নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

-এভারগ্রীন নাহিদ-

ফেইসবুক লিংক https://www.facebook.com/nahid.nnc

-এভারগ্রীন নাহিদ- › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনে প্রথম বার এর মতো বাবা কে নিয়ে কিছু বলা কিংবা কিছু শেয়ার করা কার ও সাথে ।

১৬ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫

SSC পাস করার আগ পর্যন্ত আমি ছিলাম গ্রামে, আর চাকরির সুবাদে আব্বু ঢাকাতে।

মাসে এক বার আব্বু বাড়ি যেতেন। তবে সেইটা বৃহস্পতি বার থাকতো। তাই তো বৃহস্পতিবার সন্ধার পরে ভয়ে ভয়ে থাকতাম, এই বুঝি আব্বু বাড়ি আসলো। না আসলে তো মহা খুশি, আর যদি আসতো তাহলে ঘন্টা হিসাব করতাম। আর কত ঘন্টা থাকবে।

কখন ও কখন ও ঘন্টা টা কে মিনিটে পরিনত করতাম। কখন যাবে কখন যাবে। আমার আব্বুর একটা ই কথা সারা দিন পড়া লিখা ছাড়া আর কোনো কাজ নাই।

কি আর করা আব্বু বাড়ী গেলে সারা দিন বই সামনে নিয়ে বই এর অক্ষর গুলো দেখতাম, এমন করে ই SSC পর্যন্ত ছিলো।

এসএসসি এর পর যখন ঢাকায় আসি প্রথমে ই আব্বুর সাথে তার এক রুমের এর একটা চ্চোট্ট রুমে উঠি, উনিভার্সিটির ব্যাচেলর কোয়াটার এ থাকতো আব্বু, সেই খানে ৩-৪ মাস ছিলাম। সারা দিন ই আব্বু সামনে আমার। কি আর করা। যেই আমি আব্বু বাড়ী গেলে ঘন্টা হিসাব করতাম কখন যাবে কখন যাবে সেই আমি ই কিনা আব্বুর সাথে সারা দিন।

এর পর আব্বু বাসা পায় ভালো ই কাটে বাপ ছেলে দুই রুমে ঘুমাই।

কলেজের সময় টাতে কিছু টা ফ্রী হই আব্বুর সাথে কিন্তু ভার্সিটি এডমিশন এর পর আবার সব তাল গোল পাকিয়ে যায়।

যেহেতু আব্বু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন তাই উনি সব সময় চাইতেন আমি যেনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তি হতে পারি।

কিন্তু যখন দেখা গেলো কোনো পাবলিক এ ভর্তি হতে পারি নাই ঠিক তখন ই ঘটল বিপত্তি। কথা বলা বন্ধ আমার সাথে।

সেই থেকে আর কখন ও স্বাভাবিক ভাবে কথা হয় নাই।

মাঝে মাঝে প্রয়োজনে টুক টাক কথা হয়।



আব্বুর জন্য প্রথম চোখের পানি ফেলেছিলাম যখন ক্লাস সিক্স এ পড়ি তখন। ওই সময় এ মোবাইল ছিলো না। ভায়া মারফত এক দিন রাতে খবর পাইলাম আব্বু অনেক অসুস্থ অনেকে বলাবলি করতেছে আব্বু আর নাই। সেই রাতে ই আমরা ঢাকায় আসি, পরে আব্বু কে ইন্ডিয়াতে পাঠানো হয় আর তখন সাময়িক ভাবে সুস্থ হয় । সেই রাতে ই মনে হয় আব্বুর জন্য কেঁদেছিলাম অনেক ।

আজ ও মাঝে মাঝে ভয় হয় কাঁদি।

কখন কি হয়ে যায়।

আজ থেকে অনেক দিন আগে কিডনিতে সমস্যা হওয়ায় ব্যায়বহুল চিকিৎসা অনেক টা ই করা হয় না। যে টুকু করলে চলে শুধু সেই টুকু ই ।

বাকি টা আল্লাহর রহমতে কখন ও ভালো থাকেন কখন ও অনেক খারাপ।

আব্বুর ধারনা আমি আব্বু কে ফীল করি না কখন ও ই। এই নিয়ে আব্বু আম্মুর কাছে এক দিন অভিযোগ ও করেছিলেন।

আসলে আমার ফীল টা সম্পুর্ন আমার কাছে।

এই প্রথম আব্বু কে নিয়ে কোনো Confessions করলাম।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৬

ভূতাত্মা বলেছেন: It is not flesh and blood, but heart which makes you father and son.

God bless... :-B

১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:১২

-এভারগ্রীন নাহিদ- বলেছেন: :)

২| ১৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:১১

সমানুপাতিক বলেছেন: ভাল থাকুন আপনার আব্বু ।

১৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

-এভারগ্রীন নাহিদ- বলেছেন: দোয়া করবেন

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:২১

খেয়া ঘাট বলেছেন: এখন আরো বড় কিছু করে বাবার দুঃখ দূর করে দিন।
বাবাকে সুস্থ্য করে দিন। পৃথিবীর সব বাবা মায়েরা যেন সন্তানদের নিয়ে ভাল থাকেন , সুখে থাকেন।

১৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

-এভারগ্রীন নাহিদ- বলেছেন: দোয়া করবেন যেনো সেটি করতে পারি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.