![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফাইনাল ইয়ার। রোজকার ভাগদৌড় আর ভালো লাগে না। কিন্তু ভয় লাগে। শেষ হয়ে গেলে খুব মিস করব স্টুডেন্ট লাইফটা। বড় হতে ইচ্ছে করে না। কোন ভাবে যদি থামানো যেত সময়টা...
আমার আম্মুর চুলও মহা কোঁকড়া বলে বিডি তার আদরের কোঁকড়াচুলওয়ালীর নামানুসারে আম্মুকে কোঁকড়াচুলওয়ালী ডাকে, সে আমি আগেই বলেছি। সবার আম্মু তার কাছে স্পেশাল, কিন্তু আমার কোঁকড়াচুলওয়ালীর স্পেশালটি হলো, সে আমার বন্ধুদের কাছেও স্পেশাল । অনন্ত তার জানের টুকরার নামে আমার জননীর নাম রেখেছে, সুতরাং তার কাছে আমার আম্মু কি সে আমি না ই বললাম
।
অথবা শারেকা। তার আর আমার মায়ের প্রেম দেখলে আমার পিত্তি জ্বলে । সে এক অমর প্রেমগাঁথা। আজকে সে তার ময়ের বাড়ি যেতে পারেনি, শ্বাশুড়ির জন্য গিফট কিনেছে আন্তির সাথে দেখাও করতে পরেনি, তাই মন খারাপ করে আমাকে বলে আমার কোঁকড়াচুওয়ালীকে তার কাছে পাঠায় দিতে
। রাত পৌনে দশটা না হলে হয়তো আমার আম্মাজানও রওনা দিয়ে দিতেন
। মনে করলেও আমার মেজাজ খারাপ হয়, এর জন্য ব্লগটাই লেখা হবে না, সুতরাং শারেকার গল্পও বাদ দেই
।
আদবানা বাসায় এসে কাজ করা তো দূরে থাক, আমাদের সাথে দেখা করার আগেই আম্মার সাথে ঘন্টাখানেক আড্দা মেরে আসবে । ইয়াহুতে নক, মিসিং আন্টি
। কি আজিব। আম্মা ইয়াহু আইডি ঠাকলে মনে হয় আমারে নকই করতো না ফাজিলটা
।
সিনথি বাসায় আসবে, আমার সাথে না আম্মুর সাথে দেখা করতে । আমার চেহারা তো রোজ ই দেখে, তাই পাত্তা নাই
।
মুনভির আতিথেয়তার আইডল আমার জননী , কারণ বিনা নোটিশে এগারো জন মানুষ ( তাও যদি হয় ভার্সিটি পড়ুয়া আক দঙ্গল জংলী খাদক, এবং টারা ক্ষুদার্ত।) কিভাবে একটা বাসায় লান্চ করলেও খাবারে কোন সমস্যা হয় না, সে গত তিন বছর ধরে তারই গবেষণা করে যাচ্ছে
।
আমার বাসা বুয়েটের খুব কাছে হওয়ায় মোটামুটি হলের কাজ করে। বরং এখানে স্বধীনতা বেশি, কোন সান্ধ্য আইন নাই। আর যেহেতু আমার মা আছে সেহেতু কোন চিন্তাও নাই ।
এখন পর্যন্ত আমি আকটা মাত্র জমা একা দিয়েছি। না হলে কেউ না কেউ থাকেই। একবার তো আমি, তানি, মৌটুসী তিন জনের প্রজেক্ট নেমেছে আমার বাসায় । এবং আম্মু আমাকে যেভাবে মুখে তুলে সবাইকে সেভাবেই। তানি জমার সময় কলা ছাড়া কিছুই খেতে পারেনা, বাসায় কলা আসে আলাদা এটা তানির ওটা সবার যাতে কম না পড়ে।
আম্মা জানে কে কোন সাইজের লোকমা খায়, কে কি তরকারি পছন্দ করে, কে কি ড্রিংক্স পছন্দ করে, কে কি চা খায় এবং চায়ে কত চামচ চিনি খায়।
রাত ভরে যখন আমরা কাজ করি, মা মাঝে মাঝে ঘুম থেকে উঠে আসে, এটা সেটা বানায়, মুখে তুলে খাইয়ে পরে আবার ঘুমায় (কেমনে যে পারে আল্লাহ মাবুদ) ।
মা গুলা এমনই হয়, জানি।
কিন্তু আমার কোঁকড়াচুলওয়ালীর কেরামতি এই খানেই শেষ না।
আমার এখন পর্যন্ত একটা মডেল নামে নাই যাতে আমার মা হাত দেয়নি :#> । এবং আমার সব মডেলের সব সিড়ি আম্মুর বানানো। আমি বানাই না কখনোই।
শুধু আমার না, যাই আমার বাসায় কাজ করুক আম্মা তাকেই সাহায্য করে।
উঁহু, কাজ করতে করতে যে এক্সপার্ট এমন না, তাকে প্রতিবার নতুন করে বোঝাতে হয়। আমার খারাপ লাগে না। (জানি, ভাবছেন কি খুনে মেয়েরে বাবা। একমাত্র মেয়ে তো, তাই আহ্লাদটা অনেক বেশি। :!> ) আর কাজ না দিলে যে মা ঘুমিয়ে পড়ে, আর মা সামনে না থাকলে যে আমার কাজ হয় না।
কিন্তু তার থেকেও জরুরি কথা হলো, মা নিজেই খুব আগ্রহ নিয়ে করে। পাশের যে নতুন বিল্ডিংটা হচ্ছে, মা দাঁড়িয়ে দেখে যে তার মেয়ে কি করে আর সত্যি সত্যি কি হয়। জিনিস গুলো বোঝে, বোঝার চেষ্টা করে।
আমি যখন ডিজাইন করতে করতে দু'তিনটা অপশনের মাঝে কনফিউজ হয়ে বসে থাকি তখনও আমার উদ্ধার কর্তা আমার মা, তার লজিক যে ভালো।
মোদ্দাকথা হলো আমার কোঁকড়াচুলওয়ালী আমার সবচে স্পেশাল মানুষ।
এজন্য না যে সে আমার মা, বরং এজন্য, যে সে আমার সবচে ভালো বন্ধু, আমার সব কাছের মানুষ। মাতে-মেয়েতে দূরত্ব কম নেই, কিন্তু বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে আবার সেরকম কোন আড়ালও নেই। আজিবটিক শোনাচ্ছে ? আমার মা না? একটু আজিবটিক তো হবেই
।
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৩:৩৯
নাহিন বলেছেন: পুরাই পাংখা
২| ১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৩:২৮
আট আনা বলেছেন: অস্থিরমতি পাঠকের জন্য সুখপাঠ্য নয়।
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৩:৪০
নাহিন বলেছেন: এইটা ঠিক। লিখার মরে আমার নিজেরই রিভাইস দিতে বোরিং লাগসে
কষ্ট করে লিখসি দেখে পোস্টায়া দিসি
৩| ১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৩:৩৯
অনন্ত দিগন্ত বলেছেন: কোকড়াচুলওয়ালী সিনিয়েরের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ...
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৩:৪১
নাহিন বলেছেন: শুভকামনা দিয়া লাভ নাই। গিফট কই??
৪| ১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৩:৪৩
রাজর্ষী বলেছেন: হমমম
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৩:৪৪
নাহিন বলেছেন: হুমম
৫| ১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৩:৪৭
অনন্ত দিগন্ত বলেছেন: আমার গিফট তো তাকে দেয়া আছেই ...
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৩:৪৮
নাহিন বলেছেন: আব্বেহহহহ আজকের গিফট কই??
আমি গিফটের টাকা দিয়া ডিভিডি কিনে ফেলসি বললামনা তখন। এখন তুই ও বাংক করলে খবরই আছে আমাদের।
৬| ১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৩:৪৭
জটিল বলেছেন: ভাল লাগল
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৩:৪৯
নাহিন বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ১১ ই মে, ২০০৯ ভোর ৪:৩৪
টুশকি বলেছেন: হিহিহি শারেকা আপু শ্বাশুড়ির জন্য গিফট কিনসে
১১ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭
নাহিন বলেছেন: এই করতে হয় রে বিয়ের পর...
৮| ১১ ই মে, ২০০৯ ভোর ৪:৩৬
টুশকি বলেছেন: পুরা পোস্ট পরে পড়ব
কোঁকড়াচুলওয়ালীকে দেখতে চাই ঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈই
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:১৯
নাহিন বলেছেন: বাসায় এসে লাইভ দেখে যাও না, এই খানে চিল্লাও কেন?
৯| ১১ ই মে, ২০০৯ ভোর ৫:৩৯
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আমার পিচ্চিটা দিন দিন বেয়াড়া হয়ে যাচ্ছে! বুড়া বাপ কে বাপ বলে মানে না। বাবু বানিয়ে নজরদারি-শাসন করতে চায়!
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:২১
নাহিন বলেছেন: হা হা হা হা হা
তো আপনার পিচ্চিটাকে কে যেন মা বলে ডাকে?
১০| ১১ ই মে, ২০০৯ ভোর ৬:২৫
মুক্ত বয়ান বলেছেন: এতদিনে পরিস্কার হইল কোকড়াচুলীর ঘটনা!!
আন্টিরে সালাম দিয়েন। আর, আপনেগো মতন শয়তান(!!)গুলারে মাঝে মাঝে থাবড়া দিয়া সোজা কইরা দিতে কইবেন!!!
পুলাপাইন!! আদর পাইয়া পাইয়া সোজা মাথায় উইঠা গেছে!!!
আন্টির প্রতি শুভ কামনা। শুভেচ্ছা।
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:২৩
নাহিন বলেছেন: হা হা হা
আম্মা আমারে থাবড়া দেয় না। দিলে উল্টা হাতে ব্যাথা পায় তাই দেয়া ছাইড়া দিসে।
১১| ১১ ই মে, ২০০৯ সকাল ৭:১৫
সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: অনেক গুলো প্রিয় মুখের নাম ! দোস্তয......... :-)
অনন্ত দিগন্ত কি ক্লাসের নাকি ? ......
আচ্ছা সব আম্মুরাই কি কোঁকড়াচুলওয়ালী ?? নাকি সব কোঁকড়াচুলওয়ালীরাই আম্মু ?? ... :-)
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:৩১
নাহিন বলেছেন: অনন্ত ক্লাসের না, ও আমার আগের ফ্রেন্ড।
জানি না, কিন্তু আমার আম্মু কোঁকড়াচচুলওয়ালী।
১২| ১১ ই মে, ২০০৯ সকাল ৭:২০
টুশকি বলেছেন: অসাধারণ একটা পোস্ট আপু!
আমি ধরেই নিয়েছিলাম কোঁকড়াচুলওয়ালী তোমার ছোট কোন কাজিন হবে। আম্মু-মেয়ের এরকম সম্পর্কই থাকা উচিত।
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:৩৪
নাহিন বলেছেন:
১৩| ১১ ই মে, ২০০৯ সকাল ৭:২৩
শাওন৩৫০৪ বলেছেন: হা...হা..আপনার দেখি খুব দু:খি দু:খি সুখ.......খুব মজা.....সবাই একসাথে ভালো থাকুন....মায়ের জন্য স্পেশাল শুভেচ্ছা.....
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:৩৬
নাহিন বলেছেন: ধন্যবাদ
১৪| ১১ ই মে, ২০০৯ সকাল ৭:২৩
~স্বপ্নজয়~ বলেছেন: মা'র জন্য অনেক শুভকামনা, ভালবাসা ...
সুচীপত্র - মা দিবসের (২০০৯) জন্যে লিখা সকল ব্লগের লিঙ্ক
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:৩৭
নাহিন বলেছেন: হ দিতে থাকো সবাই মিলে... আমারে আর কেউ ভালোবাসে না, সবাই মারেই ভালোবাসে।
১৫| ১১ ই মে, ২০০৯ সকাল ৯:০৯
পারভেজ বলেছেন: কামলাদের আবদার মেটাতে গিয়ে জান্ শেষ হতো আর এমন কামলা! যে কিনা উল্টা সমাদর করে!!
ভালো থাকুন তোমার আম্মু সবসময়।
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:৩৯
নাহিন বলেছেন: আমার কামলা সবগুলাই এমন ভাইয়া।
আমারে ঝাড়ির উপরে রাখে, আর চরম আদর করে। সবগুলিরে আম্মুর রোগে ধরসে।
মাঝে মাঝে তো আমিই কনফিউজড হয়া যাই, কামলা কে আর আমলা কে?
১৬| ১১ ই মে, ২০০৯ সকাল ৯:২৩
এস রহমান বলেছেন: ভালো লাগল খুব ভালো
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:৪০
নাহিন বলেছেন: ধন্যবাদ
১৭| ১১ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:৩৪
সুবাইল বলেছেন: Hmm...amar daoat ta paoinai roe geche... :-(
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:৪২
নাহিন বলেছেন:
১৮| ১১ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৩৩
সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: আমার আম্মুও কোঁকড়াচুলওয়ালী :-D
ক্লাসের কেউ লিখে ব্লগ ? আমার তো নাই ই .........
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৪০
নাহিন বলেছেন: নাহহ, এতো টাইম কই? আমি তো কাজের কাজ কিছু করি না, খালি বসে অকাজ করি, তাই সময় পাই।
১৯| ১৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:২৮
~স্বপ্নজয়~ বলেছেন: "মা দিবস ব্লগ সঙ্কলন - ২০০৯ " ই-বুক আকারে প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিস্তারিত পাবেন এই পোষ্টে । পোষ্টটিতে আপনার মতামত আশা করছি।
১৯ শে মে, ২০০৯ রাত ২:৩৩
নাহিন বলেছেন: এক কথা সবেরে কপি পেস্ট মারতাসস কেন???
২০| ২৯ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:১৮
তলানি বলেছেন: ভাল লাগল
২৯ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:৩৪
নাহিন বলেছেন: ধন্যবাদ
২১| ২২ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:২২
বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: আপনার মা কে আমারও খুব ভাল লেগেছে।
২২ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:৪৩
নাহিন বলেছেন: ধন্যবাদ আপুনি
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মে, ২০০৯ রাত ৩:২২
অন্যরকম বলেছেন: আপনার কোঁকড়াচুলওয়ালি দেখী ব্যাপকস!!!!!