নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

-এভারগ্রীন নাহিদ-

ফেইসবুক লিংক https://www.facebook.com/nahid.nnc

-এভারগ্রীন নাহিদ- › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের দাম নেই। মৃতের দাম অনেক বেশী

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

একটা নাটক এর ঘটনা বলি।

অনেক দিন আগে দেখেছিল সৃতি হাতড়ে খুজে পেলাম।

মেয়েটির নাম অহনা, মোটামুটি ভালো ছাত্রী , একটা নাম করা স্কুল এ পড়তো।

এক শিক্ষিকা তাকে এক্সট্রা কেয়ার নিতো। সে হিসেবে শিক্ষিকা প্রত্যাশা করতো তার কাছে অনেক বেশী , কিন্তু সে অনুযায়ী ফলাফল না পাওয়ায় শিক্ষিকা সবার সামনে অকথ্য ভাষায় বকাবকি করে আর এই অপমান সহ্য করতে না পেরে মেয়েটি suicide করে।

এমন আর ও অনেক কিছু আমাদের চারপাশে ঘটে থাকে।



কয়েক দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত উদয়ন স্কুলের কিছু মেয়ের জামার হাতা কেটে দেয় সেখানকার প্রভাবশালী অধ্যক্ষ , উনি নাকি ঘ্যাচাং বলে বলে তাদের হাতা কেটে দেয়। সেখানে উপস্থিত ছিল তাদের সহপাঠী সিনিয়র জুনিয়র ছেলেরা ও। সবার সামনে ই অপমান।

তাদের অপরাধ ছিলো তারা ফুলহাতার জামা পড়ে আসে। আচ্ছা যদি ড্রেস কোড না মেনে থাকে এই মেয়ে গুলা তাহলে গেট থেকে ই তাদের ঠুকতে দেয়া না হলে ই হয়। কিন্তু এই ভাবে সবার সামনে অপমান কেনো ?

যদি এই অপমান এর পরে কোনো মেয়ে লজ্বায় সুইসাইড করতো এর দায় ভার কে নিবে?



কয়েক দিন আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর মাস্টার্সের এক আপুর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করল তারই ডিপার্টমেন্টের সেকেন্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট , এই আপুটি নিজের ইজ্জ্বত বাঁচাতে চলত্ব গাড়ি থেকে লাফ দেয়।

প্রানে বেঁচে যায়।

এই প্রানে বেঁচে যাওয়াতে ই হয়তো তার পাশে দাঁড়ানোর মত কেও নাই।

আজ যদি উদয়ন এর কোনো মেয়ে অপমানে সুইসাইড করতো তাহলে এমন নক্কারজনক ঘটনার জন্যে দেশব্যাপী আলোড়ন হতো ,অধ্যক্ষের শাস্তি হতো।

আজ যদি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর মাস্টার্সের আপু অপমান সহ্য করতে না পেরে সুইসাইড করতো তখন সবাই আজ প্রতিবাদ করতো।

কারন এই দেশে জীবিতের মূল্য নাই

এই দেশে লাশের মূল্য অনেক বেশী

লাশ পড়লে ই তখন সচেতনতা বাড়ে না হইলে বাড়ে না সচেতনতা। না হলে প্রতিবাদ হয় না।

আগে জানতাম রাজনীতির অঙ্গন এ লাশ ছাড়া আন্দোলন জমে না।

এখন দেখি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য ও লাশ লাগে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর মাস্টার্সের আপু কে তার ইউনিভার্সিটির শিক্ষক বলছে বড় আপু মনে করে ছোট ভাই একটু আদর করছে এই নিয়ে প্রতিবাদের কি আছে?

আমরা ছাত্র রা শিক্ষক দের কাছে যাই, জানতে শিখতে আর তারা আমাদের ইজ্জত এর দাম দিবে না।

তারা আমাদের জামার হাতা কেটে রেখে দিবে।

তারা ছোট ভাই মনে করিয়ে বড় আপুদের গায়ে হাত দেয়াবে,

কিছু মানুষের কারনে আমাদের শিক্ষক সমাজ এর বদনাম হচ্ছে। এমন শিক্ষিত না হওয়া ই ভালো এর থেকে ক্ষেতে খামারে গিয়ে কাজ করা ভালো।

তবে আমার মনে হয় এই মানুষ গুলো খেতে খামারে কাজ করলে জমিন ও ফসল দিবে না এদের কে।



Click This Link

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: কারন এই দেশে জীবিতের মূল্য নাই
এই দেশে লাশের মূল্য অনেক বেশী ।
লাশেরও তেমন মূল্য নেই যদি তেমন কোনো লাশ না হয়।

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

-এভারগ্রীন নাহিদ- বলেছেন: আজ কে এই ঘটনা দুইটির পর যদি লাশ পড়তো তখন সবাই সচেতন হইতো । এই দৃস্টিকোন থেকে বলা

২| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

আমি বিভীষণ বলেছেন: লাশ ইস্যু তৈরি করে। সেই ইস্যু নিয়ে রাজনীতি খেলা হয়। এটাই এই দেশের নিয়ম

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২২

-এভারগ্রীন নাহিদ- বলেছেন: সমাজ আমাদের কোনো নিরাপত্তা দিলো না।
আমাদের শিক্ষক সমাজ কে কিছু জানোয়ার কলঙ্কিত করতেছে

৩| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

কালোপরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

-এভারগ্রীন নাহিদ- বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২১

চারশবিশ বলেছেন: এই ঘটনা দুইটির পর যদি লাশ পড়তো তখন সবাই সচেতন হইতো - সহমত

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২২

-এভারগ্রীন নাহিদ- বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.