![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের চাকরি ক্ষেত্রে কোটা সিস্টের নিয়ে দেখি অনেকের অনেক চুলকানি আছে।
মজা ব্যাপার হইলো সব চুলকানি গিয়া পড়ে মুক্তিযুদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে-
আচ্ছা মুক্তিযুদ্ধা কে ? কারা মুক্তিযুদ্ধা? কেমনে হইছে মুক্তিযুদ্ধা?
মুক্তিযুদ্ধারা কি করছে এই দেশে ?
অনেকেই এই প্রশ্নের উত্তর জানেন না বলে ই এই কথা গুলো তুলতেছেন। হিসাব করতে আসে কয় টাকা মুক্তিযুদ্ধা ভাতা বাবদ যাচ্ছে কিন্তু হিসাব হয় না কয় টাকা রাজাকার এর গাড়ির তেল পুড়তেছে ।
যে মানুষ গুলো নিজের সব চেয়ে মূল্যবান সম্পদ নিজের জীবন এর মায়া ত্যাগ করে দেশ তা কে স্বাধীন করছে সেই মুক্তিযুদ্ধার সন্তানদের জন্য কোটা সিস্টের এর বিরুদ্ধে কত আন্দোলন সংগ্রাম দেখা যাচ্ছে। কোটা তো আর ও আসে ওই সব নিয়ে কথা উঠে না কেন ? সব চুল্কানি ওই এক যায়গাতে এসে থেমে যায় -
যে বাবা দেশ স্বাধীন করেছেন তার স্বপ্ন থাকে তার সন্তানতাকে একটা চাকরি - দারিদ্রতার নির্মম কড়াজালে দেখেছি অনেক কে ই না খেয়ে মৃত্যু বরন করতে। এই সমাজে এখন আর কেও ক্ষুদার জ্বালায় মারা যায় ? আমি দেখেছি এক জন মুক্তিযুদ্ধাকে না খেয়ে মরতে- তিলে তিলে শেষ হয়ে গেছে।
এক জন মানুষ নিজের সব কিছু বিসর্জন দিয়ে দেশ টা কে পরাধীনতার হাত থেকে রক্ষা করতে গেলেন। ফিরে এলেন দেশ স্বাধীন করে। কি পেলেন ? কিছু ই না। হয়ত বলবেন এক জন মুক্তিযুদ্ধা কখন ও নিজের জন্য কিংবা ভেবে যুদ্ধে যায় নাই।
হুম আসলে ই ঠিক। ভাবেনাই তো কি হইছে এখন তো স্বাধীন দেশে মুক্তিযুদ্ধা চাইতে ই পারে অনেক কিছু।
আমি মনে করি যতটুকু দেয়া হচ্ছে তার থেকে আর ও বেশী করা উচিত ছিলো।
এই দেশে
মুক্তিযুদ্ধারা কিছু ভেবে করে নাই তার মানে এই না যে দেশ তাকে কিছু ই দিবে না। এক জন মুক্তিযোধার পরিবার এর হাল ধরতেছে তার সন্তান। আমি আমার চোখের সামনে দেখছি না খেয়ে জীবনের সাথে যুদ্ধ করতে করতে শেষ হয়ে যাওয়া এক মুক্তিযুদ্ধা কে। মৃত্যুর আগে বলে গিয়েছেন যাতে করে তাকে যাতে রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন না করে। বেঁচে থেকে কিছু ই পায় নি তাই মরে গিয়ে ও নিলোনা রাস্টের দেয়া গার্ড অবনার। তুলনা টা অন্য ভাবে আসুক না। - রাজাকার এর গাড়িতে পতাকা উড়তে পারলে স্বাধীন দেশে কেনো এক জন মুক্তিযুদ্ধার পরিবার আর্থিন অনিশ্চয়তা দূর করতে পারবেন না ?
কত জন মুক্তিযুদ্ধা কে দুই বেলা পেট ভরে খেতে দিতে পারছেন ? এই দেশে রাজাকার এর গাড়িতে পতাকা উঠলে কথা উঠে না, এই দেশে রাজাকার কোটি টাকার ব্যবসা করলে কথা উঠে না। এই দেশে কথা উঠে মুক্তিযুদ্ধা পরিবার কে ভাতা দিলে । এই দেশে হিসাব হয় কত টাকা ভাতা দিচ্ছেন তার। হিসাব করতে আসেন মুতিযুদ্ধার পরিবার কি পাইতেছে। বাহ বাহ ভালো তো। যে বাবা দেশ স্বাধীন এর জন্য নিজের জান টা দিতে গিয়েছেন তার সন্তান কি তার পরিবার এর হাল ধরতে পারে না ?
১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
-এভারগ্রীন নাহিদ- বলেছেন: সার্টিফিকেট এর ব্যাপারে কিছু বলার নাই। আমার জানা মতে এমন টা হওয়ার কথা না। সত্তিকারের মুক্তিযুদ্ধাদের সার্টিফিকেট তার ডকুমেন্ট মন্ত্রনালয়ে আছে বলে ই জানি
২| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮
আমি সুফিয়ান বলেছেন: তাহলে আপনি কিছুই জানেন না
গত বি এন পি এবং এবারের আওয়ামী আমলে কত ভুয়া সার্টিফিকেট বের হয়েছে, সেটা প্রত্যেক গেজেট দেখলেই বুঝা যায়
১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১২
-এভারগ্রীন নাহিদ- বলেছেন: ভুয়া বের হইছে কিন্তু আসল রা বঞ্চিত হইছে এইটা খুব একটা শুনি নাই
৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
কুল বয় বলেছেন: amar kotha baper karone pola suvidha pabe aita thik nah. karon holu amar jemon joggota ase temoni mokti joddar polaro jogguta ase. tahole ami suvidha pamu nah hei pola pabe aita konu gonotantrantik er majhe pore nah. jekhane amar gonotantrik suvidha chara fao mukti jodha kota dekhaia chakri paibu r ami boi boia angul chushum aida hoy nah. dikhar janai ai onoitik rules er jonnu.
১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
-এভারগ্রীন নাহিদ- বলেছেন: আপনার বাপের যায়গা জমি সব গরীব রে দান করেন। বাপের জমি সুবিধা আপ্নে পাইবেন কেন ?
৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯
ভিটামিন সি বলেছেন: আমার বাপেরও একখান সার্টিফিকেট ছিলো মুক্তিযোদ্ধার। তারপর নাকি শুনলো যার কাছে এই সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে তাকেই গুলি করা হবে (এই ঘোষণা কে দিয়েছিলো, কেন দিয়েছিলো আমার জানা নাই)। তখন আব্বায় বুদ্ধি কইরা গেঞ্জি প্যাকেট করার পলিথিনে ভইরা আমাদের পুকুরের একপাশে পুতে রেখেছিলো। একবছর পর গুজব থামলে সেটা উঠাতে গিয়ে দেখে আর নাই। আমার বাবা অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধ করেনি। কিন্তু মাঝে মাঝে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার সরবরাহ, তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করতো। মাঝরাত্রে রেজ্জা কাকু (আব্দুর রাজ্জাক, ভাগ্যাহত মুক্তিযোদ্ধা, সেই যে গেল আর ফিরে এল না, কোন খবরও পাই না আমরা) ৫/৭ জন করে নিয়ে গভীর রাত্রে নিয়ে এসে বাড়িতে উঠত। আম্মা ধারে কাছে যা পেত তা দিয়েই রান্না করে তাদের খাওয়াত। এখন আমার আম্মা কি মুক্তিযোদ্ধা? আমি কি মুক্তিযো্দ্ধার সন্তান?
১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
-এভারগ্রীন নাহিদ- বলেছেন: আমার পোস্ট এর সাথে আপনার পোস্ট এর কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই বলে মনে করি। আলোচনা হোক যুক্তিসঙ্গত ভাবে
৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
প্রচুর বলেছেন: সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে আমার কোন আপত্তি নেই। আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা? কমবেশি ১% এর বেশি মনে হবেনা। অথচ তাদের কোটা দেওয়া হচ্ছে ৩০%! কি হাস্যকর বিষয়। সামরিক বাহিনীতে কোটা নেই সেটা খুবই সুন্দরভাবে চলছে তাহলে বিসিএসসহ অন্য চাকরীতে কোন কোটার দরকার আছে বলে মনে হয়না। আর কোটা যদি একান্তই রাখতে হয়ে তবে তা অবশ্যই সহনীয় পযায়ে থাকতে হবে। কোনভাবেই সব ধরনের কোটা মিলে ২০-৩০% এর বেশি হওয়া উচিত নয়। তাহলে জাতী মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারবেনা।
পিএসসির কমকতারাই বলছেন কোটাগুলোতে শেষ অবধি কোটা পূরণ হয়না। তাহলে বুঝুন কোটাধারীরা কত্ত মেধাবী।
৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুক্তিযোদ্ধারা ঘরবাড়ী ফেলে বিনা বেতনে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ না করলে আমাদের জন্য চাকরীর কোটা থাকত ১০%
বাকী ৯০% থাকত উর্দূভাষীদের জন্য।
কোটা ব্যাবস্থা পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে, আছে ধনাঢ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আষ্ট্রেলিয়াতেও আছে।
আমেরিকায় ২য় মহাযুদ্ধ ফেরত সৈনিক, ভিয়েতনাম ফেরত যোদ্ধাদের ও তাদের পোষ্যদের উচ্চহারে কোটা চালু আছে।
১০ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
-এভারগ্রীন নাহিদ- বলেছেন: অনেক সুন্দর কথা বলছেন
১০ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
-এভারগ্রীন নাহিদ- বলেছেন: আপনার এই কথার পরে আর কার ও কথা থাকার কথা না
৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৭
নাইট বার্ড বলেছেন: কোটা সহনিয় মাত্রায় রাখা উচিত, সব কোটার সংস্কার জরুরী আর একটা কথা
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কয়জন আছে? @হাসান কালবৈশাখ
৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
সোহেল সি এস ই বলেছেন: এই লোটা ভর্তি কোটা নিয়ে যারা মোটা কথা বলে তাদের বোটাসহ মূলৎপাটন করলে গোটা দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটা এখন সময়ের দাবি।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০২
-এভারগ্রীন নাহিদ- বলেছেন: পাকি জারজ এমন ই বলবে। দেশ টা স্বাধীন করলো কে আগে সেটা কও । নাইলে তো পাকিদের সাথে থাকলে সাড়ে তিন পার্সেন্ট কোটা নিয়া ই থাকতে হইতো -
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
আমি সুফিয়ান বলেছেন: আমার আব্বু মুক্তিযোদ্ধা, সুতরাং এ ব্যাপারে আমার বলার কিছু এক্তিয়ার আছে।
আমার আব্বু সার্টিফিকেট পান নাই, সার্টিফিকেট নিতে যাওয়ার সময় ঘুষ চাওয়া হয়েছিল, তাই।
সত্যিকারের মুক্তিযদ্ধার সংখ্যা আর সার্টিফিকেট ধারীদের সংখ্যা মধ্যে তফাৎ আছে। কিন্তু সসত্যিকার যারা তারা তো অধিকার হারাতে পারেন না।
তাই এখন থেকে কোটা সিস্টেম টা তুলে দিয়ে অন্য একটা ব্যাপার চালু করা হোক।
যেকোন পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রা গ্রেস মার্ক পাবে +১০
উপজাতিরা +৫
আর কোন কোটা বা গ্রেসের কোন দরকার আছে বলে আমার মনে হয় না