু শান্তি।





দয়াল বন্ধু

দয়াল বন্ধু বিনে কেহ নাই জগত সংসারে,

কর্ম দোষে হইলাম দোষী ক্ষমা কর আমারে

দয়াল নামের মালা গেঁথে দিবস যামী জপি,

জীবন যৌবন সবি দিলাম তোমার নামে সপি।

এখন যদি না পাও ভালো বাচঁব নিয়ে কাহারে

ধনের দাবী নাইগো দয়াল প্রেমের দাবী করি,

তোমার দয়া পাইলে আমার ভাসবে সুখের তরী।

জীবন খানি সাজিয়ে দাও তোমার রঙ্গের বাহারে

তোমার প্রেমে পাগল হইল কত ফকির আউলিয়া,

বেলাল তোমার দয়ার আশায় আজো রইল বসিয়া।

শেষ বিচারের দিনে তুমি বান্ধিওনা তাহারে

১০/১০/২০০০ জিন্দাবাজার, সিলেট।



বিপদে আল্লাহ মেহেরবান

বিপদে আল্লাহ মেহেরবান পাক কালামে বয়ান,

নবী রাসুল খোদার প্রেমিক পেয়েছেন প্রমাণ

ইউনুস নবী ডাকেন যখন মাছের ভিতর বসিয়া,

দয়াল মাবুদ রক্ষা করেন ক্ষমা তাঁকে করিয়া।

মাছের ভিতর থেকে তিনি নতুন জীবন ফিরে পান

অগ্নিকুন্ডে ইব্রাহিমকে নমরুদে দেয় ফেলিয়া,

আগুন হল এমন শীতল পশম না যায় জ্বলিয়া।

মছিবতে উদ্ধার করতে জীব্রাঈলকে পাঠান

আজো মজলুম ডাকে যখন বিপদে পড়িয়া,

দয়াল মাবুদ আসেন কাছে ফরিয়াদ শুনিয়া।

পরবাসী বেলাল বলে বান্দাকে তাঁর তরান

২৫/০৬/২০০১ ফরেষ্ট গেইট, লন্ডন।



ভব সাগর পাড়ি

দয়াল আমি কেমনে দেব ভব সাগর পাড়ি,

পরবাসে আইলাম চলে মাতা পিতা ছাড়ি

যারা ছিল সঙ্গের সাথী তারা আমার দূরে অতি,

চোখের সামনে অমানিশা ভাবনা দিবস রাতি!

আশা তবু মনের মাঝে পাইব দয়া তোমারী

রহমান রহিম নামে তোমার কতই মধু আছে,

সংকটে পড়িয়া কান্দি আমি তোমার কাছে।

তুমি ছাড়া কে আর নিবে আমায় উদ্ধার করি

কতই আশা সাধ মিটেনা আমার অন্তরে,

দয়াল নামটি রাখব লেখে পাথর খোদাই করে।

বেলাল তোমার পাক দরবারে দয়ার ভিখারী

০২/০৮/২০০১ ফরেষ্ট গেইট, লন্ডন।



অভাগীর বাসরে

একবার আও অভাগীর বাসরে,

সাধের জীবন সপে দিব পাইলে আমি তোমারে

আইতে যদি চাওগো বন্ধু কে করিবে মানা,

রহমান তুমি দয়ার সাগর সবার আছে জানা।

নামের গুণে কতজনে রেহাই পাবে হাশরে

তুমি যদি না দাও দেখা কে পারে দেখিতে,

ইহজনম থাকব তোমায় দেখার আশাতে।

কাঙ্গাল সেজে দেশ বিদেশে খুঁজি শুধু তোমারে

কি ধন আছে রাখতে পারি বন্ধু তোমার মন,

এই বেলালের বৃথা গেল সারাটি জীবন।

আপন জেনে কাছে টেনে দেখা দিও অধমরে

২২/০৯/২০০১ ফরেষ্ট গেইট, লন্ডন।



ও মন চিনলায় না

ও মন চিনলায় না আপন,

সময় থাকতে না ধরিলায় প্রাণ বন্ধুর চরণ

কোন ঘাটে ভিড়াইবায় তরী তোমার অবুজ মন,

নায়ের মাঝে তুলে নিও কান্ডারী সুজন

বৈটা ধরো আল্লাহ রাসুল করিয়া স্বরণ,

সঙ্গে লইও মাতাপিতা সকল গুরুজন

না খামাইলায় ধন তুমি না খামাইলায় জন,

সবাই জিকায় কি কারণে আইলায় এই লন্ডন

বেলাল বলে চাইনা আমি এই সংসারী ধন,

সব জ্বালাতন যাইব পাইলে বন্ধুর দরিশন

১২/০৬/২০০৪ ফরেষ্ট গেইট, লন্ডন।



ও দ্বীন বন্ধু

ও দ্বীন বন্ধু এই ভব সিন্ধু আমি কেমনে দেব পাড়ি,

আমার ভাঙ্গা তরী নাই সুজন কান্ডারী একেলা হাল ধরি

তুমি যদি থাকো সাথী ধরব পাড়ি আন্ধাইর রাতি,

জ্বলবে সদা চান্দের বাতি আমার বসত বাড়ি

এই জগতে তুমি ছাড়া সঙ্গের সাথী ছিল যারা,

ঘোর বিপদের দিনে তারা আমায় গেল ছাড়ি

বেলাল তোমার পন্থ পাশে আজো রইল আশার আশে,

কান্দে এখন দূর বিদেশে কাঙ্গাল সেজে তোমারী

০৪/০৭/২০০৪ ফরেষ্ট গেইট, লন্ডন।



অকুলে ডুবাইওনা

অকুলে ডুবাইওনা মোর তরী ওগো কান্ডারী,

পাক কালামে বলিয়াছ তুমি রহমতের ভান্ডারী

সাত সমুদ্র তের নদী দিলাম আমি পাড়ি,

তুমি ছাড়া কে আমাকে রাখবে রক্ষা করি

মাতাপিতা বন্ধু স্বজন আইলাম সবাই ছাড়ি,

কে ধরবে হাল তুমি বিনে আমার ভাঙ্গা তরী

সব সময়ে সওয়াল করি কুদরতের পা ধরি,

তোমার দুয়ারের ফকির আমি নিও উদ্ধার করি

বেলাল বলে ভোগ বিলাসের চাইনা এই সংসারী,

তোমার দয়া পেলে আমার ভাসবে সুখের তরী

২২/০৪/২০০৫ ফরেষ্ট গেইট, লন্ডন।



ওগো মউলাজি

ওগো মউলাজি রহম করো তোমার দয়ার গুণে,

আমি কত ভুল করেছি না বুঝে না শুনে

ভোগ বিলাসী ধনের রাশি চাইনা এই জীবনে,

মাতাপিতার চরণ সেবায় রাখো দর্শনে

চিরাতাল মুসতাকিমে যেন থাকি সর্বক্ষণে,

সকল কাজে তোমার রাজি চাই মনে প্রাণে

এই সংসারে চাইনা কিছু তোমার দয়া বিনে,

সকল জীবের জীবনদাতা জানে সর্বজনে

কুন পাইয়াকুন বলে আদেশ আসমানে জমিনে,

বেলাল বলে তোমার হুকুম বিরাজ সর্বখানে

১৫/০৮/২০০৮ ডার্টফোর্ড, কেন্ট।



দয়াল তোমার

দয়াল তোমার দয়ার কাঙ্গাল আমি এই ধরাতে,

অন্ধকারে আলোর সন্ধান দিও আধাঁর রাতে

তোমার প্রিয়জনের সাথে রাখিও ছহবতে,

পূণ্য পন্থায় জীবন যাপন করতে পারি যাতে

সব সময়ে থাকি যেন তোমার দ্বীন ছিরাতে,

হাওয়ার গাড়ি যাইব ছাড়ি হঠাত দূরের পথে

শাহ মুসতাকিম তোমার খাদিম রাখিও নেকপথে,

বেলাল তোমায় সপে দিলো দ্বীনের খেদমতে

২৪/১১/২০০৮ ডার্টফোর্ড, কেন্ট।



রাহমানুর রাহিম নামে

রাহমানুর রাহিম নামে ডাকি গো তোমায়

কত পাপী পাইবে রেহাই নামের উছিলায়

আটারো হাজার মাখলুকাতের তুমি সৃষ্টিকর্তা,

আসমানে জমিনে তোমার সিংহাসন পাতা।

সৃষ্টিকুলে তোমার শানে তারিফ সদা গায়

ইব্রাহিম বলহক্বে তার বাদশাহী ছাড়িয়া,

তোমার নামে তসবিহ জপে মালা গাথিয়া।

দরিশন পাইবার আশায় জঙ্গলে ঘুরায়

সত্য পথে হইবে জয় মিথ্যার পরাজয়,

সিরাতুল মুসতাকিমে সত্যের বিধান হয়।

তোমার পছন্দনীয় পথে মুক্তি লাভের উপায়

বেলাল বলে ঘোর বিপদে দয়া করো আমায়,

ঈমান যেন না হারাই শয়তানের ধোকায়!

তোমার দরিশন পেতে শায়দা নেন বিদায়

১৫/১০/২০০৯ ডার্টফোর্ড, কেন্ট।





মানবতার দিশারী উম্মতের সর্বকালের শ্রেষ্টনবী কামলিওয়ালা

তাঁর পবিত্র চরণে আমার অতৃপ্ত হৃদয়ের নিবেদিত পংক্তিমালা!



প্রাণের প্রিয় নবী

প্রাণের প্রিয় নবী আমার মুহাম্মদ রাসুল,

মক্কা ভূমির কুরাইশ বংশে ফুটল সেই ফুল

মরুর হাওয়া খেজুর পাতা আনন্দে দোল খায়,

মানব-দানব সবার হৃদয় খুশিতে ভরে যায়।

বিশ্বনবী এলেন ধরায় আমেনার বুলবুল

শিশুকালে ছিলেন নবী মা হালিমার ঘরে,

মেষ চড়িয়ে কাটল সময় মরুর প্রান্তরে।

আল আমিন ডাকত তাঁকে সারা আরব কুল

হেরার জ্যোতি হাতে নিয়ে দ্বীনের কথা বলেন,

জীবন নাশের হুমকি পেয়ে বন্ধ নাহি করেন।

বেলাল বলে দ্বীন প্রচারে থাকতেন মশগুল

২৮/১০/২০০০ জিন্দাবাজার, সিলেট।



নবীর দেশে মজনু বেশে

নবীর দেশে মজনু বেশে কে যাও মদিনায়

এই অধমের সালাম দিও নবীজির রওজায়

দয়াল নবীর আগমনে পড়ল সাড়া এই ভূবনে

জ্বীন ইনসান ফেরেস্তাগণে তারিফ সদা গায়

মক্কাভূমির কুরাইশ কুলে বারই রবিউল আউয়ালে

সুবহে সাদিকের কালে আসলেন এই ধরায়

ধনী গরিব সবার সনে মধুর ছিলেন আচরণে,

আল আমিন সবাই জানে খেতাব ছোট্র বেলায়

তিনশ’ ষাট দেবতা ফেলে আসল তারা দলে দলে

পাক কালেমার ঝান্ডা তুলে ইসলামের ছায়ায়

মক্কা মদিনার ধূলি মাখব আমি গায়ে তুলি

ও নবীজি গিলাপ খুলি দিদার দাও আমায়

২৯/০৪/০৫



আমায় রাখিও স্বরণে

আমায় রাখিও স্বরণে ঠাঁই দিয়ে চরণে,

তোমার চরণ পাইলে আমি চাইনা কিছু ভূবনে

তুমি আমার সব ভাবনা জীবনের নিশানা,

চিরাতাল মুসতাকিমের দিয়েছে ঠিকানা।

বিপদ আপদ সুসময়ে কান্দি তোমায় বিহনে

সুখে দুখে থাকতে পাশে হয়ে সবার দরদী,

ধরার বুকে তুমি ছিলে রহমতের নদী।

গরীব কাঙ্গালের বন্ধু তুমি জানে সর্বজনে

পাইলে তোমার পাক চরণের পবিত্র ধূলি

ইশ্কে আমি হয়ে ফানা মাখব গায়ে তুলি,

মুছে যাবে মনের কালি এই বেলালের জীবনে

২৬/০৬/২০০৫ পপলার, লন্ডন।



দ্বীনের রবি

দ্বীনের রবি দয়াল নবী কূলে নাও টানি

অকুলো সাগরের মাঝে আমার তরণী

পাক মদিনার সবুজ মিনার দেখি যখনি,

আনন্দেতে দূর হয়ে যায় মনের পেরেশানী

এই মদিনা তোমার ছোঁয়ায় হল সোনার খনি

ধন্য হল বুকে নিয়ে তোমার রওজাখানি

রিয়াদুল জান্নাতে পড়ি পাক কোরানের বাণী,

জিয়ারত করে রিক্ত হৃদয় জুড়াই দিন রজনী

ভক্ত প্রেমিক রওজা দেখে ঝরায় চোখের পানি,

এই বেলালের দূর হয়ে যায় যত দু:খ গ্লাণী

০৪/০৫/০৬



রাহমাতুললীল আলামিন

রাহমাতুললীল আলামিন সৃষ্টির সের ধন

যার উছিলায় পয়দা হইল এই বিশ্ব ভূবন

কত দরবেশ সপস্যাতে কাটাইল জীবন,

একবার শুধু পাইতে তোমার পবিত্র চরণ

পাক মদিনার মিনার দেখে শীতল হল মন,

মরুর বুকে ভাসল সুখে আমার দুই নয়ন

খোদার পরে ওগো নবী তোমার সিংহাসন,

এই বেলালে পুরাও আশা দিয়া দরিশন

০৬/০৬/০৮





শাফিউল মুজনিবিন

ওগো নবীজি উম্মত বলে নিও দলে টেনে

তুমি ছাড়া উভয় কালে চাইনা কিছু জীবনে

শাফিউল মুজনিবিন তুমি হাশরে ময়দানে,

আমি অধম তোমার কাঙ্গাল তরাইও নিজগুণে

তুমি রাহমাতুললীল আলামিন ঘোষনা কোরানে,

তামাম জাহান পয়দা হইল তোমার কারণে

নিজে খোদা দুরুদ পড়েন তোমার স্মরণে,

আদেশ করেন পড়তে দুরুদ সকল মুমিনে

সালাম সদা ভেজে বেলার তোমার পাকচরণে,

উভয় জনম স্বার্থক হবে দেখলে স্বপনে

১৮/০৮/০৮









মানব জীবন ক্ষনস্থায়ী, মৃত্যুর স্বাদ সবাইকে করতে হবে গ্রহণ,

মাটির তনু মিশে যাবে মাটিতে কিয়ামতে করা হবে উত্তোলন।



ডাক আসিলে

ডাক আসিলে যাব চলে কেউ রবেনা ভবে,

চিত্তে অনল দুই চোখে জল কেমনে সুখ হবে

দুই দিনের এই খেলাঘর বানাইছে এক কারিগর,

লুকাইছে সে ঘরের ভিতর দেখিতে না পাবে

যতই করো বাহাদুরী যখন হবে ছমন জারী,

সাঙ্গ হবে ছাল চতুরী জমের পুরী যাবে

মানুষ নামে জন্ম নিয়া পূণ্যপন্থা না জানিয়া,

সাধের জনম যায় চলিয়া আর কি ফিরে পাবে

পরবাসী বেলাল বলে ভাসিলাম সই নয়ন জলে,

দয়াল বন্ধুর চরণ তলে কেমনে ঠাঁই হবে

০৩/০১/২০০২ ব্লেচলি, মিল্টন কিনস।



পরাণ পাখি

পরাণ পাখি তোমায় দেখি করে লুকালুকি,

আমি কেমন করে কুঞ্জবনে সঙ্গী ছাড়া থাকি

কোন সন্ধানে এই ভূবনে আইলে ওরে পাখি,

ভবের মায়ায় বাঁধলে বাসা হইলে কি তুই সুখি

ভাই বোন পাড়া পড়শি যলদি আনো ডাকি,

শেষ বিদায়ের আগে একবার নয়ন ভরে দেখি

সাদা কালার আজব খেলা সদায় দেখে আঁখি,

মন পিঞ্জিরা ছাড়িয়া গেল জালালী পাখি

বেলাল বলে ডাক আসিবে কেউ রবেনা বাকি,

মউলার কাছে ধরা পড়বে সকল চালাকি

২৬/০১/২০০৫ ফরেষ্ট গেইট, লন্ডন।



কান্দিস না গো সুন্দরী

কান্দিস না গো সুন্দরী

আমি যাইমু বন্ধুয়ার বাড়ি,

আঙ্গিনাতে আইছে পালকি সাজাও তাড়াতাড়ি

নয়নে রাখিয়া নয়ন আন্ধাইর রাতে দেখব কিরণ,

তার মত এত আপন কেমনে থাকি ছাড়ি

আমার হৃদয় লাগব জুড়া তার বিরহে ছিল পুড়া,

দুয়ারে সে হইছে খাড়া লইয়া যাইত নাইওরী

মাটির ঘরে আপন করে রাখব তারে বুকে ধরে,

চোখ ইশারায় যাদু করে প্রাণটা নিবে কাড়ি

বেলাল বলে ও সজনী আমার ঘরের দরজা খানি,

শুনাইয়া পবিত্র বাণী রাখিস বন্ধ করি

২৭/০২/২০০৫ ফরেষ্ট গেইট, লন্ডন।



সাজাও নতুন বসনে

পাড়াপড়শি যলদি আসি সাজাও নতুন বসনে,

আজ কালিয়া যায় চলিয়া বন্ধুর দরিশনে

গরম জলে গোসল দিয়া সুন্দর করে সাজাইয়া,

নতুন কাপড় ফিন্দাইয়া দেখিও নিজ নয়নে

সব সজনী মিলিয়া পালকি থেকে নামাইয়া,

বাসর ঘরে আনিয়া রাখিও ফুল শয়নে

লাগলে বন্ধুর পায়ের মাটি পুড়া হৃদয় হইব খাঁটি,

লাগবে না আর শীতল পাটি থাকব সদা চরণে

বেলাল বলে দিন রজনী বন্ধ থাকবে দরজাখানি,

আইবেনা কেউ কোন দিনই ফিরিয়া এই ভূবনে

১৪/০৫/২০০৫ ফরেষ্ট গেইট, লন্ডন।



ও মন সন্ধান কররে

ও মন সন্ধান কররে কোথায় আপন বাড়ি,

এই দুনিয়ার মায়াদয়া একদিন যাবে ছাড়ি

মন মহাজন দেহের মাঝে বসাইছে এক ঘড়ি,

এক সেকেন্ডের ভরসা নাই দিবেন বন্ধ করি

ঘরে চৌকাঠ ঘুনে খাইব মাড়ইল যাইব পড়ি,

মেঘের পানি পুলির উপর করব গড়াগড়ি

সময় থাকতে সোজা হয় মুর্শিদ চরণ ধরি,

বেলাল বলে সঙ্গে তোমার যাইবেনা এক কড়ি

২৮/০৫/২০০৮ ডার্টফোর্ড, কেন্ট।



একদিন শমন হইব

একদিন শমন হইব জারি করবে গ্রেফতারী,

স্ত্রী পুত্রের মায়ার বাঁধন যেদিন যাইব ছাড়ি

আইছি একা যাইব একা কেবল মুসাফিরি,

আসল ফেলে নকল নিয়ে করি কাড়াকাড়ি

পরের ঘরে বসত করে করছি বাহাদুরী,

ডাক আসিলে যাব চলে চিরস্থায়ী বাড়ি

বেলাল বলে ও মুসতাকিম ভাসাও দ্বীনের তরী,

দিন গেলে আর দিন পাবনা যদি না হাল ধরি

৩০/১২/০৮ ডার্টফোর্ড, কেন্ট।



মাটির দেহ যাইব মিশে

মাটির দেহ যাইব মিশে আবার মাটিতে,

আসা যাওয়ার কিছু স্মৃতি থাকব ধরাতে

পরকালের কামাই করো সময় থাকিতে,

পাক কালিমার টুরিষ্ট ভিসায় এসেছি জগতে

ইসলাম হবে পাসপোর্ট পথে পূণ্য রবে সাথে,

টিকেট কাটা ফ্লাইট রেডি সন্দেহ নেই তাতে

বেলাল বলে সাবধান থাকো মরদুদের হাত হতে,

অন্তিম কালে লুটে ঈমান পড়লে ধোকাতে

১৪/০১/২০০৯ ডার্টফোর্ড, কেন্ট।



মন পিঞ্জিরা ভাইঙ্গা পাখি

মন পিঞ্জিরা ভাইঙ্গা পাখি উড়াল দিত চায়,

কোনদিন পাখি দিব ফাঁকি ছাড়িয়া আমায়

ঘুঘু পাখি পুষ মানে না যতই রাখো খাঁচায়,

মনের পাখি রয় না ঘরে একদিন উড়ে যায়

বাড়ি গাড়ি এই সংসারী দুই দিনের দুনিয়ায়,

স্ত্রী পুত্র ছাইড়া যাইবায় আপন ঠিকানায়

একদিন পাখি বন্ধু স্বজন কান্দাইয়া যে যায়,

বেলাল বলে নিষ্টুর পাখি আর কি ফিরে আয়

১৯/০২/২০০৯ ডার্টফোর্ড, কেন্ট।



প্রেমের অণির্বান শিখা চিরকাল জ্বলে গলায় পরিয়ে মালা,

মানব জীবনে প্রেম স্বর্গের খেলা, বিচ্ছেদে হয় নরক জ্বালা।



দু:খের অনলে

দু:খের অনলে আমার বুক যায় ফাটিয়া,

চোখের পানি যায়না রাখা আচঁলে বান্ধিয়া।

সারা জীবন করলাম শুধু স্বপ্ন সুখের আশা,

প্রাণ বন্ধু আমার হবে বাঁধব প্রেমের বাসা।

কত রঙ্গে যাইত জীবন পাইলে আপন করিয়া

যার আশাতে কাটল চেয়ে সোনার এই যৌবন,

পাইলে তারে বিলিয়ে দিতাম আমার দেহ মন।

মনে আশা রইল মনে পাইনা কিছু ভাবিয়া

আয়ূ গেলে এই দুখেতে মনে নাইরে আশা,

বেলাল বলে হইলনা আর আমার সুখের বাসা।

শেষ বিচারে মউলার কাছে পার হব কি বলিয়া

০৭/০৯/১৯৯৯



পরাণ বন্ধুয়া বিনে

পরাণ বন্ধুয়া বিনে আমার কি হইবে উপায়,

কত জ্বালা বুকের মাঝে বুঝানো না যায়

মুখের হাসি রাতে শশী কাজল কালো চোখ,

এক পলক দেখলে তারে ভুলে যাইতাম দুখ।

এখন আমি কিলান থাকি একলা বিছানায়

ফুলের মালা যতন করে সাজাই রাখি ঘরে,

পন্থের পানে চাইয়া থাকি আসবে কবে ফিরে।

মাস গেল বছর গেল রইলাম তার আশায়

আমার সাথে আসো তোমরা যাইব তালাশে,

কোথায় আছে কেমন করে খুঁজব দেশে দেশে।

বেলাল বলে চোখের জলে নদী বহে যায়

২৫/০৮/২০০০ জিন্দাবাজার, সিলেট।



অকুলের কুল বন্ধুরে

আমার অকুলের কুল বন্ধুরে

যত দু:খ তোমার কারণে,

তোমায় নিয়ে কত আশা ছিল আমার জীবনে

বুকটা এখন পাথর হইল চোখের পানি ঝরে,

মনের ব্যথা যায়না বলা দু:খ কেবল বাড়ে।

সাধের জীবন যায় বিফলে বন্ধু তুমি বিহনে

জীবন যৌবন ভুলে গেলাম তোমার পথে চাইয়া,

কোন দেশেতে আছো তুমি দেখলায়না আসিয়া।

লোকের কথা বাড়ায় ব্যথা ভুলিয়া যাই কেমনে

একবার যদি আইতে তুমি দেখতাম নয়ন ভরে,

জনমের সব দু:খ যাইত পাইলে ফুল বাসরে।

বেলাল রইল আজো আশায় তোমার পন্থপানে

০৯/০৯/২০০০ জিন্দাবাজার, সিলেট।



বন্ধুয়া নাই ঘরে

বন্ধুয়া নাই ঘরে দু:খ এই অন্তরে,

দিনে রাতে মনটা কান্দে বলব গিয়ে কারে

কাজল কালো চোখের মায়া ভুলতে নাহি পারি,

চাঁন্দের মত মুখের ছবি পরাণ নিল কাড়ি।

তারে ছেড়ে একলা ঘরে থাকব কেমন করে

মনের কথা বলত সদা কোকিলারই সুরে,

ফুলের মত সুন্দর হাসি মায়াবী অধরে।

কি লাভ আমার হইব বাঁচি যদি না পাই তারে

কারো সাথে হইলে দেখা কইও বুঝাইয়া,

আমি কান্দি তার লাগিয়া সুরমা পারে বইয়া।

বেলাল বলে পাগল করে আইলনা তো ফিরে

১৪/০৯/২০০০ জিন্দাবাজার, সিলেট।



মনের কথা লেখবে বন্ধু

মনের কথা লেখবে বন্ধু একটি রঙ্গিন খামেতে,

আমি রইলাম পন্থপানে তোমার চিঠির আশাতে

দু:খ ব্যথা লেখবে সবি যতই থাকুক অন্তরে,

পরাণ ভরে ভালোবাসবো হৃদয় উজাড় করে।

তোমার সুখে সুখী হব আমি এই ধরাতে

গলায় তোমার ফুলের মালা মুখে মধুর হাসি,

প্রাণ ভ্রমরা যায় উড়ে যায় তোমার ভালোবাসি।

হালি দেড়েক দুল দোলে তোমার দুই কর্ণেতে

দীঘল কালো চুল তোমার খোঁপায় বেলী ফুল,

বেলাল বলে দেখে আমার আনন্দে মন ব্যাকুল।

কত ভালোবাসি তোমায় যায়না বলা মুখেতে

৩০/১০/২০০০ জিন্দাবাজার, সিলেট



ফুল শয্যা সাজাও

তোমরা ফুল শয্যা আজ সাজাও বন্ধু আইব বাড়ি

আর কতদিন একলা থাকি তারে আমি ছাড়ি

আতর গোলাপ ছিটিয়ে দাও সারা অঙ্গ জুড়ে,

মনের কথা বলব সবি আইব যখন ঘরে।

পরাণ বন্ধু আমার কাছে আনো তাড়াতাড়ি

দুই নয়নে দেখব তারে সারা দিবস যামী,

মধুর কথায় মন জুড়াব ভালোবাসি আমি।

আর কোনদিন বলব আমায় যায়না যেন ছাড়ি

দিন কাটেনা রাত কাটেনা মনটা কেমন করে,

একবার তারে দেখলে যাবে সব জ্বালাতন দূরে।

বেলাল জ্বলে আঠারো মাস তার বিরহে পুড়ি

২৩/১১/২০০০ জিন্দাবাজার, সিলেট



বুকের খাঁচায়

বুকের খাঁচায় রাখব তোমায় যতন করিয়া

বিদেশ তুমি যাইওনা বন্ধু আমায় ছাড়িয়া

মনের ব্যথা ভুলে যাব তোমায় কাছে পেলে,

সব জ্বালাতন মুছে যাবে তুমি আপন হলে।

সব সময়ে থাকব পাশে তোমায় ভালোবাসিয়া

পাখির আছে আকাশ বন্ধু নদীর আছে কুল,

তুমি ছাড়া এই জগতে সবই আমার ভুল।

এই জনমে চাইনা কিছু তোমায় গেলে পাইয়া

দিশে হারা পথিক খুঁজে পথের আবার দিশা,

আমি খুঁজি দিবস নিশি তোমার ভালোবাসা।

বেলাল বলে বুকের সাথে রাখব জড়াইয়া

২২/১২/২০০০ জিন্দাবাজার, সিলেট



বন্ধু দূর বিদেশে

বুকের পিঞ্জর পুড়ছে আমার বন্ধু দূর বিদেশে,

খরায় পুড়ে ক্ষেতের জমিন যেমন চৈত্র মাসে

নীল আকাশে একটি চাঁদ তারা হাজার হাজার,

জগত ভরা মানুষ আছে তুমি শুধু আমার।

তোমায় পেলে জীবনখানি স্বর্গ সুখে হাসে

আষাঢ় মাসের বৃষ্টি হয়ে বারেবারে ঝরে,

বুকের ভিতর দু:খগুলো মুছে দাও দূর করে।

তুমি ছিলে পঁচিশ দিবস শূন্য হৃদয় পাশে

বিবাগী এই মনটা আমার করল কত সাধন,

চোখ মেলে হইল না দেখা তোমার চাঁদ বদন।

বেলাল বলে পাইনি দেখা আমি উনিশ মাসে

২৩/১২/২০০০



চাঁদনী রাতে আইও

চাঁদনী রাতে আইও তুমি আমার আঙ্গিনায়

তোমার সাথে কইব কথা বইয়া নিরালায়

বন্ধুরে ও বন্ধুরে

আসমান থেকে জোসনা ঝরে আমার নিলয় ভরে

তুমি ছাড়া এত জোসনা রাখি কেমন করে

বন্ধুরে ও বন্ধুরে

চাঁন্দের হাসি দেখলাম বসি পূর্ণিমা এই রাতে,

তুমি ছাড়া এখন আমি হাসব কাহার সাথে

বন্ধুরে ও বন্ধুরে

চাঁন্দের সাথে কইলাম কথা একলা ঘরে বসে

বেলাল বলে কইতাম কথা থাকলে তুমি পাশে

বন্ধুরে ও বন্ধুরে

১০/০১/২০০১



কান্দে পরাণ পাখি

কান্দে আমার পরাণ পাখি একলা ঘরে থাকিয়া

দুই নয়নে ঘুম আসে না রজনী যায় জাগিয়া

সুজন বলে একলা তুমি থাকো কেমন করে,

রাত নিশিতে মনটা টিকে কিভাবে রোজ ঘরে?

গামছা দিয়ে যায় কি কভূ হৃদয় রাখা বান্দিয়া

সুজন বলে গভীর রাতে হঠাত যদি আসে,

দরজা খুলে এক পলকে পরাণ পাখি হাসে।

বুকের সাথে রাখব ধরে দিব না আর ছাড়িয়া

সুজন বলে যলদি চলো প্রাণ ভ্রমরার কাছে,

মনটা তাহার ছটোপটো করতে সদা আছে।

কুড়ি মাসের এই বিরহে বেলাল গেল পুড়িয়া

২৩/০১/২০০১



প্রেমের ভিখারী

আমি হলাম প্রেমের ভিখারী,

দিবস নিশি মাতাল হইয়া থাকব প্রেমে তোমারী

কয়েস বেটা মজনু হইল লাইলির কারণে,

সারা জীবন কেটে গেল লাইলি বিহনে।

মজনু সাজে পাইলে প্রেমিক মনের মত সুন্দরী

শিরির প্রেমে আটারো বছর পাহাড় কাটিয়া,

প্রেমের চূড়ায় নাম রাখিল ফরহাদ লেখিয়া।

পাহাড় কাটে পাইলে পুরুষ শিরির মত নারী

প্রেমিক চন্ডিদাস বড়শি বাইল বারোটি বছর,

বেলাল বলে রজকিনী লইল তার খবর!

প্রেমের লাগি চন্ডিদাসে জাতিকুল দিল ছাড়ি

০৭/০৬/২০০১ ফরেষ্ট গেইট, লন্ডন।



এতদিনে বুঝলাম

এতদিনে বুঝলাম আমি তোমার মনের কথা,

বাহির ভিতর সমান করে বানাইছে বিধাতা

তোমার নিয়ে ভালোবাসায় বেঁধেছিলাম ঘর,

এখন দেখি তুমি হইলে কাল বৈশাখী ঝড়।

দিবস যামী মনের মাঝে জ্বলে দুখের চিতা

মন বেচিয়া মনের দাম পাইলে তুমি কত,

ভবের হাটে এমন মানুষ পাইনি তোমার মত।

এই ছলনা বারে বারে মনে কি নাই ব্যথা

কাল নাগিনী কাছে থাকে মানুষে পুষ দিলে,

মানুষ হইয়া বুঝ মানেনা গেল লাভে মূলে।

বেলাল বলে ভালোবেসে কষ্ট পেলাম অযথা

১৭/০৬/২০০১ ফরেষ্ট গেইট, লন্ডন।



সোনার দেহ অঙ্গার হইল

সোনার দেহ অঙ্গার হইল তুই কালার লাগিয়া

পতি আমার হইল সতি তোর প্রেমে মন মজাইয়া

সকাল নিশি মন বুঝেনা সদা করি হায় হুতাস,

কালা ছাড়া জীবন আমার হয়ে গেল সর্বনাশ।

ধন্য হইবে ইহজনম তোরে ভালোবাসিয়া

কালার কথা দিবস যামী শুনতে লাগে ভালা,

পতির কথা সয়না গায়ে বাড়ায় শুধু জ্বালা।

হইতাম খুশি পতি যদি যাইত আমার মরিয়া

মুখের কথায় মন ভরেনা আড়াল থেকে বলিয়া,

ঘর ছাড়িয়া আইলাম কালা তোর কাছে চলিয়া।

বেলাল আমায় বেহুস করে সদা তোর নাম বলিয়া

০৭/০৭/২০০১ ফরেষ্ট গেইট, লন্ডন।



আমার মত প্রেম

আমার মত প্রেম করিয়া পস্তাইওনা জীবনে,

বুকে জ্বলে চিতার অনল অশ্র“ ঝরে নয়নে

এই জগতে বহুরূপী মানুষ চিনা দায়,

মানব কোলে জন্ম নিয়া মানুষকে কাঁদায়।

প্রভূ যেন নেয়না কভূ ঐ মানুষের সামনে

সাপের দংশন ভালো করে উজায় মন্ত্র পড়ে,

মনের দংশন হয়না ভালো থাকে সব অন্তরে।

মাটির দেহ টিকবেনা আর মানুষের দংশনে

কত জ্বালা সইব কালা পুড়া এই পরাণে,

দুখের আগুন জ্বলে দ্বিগুণ তোমারই কারণে।

শত দোষে দোষী বেলাল আসিয়া এই লন্ডনে

১৫/০৭/২০০১ ফরেষ্ট গেইট, লন্ডন।



সুখের আশায়

সুখের আশায় বাঁধলাম বাসা সুখতো হইল না,

সাধের লন্ডন করল খন্ডন সকল বাসনা

সুরমা পারের বন্ধু স্বজন সবার সাথে মিলে,

পড়ালেখায় থাকতাম মেতে আনন্দে মন খেলে।

সোনা ঝরা দিন কেটেছে নাই মনে ভাবনা

বাবা মায়ে বলেন ডেকে লন্ডন তুমি গিয়া,

লেখাপড়া করবে আরো মনযোগটা দিয়া।

জ্ঞানের মালা পড়বে গলে এইতো কামনা

আমার সুখের পানসি নৌকা লন্ডন এসে জানি,

টেমস্ নদীতে ডুবে গিয়ে হয়েছে কুলখানি।

বেলাল বলে কি করিব কোথায় পাব শান্তনা

২৫/০৮/২০০১ ফরেষ্ট গেইট, লন্ডন।



আউলা কেশী কুল বিনাশী

কাউয়ায় ময়ূরের বেশ সাজেনা,

আউলা কেশী কুল বিনাশী ভালো মন্দ বুঝেনা

লজ্জ্বা শরম না থাকিলে

কলংকিণী লোকে বলে

সস্তা দরে বস্তা ভরে

পিরিত করা ভালো না

ফুল ফুটিলে ফুল কাননে

ভ্রমর আসে মধুর টানে

সুবাস ছাড়া এই ভ্রমরা

ফুলের কাছে আসে না

গায়ে মাখলে আতর ”ন্দ

যায় না কভূ মনের গন্ধ

এই বেলালের কপাল মন্দ

বুঝল না কেউ বেদনা

৩১/০৮/২০০১ ফরেষ্ট গেইট, লন্ডন।



ওগো প্রাণের রাই

আমার আর ভালোবাসার সাধ নাই

ভালোবাসার সকল আশা

মিঠাইয়াছেন সাঁঈ

ওগো প্রাণের রাই

সেরের দামে মন বেচিয়া

সোনার খড়ম পায়ে দিয়া

নয়ন জলে বুক ভাসাই

দিবস নিশি এই ভাবনা

মনে কত সয় যাতনা

মাবুদ আল্লার দয়া ছাড়া

বাঁচার কোন উপায় নাই

প্রবাস এসে ঘোর ছলনায়

আমি হলাম খুব অসহায়

বেলাল বলে এই দুনিয়ায়

কোথায় গেলে পাব ঠাঁই

১০/১০/১০০১ ফরেষ্ট গেইট, লন্ডন।



ঘরের বাহির করিয়া

আমায় ঘরের বাহির করিয়া ঘোর বিপদে ফেলিয়া

যত দু:খ দিল কালিয়া

এমন যদি আগে জানতাম কভূ না তার কাছে যাইতাম,

অল্প বয়সে সব হারাইলাম কলংকের হার পরিয়া

কালায় জানে আমার বেদন স্বজন ছাড়া আছি কেমন,

কত সুখী হইছে এখন আমায় ফাঁকি দিয়া

বেলাল বলে ভালোবাসি দেশ বিদেশে হইলাম দোষী,

এখন গেল কুল বিনাশী আমারে কান্দাইয়া

১৯/০৮/২০০২ ব্লেচলি, মিল্টন কিনস।



আমার মনের আঙ্গিনা

আমার মনের আঙ্গিনাতে আইলে দেখবে নিশিরাতে

চন্দ্র তারার খেলা ওগো রঙ্গিলা,

আর কতদিন থাকব একেলা?

শৈশব গেল মায়ের কোলে যৌবন যাবে একদিন চলে,

ভাইবা দেখি আপন দিলে সূর্য ডুবার বেলা

একবার বলো কাছে আসি তোমায় আমি ভালোবাসি,

মুখে আমার দেখবে হাসি মন হইব উজালা

যাইবায় আগে পরাণ পাখি বেলাল তোমায় কাছে ডাকি,

নয়ন ভরে যদি দেখি যাইব মনের জ্বালা

১৯/১২/২০০২ ব্লেচলি, মিল্টন কিনস্।



কার কাছেতে বলব

কার কাছেতে বলব আমার অন্তরের বেদন,

অকারণে দু:খ দিল প্রাণ বন্ধু সুজন

আপন জেনে বিশ্বাস করে ভালোবাসি হৃদয় ভরে

কোন প্রেমিকের হাত ধরে ভুইলা গেলো এখন

এত পাষাণ তোমার হিয়া বিধি গড়লে কি দিয়া,

নয়ন জলে বুক ভাসাইয়া পাইনি তোমার মন

আমি থাকি একলা ঘরে তুমি থাকো কার বাসরে,

একদিন তোমার এই সংসারে কেউ হবেনা আপন

না খামাইলায় ধনরে মনা না খামাইলায় জন,

বেলাল বলে কি কারণে আইলায় এই লন্ডন

১৮/০১/২০০৩ ব্লেচলি, মিল্টন কিনস্।



তুমি আওগো বন্ধু

তুমি আওগো বন্ধু একবার দেখে জুড়াইব পরাণ,

তোমার লাগি এই অভাগির কাঁন্দে দুই নয়ান

বিশ্বাস করে নব যৌবন করেছিলাম দান,

এখন তুমি কার মন্দিরে গাও পিরিতের গান

আগে তো বলতে সদা তুমি আমার জান,

কি কারণে আমার সনে এখন অভিমান?

আমি কি জানতাম আগে তুমি এত পাষাণ,

ভালোবেসে দূর বিদেশে করবে অপমান!

পরগাছার মত জীবন নাইরে কুলোমান,

ভালোবেসে পেলাম আমি এমন প্রতিদান

অকারণে করলে দোষী করলে অপমান,

বেলাল বলে বিচার কালে দেখাইব প্রমাণ

২৭/০২/২০০৩ ব্লেচলি, মিল্টন কিনস্।



বাজাইয়া বাঁশরী

তোমরা আসো তাড়া করি বাজাইয়া বাঁশরী,

বালুচারী শাড়ি ফিন্দি বন্ধু আইব বাড়ি

সব সখিরা আনো গিয়া আনন্দে মাতিয়া,

প্রাণ ভ্রমরা দিবে ধরা বাসরে আসিয়া।

এই খুশিতে রাত নিশিতে নিদ্রা গেল ছাড়ি

ফুলে ফুলে সাজাও তারে ফুলের মালা দিয়া,

আতর গোলাপ আনিয়া দাও বাসরে ছিটাইয়া।

সখিগণে আপন মনে গাইবে প্রেমের সারি

আন্ধাইর ঘরে দেখব আমি পূর্ণিমার শশী,

বেলাল বলে দূর হইবে দুখ তারে ভালোবাসি।

সারা নিশি কইব কথা হস্তে দু’জন ধরি

০৩/০৩/২০০৩ ব্লেচলি, মিল্টন কিনস্।



চোখের জলে

চোখের জলে বুক ভাসাইলাম আসিয়া লন্ডন,

এত পাষাণ হইল বন্ধু বুঝলাম না কারণ

যার লাগিয়া ছাড়লাম স্বজন সে আমারে কাঁদায় এখন,

এই ভূবনে তার মতন নাইরে নিষ্টুর মন

ভালোবাসা না বুঝিয়া তার ছলনায় মন মজাইয়া,

অল্প বয়সে সব হারাইয়া ভাসাই দুই নয়ন

কোনদিন বন্ধু বন্ধু করি গলায় দিয়া প্রেমের দড়ি,

এই সংসারের মায়া ছাড়ি হইবেরে মরণ

বেলাল সেদিন জিজ্ঞাসিবে কি কারণে গেলে ছেড়ে,

দয়াল বন্ধুর রাজদরবারে দেখা হবে যখন

২০/০২/২০০৩ ব্লেচলি, মিল্টন কিনস্।



লাগাল পাইলে কইও

লাগাল পাইলে কইও তারে তোমরা বুঝাইয়া,

অভাগিরে দিন রজনী কি লাভ কান্দাইয়া

আশা করে ঘর বান্দিলাম সুখের লাগিয়া,

অকারণে সরল মনে গেল শেল মারিয়া

এখন আমি কি করিয়া যাইব ভুলিয়া,

কত নিশি পুহাইতাম দু’জন জাগিয়া

অল্প বয়সে দাগ লাগাইছি পিরিত করিয়া,

চোখের জলে বালিশ ভিজে এখন ভাবিয়া

ঘুমাইলে স্বপনে দেখে ঘুম যায় ভাঙ্গিয়া,

আর কতদিন অবুজ মনকে রাখব বান্দিয়া

কি বলব আর দু:খের কথা বুক যায় ফাটিয়া,

বেলাল বলে নিদান কালে দেখল না আসিয়া

১৪/০৪/২০০৩ ব্লেচলি, মিল্টন কিনস্।



ও বিদেশী কইও

ও বিদেশী কইও গিয়া আমার বন্ধুয়ারে,

কি দোষে ছাড়িয়া গেল আমি অভাগিরে

প্রথম তুমি বলেছিলে রাখব তোমায় অন্তরস্থলে

এখন কিলান গেল ভুলে ঘোর বিপদে ছেড়ে

ভালোবাসার আশা দিয়া নৈরাশ করল পরাণ নিয়া,

বিরহে যায় বুক পুড়িয়া বলব গিয়ে কারে

কত সুখী আছে হইয়া আমারে এত কান্দাইয়া,

দিবস নিশি দু:খ দিয়া এই অবুজ অন্তরে

মন বসেনা কোন কাজে প্রেম বিরহের বাঁশি বাজে,

এই বেলালে হৃদয় মাঝে হায় হুতাস করে

২৯/০৪/২০০৪ ফকির বাড়ি, বিশ্বনাথ।



তুমি বদনামী বানাইবায়

তুমি বদনামী বানাইবায় ছুঁইলে আমার গায়,

জোড় হাতে মিনতি করি ছুঁইওনা আমায়

কাছে আইলে পাশে বইয়া না রাখিও হাত,

সতি নারীর পতি বরাত দিন কাটে আশায়

তোমার লগে যদি দেখে পাড়ার কোন লোকে,

চুনকালি মাখাইবে মুখে লুকাইমু কোথায়

ফুলের মধু শুকাইলে আসেনা সেই ভ্রমর,

এখন যদি করো আদর আর কি আসিবায়

বেলাল বলে প্রাণের রাঈ ধৈর্য করো ধারণ,

মনের আশা হইব পূরণ রাধারে পাইবায়

০৭/০৭/২০০৪ ফরেষ্ট গেইট, লন্ডন।



ওগো প্রাণের প্রিয়া

ওগো প্রাণের প্রিয়া কান্দে আমার হিয়া

এই মধুর ফাল্গুণে,

ফুটল ফুল কাননে উঠল চাঁদ গগণে

একেলা থাকি কেমনে

বসন্ত দূত শাখির শাখে সারা দিবস বসে ডাকে,

মনের কথা বলব কাকে আমার ভরা যৌবনে

মনের বাগান রইল পড়ি ভ্রমর হইয়া আইও উড়ি,

বলব কথা পরাণ ভরি থাকবে না দুখ জীবনে

আর কতদিন তোমার লাগি বেলাল থাকব নিশি জাগি,

লোক সমাজে হইল দাগী এখন তোমার কারণে

০৯/০৭/২০০৪ ফরেষ্ট গেইট, লন্ডন।



আমার মন উদাসী

আমার মন উদাসী দিবস নিশি বাঁশরি বাজায়,

আর কতদিন থাকব আমি তোমার-ই আশায়

নদীর পানি ভাটা লইলে বর্ষায় উজান যায়,

সোনার যৌবন ভাটা লইলে আর কি ফিরে আয়

সারা জীবন কাটাইলাম তোমায় পাওয়ার দায়,

আমায় ছেড়ে কার পিরিতের রাধা সাজিলায়

বুঝাইলে বুঝ মানে না আমার অবুজ হিয়ায়,

মনের দু:খ মনে লইয়া রজনী পুহায়

বেলাল বলে ছাল ছলনায় হইলাম নিরূপায়,

কি বুকে ছাড়িয়া গেল পাষাণী আমায়

২৭/০১/২০০৫ ফরেষ্ট গেইট, লন্ডন।



তুমি আমার মন বুঝনি

তুমি আমার মন বুঝনি ওগো সজনী,

আমার মনে প্রেমের অনল জ্বলে দিন রজনী

শিরির প্রেমে ফরহাদ পাগল সকলে তা জানি,

এই ভূবনে কেউ জানে না আমার প্রেম কাহিনী

জিন্দা প্রেমের কবর দিয়ে করলে কুলখানি,

এখন আবার ভাসাইলে প্রেমের তরণী

প্রেম করিলে কাঁদিতে হয় গুরুজনের বাণী,

এই বেলালের সম্বল হইল দুই নয়নের পানি

০৫/০৫/২০০৫ ফরেষ্ট গেইট, লন্ডন।



সময় পাইলে আইও

সময় পাইলে আইও তোমার মনে যদি কয়,

এক নজরে জুড়াইব আমার এই হৃদয়

বিচ্ছেদ জ্বালা যায়না ভুলা মনের মাঝে রয়,

তুমি ছাড়া পাগলপারা কেমনে প্রাণে সয়

পুড়া কপাল পুড়ে সদা জুড়া নাহি লয়,

সুখের আশায় তবু থাকি কভূ নি সুখ হয়

ভালোবাসার ছাল ছলনায় করলে অভিনয়,

এত পাষাণ তোমার হিয়া ভাবতে লাগে ভয়

বেলাল বলে অভাগিনীর কাটে না সময়,

বুকের জ্বালা বুকে নিয়ে রজনী ভোর হয়

২৯/০৮/২০০৫ পপলার, লন্ডন।



আমার বুকে রাখব তোকে

আমার বুকে রাখব তোকে সারাটি জীবন,

তুই যে আমার আন্ধাইর ঘরে পূর্ণিমার কিরণ

সুখের আশায় লন্ডন আসি ভাসাইলাম নয়ন,

কোন বা দোষে দূর বিদেশে ভুলিয়া এখন

মনচোরা দেয় না ধরা করে উচাটন,

আশায় আছি তবু পাইমু একদিন দরিশন

দিবস যামী মন হারামী করে জ্বালাতন,

কেমন করে পূরণ হবে মনের আকিঞ্চন

কাছে এসে পাশে বসে হাত রাখিবে যখন,

এই বেলালের মনের জ্বালা হইবে নিবারণ

২৩/০৯/২০০৫ পপলার, লন্ডন।



তুমি যদি থাকো পাশে

তুমি যদি থাকো পাশে আমায় ভালোবাসি,

যুগে যুগে থাকব তোমার চরণের দাসী

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৫/-১

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৮:৩৫

চারুপাঠ বলেছেন: ময়ুরের পালকে কি সুখ?
মনের ভিতর অসুখ।

১৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৮:৪৫

ফয়জুল আলম বেলাল বলেছেন: ময়ুরের পালকের সাথে সুখের সম্পর্ক কাছাকাছি মনে হয়।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৮:৩৭

রোকসানা সুলতানা বলেছেন: সুন্দর ছড়া
হন্য কেন বন্য হলেও সুখ দেখা যাবেনা।
দু:খের রঙ আছে।
যেমন লাল কষ্ট নীল কষ্ট...

১৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৮:৪৭

ফয়জুল আলম বেলাল বলেছেন: ধন্যবাদ
কষ্টের বিশ্লেষন করতে সবাই সাচ্ছন্দ করেন। হয়তো তাই সুখের রং খুঁজেন না।

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৮:৪০

জয়নাল আবেদীন বলেছেন: সুখ কেউ কারো কাছে পাঠায় না।
সুখ পাখিকে সুখে রাখো
হাতের কাছে এলে।
এমন পাখি দেয় না ধরা
উড়াল দিয়ে গেলে।

১৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৮:৪৮

ফয়জুল আলম বেলাল বলেছেন: ছন্দে ছড়ায় বলার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৮:৪২

কাজল রশীদ বলেছেন:
ভালো লাগলো।

১৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৮:৪৯

ফয়জুল আলম বেলাল বলেছেন: কৃতার্থ হলাম।

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৮:৪৩

মুহিব ইরম বলেছেন: সুন্দর লেগেছে,
সুখ পাখিকে যায় না ধরা
নেই কো কোন তুল,
হাতে বালা নাকে নোলক
কানে সোনার দোল।

১৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৮:৫০

ফয়জুল আলম বেলাল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনি সুখের একটা রুপরেখা দিয়েছেন।

৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৯:২০

অলস ছেলে বলেছেন: সুখ পাখিটা আমার কাছে আছে। একটু আগেও কান্ধে বসে ছিলো, কিন্তু আপনার খটমটে ছড়া পড়ার চেষ্টা করতে গিয়ে সে পকেটে চলে গেছে। যাউকগা, আপনি এত আকুল আবেদন করছেন যখন, এক কপি পাঠায় দিতে অসুবিধা নাই। আপনি আমার একাউন্টে খরচ বরচ বাবদ যা লাগে পাঠায় দেন তার আগে।


ভাই, মায়ন্ড খায়েন না, ছড়াটা একটু খটমটে হইছে মনে হয়। শব্দগুলা যেন গড়াচ্ছে না, বাটির ভেতর পাথরটুকরার মতো ঠুসঠাস বাড়ি খাইতেছে। :(

৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৯:৫৬

মুহিত চৌধুরী বলেছেন: বেলাল ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৯ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৮

ফয়জুল আলম বেলাল বলেছেন: ধন্যবাদ মুহিত ভাই।

৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১১ রাত ৮:০০

তোফায়েল তালহা বলেছেন: অসাধারণ লেখেন ভাইয়া আপনি
লন্ডনের কোথায় আছেন এখন?
আমি সখের লেখক :) গান লিখে বড়ই তৃপ্তি পাই
আপনার কোনও গান শুনা যাবে? প্লিজ লিঙ্ক দিবেন যদি থাকে

৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৩:৪৫

রহিম শাহান বলেছেন: অলস ছেলে কি বলে
পা উপরে দিয়ে
সে কি মাথায় চলে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.