![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি করার খুব ইচ্ছে আছে। নিজের ব্যক্তিজীবন থেকে শিখছি, আশেপাশ থেকে জানছি। নিজের মাঝে স্বতন্ত্র বসবাস করি। আমার বিশ্বাস-আদর্শকে ধারন করার চেষ্টায় থাকি।
আমি সুইসাইড নোট। আমার আলাদা কোন নাম নেই। সবাই এই নামেই ডাকে। যারা আত্নহত্যা করে তারা মরে যাবার ঠিক আগ মুহূর্তে আমাকে লিখে যায়। এজন্যই আমার নাম 'সুইসাইড নোট'। এভাবে সাধারণ একটি কাগজের
পাতা থেকে আমার জন্ম। আজ আমার জন্ম এক যুবতী মেয়ের হাত থেকে। মেয়েটির নাম লতা। কাগজের শেষে লিখেছে, সেখান থেকে জেনেছি।
মেয়েটি সম্পর্কে আগে একটু বলে নিই।
মেয়েটি দেখতে সুন্দর। চেহারায় মায়াচ্ছন্ন ভাব। চোঁখে ভাসা ভাসা। তবে কান্না করার কারনে ফুলে লাল হয়ে গেছে। আমার উপরেই টুপটুপ
করে চোঁখের পানি ফেলেছে। কান্না করার কারনটা প্রথমে বুঝিনি তবে পরে ধরতে পেরেছি।
মেয়েটা ধোঁকা খেয়েছে। তার প্রিয়তমোর কাছ থেকে। প্রিয়তমো'র প্রেমের হিঃস্র ফাঁদে পা দিয়ে ভুল করেছে। নিজেকে পুরোপুরি বিসর্জিত করেছে। প্রেমের কালো থাবায় এতোই উন্মোত্ত হয়ে গেছে যে রাতের আধারেও গুপ্তপ্রেমের নৈসর্গিক তেঁতো অভিজ্ঞতা নিতে দ্বিধা করে নি। ঐ তোঁতো প্রেমই আজ কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মাঝে ধ্বংসকারী যুবকের বংশধর। এখন যুবক মেয়েকে গ্রহন করতে নারাজ। তার শিকার খাদ্যে পরিনত হয়ে গেছে।ফুর্তি করা শেষ, এখন আবার কিসের প্রেম। হয়তো পরিবার মানবে না, সমাজ গ্রহন করবে না, কলঙ্ক নিয়েই বেঁচে থাকতো হতো সারাটা জীবন ভর। পিতৃহীন
সন্তান বড় হয়ে জারজ নামে পরিচিতি পাবে। লতা এতো কলঙ্ক নিয়ে বাঁচতে চাইনি, নিজের কুকর্মের ফল অন্যরা ভোগ করবে কেন। এর থেকে সহজ পন্থা বেছে নেয়াই শ্রেয়। সেই পন্থা, যেখান থেকে ফেরত আসা যায় না। সেই পন্থা যার শুরু থেকে শেষ যন্ত্রনা কষ্টে ভরা। মৃত্যু....খুব ধীরে নিজেকে শেষ করে দেয়া। একদম ঠান্ডা মাথায়
আত্নহত্যা। যার দায় কেউ থাকবে না, যার দায় কেউ নিবে না। মেয়েটি সব লিখে রাখলো। যুবকের ধোকার কথা, নিজের বোকামীর কথা, জীবন
যুদ্ধে হেরে যাওয়ার কথা। আমার মাঝে এর সব লেখা। শুরু থেকে শেষ।
মেয়েটি আমাকে বন্ধ করে ভাজ করে দিলো। আমি কিছু দেখতে পাচ্ছি না। চারপাশ অন্ধকার। আচ্ছা মেয়েটা কি করছে? সে কি সত্যিই আত্নহত্যা করবে? আমার জানতে ইচ্ছে করছে...খুব জানতে ইচ্ছে করছে।
আমাকে খোলা হলো। চারদিকে মানুষের শোরগোল। আশেপাশে কত মানুষ। লতাকে দেখছি না। হঠাত কেউ
একজন আমাকে ধরলো। হয়তো লতার পরিবারেরই কেউ। লোকটি লতার বাবা হতে পারে। লোকটাক মুখ কাঁদো কাঁদো। চারদিকে কান্নার রোল। খানিক বাদে পুলিশ আসলো। চারদিকে কত মিডিয়া, কত লাইট, কত মাইক। আমাকে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ঢুকানো হলো। আমি এখন আত্নহত্যার মোটিভ। লতার আত্নহত্যার মোটিভ !
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৪
নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: ধন্যবাদ। চেষ্টা চালিয়ে যাবো। আপনার নিকটা বেশ অন্যরকম !
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩
ইখতামিন বলেছেন:
ভালো লাগলো গল্প
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩১
নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: ধন্যবাদ ইখতামিন ভাই
৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২
উদাস কিশোর বলেছেন: বেশ ভাল লিখেছেন ।
অনেক দিনপর ভিন্ন মাত্রার একটা গল্প পড়লাম
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩০
নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: ধন্যবাদ। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১
মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন । কাহিনী কিছুটা ফ্ল্যাট হয়ে গিয়েছে । শেষে কিছু ট্যুইস্ট থাকলে আরো ভালো হতো ।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৭
নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: ধন্যবাদ। এরকম আরও কিছু ভুল ধরিয়ে দিলে উপকৃত হবো।
৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৮
সুমন কর বলেছেন: প্রথমে ও শেষে ভাল হয়েছে।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৫
নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: ধন্যবাদ। আশা করি ভবিষ্যতে পুরোটাই ভাল লাগবে।
৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:০৯
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ভাল লাগা রেখে গেলাম
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪০
নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
সুন্দর লেখা।
তবে চেষ্টায় আরো সুন্দর হবে।