![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মূলত পাঠক লেখক নই । কেউ জ্ঞান দেবে না জ্ঞান দেওয়া দেখলে মেজাজটা বড় খারাপ হয় ।
একটা পশু আর একটা মানুষের ভিতরে পার্থক্যটা কোথায় ?
বছরের একটা সময়ে প্রায়ই দেখা যায় রাস্তার দুটো কুকুর একসাথে জোড়া লাগা অবস্থা চলতে । ঢাকা শহরে এমন দৃশ্য খুব একটা দেখা না গেলেও গ্রাম অঞ্চলে এমনটা প্রায়ই দেখা যায় ।ছোট বেলাতে এই রকম দৃশ্য দেখলে কিছু বুঝতে পারতাম না কিন্তু একটু বড় হয়েই সেই কারনটা আমি বুঝে ফেলি । তারপর থেকে যখনই এই রকম কিছু দেখতাম যদি আশে পাশে ছোটা বা বড় কেউ থাকতো তাহলে লজ্জায় মুখটা লাল হয়ে যেত !
আচ্ছা আপনারা কি বলতে পারেন এই রাস্তার নেড়ি কুকুর আর একটা ধর্ষকের ভিতর কোন পার্থক্য আছে ? কুকুর ... সরি সব কুকুর না, নেড়ি কুকুর যেমন যখনই তার যৌন উত্তেজনা হয় তখনই আশে পাশে যে কুকুরই পায় তার উপরই ঝাপিয়ে পড়ে ঠিক তেমন কাজটা করে এই লোক গুলো ।
লোক গুলো বলা মনে হয় ঠিক হচ্ছে না ! বলা উচিৎ ঐ জারজ গুলা ।
আমি প্রায়ই ভাবি, সে যখন একটা মেয়ের উপর হামলা করে তাখন কি একটা বারও নিজের মা অথবা বোনের মুখটা ভেসে উঠে না ?
না, উঠে না !
কারন ওদের তো মা বাপের ঠিক নাই । ঠিক থাকলেও দেখা যাবে সেগুলোও ঠিক একই রকম কাজ করে এসেছে ।
যাই হোক কদিন আগে ফেইসবুকে একটা পোষ্ট দেখলাম আফ্রিকার কোথায় যেন মেয়েদের পোষাক পরার উপর আইন করা হয়েছে ! প্রথমে ভাবলাম হয়তো মুসলিম দেশ হয়তো ! এই জন্য আইন করা হয়েছে ! কিন্তু আইন করা হয়েছে ধর্ষন ঠেকাতে !!
আশ্চর্য !!
পাগলা কুকুরের কামড়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য কুকুর কে মেরে ফেলা উচিৎ নাকি নিজেকে ঘরের মাঝে আটকে রাখা উচিৎ । আমি জানি সেই আফ্রীকা দেশীয় কিছু লোক সামুতেও আছে । তারা বলবে কুকুরকে তো মারা উচিৎ কিন্তু সাবধানতার জন্য ঘর থেকেও বের হওয়া উচিৎ না ।
তাহলে কি কুকুরের কামড়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমাকে ঘরের ভিতরই বসে থাকতে হবে ? এটা কি কোন সমাধান ?
যাই হোক এমন আইন দেখে আমার মনে হয় খানিকটা বুঝতে পারলাম যে আফ্রিকাকে কেন অন্ধকারাচ্ছা মহা দেশ বলা হয় ।
আগের কথায় আসি । ধর্ষনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আমাদের মেয়েদেরকে কি ঘরের ভিতর বন্ধ করে রাখতে হবে ?
এখন আর একদল এসে হাজির হবে ! তারা বলবে ইসলাম কায়েম করার জন্য ! আজকে যদি দেশে ইসলামের শাসন হত তাহলে মেয়েরা সব ঘরেই থাকত । ব্লা ব্লা ব্লা !!
আগেই বলে নেই আমি মুসলমান ! এখন আপনি কিভাবে আমাদের দেশে ইসলামের আইন শাসন কায়েম করবেন ? করতে পারবেন ? নাকি করা সম্ভব ?
সে কাজ করা সম্ভব না সেটার অযুহাত দেখানো, কোন সমাধান হতে পারে না । অনেকে ইসলামের দোয়াই দিয়ে মেয়েদের পোষাকের উপর বিভিন্ন কথা বলেন ! আমি তাদেরকে বলতে চাই আচ্ছা ইসলাম ধর্ম কি কেবল মেয়েদেরকেই পোষাক কোড বেধে দিয়েছে । ছেলেদের কি কোন পোষাক কোড নাই ! আপনারা সব ইসলামের বড় আলেম আপনাদের হয়তো এই সব ছোট খাটো বিষয় মনে না থাকতে পারে, আমার মনে হয় একটু মনে আছে !! ইসলামে দৃষ্টিতে প্রত্যেকটা ছেলের টাকলুর উপরে কাপড় পরা উচিৎ । আমরা তো মেয়েদের পোষাক নিয়ে অনেক কথাই বলি এখানে কয়টা ছেলে আছে যারা তাকলুর উপরে প্যান্ট পড়েন ?
এখন আমি নিজেই যেখানে ইসলামের পোষাক কোড মানছি না আমি কোন অধিকারে অন্য একটা মেয়েকে ইসলামের আইন অনুযায়ী পোষাক পরতে বলবো ? এটা কে ভন্ডামী ছাড়া আর কি বলবে ??
অনেকে বলবেন যে আমি পরি গোড়ালীর উপর কাপড় ! আমি তো বলবোই ?
ঐ বেটা উল্লুক !! তোকে কে অধিকার দিয়েছে অন্যের ব্যাপারে কথা বলতে ।
সরি !! মাথা মাঝে মাঝে গরম হয়ে যায় !!
হ্যা, আপনাকে কে অধিকার দিয়েছে এই কথা বলার ? আপনার দায়রার ভিতর যারা আছে যেমন আপনার কন্যা, আপনার স্ত্রী এদের কে আপনি আপনার পছন্দ অনুযারী পোষাক বলতে পারেন ! কিন্তু রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়া অন্য কোন মেয়ের পোষাক সম্মন্ধে কমান্ট করার অধিকার আপনার নাই ।
আরে ধুর!!
কি নিয়ে লিখতে বসেছি আর কি লিখলাম । আসল কথায় আসি ! লিখতে বসেছিলাম ধর্ষন নিয়ে । এর কারন নিয়ে আর কোথা থেকে ফাও প্যাচাল পারতেছি ।
প্রথমে আসতে পারে মানুষ কেন এই কাজটা করে ?
একদম সহজ কথা । পশু গুলো যখন নিজেদের যৌনক্ষদা কে দমিয়ে রাখতে পারে না তখনই এই কাজটা করে ।
এটা আমার সাথে সবাই একমত হবেন মনে হয় ।
কিন্তু সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হল একটা মেয়ে রেপ হল এবং আমাদের অনেকে এটা মনে করেন যে এটার জন্য মেয়েটাই দায়ী !
প্রমান চান ?
এই দেখেন
এটা একজন সনামধন্য ব্লগারের কামন্টের অংশ বিশেষ । তিনি মনে করেন যে আইন এবং মেয়েদেরই সব দোষ ! মাঝখান থেকে তেনারা ফাসতাছেন !! তার মনে তিনি নিজেকে ধর্ষকদের একজন মনে করেছেন !!
আচ্ছা একটু নিজের মাথায় চিন্তা করে দেখেন তো ধর্ষন বা যৌন হয়রানীর জন্য একটা মেয়ে কিভাবে দায়ী হয় ? একটা মেয়ে পোষাক কিভাবে দায়ী হয় ? এর পেছনে কি কেবল ঐ নরপশুটার মানষিকতাই কাজ করে না ?
যে একজন পূর্ন মানুষ সেই মানুষটার সামনে দিয়ে যদি একটা উলঙ্গ মেয়েও হেটে যায় তাহলে সেই মানুষটা নিজের মাথা নিচ করে চলে যাবে ! অন্য দিকে তাকাবে ! এটা হল মানুষের পরিচয় ।
লাইনটা পড়ে আগেই লাফালাফি করবেন না । আমি কি বলার চেষ্টা করেছি বুঝার চেষ্টা করুন !! এখানে মেয়ের প্রসঙ্গ আসছে না ।
একটু উদাহরন দেই ! দুজন মানুষের সামনে দিয়ে যদি একই ভঙ্গিতে একটা মেয়ে যৌন উত্তজেক পোষাক পরে যায় তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই দুজনই ভিতররে ভিতরে উত্তেজিত হবেন !
এটা স্বভাবিক ! কিন্তু যে ধর্ষক আর যে মানুষ দুজনের প্রকাশ ভঙ্গি কিন্তু এক রকম হবে না । মানুষ তার নিজের আদিম অভ্যাস কে নিয়ন্ত্রন করবে ! এটা মনুষ্যের পরিচয় ! আর ও পশুটা কি করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না !! কারন সে মানুষের পর্যায়ে পরে না ।
লেখার শুরুর দিকে একটা লাইন লিখেছিলাম মনে আছে ? পার্থক্যের কথা !!
এখানে হল পার্থক্য ।
কয়েক দিন আগে এক জনের একটা পোষ্ট পড়েছিলাম যেখানে তিনি নিজেই কিছু প্রশ্ন করেছিলাম আবার নিজেই এর উত্তর দিয়েছেন । একটা প্রশ্ন এরকম ছিল যে যদি কেউ কোন হট মেয়েকে সামনে দিয়ে হেটে যেতে দেখে কিন্তু চুপ করে মুখ ফিরিয়ে চলে যায়, কোন কিছু না করে তাহলে সে কি নংপুশক পর্যায়ে পড়ে ।
উত্তর- হ্যা !
আমি খনিকটা অবাক হয়ে গেলাম ! যে মানুষ এমন একটা কথা বলতে পারে তার মানষিক অবস্থা কেমন হতে পারে ? আসলে সেযই পোষ্টে কমান্ট করতে ইচ্ছা হয় নি ! ঐ লোক কে বোজানোর সাধ্য আমার নাই !
যদি তার কথা ধরে নেই সত্য !
তাহলে কি দাড়ায় ?
ধরুন একটা মেয়ে কিছুটা চুলকানী মার্কা পোষাক পরে মোঃপুর থেকে নিউমার্কেটের দিকে রওনা দিল ! পথের মাঝ খানে তার সাথে কম করে হলেও হাজারটা লোকের সাথে দেখা হবে ! কিন্তু সেই মেয়েটাকে টিজ করবে কয়জন ? অথবা একটু রাত হয়ে গেল তাহলে কয়জন তাকে রেপ করার চেষ্টা করবে ?
খুব বেশি হলে দুতিন জন !
তার মানে কি বাকী ৯৯৭ জনই নংপুশক ?
সেই ব্লগারের কথা শুনে মনে হয়েছে কেবল ধর্ষক আর ইভটিজারই হল প্রকৃত পুরুষ !!
হায়রে পাবলিক !!
বেকুব পাবলিক !!
আমি জানি এখনও ঠিক মত বুঝে নাই !! ধরে নিলাম যে মেয়েদের পোষাকই এর জন্য দায়ী ! তাহলে একটা মেয়ে শালীন কাপড় পড়লেই ঐ নরপশু দের হাত থেকে নিরাপদ !! এটা হল আপনাদের কথা ।
কিন্তু সত্যি কি তাই !!
একটু কষ্ট করে অপূর্ণ ভাইয়ের পোষ্ট টা একটু দেখে আসুন । পোষ্ট টা এখনও স্টিকি করা আছে । ওখানে যে কয়জন যদি বোজার মত জ্ঞান থাকে তাহলে একটু নিচের দিকে দেখেন বেশ কিছু খবর আছে । এখন আমাকে বলেন এই যদি কেবল পোষাকের কারনেই মেয়ারা রেপড হয় তাহলে এই গুলা কেন হল ?
অনেকে কেবল ঢাকার মেয়েগুলার দোষ দেয় । বলে এদের নাকি পোষাক ভাল না । কথা বললেই কেবল এদিক ওদিন দিয়ে ছবি আপলোড করে । আমাদের ঢাকায় প্রায় দুই কোটি লোকের বাস ! এর ছিতর মেয়ে যদি অর্ধেকও হয় তাহলে একটু খ্যাল করে দেখেন কয়জন যৌন উত্তেজন পোষাক পড়ে !
কয়জন ??
হাতে গোনা কয়েকজন !!
আর যারা এমন পোষাক পড়ে তারা কি রেপড হয় ? কোনদিনও না । তাহলে যে মেয়েটা স্কুলে যাবার পথে কিডন্যাপ্ড হল তারপর গ্যাঙ রেপের স্বীকার হল সেই মেয়েটাকে কেন দোষী ভাবা হচ্ছে ?
এবার একটা বাস্তব কথা বলি । নিজের জীবন থেকে না হলেও নিজের খুব কাছের একজনের জীবন থেকে ।
আমি যে এলাকায় থাকি সেই এলাকাটা মোটা মুটি সম্ভ্রান্ত এলাকা বলা চলে । এই এলাকাতেই আমার এক কাছে ফ্রেন্ড থাকে । চেহারা ছবি ভাল ! কিন্তু সমস্যা হল মেয়েটা যখনই প্রতিদিন বাইরে যায় কয়েকটা ছেলে ওর পিছনে লাগে । লোকাল কিছু ছেলে । আমার সেই বন্ধুটা আগে জিনস পরতো । তারপর থেকে সে খুব শালীন পোষাক পরা শুরু করলো ! এমনকি কয়েকদিন সে বোরকা পর্যন্ট পরেছে । কিন্তু সেই লোকাল ছেলে গুলোর বিরক্ত করন থামে নাই ! বাধ্য হয়ে তাদের এলাকা ছাড়তে হয়েছে !
এখন আমার কাছে প্রশ্ন হল যদি কেবল পোষাকই কারন হত তাহলে কি আমার ঐ বন্ধুটির প্রথম কিছু দিনের পর যখন সে সেলোয়ার কামিজ আর বোরকা পরা শুরু করলো তখন তাকে আর বিকর্তির স্বীকার হতে হত । আরো খোজ নিয়ে জানা গেল সেই লোকাল ছেলে গুলো কেবল আমার বন্ধুকেই না এলাকায় থাকা প্রায় সকল মেয়ে কেই উক্তত করে ।
কথাটা ঠিক এই টাই ।
যারা কুকুরের জাত তারা ঘেউ ঘেই করবেই । আপনি কে বা আপনি কি পোষাক পরে আছেন সেই কথা চিন্তা করবে না ।
আসলে এই লেখাটা আমার লিখতে ইচ্ছা করতো না । আমি সামুতে লিখি না বলতেই চলে । কিন্তু গত কাল একটা পোষ্ট আর পোষ্টের কমান্ট পড়েই লিখতে বসলাম !
ঐ পোষ্ট টি ছিল গুগলরকস নামে একজন ব্লগারের ! আগে যে স্ক্রীনসর্টটা দেখালাম লাম ঐটাও ওখান থেকেই নেওয়া !! লিংক দিলাম না ! কারন কারন কারো অনুমুতি ছাড়া লিংক দেওয়া ঠিক না !
যাই হোক ঐ পোষ্টে একজন কামন্ট করেছেন যে ইসলামে নাকি বলা হয়েছে মেয়েদের পর্দা করতে । তাই যখন একটা মেয়ে যখন পর্দা করছে না তখন সে অন্যায় করছে ।
আচ্ছা ইসলামে কি কেবল মেয়েদের কেই সব কিছু বলেছে । একটা মেয়ে মানলাম ইসলাম অনুযায়ী পর্দা করছে না । সে ইসলামের চোখে অপরাধী । তাই বলে কি তাকে রেপ করতে হবে ?? অনাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে ও মেয়েদের কে রেপ কারা কোন অন্যায়ের মধ্যে পরে না !!
আমাদের দেশটা যেহেতু ইসলামে আইন অনুযায়ী চলে না সুতরাং এটা এই দেশে কোন অপরাধ না ।
আমার আর একটা কথা খুব জানতে ইচ্ছা করে যে ইসলামে কি কেবল নারীদের কথাই আছে ? পুরুষদের যে নিজেদের দৃষ্টিকে সংযত করতে বলা হয়েছে সেই ব্যপারে তো কেউ একটা কথাও বলে না ?
তোমরা একটা মেয়ের দিকে হায়নার দৃষ্টিতে তাকাবা সেটা ঠিক ? সেটা কোন অপরাধের ভিতর পরে না ??
সব আজীব পাবলিক !!
আরো দেখলাম বেশ কয়েক জন স্বর্ণাকে আক্রমন করেছে !! নামটা বাদ দিয়ে হুবাহু তুলে দিলাম
বলেছেন: @এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা //
খেয়াল কইরা , এত লাফান কেন ? পুরুষদের উপর আপনার এত আক্রোশ কেন ? ধর্ষন শব্দটার প্রতি আপনার এত আকর্ষন কেন ? ধর্ষন ছাড়া আপনি আর কিছু বুঝেন না ?
পোষ্টে স্বর্ণা যথেষ্ঠ যুক্তি নিয়ে কথা গুলো বলতে চেয়েছে কিন্তু কিছু কিছু ব্লগার যেমন ভাষা ব্যাভার করেছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । পোষ্টের কিছু কিছু কমান্ট মনে হচ্ছে এরা কি যুক্তি নিয়ে বেচে আছে ?
একজন আবার বলেছেন আপনি যদি গায়ে পেট্রেল মেখে আগুনের সামনে হেটে বেড়ান তাহলে তো আগুন লাগবেই আবার আরেন মহান জ্ঞানী বলেছেন যে চম্বক আর লোহা কে পাশাপাশি কে রাখলেই তো একেওপরকে আকর্ষন করবেই !!
এরা ঠিক কি ভাবে আমি জানি না । যদি এদের মাঝে নূনতম জ্ঞান থাকতো তাহলে এই বেহুদা কথা বলত না ! কি আজিব কথা চুম্বক আর লোহা কে ধর্ষক আর মেয়েদের সাথে তুলনা করছে !
বেকুব আর কাকে বলে !!
সামুতে এই প্রজাতির বেকুব আছে জানাই ছিল না !!!!!!!!
যাক এ সব বেকুবদের কথা বলতে গেলে সারাদিন পার হয়ে যাবে !
আচ্ছা আর একটু কথা না বললেই না । সবাই বলে মেয়েদের পোষাক দেখাই নাকি পুরুষদের মাথা আরো অন্যান্য কিছু গরম হয়ে যায় তাই তারা নেড়ি কুকুড়ের মত ছুটে আসে ! এটা দোষের কিছু না ! একটা মেয়েকে দেখে যেমন একটা কুকুরের যেমন যৌন ক্ষুধা জাগে তেমনি একটা স্মার্ট ছেলেকে দেখেতো একটা মেয়ের ঐ রকম ইচ্ছা হয় । সুত্র তো তাই বলে !!
তাহলে একটা মেয়েরও সেই রকম আচরন করা উচিৎ । তাই কিনা ?
কিন্তু তাই কি হয় ?
না হলে কেন হয় না ?
কেউ বলবে সাহসে অভাব ! নাকি তারা এই সমস্ত দিক দিয়ে ছেলেদের থেকে বেশি সভ্য ! কোনটা ??
কে জানে ? বেকুব গুলো কি বলবে ??
একটা মেয়ে যতই সভ্য পোষাক পরুক না কেন একটা হায়না/ আর নেড়িকুকুর দৃষ্টি থেকে কিছুতেই সে নিজেকে বাঁচাতে পারবে না, যত দিন না এই সমস্ত কুকুর গুলো কে নংপুশক করে না দেওয়া হবে ।
অনেকে আবার এই যুক্তি দেখেয়েছে একটা ছেলে একজনকে দেখে উত্তেজিত হয়ে যায় তার উপর অন্য এককজনের উপর গিয়ে হামলা চালায় । আমি বলবো যার উত্তেজীত হতে ইচ্ছা হয় বা যে জন্মগত ভাবেই এই রকম ভাবে জারজ মার্কা কাজ করে তার জন্য কি মেয়েদের দেখা টা খুব বেশি জরুরী ! এখন ইন্টারনেট আর কম্পিউটারের যুগে সে নিজেই ঘরে বসে পর্ন দেখে নিজেকর উত্তজিত করে । এখন আপনারা বলবেন যে পর্ন ছবিতে মেয়েদের উলঙ্গ দেখে ছেলেরা উত্তেজিত হয় এই জন্য মেয়েদের দোষ ।
বলবেন না ?
বলুন বলে ফেলুন !!
আমি কেবল একটা কথাই বলতে চাই এই সমস্ত জারজ গুলা কখনও ঠিক হবে । বললাম যে গুলার বাপ মায়ের ঠিক না সে গুলা কিভাবে ঠিক হবে । মেরেরা পোষাকে যেমনই হোক না কেন তাদের কিছু তাতে যয় আসবে না ।
বলতে পারেন সৌদি আরবে কেন রেপ কম হয় ? হিজবের কারনে ?
জি না ! রেপ কম হয় কারন সেখানে রেপের জন্য কঠিন শাস্তর বিধান রয়েছে ! এমন কঠিন যে যে কোন কুকুরের দল রেপ করার আগে ১০০ বার চিন্তা করবে !
আমাদের দেশেও ঠিক একই ব্যাবস্থা করা দরকার !
খুব বেশি দিন আগের কথা না ! ১০/১২বছর আগে কথাই চিন্তা করেন একটা সময় ছিল কিছু হলেই ছেলেরা মেয়েদের মুখে এসিড ছুরে মারতো । কিন্তু এখন একটু চিন্তা করেন তো কয়টা এসিড মারার ঘটনা ঘটে ?
কি ভাবছেন ! সোনার ছেলের সব ভাল হয়ে গেছে ? জি না !
সরকারের কঠিন আইনের ফলে এটা কমে গেছে ।
ঠিক এইভাবেই যদি আমাদের দেশে ধর্ষনের শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদন্ড বা পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার সিস্টেম চালু হয় ঐ কুকুরের দল সামনে দিয়ে যাওয়া কোন মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকাতেই সাহস করবে না ।
আবারও বলছি মেয়েদের দোষ দেওয়া বন্ধ করেন । নিজে বদলান নিজের দৃষ্টি ভঙ্গি বদলান । একটা মেয়েকে টিজ করার আগে একটা বার ঐ মেয়েটার জায়গায় নিজের মা, বোন অথবা নিজের প্রিয় একজনের চেহারার কথা কল্পনা করে দেখেন আপনার মুখদিয়ে একটা কথা বের হবে ? রেপ করা তো অনেক দুরে পরে রইলো !!
আমার লেখা বড় অগোছালো লেখা অভ্যাস নাই তো তাই । দয়া করে ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন । আর দয়াকরে পোষ্ট রিলেটেড মন্তব্য করবেন ।
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৬
কেতকী বলেছেন: মানুষ আর পশুতে তফাত হলো, মানুষ নিজেদের যৌনক্ষুধা নিয়ন্ত্রন করতে পারে কিন্তু পশুরা তা পারে না।বর্তমানে সমাজে পশুর সংখ্যা অনেকই বেড়ে গেছে। পশু নিয়ন্ত্রন আইনে সরকারকে আপোষহীন, কঠোর হতে হবে।
৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৯
হিংস্র ঈগল বলেছেন: যারা বেহায়া ইতর, তারা সবসময় অন্যের উপর নিজেদের কুকর্মের দায় চাপাতে চায়। মেজাজটা খারাপ হয় যখন দেখি তথাকথিত আলেম, বিদ্দ্যান গন খালি মেয়েদের পোশাক নিয়ে লেকচার মারে। কিন্তু যদি ৭১, অথবা ১৯৯৫'এ দিনাজপুরের ইয়াসমিন, ২০০১'এ সিরাজগঞ্জের পূর্ণিমার কথা বলা হয় তখন আর কোন জবাব দিতে পারে না।
পোস্টের সাথে একমত। আপনি অনুমতি দিলে আমার ওয়ালে লেখাটা শেয়ার করতে চাই, অবশ্যই আপনার রেফারেন্স সহ।
৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৬
এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: মেয়েদের পোষাকের দোষ পড়ে দিতে বলেন,আগে আমার একটা প্রশ্নের জবাব চাই।
৪ বছরের বাচ্চা যখন ধর্ষিত হয় তখন??? সেই শিশুকে কি আমি বোরখা পড়িয়ে রাখবো??? ????????????????????????
৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৯
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আমার সবচেয়ে ফানি লেগেছে এটা দেখে। একজনকে দেখে উত্তেজিত হয়ে তাকে ধর্ষণ করতে না পেরে বাচ্চাদের ধর্ষন করে। যে এই কথা বলেছে, কয়েকজন তাকে ইঙ্গিতে ও কয়েকজন সরাসরিই রেপিস্ট বলেছে। আমি তো ওই পোষ্টের প্রথম মন্তব্যের বলেছি, সামুতেও রেপিস্ট আছে।
ওইটা হিমুর পোষ্ট না, গুগলরকসের। ওইখানে অনেক আলোচনা হয়েছে। আমার আর কিছু বলার দরকার নাই। আমি অনুমতি ছাড়াই লিঙ্ক দিলাম- View this link
৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
ুঃখবিলাস বলেছেন: @স্বর্ণাপু , হুদাই এখানে টাইম লস করার কোন মানে হয়না। "একজন আমাকে চর মেরেছে, তাই আম খুন করেছি - মেয়েরা ছোট কাপড় পড়ে- তাই আমি রেপ করেছি। " সব কয়টাকে ব্রাশ ফায়ার করা দরকার।
৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫০
এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: সামুতেই বেশ কয়েকটা পোষ্ট পড়েছিলাম ধর্ষকদের শাস্তি কি হতে পারে এ নিয়ে।লিংক মনে নাই। নইলে দিয়ে দিতা।ম।
৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫২
এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: একটা মেয়ে যতই সভ্য পোষাক পরুক না কেন একটা হায়না/ আর নেড়িকুকুর দৃষ্টি থেকে কিছুতেই সে নিজেকে বাঁচাতে পারবে না, যত দিন না এই সমস্ত কুকুর গুলো কে নংপুশক করে না দেওয়া হবে ।
সহমত
৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৬
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
ইসলামে পর্দা হিসেবে হিজাবের বিধান রয়েছে। সাধারণত ইসলামী বক্তারা সবসময় মহিলাদের হিজাবের কথা বলেন। কিন্তু আল্লাহ পবিত্র কোরআনে প্রথমে বলেছেন পুরুষের হিজাবের কথা, তারপর নারীদের হিজাব। সুরা নূরের ৩০ নম্বর আয়াতে আছে-
" মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং যৌনাংগের হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। "
এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ [স:] বলেছেন- " প্রথম দৃষ্টির অনুমতি আছে, দ্বিতী্য দৃষ্টি নিষিদ্ধ।" এর মানে এই নয় যে আপনি একজন মহিলার দিকে তাকাবেন আর দশ মিনিট ধরে তাকিয়ে থাকবেন চোখের পলক না ফেলে। মহানবী [স:] যা বলেছেন তা হলো, যদি কোন মহিলার দিকে হঠাত নজর পড়ে যায় , তক্ষুনি দৃষ্টি সরিয়ে নেবেন এবং তার দিকে আর দ্বিতীয়বার স্বেচ্ছায় তাকাবেন না।
এর পরের আয়াত অর্থাত সুরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতে আছে-
" ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের যৌনাংগের হেফাযত করে ও নিজেদের দেহ-সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে, কেবল সেসব অংশ ছাড়া যা আপনা হতে প্রকাশিত হয়ে পড়ে; আর যেন তারা তাদের মাথার কাপড় দিয়ে বুকের ওপরটা ঢেকে রাখে এবং তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে শুধুমাত্র তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র,নিজ অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ ও বালক যারা নারীদের গোপন অংগ সম্পর্কে অজ্ঞ তারা ব্যতীত; আর তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। হে মুমিন লোকেরা ! তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর নিকট তওবা কর, আশাকরা যায় তোমরা কল্যাণ লাভ করবে। "
হিজাবের নিয়ম-কানুন কোরআন ও সহীহ হাদীসে উল্লেখ আছে। প্রধানত: নিয়ম ৬ টি-
১) পুরুষের নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢাকতে হবে। মেয়েদের জন্য মুখ আর হাতের কব্জি ব্যতীত সমসস্ত শরীর ঢাকতে হবে। অন্য ৫ টি নিয়ম পুরুষ ও মহিলার জন্য একই।
২) তারা যে পোশাক পরবে সেটা এরকম আঁটসাঁট হবে না যে, তাদের দেহের গড়ন বোঝা যাবে।
৩) পোশাক এমন স্বচ্ছ হবে না, যাতে ভেতর দিকে দেখা যায়।
৪) পোশাক এরকম আকর্ষণীয় হবে না যা বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করে।
৫) পোশাক এমন হবে না, যা অবিশ্বাসীদের মতো, যেমন: ক্রস পরা।
৬) আর এমন পোশাক পরা যাবে না যা বিপরীত লিঙ্গের পোশাকের মতো।
হিজাব বলতে শুধু পোশাক বোঝায় না। মানুষের আচরণ,ব্যবহার,দৃষ্টিভঙ্গি এমনকি অভিপ্রায়কেও বোঝায়। পোশাকের পাশাপাশি চোখ, মন, চিন্তা এমনকি হৃদয়েরও হিজাব থাকতে হবে।
সুরা আহযাবের ৫৯ নম্বর আয়াতে মেয়েদের হিজাবের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে-
" হে নবী ! আপনি আপনার স্ত্রীগণ ও কন্যাদেরকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের ওপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। "
তবে, কিছু প্রাসঙ্গিক ও প্রয়োজনীয় কথঃ
- ধর্ষণ, চাইল্ড মোলেষ্টেশান উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি করার পিছনে আরও কারণ রয়েছে। তা' হলোঃ মিডিয়া, চলচ্চিত্র, টেলিভিশনে প্রচারিত অশ্লীল নাটক, মুভি তথা আকাশ সংস্কৃতি।
- উপযুক্ত বয়সে ছেলেমেয়েদের "বিয়ে" না-হওয়াটাও ধর্ষণ বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ। এ জন্য সময়মত শিক্ষাজীবন সমাপ্ত হওয়ার পর চাকুরী পাওয়াও জরুরী। কাজেই দেখা যাচ্ছে এর সাথে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার স্থিতিশীল হওয়া দরকার।
সব মিলে "ধর্ষণ" ব্যাপারটার পিছনে বহুমাত্রিক কারণ বিদ্যমান।
ধন্যবাদ।
১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০১
চলতি নিয়ম বলেছেন: Those are totally sick people.
Post e +
১১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৯
িজৎ বলেছেন: একজন ধর্ষক যখন ধর্ষণ বা রেপ করে তখন ঐ পুরুষরূপী পশু মানসিক ভাবে একজন খুনির সমপর্যায়ে অবস্থান করে।
যে নারী যৌন উত্তেজক পোশাক পড়ে রাস্তায় চলে প্রকৃত পক্ষে সে একজন মানসিক রুগী। আর এরা খুব কম ক্ষেত্রেই ধর্ষিত হয়েছে বলে জানা যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দ্যাখা যায় যারা শালীন পোশাক পড়ে আছে তারাও ধর্ষিত হয়।
পোশাক কে যে যারা দুষছেন তারা আসলে এখন ও নিজের চোখ এ টিনের চশমা লাগিয়ে দেখছেন।
সাবর আগে দরকার মানসিক পরিবর্তন
ধর্ষক ও ধর্ষিতার
ধর্ষক কে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিয়ে সকল কে অবগত করতে হবে এর পরিনতি সম্পর্কে।
ধর্ষিতা কে কেউ যেন খারাপ / কুলটা নারী হিসেবে না ভাবে এবং নারীর সামাজিক নিরাপত্তায় সকল কে সচেতন করতে হবে।
বি ঃ দ্র ঃ নারী মানেই উগ্র পোশাকধারী নয় আর সকল পুরুষ ই ধর্ষক নয়।
সবার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক।
একবার ও ভেবে দেখেছেন কি?
যে নারী ধর্ষিত হল সে যদি আপনার আপন বোন / মা হত ?
আপনার পরিবার এর সামাজিক নিরাপত্তায় আপনি কতটুক সচেতন ?
১২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০০
একজনা বলেছেন: এই সময়ে এমন লেখার খুব প্রয়োজন ছিল। পোষ্টে ভালোলাগা রইল।
একজন মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত তার নিজের কুরিপু গুলো দমন/ নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, নিজের মধ্যেকার পশুবৃত্তি ধ্বংশ না করতে পারে ততক্ষণ সে কিভাবে নিজেকে মানুষ হিসেবে দাবি করে সেটাই আমার মাথায় খেলেনা।
স্বর্ণা আপু, ওসব মানুষের কথার কোন গুরুত্ব দেবেন না। আজাইরা কথাকে গুরুত্ব দিতে গেলে নিজের সময়ই শুধু নষ্ট হবে তাতে।
ভালো থাকবেন।
১৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বাংলার বুকে মানুষ রূপি হায়নাদের উৎপাত । এর তিব্র প্রতিবাদে সবাই আওয়াজ দিন ।
ধর্ষণ , ইজ্জত লুণ্ঠন , যৌন হয়রানি এবং নির্যাতন করে নির্বিশেষে হত্তা প্রভৃতি ভারত ও প্রাশ্চাত্য অন্যান্য ভবগুরে সমাজের মত আমাদের বাঙ্গালী সমাজেও প্রতিনিয়ত দেখছি এর বিস্তার ।
আমাদের রুখে দাড়াতে হবে ।নয়ত এদেশ এ জাতি আবারও বিষাক্ত কাল থাবায় নেমে আসবে অন্ধকার । মেয়েরা হারাবে তাদের পূর্ণ অধিকার । আসুন সচেতন মহল জানাই আজি তিব্র প্রতিবাদ ,
, চাই উপযুক্ত বিচার , চাই হায়েনা মুক্ত বাংলাদেশ / জানাই ধিক্কার ।
গ্রাম বাংলার সব স্থানে তাই তিব্র প্রতিবাদ জানাই
আসুন সবাই মিলে এ কর্মসূচিকে সফল করি
সত্যর আওয়াজে / বাচতে হলে লড়তে হবে সমাজে ।
লেখক বলেছেন: পশুদের পাশবিকতা
এম জি আর মাসুদ রানা কবি
: হে নরাধম পশু ধিক্কার
কেন এ কুলুসিত জীবন ঐ বোন টার
ধিক আজি মানবতায়
সমাজ বিমুখ আজি এ লজ্জায়
যৌবনের নষ্ট সময়ে
নেমে পথে নাও কার বোনের লজ্জা ছিনিয়ে
নেই কি তোদের বোন
তাদেরকেও ছোবল দিলে গড়িয়ে ।
এই কি মনুষ্যত্ব নষ্ট বিবেক
কেন সমাজে এসে হান আঁধার
ধিক সেই নরাধম পাপিষ্ঠের
হতে হবে উপযুক্ত বিচার ।
বন্ধু অপূর্ণের আহবান
সামুকে ধন্যবাদ জানাই । আশা করি একটা বড় এবং কঠিন প্রতিবাদ হতে যতটুকু সময় লাগে সামু তা দিবে ।
প্রতিবাদ চাই । প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করুন । ভার্চুয়ালি কিংবা রাজপথে । প্রতিবাদ কর্মসূচী ও আপডেট আসলে সাথে সাথেই জানানো হবে । বড় ধরনের একটা প্রতিবাদের আয়োজন করা হচ্ছে । ছোটখাটো বিচ্ছিন্ন প্রতিবাদে কাজ হবে না । বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সহযোগীতা কামনা করছি । প্রতিবাদের মূল একদফা দাবী '' ধর্ষকদের ফাঁসী চাই , কোন কথা নাই । '
আমি কবি মাসুদ রানা
***আমার আহবান , তিব্র প্রতিবাদে
আমার সাথে সবাই আওয়াজ দিন
ঢাকার বন্ধুরা মিলে প্রতিবাদ সভা এবং সারা বাংলায় যেন সব স্থানে স্কুল ,কলেজ ,বিশ্ববিদ্যালয় ,মাত্রাসা সহ সকল প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রিদের মধ্য সাড়া ও সচেতনতা জাগে সেই বিষয়ে সোচ্চার
হওয়ার জন্য আহবান করা গেল , প্রত্যক সচেতন ব্লগারকে এ
বিষয়ে অন্তত একটা করে পোষ্ট লিখে আওয়াজ দিন
সচেতনতা গড়ে উটুক সাহসি চেতনায়
বীর বাঙ্গালির আওয়াজ আসুক রুখে অন্যায় ।।
ধর্ষক দের ফাঁসি চাই ।
বাংলার মাটিতে মেয়েদের নির্যাতন করা
চলবেনা বন্ধ হোক ।
.
১৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
ডানাহীন বলেছেন: যারা কুকুরের জাত তারা ঘেউ ঘেউ করবেই ..
লেখা সুন্দর হয়েছে, ধন্যবাদ ।
১৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৩
অন্য আলোক বলেছেন: শুরুতেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এরকম একটা ভালো লেখা আমাদের কে উপহার দেওয়ার জন্য। নিঃশন্দেহে আপনি একজন ভালো লেখকের দাবিদার। এবার আসি মুল কথায়। আপনার লেখা পরে আমার কাছে হাস্যকর সেই কথাটি মনে পরেছে যেটা প্রায় সব মেয়েদের ক্ষেত্রেই প্রযোয্য আর তা হল-- বিচারে যাই হোক সব কিছুই মানতে রাজি আছি কিন্তু তালগাছ আমার। আমাদের দেশে যেমন কিছু আবাল লোক আছে যারা জন্মগত ভাবেই আওামীলিগ ও বি এন পি করে কোন কিছু না যেনে না বুঝেই এবং কোন বিচার বিশ্লেষন না করেই, ঠিক তেমনি ভাবে আপনি ও একতরফা ভাবেই নিজেদের(মেয়েদের) স্থান টিকে উপস্থাপন করেছেন অন্যান্য ব্যাপার গুলোকে এড়িয়ে। আমরা কখন বলেছি যে সব দোষ একমাএ নারীদের? আমরা অবশ্যই চাই ধর্ষকের ফাসি হোক এবং এই কুকুরের বাচ্চাদের ফাসি দিনের আলোকে সবার চোখের সামনে করা উচিৎ যাতে করে দ্বিতীয় বার এরকম যঘন্য কাজ করার সাহস কেউ না পায়। তবে আপনি যে ভাবে চান সেভাবে না। আপনি খুব সুন্দর ভাবে মেয়েদের খারাপ দিক গুলোকে আরাল করে ধর্ষকের লাল বাতি জ্বালিয়ে ছেরেছেন। আপনি নিজেই ইসলামী শাসনের ব্যাপারে কিছু আজাইরা উদৃতি দিয়েছেন যে, এই দেশ কখনই ইসলামী আইনে চলে নি চলবেও না। তো আপনার কাছে আমার প্রশ্ন আপনি যেহেতু ইসলামী শাসন চান না এবং মানেন ও না তবে কেন আপনি ঐ ধর্ষকের কঠোর শাস্তি আশা করেন? আপনি হয়তো ইসলামে ধর্ষনের শাস্তির ব্যাপারে আবহিত নন। তাহলে তো সমাধান এখানেই হয়ে গেল, আপনার নিয়ম অনুযায়ি ঐ ধর্ষকের আমাদের দেশের সাধারন আইনেই বিচার হওয়া উচিত। এটা আপনারি পদ্ধতি আমার না। আগে নিজেকে ঠিক করেন তারপর সমাজ কে ঠিক করার চিন্তা করবেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে ইসলামী আইন যদি আজ মেনে চলতেন তাহলে বাংলাদেশ আর এরকম থাকতো না। এরকম ধর্ষনের ঘটনাও ঘটানোর কেউ সাহস পেতো না। আমি মাঝে মাঝে সরকার কে ধন্যবাদ জানাই এই কারনে যে, বাঙালির মাঝে মাঝে বাশঁ খাওয়া দরকার আছে। কথা গুলো সরাসরি চিন্তা না করে একটু ঠান্ডা মেজাজে চিন্তা করবেন তবেই না আমার কথা গুলো বুঝতে পারবেন অনেক ধন্যবাদ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৬
আমি একটু অন্য রকম বলেছেন: আমি ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করেই লিখেছি । এখন লিখছি !
লেখাটা কি নিয়ে আগে সেটা একটু চিন্তা করেন । আমি আগেই বলেছি ইসলামের দোয়াই দিয়ে অনেকেই যুক্তি দেখাবে । আপনিও ঠিক সেই দলের ।
এই হলে এই হত না, সেই হলে এই হত না ...... ব্লা ব্লা ব্লা !!
দেশে এখন কি হচ্ছে, কেন হচ্ছে ?? এটা হল মেইন কথা ! কি থাকলে কি হত না সেটা না ।
আপনি বিচারের কথা টেনে এনে যে কথাটা বলতে চাইলেন সেটা তো অনেক পরের কথা !
আপনি একটা খুনকে কোন দৃষ্টিতে দেখবেন ? আগে কি এটা দেখবেন খুনের বিচারটা কি? বিচার টা কেমন হলে কি হত না ? নাকি এটা দেখবেন যে এইটা একটা অপরাধ, এইটা কেন হল সেই টা ?
আগে ধর্ষক কেন ধর্ষন করছে এইটা আগে দেখেন !! শাস্তির ব্যাপার টা পরে !!
আমি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি ?
আপনি বলেছেন:
আপনি খুব সুন্দর ভাবে মেয়েদের খারাপ দিক গুলোকে আরাল করে ধর্ষকের লাল বাতি জ্বালিয়ে ছেরেছেন।
এখানে মেয়েদের খারাপ দিকের কথা কেন আসছে ? একজন পুরুষ একটা নারীর উপর জোরপূর্বক কিছু করছে এখানে নারীর খারাপ দিকটা আপনি কি দেখলেন ?
আপনি বলবেন সে উত্তেজক পোষাক পরেছে ।
কি হাস্যকর একটা যুক্তি !! নিজে একটু ভাবুন এটা কি কোন কারন হতে পারে ? আরও একটু ভেবে দেখুন যে গ্রামের যে মেয়ে গুলো অথবা ৭/৮ বছরের শিশু গুলা রেপ হচ্ছে তাদের পোষাক কি খুব বেশি উত্তেজক থাকে ? তাহলে তারা কেন রেপ হচ্ছে ?
কারনটা কি ? পোষাক নাকি বিকৃত মানষিকতা ??
এবার আপনি বলবেন এক জায়গা থেকে উত্তজিত হয়ে তারা অন্য জায়গায় অন্য কারো উপর হামলা করছে । আপনার কাছে একটা প্রশ্ন রইলো যে একটা জারজের বাচ্চা যদি অন্য কোন খান থেকে উত্তেজিত হয়ে এসে আপনার বোন কে রেপ করে আপনি কি করবেন ? নিজের বোন কে দোষ দিবেন নাকি ঐ জারজটা কে ? নাকি এখানেও বলবেন যে মেয়ে গুলার কিছু দোষ আছে !!
ধর্ষনের জন্য একটা মেয়েকে কিছুতেই দোষী করা যায় না । কিছুতেই না । এইটা মনে রাখবেন ।
আপনি আরো বলেছেন: আপনি নিজেই ইসলামী শাসনের ব্যাপারে কিছু আজাইরা উদৃতি দিয়েছেন যে, এই দেশ কখনই ইসলামী আইনে চলে নি চলবেও না।
আজাইরা কথা কোথায় বললাম ? আমার কথা কি যুক্তি যুক্ত নয় ?
আপনি কি চাইলে এই দেশে এখন ইসলাম শাসন কায়েক করতে পারবেন ? সেই ক্ষমতা আপনার আছে ? এখন যেই জিনিসটা হবে না সেটা নিয়ে কথা বলার কি আছে ?? ইসলাম থাকলে এটা হত না ইসলাম থাকলে সেটা হত না ! এই সব বলে তো লাভ নাই ! এইটা তো কোন সমাধান হতে পারে না । আমি কিন্তু আগেই বলেছি একথা !!
কেবল একটা কথাই বলি ধর্ষন প্রসঙ্গে ইসলামের দোহাই দেওয়া মানেই হল নারী নারীকে দোষী করা ! আর কিছু না । আপনাদের কথা শুনলে মনে হয় ইসলামে কেবল নারীর জন্য যত সব আইন তৈরি করা হয়েছে পুরুষদের জন্য সব কিছু করা জায়েজ !!
১৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++++++++++++++++++
ভালো লিখেছেন । একমত ।
ভালো থাকবেন ।
১৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬
অন্য আলোক বলেছেন: শুরুতেই আপনাকে আবারো ধন্যবাদ জানাই কিছু ভালো যুক্তি উপস্থাপন করার জন্য।
আমি আপনাকে একজন বিচক্ষন ও বুদ্ধিমত্তা সম্পন্য ব্লগার মনে করি। কিন্তু আমার মনে হয় আপনি আমার সেই কথা গুলো বলার পেছনের উদ্দেশ্যগুলো ঠিক বুঝতে পারেননি। আপনি কেন মনে করছেন যে আমি ধর্ষনের পক্ষে কথাগুলো বলছি এবং কেনই বা আমি ওদের পক্ষে কথা বলতে যাব? আপনি যেহেতু আমার কথাগুলোকে বুঝতেই পারছেন তবে একটু খোলা মেলা করেই বলি। আপনার কাছে কি মনে হয় না যে, এই রকম ঘটনাগুলো ঘটার জন্য বর্তমান জামানার মেয়েরাও অনেকাংশে দায়ী? ওহো আমি শুধু শুধু বোকার মত আপনাকে এই প্রশ্নটি করে ফেললাম। আপনার কাছে যদি সেরকমটি মনেই হত তবে আপনি বর্তমান ডিজিটাল জামানার মেয়েদের চলা ফেরার ত্রুটি গুলোকেও পাশা পাশি তুলে ধরতেন। এর মাধ্যমে মেয়েদের কেও সচেতন করতে পারতেন। নারী স্বাধীনতার ছএ ছায়ার আরালে নারী আজ কি কি করে বেরাচ্ছে তা সোহরাওয়ার্দী উদ্দান বা জিয়া উদ্দান সংলগ্ন এলাকাতে গেলেই বোঝা যায়। আর ভুটানিক্যাল গার্ডেনের কথা না হয় নাই বললাম। তার মানে এই নয় যে আমি সব মেয়েদের কথা বলছি। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, আপনি এই ব্যাপারে আমার সাথে একমত হতে নারাজ। ঠিক আছে এখানটায় না হয় আপনার আর আমার মধ্যে মত বিরোধ থেকেই যাক। আমাদের ভাগ্য অনেক ভালো যে, আজ মেয়েদের ওড়না গলায় ফ্যাশান হিসেবে থাকলেও এখনো ওড়নার অস্তিত্ব আছে। তবে ভবিষ্যতে কত দিন থাকবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। যাই হোক কথা বললে সারা রাত পেরিয়ে যাবে তবুও কথা শেষ হবে না। মেয়েদের অশালীন পোষাক-আশাক ইভ টিজিং বা যৌন হয়রানী মুলক কাজ কে তরান্বিত করে একথা আপনি না মানলেও অনেক মেয়েরাই আছে যারা এই কথাটি কে স্বীকার করে।
আপনি বলেছেন একটা জারজের বাচ্চা যদি অন্য কোন খান থেকে উত্তেজিত হয়ে এসে আপনার বোন কে রেপ করে আপনি কি করবেন ?এই কথার উওরে শুধু এটাই বলতে পারি যে, আমার বোনের কপালে কি লেখা আছে তা জানি না তবে এটা বলতে পারি যে বাংলাদেশি ডিজিটাল আইনে আমরা ন্যায্য বিচার পাব না যদি না আমরা নিজেদের কে এবং বর্তমান আইন পদ্ধতিকে বদলাতে পারি ধন্যবাদ।
১৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩
একা স্বপ্নীল পথিক বলেছেন: + এবং প্রিয়তে
অসাধারণ, একেবারে মনের কথা যা লেখার জন্য এখন লগিন করেছিলাম।
@ অন্য আলোক
"। নারী স্বাধীনতার ছএ ছায়ার আরালে নারী আজ কি কি করে বেরাচ্ছে তা সোহরাওয়ার্দী উদ্দান বা জিয়া উদ্দান সংলগ্ন এলাকাতে গেলেই বোঝা যায়। আর ভুটানিক্যাল গার্ডেনের কথা না হয় নাই বললাম"
হ্যাঁ, অখানে তো যা হয় তা মেয়েদের ইচ্ছে অনুযায়ী, ছেলেদের সাথে জোর করে হয়। ডিজিটাল যুগের ছেলে তো!!! তাই ওদের কোনো দোষ নাই। প্রেম করার নামে চাপ দিয়ে উল্টাপাল্টা করলেও না।
সব মেয়ে যেমন এক না সব ছেলেও না। ধর্ষণ ছাড়া যেকোনো শারীরিক সম্পর্ক ২ জনের সম্মতিতে হয়। সেটা যদি অবৈধ হয়ে থাকে তাহলে তার দায় শুধুমাত্র মেয়েটির ওপর এসে পড়ে না।
এতটুকূ বোঝার মত ম্যাচুরিটি অনন্ত ব্লগারদের থাকা উচিত।
১৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
অন্য আলোক বলেছেন: @একা স্বপ্নীল পথিক
হা হা হা চমৎকার বললেন তো না হেসে পারলাম না। আহারে ব্যাচারা ধর্ষকদের চেহারাগুলো সুন্দর হল না কেন। ব্যাচারাদের চেহারা সুন্দর হলেই তো আর এই বিকৃত নামটি(ধর্ষক) নামটি তাদের কষ্ট করে শুনতে হত না.......আফসোস। যা খুশি তাই করতে পারতো দুই জনের সম্মতিক্রমে। এই হচ্ছে আমাদের চিন্তা ভাবনার অবস্থা।
২০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: আমারিকা, ইংল্যান্ডের মত উন্নত দেশের রাস্তাঘাটে মানুষ ময়লা ফেলেনা, কি জন্য ফেলেনা? রাস্তা খুব পরিষ্কার তাই নোংরা করতে ইচ্ছে করেনা, এই জন্য?
সবাই জানে তা করেনা কঠিন আইনের জন্য। ধর্ষনের জন্য নারীদের পোষাক কোন সমস্যা না বাংলাদেশে, সমস্যা আইন এবং আইনের প্রয়োগ।
চমৎকার পোষ্ট। +++
২১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭
লোনলিফাইটার বলেছেন: রেপিস্ট গুলা আসেনাই?
২২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
রবি কিরণ বলেছেন: পোশাক কে যে যারা দুষছেন তারা আসলে এখন ও নিজের চোখ এ টিনের চশমা লাগিয়ে দেখছেন। আগে দরকার মানসিক পরিবর্তন
২৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৮
একা স্বপ্নীল পথিক বলেছেন: @ অন্য আলোক,
না বুঝে যারা হাসে তারা পাগল... আর আপনার কমেন্ট পড়ে আমার আগেই সন্দেহ হয়েছিল।
আমি বলেছি আজকাল প্রেমের নামে যেসব হয় সেগুলোর দায় একমাত্র প্রেমিকার না, প্রেমিকের ও । আর আপনি বলছেন চেহারা সুন্দর হলে ধর্ষণ বৈধতা পেত??? ছিঃ কোন কথা থেকে কোন কথা। আমাদের না, আপনার মত নিচু মানুষের মানসিকতাই এমন।
আর চেহারা সুন্দর হলেই একটি মেয়ে ধর্ষণ করতে দেবে অন্য কিছুর নামে এই হল আপনার মান্সিকতা। আপনার সাথে কথা বলতেও ঘৃণা হচ্ছে। আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুন, আমিন।
২৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
অন্য আলোক বলেছেন: @গ্রাম্যবালিকা,
আমারিকা, ইংল্যান্ডের মত উন্নত দেশের রাস্তাঘাটে মানুষ ময়লা ফেলেনা, কি জন্য ফেলেনা? রাস্তা খুব পরিষ্কার তাই নোংরা করতে ইচ্ছে করেনা, এই জন্য?
দুঃখিত আপনার উদাহারন দেখে আমি এবার ও না হেসে পারলাম না। যে লোক বাংলাদেশ কে ইউরোপ আমেরিকার সাথে তুলনা করে , সে যে কোন রাজ্যে বসবাস করে তা ঠিক আমার বোধগম্য নয়। আপনি ইউরোপ আমেরিকার সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কত টুকু জানেন সে ব্যাপারে আমি ঠিক অবহিত নয়। তবে আমার জানা শোনা থেকে আমি আপনাকে এই টুকু অন্তত বলতে পারি যে, আপনার কথার জবাব দিতে দিতে ইতোমধ্যে সেখানে ছয় জন নারী ধর্ষিত হয়ে গেছে। আর এক মাসে তার সংখ্যা কত তে গিয়ে দারাচ্ছে তা আপনি একটু খোজ খবর নিলেই জানতে পারবেন। আর সেটা কেন হচ্ছে তা আপনি নিজেই হয়তো বা বুঝতে পারছেন। আর মেয়েদের পোষাক-আশাক এর কথা বললেন তো....আপনি হয়তো জানেন না যে ইভ টিজিং ও বিভিন্ন যৌন হয়রানি মুলক কাজ কে কমিয়ে আনার জন্য ইতোমধ্যে ইন্ডিয়ার একটি কলেজে মেয়েদের শর্ট টপস, জিন্স, টি-শার্ট না পড়ার জন্য আইন পাশ করিয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন এই কাজ গুলো করেছে আশা করি সেই ব্যাপারে আমাকে কিছুই বলতে হবে না। আপনার বিচক্ষন বিচার বুদ্ধিই তা বলে দেবে ধন্যবাদ আপনাকে।
২৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
অন্য আলোক বলেছেন: @একা স্বপ্নীল পথিক,
খুব সহজেই মানুষকে ছোট বা হেয় করার অভ্যাস হয়তো আপনার থাকতে পাড়ে কিন্তু আমার নেই। তাই আমি আমার ভাষাতেই আপনার কথার জবাব দিচ্ছি।
আপনি বলেছেন, আমি বলেছি আজকাল প্রেমের নামে যেসব হয় সেগুলোর দায় একমাত্র প্রেমিকার না, প্রেমিকের ও । আর আপনি বলছেন চেহারা সুন্দর হলে ধর্ষণ বৈধতা পেত??? ছিঃ কোন কথা থেকে কোন কথা। আমাদের না, আপনার মত নিচু মানুষের মানসিকতাই এমন।
তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি আপনাকে বলতে পারি, ভাই আমি আপনার কথার প্রাসঙ্গিকতায় সেই কথাটি বলেছিলাম। আচ্ছা আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্ন রইল, আজকাল কার জামানায় প্রেম ভালোবাসার নামে যুবক যুবতীরা কি করে বেরাচ্ছে এবং আপনি এটাকে কোন ভাবে ব্যাখ্যা করবেন? হয়তো বা আপনার কাছে এই প্রশ্নের কোন উওর নেই।
আপনি আমাকে বললেন যে, আমি একজন নিচু মানষিকতার মানুষ। কথাটা শুনে কোন আফসোস হল না কারন, আমি যাকিছুই বলি তার পেছনে যথাযথ যুক্তি দিয়েই বলার চেষ্টা করি, না জেনে না বুঝে না।
পিস টিভিতে ডাঃ জাকির নায়েকের একটি লেকচারে দেখেছিলাম যে, বর্তমানে ইন্ডিয়াতে নাকি ১৪ থেকে ১৬ বছরের ভেতরেই নাকি আধিকাংশ কুমারীই বিয়ের আগেই তাদের কুমারীত্ব হারায়। আপনার কাছে এটা আমার দ্বীতিয় প্রশ্ন রইল যে, বাংলাদেশেও কি ডিজিটাল জামানার প্রেম ভালোবাসার নামে সেরকম ঘটনা ঘটছে না?
এবার আসি আপনার শেষের কথায়, আপনি বলেছেন, আর চেহারা সুন্দর হলেই একটি মেয়ে ধর্ষণ করতে দেবে অন্য কিছুর নামে এই হল আপনার মান্সিকতা। আপনার সাথে কথা বলতেও ঘৃণা হচ্ছে। আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুন, আমিন।
কেন আপনিই তো বললেন যে দুই জনের সম্মতিক্রমেই এই ঘটনা গুলো ঘটছে তাই এটা ধর্ষন নয়। একজন ধর্ষকের নিঃশন্দেহে ফাসি হওয়া উচিৎ এটা আমারো দাবি। আপনার কাছে আমার ৩য় প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের দেশে এই সব কাজের প্রবনতা কি দিন দিন বাড়ছে না কমছে? আজ যদি আমরা নিজেদের কে ইসলামের আদর্শে গড়ে তুলতে পারতাম তবে এই ঘটনা গুলো কি কিছুটা হলেও কম ঘটত না?? এবার আপনিই একটু চিন্তা করে বলেন, আমরা নিজেদের কে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের আদর্শ এবং সংসকৃতিকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছি??
আর আপনি বললেন যে মহান আল্লাহ পাক আমাকে হেদায়েত দান করুক..........তার প্রতি উওরে আমি মহান আল্লাহ পাকের কাছ কোটি কোটি শুকরিয়া আদায় করি আজকের আমির জন্য।
২৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭
একা স্বপ্নীল পথিক বলেছেন: বাংলাদেশেও কি ডিজিটাল জামানার প্রেম ভালোবাসার নামে সেরকম ঘটনা ঘটছে, কিন্তু তার দায় মেয়েদের একার না, সেই ছেলেটিও দায়ী।
আর ধর্ষণের জন্য শুধু সেই নরপশু দায়ী।
আমি শুধু এতোটুকুই বলতে চাই।
২৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩১
এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: যখন একটি ছেলে ও একটি মেয়ের মধ্যে ২ জনের সম্মতিতে অবৈধ ফিজিক্যাল রিলাশন হয় তখন সেটাকে মিউচুয়াল সেক্স বলে।
আর ২ জনের একজনের অসম্মতিতে যখন এটা ঘটে তখন সেটাকে ধর্ষন বলে। এক্ষেত্রে একটা মেয়েও পারে একটা ছেলে ধর্ষন করতে। এবং পৃথিবীর অনেক দেশে এমন ঘটনা ঘটেছেও ।
উপরের কমেন্ট দেখে মনে হলো মূল ইস্যু থেকে সরে যাচ্ছেন। ইন্ডিয়ার কথা বাদ দিন। বাংলাদেশের ঢাকাতেই জরিপ করলে দেখা যাবে হিউজ নাম্বার অফ গার্লস আর নট ভার্জিন। কিন্তু এদের মাঝে ৮০% তাদের ভার্জিনিটি লুজ করেছে স্বেচ্ছায়। এক্ষেত্রে ঐ মেয়েদের বিবেক বা রুচি নিয়ে প্রশ্ন উঠাতে পারি আমরা কিন্তু তাদের বিচার করাটা হাস্যকর যদি ওরা এডাল্ট হয়ে থাকে তো। কিন্তু ধর্ষন টোটালি ভিন্ন জিনিস। এখানে জোর খাটানো হয় অপরজনের অসম্মতির বিরুদ্ধে।
২৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪১
এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: আর একটা কথা বলি,স্বামী যখন তার স্ত্রীর অসম্মতিতে স্ত্রীর সাথে জোর করে ফিজিক্যাল রিলেশন করে সেটাও এক ধরনের ধর্ষন। ইনফ্যাক্ট এই ইস্যুতে ডিভোর্স পাওয়া যায়
২৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
অন্য আলোক বলেছেন: @এ্যাপোলো৯০
ভাই আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যটি অনেক ভালো লাগলো।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
নতুন বলেছেন: আবারও বলছি মেয়েদের দোষ দেওয়া বন্ধ করেন । নিজে বদলাম নিজের দৃষ্টি ভঙ্গি বদলান । একটা মেয়েকে টিজ করার আগে একটা বার ঐ মেয়েটার জায়গায় নিজের মা, বোন অথবা নিজের প্রিয় একজনের চেহারার কথা কল্পনা করে দেখেন আপনার মুখদিয়ে একটা কথা বের হবে ! রেপ করা তো অনেক দুরে পরে রইলো !!