![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এহসান বিন মুজাহির
রমজান বিদায়,শাওয়াল সমাগত। রমজানের পরে ফযিলতপূর্ণ মাসগুলোর মধ্যে শাওয়াল অন্যতম। বক্ষমান নিবন্ধে শাওয়ালের আমল ও ফজীলত সর্ম্পকে সংক্ষিপ্তভাবে আলোকপাত করার প্রয়াস করা হল।
শাওয়াল শব্দটি ‘শাওলুন’থেকে এসেছে,যার অর্থ হচ্ছে বের হওয়া। যেহেতু এ মাসে আরববাসী আনন্দ-উল্লাাসের জন্য ভ্রমণে বের হতেন এজন্য শাওয়ালকে শাওয়াল বলা হয়। – (গিয়াসুল্লুগাত-২৮৭)
শাওয়ালের আমল : শাওয়াল মাসের গুরত্বপূর্ণ একটি আমল হচ্ছে, শাওয়ালের ‘ছয় রোযা’। রমজানের ফরজ রোযা পালনের পর মাহে শাওয়ালের ছয়টি রোযা রাখা মুসতাহাব। আর এ রোযাকে শাওয়ালের ছয় রোযা বলে। এই রোযার অনেক ফজীলত রয়েছে যা বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। রাসুলুল্লাহ সা: নিজে এ রোযা রাখতেন এবং সাহাবায়ে কেরামগণকে ও রাখার জন্য নির্দেশ দিতেন ।
শাওয়ালের রোযার ফজীলত: এই রোযার ফজীলত সর্ম্পকে রাসুলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেন,‘যারা মাহে রমজানের ফরজ রোযা রাখবে,অতপর মাহে শাওয়ালের ছয় রোযা রাখবে তারা সারা বছর রোযা রাখার সওয়াব অর্জন করবে।
-মুসলিম শরীফ :১ম.খন্ড ৩৬৯পৃ:
রাসুল সা: ইরশাদ করেন,“ যারা পবিত্র রমজানের রোযা রাখার পর শাওয়ালের আারো ছয়টি রোয়া রাখবে তারা সেই ব্যক্তির মত হয়ে যাবে, যে ব্যক্তি সদ্য তার মায়ের পেঠ থেকে দুনিয়াতে আগমণ করেছে। অর্থাৎ সে শিশু যেভাবে পুত-পবিত্র তথা নিষ্পাপ তার কোন গোনাহ নেই ,যারা শাওয়ালের ছয় রোয়া রাখবে তারা ও সেই নিষ্পাপ শিশুর মত হয়ে যাবে । – তিরমিযি শরিফ
হযরত উবাইদুল্লাহ রা: থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন একদিন রাসুল সা: কে জিজ্ঞাসা করলাম ,ইয়া রাসুলুল্লাহ আমি কি সারা বছর রোযা রাখতে পারব? তখন রাসুল সা: বললেন,“ তোমার উপর তোমার পরিবারের হক রয়েছে কাজেই তুমি সারা বছর রোযা না রেখে রমজানের ফরজ রেযা রাখ এবং রমজানেরর পরবর্তী মাস শাওয়ালের ছয় রোযা রাখ,তাহলেই তুমি সারা বছর রোযা রাখার সওয়াব পাবে। – তিরমিযি শরিফ:১ম খন্ড,১৫৭পৃ:
এই হাদিসে বলা হয়েছে যে,রামাযানের রোযা রাখার পর শাওয়ালের ছয়টি রোযা রাখলে সারা বছর রোযা রাখার সওয়াব পাওয়া যাবে। এই সওয়াব এভাবে যে,মহান রাব্বুল আলামিন মানবতার মুক্তির সনদ মহা গ্রন্থ আল কুরআন কারীমের সুরায়ে আনআমের ১৬০ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেন, যে লোক একটি নেক কর্ম আনজাম দিবে সে লোক দশগুণ বেশী সওয়াব পাবে। সে হিসেবে রমজানের ত্রিশ রোযায় তিনশত রোযার সওয়াব হয়। আর মাহে শাওয়ালের ছয় রোজায় ষাট রোযার সওয়াব হয়। এভাবে রামাযানের ৩০ রোযা এবং শাওয়ালের ৬ রোযা মোট ৩৬ রোযা দশ দিয়ে গুণ দিলে ৩৬০ রোযার সমান হয়ে যায় ,আর ৩৬০ দিনে এক বছর। সুতরাং ৩৬ টি রোযায় সারা রছর রোযা রাখার সওয়াব পাওয়া যায় ।
শাওয়ালের ছয় রোযা শাওয়াল মাসেই শুরু করে শেষ করতে হবে। ধারাবাহিকভাবে ছয় দিনে ছয় রোযা রাখা যায়, আবার মাঝে ফাঁক রেখে পৃথকভাবে ও রাখা যায়। উল্লেখ্য যে, শাওয়ালের ছয় রোযার সওয়াব তারা পাবে যার রমজানের রোযা সঠিকভাবে পালন করেছেন। কারণ রমজানের রোযা ফরজ, আর শাওয়ালের রোজা হল মুসতাহাব। মুসতাহাবের সওয়াব তখনই পাওয়া যায যখন ফরজ পালন করা হয়। মাহে শাওয়ালের এই ৬ টি রোযা মাসের যে কোন দিন রাখা যায়। মাসের শুরুতে রাখা যায়,আবার মাসের মধ্যে বা মাসের শেষে যেকোন সময় তথা যেকোন দিন রোযা রাখা যায়। যার যার সুযোগ-সুবিধা মত । এক সাথে ছয় রোযা ,আবার আলাদা আলাদা করে ও রাখা যায়।
সূত্রঃ বিডিভিউ২৪.কম
©somewhere in net ltd.