![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশা: সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
বিশিষ্ট বাঙালী বিশেষজ্ঞ মুহতারামা মিতা হকের কাছে প্রশ্ন, ভারতীয় ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন আটসাট ও সংক্ষিপ্ত খোলামেলা পোশাকে এদেশের নারীরা যখন আবৃত থাকার ব্যর্থ চেষ্টা করে, অথবা থাইস নামের অত্যন্ত কুরুচীপূর্ণ পোশাক পরতে আমাদের দেশের নারীরা যখন কুন্ঠিত হয় না, তখন তাদের বাঙালীয়ানা কোথায় থাকে? অথবা এদেশের তরুণ, যুব ও বয়োবৃদ্ধ পুরুষ সমাজের একটি বিশাল অংশ যখন হুবহু পাশ্চাত্যের বেশভূষা কপি করে, অনেকে যেমন আন্ডারওয়্যার দেখিয়ে প্যান্ট পরে, অনেকে আন্ডারওয়্যার পরার প্রয়োজনও উপলব্ধি করে না তখন বাংলাদেশের বাঙালীয়ানা কি করে বহাল তবিয়তে অটুট থাকে?
মিতা হকের সেই কুখ্যাত ভাষ্য
মুহতারামা মিতা হকের মতে, শুধুমাত্র যেসব নারীরা বোরখা বা হিজাব পরে, অথবা যেসব যুবক পুরুষেরা লম্বা কুর্তা পরে, মাথায় টুপি পরে, দাড়ি রাখে তখন তারা বাঙালীত্ব বিসর্জন দিয়ে পুরোপুরি অবাঙালী হয়ে যায়। মিতা হক যখন বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় (শপিং মল বা হাসপাতাল) ভ্রমণ করেন তখন আশেপাশের এরকম অসংখ্য অবাঙালীর মাঝে শুধুমাত্র নিজেকেই বাঙালী হিসেবে আবিষ্কার করেন। আমি খুব অবাক হলাম যখন দেখলাম, ঐ টকশোর উপস্থাপিকা ভেটকী মেরে মিতা হকের কথা গিললেন, কোন প্রতিবাদ করলেন না আর বাকি দুজন নপুংসক ইনিয়ে বিনিয়ে তা সমর্থন করে গেলেন।
এরকম নামকাওয়াস্তে মুসলিমদের সম্পর্কেই পবিত্র কুরআন বলে, আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়। তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না। তাদের অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত আর আল্লাহ তাদের ব্যধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। বস্তুতঃ তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুন। [পবিত্র কুরআনের ১ নং সূরা আল বাকারা, আয়াত নং ৮ থেকে ১০]
মুনাফিকরা আপনার কাছে এসে বলেঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহর রসূল। আল্লাহ জানেন যে, আপনি অবশ্যই আল্লাহর রসূল এবং আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। [পবিত্র কুরআনের ৬৩ নং সূরা আল মুনাফিকুন, আয়াত নং ১]
অনেকে বলে অষ্টম শতাব্দীতেই এদেশে ইসলামের আগমণ। আর খুব স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা যায় ইসলামের সাথে সাথেই বোরখা, লম্বা কুর্তা, দাড়ি, টুপি ও লুঙ্গীর আগমণ। হাজার বছরের বেশী সময় ধরে, যে বেশভূষা এদেশের আমজনতা সাদরে গ্রহণ করে চলে আসছে তা কি করে আজ হঠাৎ তাদের পরিচয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করে তা বোধগম্য হয় না, অথচ গত কয়েক দশক ধরে যেসব ভারতীয় ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন আটসাট ও সংক্ষিপ্ত খোলামেলা পোশাকে এদেশের নরনারীরা গা ভাসিয়ে দিলো তাতে তাদের বাঙালী পরিচয়ের কোনই ক্ষতি হলো না। এখন আমাদের বুঝতে বাকি থাকে না যে, মিতা হকের বাঙালী সংজ্ঞায় গলদ আছে।
মিতা হকের মত এই তথাকথিত বাঙালীদের ইসলামে এলার্জি আছে। ভয়ঙ্কর রকমের এলার্জি। এদের ভাষ্যমতে বাঙালী হতে হলে আপনাকে নিম্নলিখিত কর্মকান্ড অনুসরণ করতে হবে,
১ম, সকল অনুষ্ঠান মঙ্গল প্রদীপ ও রবীন্দ্র সঙ্গীতের সহিত শুরু করতে হবে।
২য়, নারীরা শাড়ি পরবে, কপালে টিপ দিবে পারলে। মাথায় ঘোমটাও দেয়া যাবে না। আর পুরুষদের ধূতি পরতেই হবে, প্লাস ক্লিন শেভড।
ব্যস আপনি বাঙালী হয়ে গেলেন।
মিতা হকের মত এরকম বিকৃত মনমানসিকতার সিজনাল বাঙলীদের আওয়ামী সরকারের আমলেই বেশী উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়। আমাদের নৈতিক দায়িত্ব এদেরকে বোঝানো, পোশাক পরিচ্ছদে বাঙালীয়ানা আবদ্ধ নয়। আর জামায়াত ও ইসলাম এক জিনিস নয়। আওয়ামীলীগের উচিৎ হবে এইসব সিজনাল, কট্টর সেক্যুলারিস্ট, ইসলাম বিদ্বেষী বাঙালীদের কাছ থেকে দূরে থাকা। কারণ এইসব সিজনাল বাঙলীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আওয়ামীলীগের প্রতি জনগণের সমর্থন হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। সম্ভব হলে, আওয়ামীলীগের উচিৎ হবে, মিতা হকের মত বাঙালীদের কান ধরে দুগালে কষে চড় লাগিয়ে বাঙালী ও বাংলাদেশীর সংজ্ঞা শেখানো, আর তা হলো, বাংলাদেশে জন্ম নেয়া অথবা বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত, যার মাতৃভাষা বাংলা, সেই বাঙালী। যে বাংলাদেশ নামক স্বাধীণ দেশের নাগরিক সে বাংলাদেশী।
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৮
নাফাজি বলেছেন: ধন্যবাদ, আমার ভাবনার সাথে একমত পোষণ করার জন্য।
২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৩
রাহিক বলেছেন: "বাংলাদেশে জন্ম নেয়া অথবা বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত, যার মাতৃভাষা বাংলা, সেই বাঙালী। যে বাংলাদেশ নামক স্বাধীণ দেশের নাগরিক সে বাংলাদেশী। "
যথার্থ বলেছেন (y)
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৯
নাফাজি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩১
ফুরব বলেছেন: দুই পয়সার শিল্পির রাজনিতি নিয়া কথা বলার যুক্তি কি? আর এটা নিয়া এত মাতামাতি করারই বা কি আছে??
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪০
নাফাজি বলেছেন: এরা সমাজে বিভেদ উস্কে দেয়, প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়। অত্যন্ত সুকৌশলে সমাজে ইসলাম বিদ্বেষী কথা বলে বেড়ায়। এদের থেকে সাবাধাণ হওয়া উচিৎ।
৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৫১
নয়ামুখ বলেছেন: ঘোমটা দেয়ার কারণে যদি মিতা হকের কাছে বাঙালিত্ব হারাতে হয়, তবে শাড়ির নিচে ব্লাউজ আর পেটিকোট পরার পরও মিতা হকদের বাঙালিত্ব থাকে কি করে.
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪
নাফাজি বলেছেন: উনার মত সিজনাল বাঙালীরা কিছুদিন পরপর বাঙালীয়ানার নতুন নতুন সংজ্ঞা নিয়ে আসবেন, সমাজে বিভেদ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য। তাদের অন্তরে লুক্কায়িত ইসলাম বিদ্বেষ, তাদের অজান্তেই বেরিয়ে আসে, তাদের এসব কথাবার্তার মাধ্যমে।
৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯
রবিউল ৮১ বলেছেন: আওয়ামীলীগের উচিৎ হবে এইসব সিজনাল, কট্টর সেক্যুলারিস্ট, ইসলাম বিদ্বেষী বাঙালীদের কাছ থেকে দূরে থাকা। কারণ এইসব সিজনাল বাঙলীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আওয়ামীলীগের প্রতি জনগণের সমর্থন হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। সম্ভব হলে, আওয়ামীলীগের উচিৎ হবে, মিতা হকের মত বাঙালীদের কান ধরে দুগালে কষে চড় লাগিয়ে বাঙালী ও বাংলাদেশীর সংজ্ঞা শেখানো, আর তা হলো, বাংলাদেশে জন্ম নেয়া অথবা বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত, যার মাতৃভাষা বাংলা, সেই বাঙালী। যে বাংলাদেশ নামক স্বাধীণ দেশের নাগরিক সে বাংলাদেশী।---সহমত।মিতার মতো মেয়েরা আবার নিজেকে খুব ভালো ভাবে এই সরকারের সমর্থক বলে দাবী করে আসলে সরকারেরই ক্ষতি করে থাকে।
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬
নাফাজি বলেছেন: এই বিষয়টা আওয়ামীলীগ যত দ্রুত উপলব্ধি করতে পারবে ততই দলটির জন্য মঙ্গল হবে। ধন্যবাদ সহমত পোষণ করার জন্য।
৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৬
আবু মোশাররফ রাসেল বলেছেন: এরাই সমাজের আসল সমস্যা! এটা সমাজ যত তাড়াতাড়ি উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে ততই মঙ্গল।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯
নাফাজি বলেছেন: হুমমম। ঠিকই বলেছেন। সমাজে বিভেদ সৃষ্টিকারী ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতদানকারী এইসব কুলাঙ্গারদের থেকে সাবধান। আমার মনে হয়, সময় এসেছে, এদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করার।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: ভারতীয় ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন আটসাট ও সংক্ষিপ্ত খোলামেলা পোশাকে এদেশের নারীরা যখন আবৃত থাকার ব্যর্থ চেষ্টা করে, অথবা থাইস নামের অত্যন্ত কুরুচীপূর্ণ পোশাক পরতে আমাদের দেশের নারীরা যখন কুন্ঠিত হয় না, তখন তাদের বাঙালীয়ানা কোথায় থাকে? অথবা এদেশের তরুণ, যুব ও বয়োবৃদ্ধ পুরুষ সমাজের একটি বিশাল অংশ যখন হুবহু পাশ্চাত্যের বেশভূষা কপি করে, অনেকে যেমন আন্ডারওয়্যার দেখিয়ে প্যান্ট পরে, অনেকে আন্ডারওয়্যার পরার প্রয়োজনও উপলব্ধি করে না তখন বাংলাদেশের বাঙালীয়ানা কি করে বহাল তবিয়তে অটুট থাকে? ঠিক এ কথাটাই ভাবতাছিলাম.।