![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নরাধম অধার্মিক প্রেমিক। প্রেম, রাষ্ট্র , সমাজ, সিসটেম যার কাছে তালগোল পাকিয়ে গোলগাল কিছু একটা হয়ে গেছে
প্রথমে একটা ঘটনা শোনাই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরের ঘটনা। আমেরিকার শিকাগো শহরে বাস করত এক ধনকুবের আর তার সুন্দরি মেয়ে। একদিন সেই সুন্দরী মেয়েটিকে কয়েকজন কিডন্যাপার কিডন্যাপ করল এবং ১ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দাবি করল। ওঁই ধনকুবের তার মেয়েটিকে অনেক ভালবাসতেন এবং১ মিলিয়ন ডলার তার কাছে কোন ব্যাপার ছিল না। ফলে সে সাথে সাথে কিডন্যাপারদের র্যানসাম মানি বা মুক্তিপণের টাকা দেয়ার জন্য রাজি হলেন। কিন্তু ততক্ষণে আরেকটা ঘটনা ঘটে গেছে। কিডন্যাপারদের লিডারের সাথে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠল। তাদের মধ্যে শারিরিক সম্পর্ক হল। মেয়েটি কিডন্যাপারের প্রেমে এতটাই অন্ধ হল যে, তারা দুই জন মিলে পরিকল্পনা করল , মেয়েটির বাবা কে হত্যা করে তার মাল্টি মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি আত্মসাৎ করা হবে। পরিকল্পনামত তারা সেটা করেছিলো। কিডন্যাপার মেয়েটির বাবাকে হত্যা করে এবং তারা সব সম্পত্তি আত্মসাৎ করে নেয়... পড়ে রহস্যটির মিমাংসা গোয়েন্দারা করে...
এবার আরেকটা ঘটনা বলি। ১৯৭১ সাল। পাকিস্তানিরা ততকালিন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর জিয়ার সুন্দরি স্ত্রীকে জোর করে পাকিস্তানি ক্যাম্পে ধরে নিয়ে গেলো( মতান্তরে স্বেচ্ছায়)। সে সময় পাকিস্তানিরা ২ লক্ষ মা বোন কে ক্যাম্পে নিয়ে হত্যা ধর্ষণ নির্যাতন করলেও একমাত্র খালেদা জিয়া আরামসে ক্যান্টমেন্টে থাকতে লাগলেন। ( কি স্পেশালিটি ছিল তার ?)পাকিস্তানি মেজর দের সাথে তার মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠলো। মেজর হাফিজের বইতে উল্লেখ আছে মেজর জিয়া সেই সময়ে ৪ বার খালেদা জিয়াকে আনতে পাঠালেও খালেদা জিয়া আসেননি। যাই হোক পাকিস্তানিরা যুদ্ধে হারল।খালেদা জিয়াও ফিরে আসলেন জিয়ার কাছে।যদিও জিয়া তাকে গ্রহন করতে চাননি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু নামক এক বিশাল হৃদয়ের মানুষের কথায় জিয়া খালেদা জিয়াকে গ্রহন করেন। এর ১০ বছর পর জিয়াউর রহমানকে সেনা অভভুথানে হত্যা করা হয়।এবার আসি ২০০০ সালে। পরের বছর নির্বাচন। ততদিনে সাইদি, নিজামি,মুজাহিদের মত একাত্তরের রাজাকাররা দেশের ভিতর গেড়ে বসেছে। হটাত করে একদিন খালেদা জিয়ার পুরোন পাকিস্তান ক্যাম্পের প্রেম জাগ্রত হল। হাত মেলালেন তার ৭১ এর কিডন্যাপার পাকিস্তানিদের দোসর জামাতে ইসলামির রাজাকারদের সাথে। তাদের মধ্যে প্রেম এতটাই গভীর হল যে, দুই জন মিলে সিদ্ধান্ত নিল মা কে হত্যা করে সমস্ত ধন সম্পদ আত্মসাৎ করা হবে। মা কে ভাবছেন ? মা মানে দেশ। হলও তাই। ৫ বার দুর্নীতিতে শ্রেষ্ঠ হওয়ার মেডেল পেল মা। তাকে চুষে চুষে খেয়ে ফেলল খালেদা জামাত দম্পত্তি। এই দিকে চলতে থাকল আইভি রহমান, শাহ এম এস কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টারের মত স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনের হত্যা।
ছায়ানটে বোমা হামলা প্রমান করল, বাঙালী সংস্কৃতি কে তারা ঘৃনা করে। ২০১৩ সালে যখন সারা দেশ রাজাকারের ফাসির দাবিতে উত্তাল, তখনও খালেদা জিয়া তার পাকিস্তান প্রেম কে দেশ প্রেমের উপরে রেখে জামাত তথা রাজাকারের পক্ষে থাকলেন। প্রেমে অন্ধ বলে কথা। ঠিক সেই সুন্দরী মেয়েটির মত। আজও আছে। প্রতিদিন আমরা আশা করি আজ হয়ত ম্যাডাম একটা সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা করবেন, রাজাকারের ফাঁসি চাই। জামাতের সাথে বি এন পির আজ থেকে কোন সম্পর্ক নাই। কিন্তু সেই দিন আর আসে না। ম্যাডামের পাকিস্তান ক্যাম্পের প্রেম বাড়তেই থাকে। বাড়তেই থাকে........
©somewhere in net ltd.