নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“একা থাকার এই ভালো লাগায় হারিয়ে গিয়েছি, নিঃসঙ্গতা আমাকে আর পাবে না”

নাবিক সিনবাদ

“রাত্রি বলবে নেই, নক্ষত্র বলবে নেই শহর বলবে নেই, সাগর বলবে নেই হৃদয় বলবে- আছে”

নাবিক সিনবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিড়াল কথন

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫১


বিড়াল হলো (ফেলিস ক্যাটাস) বর্গের স্তন্যপায়ী একটি প্রাণী। বিড়াল মানুষের সাথে সঙ্গ দেয়া এবং বাসা-বাড়ির বিভিন্ন রকম পোকা-মাকড় ও ইঁদুরজাতীয় প্রাণী শিকারের জন্য জনপ্রিয়। কমপক্ষে ৯,৫০০ বছর ধরে বিড়াল গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে পরিচিত, এবং বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় গৃহপালিত প্রাণী।
মানুষের সাথে গভীর সখ্যতার কারণে বর্তমানে বিড়াল প্রায় সারা পৃথিবীতেই দেখতে পাওয়া যায়।

বিড়াল খুবই আরামপ্রিয় গৃহ পালিত প্রাণী। বাংলাদেশে বিড়ালকে বাঘের মাসী নামেও ডাকা হয়। দুধ, মাছ, ছোট পাখি, হাঁস মুরগির বাচ্চা, ইঁদুর ইত্যাদি এর খাদ্য। ইঁদুরমারার জন্য বিড়াল পোষে অনেকে। এদের পায়ের নিচে নরম মাংশপিন্ড থাকায় নি:শব্দে চলাচল করতে পারে। ১০-১২ " উচ্চতা এবং ১৪-১৮" লম্বা হয়।

আমাদের অতিপরিচিত এই প্রাণীটির সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য জেনে নেই.....

গোঁফবিহীন বিড়াল দেখেছেন কখনো? জানি দেখেন নাই। দেখবেন কি করে, গোঁফহীন বিড়ালই তো হয়না। গোঁফ দিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজও করে বিড়াল। ছোট্ট গর্ত দিয়ে যেতে চাইলে বিড়াল কিন্তু ওই গোঁফ দিয়েই মেপে নেয়, তারপর ঠিক করে যাওয়ার চেষ্টা করবে কিনা। একটা বিশেষ সুবিধাও আছে ওদের। কলারবেন নেই বলে মাথাটা গলিয়ে দিলেই হলো, তারপর অনায়াসে চলে যায় গর্তের ওপারে।

মানুষের জিভে ৯ হাজার এমন ধরনের ‘সেন্সর’ আছে যেসবের কাজই হলো খাবারের স্বাদ পরীক্ষা করা। বিড়ালের জিভে সেরকম সেন্সর মাত্র ৪৭৩টি। ফলে স্বাদ বোঝার কাজে তাদের জিভ অনেক কম কার্যকর। বিড়াল তাই বাধ্য হয়ে খাবারে স্বাদ বেঝে নাক দিয়ে গন্ধ শুঁকে।

বিড়াল নাকি গোঁফ দিয়ে চেনা যায়? যারা বলেন, ভুল বলেন। প্রতিটি মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙুলের ছাপ যেমন একেবারে আলাদা, সেরকমই বিড়ালের নাক। একেক বিড়ালের একেকরকম নাক। সুতরাং সব কিছু কাকতালীয়ভাবে যদি কখনো মিলেও যায়, তবু দুটো বিড়ালের নাক কখনই হুবহু একরকম হতে পারেনা। কিছু না কিছু পার্থক্য থাকবেই।

মানুষের রক্তচাপ কমায় বিড়াল:গায়ে হাত বোলালে বা কোলে নিয়ে আদর করলে বিড়াল যে আহ্লাদ করে ঘরঘর আওয়াজ করে, সেই আওয়াজ শুনলে নাকি মানুষের উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়। এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে এটা।

অন্ধকারে খুব ভালো দেখে বিড়াল। কোনো কিছু পরিষ্কার দেখার জন্য মানুষের যতটা আলোর প্রয়োজন তার ছয় ভাগের একভাগ আলোতেই সেই বস্তুটি পরিষ্কার দেখতে পারে বিড়াল।

পৃথিবীর সব প্রাণীর মধ্যে শরীরের অনুপাতে বিড়ালের চোখই সবচেয়ে বড়। হাতি খুব বড়, তিমি মাছও বিশাল, তাদের চোখ কিন্তু শরীরের অনুপাতে বিড়ালের তুলনায় অনেক ছোট।

মানুষের মতো বিড়ালও কিন্তু একেক দেশে একেক ভাষায় কথা বলে, অর্থাৎ বিড়ালের ‘মিঁউ, মিঁউ’ নাকি সবদেশেই একরকম নয়। তাই কাটালুনিয়া বিড়ালরা ডাকলে সেই ডাক শোনায় ‘মিঁউ’-এর মতো, ক্যান্টনের বিড়াল ডাকে ‘মাও, মাও’, ডেনমার্কের ‘মিয়াভ’, নেদারল্যান্ডসের ‘মিয়াউ’, ইংল্যান্ডের ‘মিয়ো’, ফ্রান্সের ‘মিয়াও’, গ্রিসের ‘নাইউ’ এবং জাপানের বিড়ালের ডাক নাকি ‘ন্যায়ান, ন্যায়ান’-এর মতো শোনায়।

তথ্য ও ছবিঃ নেট থেকে কালেক্ট করা

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯

আহমেদ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম, ধন্যবাদ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯

বেগুনী ক্রেয়ন বলেছেন: কিউট

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: হুম ধন্যবাদ

৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০০

নীল ছায়াপথ বলেছেন: ধন্যবাদ, অনেক অজানা তথ্য উপস্থাপন করার জন্য।।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৩১

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৮

প্রামানিক বলেছেন: বিড়াল সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৭

মেজদা বলেছেন: বেশ তথ্যমুলক পোস্ট। ভাল লাগলো, জানলাম বিড়াল সমন্ধে। ধন্যবাদ

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪২

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩১

জুন বলেছেন: পরশুদিন পার্কে হাটতে গিয়েছি । এমন সময় মিউ মিউ আওয়াজে তাকিয়ে দেখি ছোট্ট একটি বিড়াল শাবক এক বিদেশীর পা এ উঠতে চাইছে আর তার সঙ্গী ছেলেটি বসে বসে হাসছে আর কি যেন বলছে । আমি এক পাক ঘুরে আসতেই দেখি বাচ্চাটা একা বসে আছে হাটা পথের মাঝে । আমি আর এক ভদ্র মহিলা পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম । আমাদের দেখে কি প্রচন্ড শক্তি নিয়ে দৌড়ে আমাদের দিকে আসতে লাগলো মিউ মিউ করে । আমি অসহায়ের মত বার বার পিছু ফিরে দেখছিলাম । হাত পাচ/ ছয় রাস্তা মিউ মিউ করে দৌড়ে দৌড়ে এগিয়ে এসে ক্লান্তিতে বসে পড়লো পথের মাঝখানে । ফ্ল্যাট বাড়িতে তো আর বেড়াল পোষা যায় না তাই আর চেষ্টা করি নি ।
কিন্ত কিছুতেই ভুলতে পারছি না তার সেই আশাহত চোখদুটোর কথা ।
এই মন্তব্যটি আমি ব্লগার মানবীর পোষ্টে করেছি। প্রাসংগিক হওয়ায় কপি করলাম নাবিক। খুব সুন্দর লিখেছেন।
+

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১০

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: ওহ বিড়ালটার জন্য আমারো খারাপ লাগছে, ঘটনাটা শেয়ার করায় অনেক ধন্যবাদ আপু।

৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:৫৬

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: সুন্দর বিড়ালকথন এবং বিড়লের কিউট কিউট সব ছবি।ভালো লাগলো নাবিক সিনবাদ ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.