![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মূলত পাঠক লেখক নই । কেউ জ্ঞান দেবে না জ্ঞান দেওয়া দেখলে মেজাজটা বড় খারাপ হয় ।
আমিনুল রহমানের মেজাজ আজ চরম খারাপ । বিরস মুখে যখন বাসা থেকে বের হলেন তখন তার ডান চোখের পাতা কাঁপতে লাগল । অন্য সময় হলে তার মনে একটা আনন্দের অনুভূতি হত কারন যখনই তার ডান চোখের পাতা কাঁপে তখনই কোন না শুভ ঘটনা ঘটে । কিন্তু আজ তিনি বড় বিরক্ত হলেন । আজ ভাল কিছু হতেই পারে না । কারন আজ তার ট্রাইবুনালে ডিউটি পরেছে । আজম রাজাকারের নিরাপত্তার ডিউটি । আমিনুল ইসলামে ভাবতে অবাক লাগে একজন রাজাকার জন্য এতো নিরাপত্তার দরকার কি ? বড় আজব এই দেশ ।
ট্রাইবুনাল প্রাঙ্গানে পৌছিয়ে তিনি দেখলেন অনেক লোকের সমাগোম হয়েছে । প্রতিবারই হয় । কিন্তু আজ যেন একটু বেশি । একটু পরেই প্রিজন ভ্যান এসে হাজির । ভিড়ের ভিতর থেকে এবার স্লোগান দেওয়া শুরু হল । আমিনুল ইসলামের মেজাজটা আরো বেশি খারাপ হল । একজন সিপাহীর কাছ থেকে একটা স্টিলের রুল নিয়ে ভিড়ের দিকে এগিয়ে গেলেন । কয়েক জন কে ধাক্কা দিয়ে বেরও করে দিলেন ।
তাদের ভিতর দুজনকে দেখা গেল বেজায় সাহস । আমিনুল ইসলাম যে একজন পুলিশ তাকে কোন পাত্তাই দিল না । আমিনুল ইসলামের বড় মেজাজ খারাপ হল । ইচ্ছা হল জোরে একটা চড় মারতে । খুব কষ্টে নিজের ইচ্ছাটাকে দমন করলেন । একটা সময় ছিল শিবির দেখলেই তাকে ধরে পেটাতেন । তখন দেশের বিরুদ্ধ কোন কিছু দেখলেই তার মেজাজ গরম হয়ে যেত । তখন তিনি ইয়াং ছিলেন । খুব বেশি পিছু টান ছিল না । কিন্তু এখন অনেক কিছু ভাবতে হয় । তবুও ঐ দুজন কে একটু ধমকাল । কিন্তু যখন প্রিজন ভ্যানের দরজা খুলে আজম রাজাকার বের হয়ে এল তখন ঐ দুজন যেন পাগল হয়ে গেল । দুর্গা পুজার সময় যেমন মুর্তিকে ঘিরে সবাই নাচানাচি করে এরাও ঠিক সেই রকম কাজ করতে লাগল ।
আজম রাজাকার কে আবার হুইল চেয়ারে তোলা হল । সে নাকি হাটতে পারে না । আমিনুল ইসলামের মেজাজটা আরো একটা খারাপ হল । হুইল চেয়ার ঘিরে অনেক পুলিশ কিন্তু আমিনুল ইসলাম ওখান থেকে সরে গেলেন । আসলে তিনি আজম রাজাকারের গা থেকে পাঠার গন্ধ পেতে শুরু করেছেন । এমনটাই তার হয় । আগে যতবার তিনি রাজাকারের আশে পাশে গেছেন ততবারই পাঠার গন্ধ তার নাকে লেগেছে ।
দুর থেকেই দেখলেন বেশ কিছু পুলিশ আজম রাজাকারকে ঘিরে ধরে সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে । কিছুক্ষনের ভিতরেই বেশ কিছু মিছিলরত লোক ঐ পুলিশের দলটাকে ঘিরে ধরল । আমিনুল ইসলামের মনে হল কিছু একটা ঘটতে চলেছে । ঠিক তখন ককটেল ফাটলো । আর সবার মাঝেই একটা হট্টগোল শুরু হয়ে গেল । পরপর আরো কয়েকটা ককটেল ফাটলো । কেউ যেন স্মোক বোমা ফাটালো !
সারা প্রঙ্গল ধোয়ায় ধোয়ায় ভরে গেছে । কিছুই দেখা যাচ্ছে না । আমিনুল ইসলাম তবুও আজম রাজাকারের দিকে এগিয়ে গেলেন । তার মনে হল যেন এই হামলা করে তারা ঐ আজম রাজাকার কে ছাড়িয়ে নিতে এসেছে । কিন্তু আর একটু এগিয়ে গিয়ে তিনি একটা অবাক হওয়া দৃশ্য দেখলেন । তিনি দেখলেন সেই দুটো বেপরয়া ছেলে কে একটু আগে দেখেছিলেন সেই দুটো ছেলে আজম রাজাকারের খুব কাছে চলে এসেছে । তারপর পকেট থেকে দুটো সুচালো খঞ্জরের মত বের করে আজম রাজাকারের গলা বরাবর চালিয়ে দিল । তিনি দেখলেন আজমের গলা দিয়ে রক্ত বের শুরু করেছে । ছেলে দুটো তারপর ভিড়ের ভিতর হারিয়ে গেল । সব কিছু ঘটলো কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ।
আমিনুল ইসলামের মনে হল তিনি ছেলে দুটোর পিছনে যাবেন কিন্তু তারপর মনে হল নাহ ছেলে দুটো ঠিক কাজ করেছে । এই দেশে রাজাকার মারা কোন অপরাধের ভিতর পরে না ।
তিনি আবার নিজের জায়গায় ফিরে এলেন ।
আমি লিখতে পারি না । কিন্তু এই কল্পনা না আমার করতে খুব ভাল লাগে । আমি আসলেই মনে করি এই দেশে রাজাকার মারা কোন অপরাধের ভিতর পরে না । কল্পনা হোক আর বাস্তব রাজাকারের মৃত্যু সব মানুষের মনেই আনন্দ জাগায় ।
২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: Valo laglo
৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৫
নিষ্কর্মা বলেছেন:
স্পিরিটটা সত্য। এইদেশে রাজাকার মারা এখন নাগরিকদের দায়িত্ব হওয়া উচিৎ।
৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩২
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: দারুন লিখছেন +++++++++++
আসলে তিনি সাগোনী রাজাকারের গা থেকে পাঠার গন্ধ পেতে শুরু করেছেন । এমনটাই তার হয় । আগে যতবার তিনি রাজাকারের আশে পাশে গেছেন ততবারই পাঠার গন্ধ তার নাকে লেগেছে ।
ভালো থাকবেন সবসময়
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৭
বাংলার হাসান বলেছেন: আমিনুল ইসলামের মনে হল তিনি ছেলে দুটোর পিছনে যাবেন কিন্তু তারপর মনে হল নাহ ছেলে দুটো ঠিক কাজ করেছে । এই দেশে রাজাকার মারা কোন অপরাধের ভিতর পরে না ।