নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপ পাঁপড়ি

রুদ্রনীল

নাহিদ রুদ্রনীল

লেখালেখি করার খুব ইচ্ছে আছে। নিজের ব্যক্তিজীবন থেকে শিখছি, আশেপাশ থেকে জানছি। নিজের মাঝে স্বতন্ত্র বসবাস করি। আমার বিশ্বাস-আদর্শকে ধারন করার চেষ্টায় থাকি।

নাহিদ রুদ্রনীল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি পালিয়ে বিয়ে এবং অতঃপর

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

ট্রেনে সিটে মুখোমুখি বসে আছে এক

দম্পতি। আসলে এক হবু দম্পতি।

মাএ ঘন্টা দেড়েক আগেই বাসা থেকে পালিয়ে এসেছে।



- কি হইছে? কি চিন্তা করো?

- কিছু না।

- কিছু না হলে মুখটা এমন হুতুম

পেঁচার মত করে রাখছো কেন?

- না মানে, আমরা যেই

কাজটা করছি ঠিক করছি তো?

- এখানে ভুলের কি আছে?

তুমি আমাকে ভালবাসো আর

আমি তোমাকে এর থেকে বড় কোন

কথা নাই।

- ঠিক আছে কিন্তু এটা তো ফ্যামিলির মাধ্যমেও করা যেত। যেত না?

- আমাদের পরিবারে মধ্যে যে ঝামেলা সেটা তো পুরনো। সেটা তুমি-আমি সমাধান করতে পারবা না। তাদের ঝামেলার ফল আমরা ভুগবো কেন?

- ঠিক আছে। তবে.....

- তবে টবে কিছু না। চুপ থাকো।



রাতুল চিন্তামুক্ত হতে পারলো না।

অন্যের সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে,

এতো সহজ কাজ না। বিরাট চিন্তার

ব্যাপার।

- আরে এতো চিন্তা করো না।

আমাদের বিয়ের পর দেখবে সব ঠিক

হয়ে যাবে।

- হুম যাবে। তবুও কেমন

যানি একটা অদ্ভুত ফিলিংস হচ্ছে।

আগে কখনো পালাইনি তো।

- ও আচ্ছা। আমি তো প্রতিদিন

ছেলেদের সাথে পালাইতাম। আমার

অভিজ্ঞতা তো অনেক।

- হুম পালাইতাই তো। আমার মন

চুরি করে পালাইতা



কথা শুনে হাসে নীলা।বাতাসে উড়া চুল

হাসির মায়া আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

রাতুল তাকিয়ে আছে ওর দিকে।

নীলাকে বেশ সুন্দর লাগছে।

শাড়ি পড়লে আরও সুন্দর লাগতো।



- তুই এটা কি করলি?

মাথা নিচু করে চুপচাপ

বসে আছে রাতুল।রানু আপার কোন

কথার উওর দিচ্ছে না সে। রানু

আপা রাতুলের বড় বোন।

হাজবেন্ডের সাথে সিলেট থাকেন। তার হাজবেন্ড টিপু একজন সরকারী কর্মকর্তা। রানু আপা আবার প্রশ্ন করেন। রাতুল কোন উত্তর দেয় না, উত্তর দেয়ার মতো সাহস এখন

আর নেই।



- কথা বলছ না কেন?

- তুমি এই ঝামেলা থেকে আমাদের

বাঁচাও

- ভবিষতে কি করবি এটা নিয়ে কিছু

ভাবছোস? পড়ালেখাটাও তো শেষ

করলি না, না আছে কোন চাকরী।

- না এখনো ভাবি নাই

- এখন ভাবোস না তো কবে ভাববি?

আবারও চুপ রাতুল।

- আজই তোদের বিয়ে দেয়া লাগবে।

- তুমি যা ভালো মনে কর

- তবে একটা কথা মনে রাখবি।

তোদের ব্যাপারে কোন ঝামেলায়

আমি অথবা তোর দুলাভাই নাই।

যা করার তোরা করবা। আমাদের

ঝামেলায় জড়াতে পারবি না।

- আচ্ছা কথা দিচ্ছি ঝরাবো না।

রাতুলের বড় বোন রানু ও

তার হাজবেন্ড টিপু ভাইয়ের

সাহায্যে বিয়ে করে রাতুল-নীলা। খুব

সাধারণভাবে বিয়ে। ঝাকঝমকের

কিছুই হয়নি। একটি মেয়ের বিয়ে নিয়ে অনেক স্বপ্ন থাকে। অনেক আশা থাকে।নীলারও স্বপ্ন ছিল,কত আশা ছিল। ভালবাসার কাছে সব বির্সজন দিয়েছে। তাদের বিয়ের পরে তাদের পরিবারের ঝামেলার সমাধান হয়না বরং আরও বেড়ে যায়। বিয়ের

কথা শুনে দু'পরিবার এক পক্ষ

আরেক পক্ষের বিপক্ষে মামলা হামলা করে ফেলে। অবস্থা খারাপ দেখে রানু

আপা তাদের দায়িত্ব নিতে নারাজ।

তার হাজবেন্ড সরকারী কর্মকর্তা।

মামালা আমলার ঝামেলায়

পড়লে তার চাকুরি নিয়ে ঝামেলা হবে। তিনি কোন রকম ঝামেলায় নিজেদের ঝরাতে চান না। টিপু ভাই ঠিকই আড়াল থেকে সাহায্য করে যান। তার

সাহায্যে রাতুল অনেক গুলো টিউশনি পেয়েছে। সামান্য কিছু বেতনে একটা এনজিওতে চাকরিও করে। এক রুমের একটা বাসায় থাকে কাগজে কলমে স্বীকৃত এই দম্পতি। ভালোই যাচ্ছে তাদের দিন। ছোট ছোট স্বপ্ন কিন্তু অনেক বেশি ভালবাসা। সপ্তাহে তিনদিন

আলুভর্তা, একটা অর্ধবুড়ো ফ্যান,আপার

কিনে দেয়া সামান্য কিছু সাংসরিক

জিনিসপএ, নীলার কচিহাতে রান্না করা অতিরিক্ত লবণের তরকারী। এসব খেতে খারাপ লাগে না রাতুলের। তবে কতদিন চলবে এরকম,আর কতদিন?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:

ভালো লাগলো।

আপনি কি ওয়াচে?

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০

নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: ধন্যবাদ। জ্বী ভাইয়া এখনো জেনারেলেই যাইতে পারলাম না। ১সপ্তাহ পার হয়ে, ৩সপ্তাহে পা দিলাম তাও কিছু হয় না! কি করবো একটু টিপস দেন তো!

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

কাব্যহীন রেওয়াজ বলেছেন: ভালো লাগল .........।

লেখা চালায় যান ভাইয়া....। আমার ওয়াচ শেষ হতে তিন মাস সময় নিছিলো......।

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আল্লাহ জানে আমার ওয়াচ কবে শেষ হবে..!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.