নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবলীলায় অবরুদ্ধ আমার বাস্তবতা, উপাসনায় জাগ্রত তুমি আমার কবিতা

আমি অতি সাধারন ধ্রুব। নিজেকে মানুষ ভাবতে ভালবাসি। ভালবাসি কবিতাকে। কবিতা মূলত আমার নেশা , পেশা ও প্রতিশোধ গ্রহনের হিরন্ময় হাতিয়ার। যেখানে অবলীলায় অবরুদ্ধ আমার বাস্তবতা, সেখানে উপাসনায় জাগ্রত সদাই আমার কবিতা। বেঁচে থাকতে চাই একটি পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে। ভাল

নাহিদ ধ্রুব

নিম্নগামী অতীত নিয়েই আমার বেঁচে থাকা, চায়ের দোকানে বসে ধূসর ধোঁয়ায় উড়িয়ে ছিলাম স্বপ্নের ঘুড়ি, চেতনা জুড়ে ছিল একটু ছেলে মানুষী, কল্পনা ছিল অচেনা পৃথিবীর অঙ্গ জুড়ে, কণ্ঠে ছিল মিছিলের উষ্ণতা, দৃষ্টি ছিল অসীমের কাছে, অজানা একটা ঝড় আসলো, পাল্টে গেলো চিত্র, আমি প্রস্তুত ছিলাম না, ছিলাম না সিদ্ধহস্ত, সময়ের স্রোতে আমি অচেনা হলাম, সময় টা কি খরস্রোতা নাকি কালস্রোতা তাও জানা হোল না, জানা হয় নি অনেক কিছুই- যৌনতায় গড়া প্রেম পিপাশার কথা, নিঃসঙ্গতায় বন্ধুর জন্য অপেক্ষা, পিয়াসী চলে যাওয়ায় কষ্টের তীব্রতা, ভরা যন্ত্রণায় আত্মঘাতি হওয়া , এখানে এখন কিছুই নেই, আছে কিছু মধ্য রাতের বোধ, কলুষ মনের হাহাকার, প্রতিস্থাপিত নিঃস্পৃহ বিদ্বেষ, আপন মনেই কেঁদে ফেলার ভয়, সমানুপাতিক সমীকরণ, আমার মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে, অহমিকার দেয়ালে লেগেছে ঘৃণার পোস্টার, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হয়ে এলো, প্রক্রিয়া চলছে পাপ ধুয়ে ফেলার, মনুষ্যত্বের অন্বেষণে ব্রতী দেহ মন, বিশ্বাস করবে না কেউ তবু আমি বলব আমি তোমাদেরই একজন।

নাহিদ ধ্রুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধ নয়, ঘুমপরীদের আদর । (কবিতাটি ফিলিস্তিনিদের উপর অত্যাচারের উপর নির্ভর করে লিখা)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৪

শিশুটা ঘুমিয়ে ছিল মায়ের কোলে নিরবে নিভৃতে,

পৃথিবীর সব কলুষটা হতে মুক্তি নিয়ে একাশ্রিত জগতে,

ঘুমপাড়ানি গানের মাঝে হঠাৎ বোমারু বিমান,

জাগতিক বোধ কে ধ্বংস করে আনলো নতুন শ্লোগান,

এ শ্লোগান জাজ্বল্যমান আগুনের ফুলকি ছড়ায়,

জাহান্নামের গরম শীশার দৃশ্য কেবল দেখায়,

ক্রুশবিদ্ধ শহর জুড়ে যান্ত্রিক কোলাহল,

উত্তরঙ্গ শব্দ গুলোয় আছে শিকল পরার ছল।







শিশুর মনে প্রশ্ন জাগে একি রঙ্গলীলা?

আগুন তো ভয়ের আনুষঙ্গ, তবে আগুন নিয়ে কেন খেলা?

সবাই ছুটছে ঘর ছেড়ে ইন্দ্রজাল ছিন্ন করে,

ক্ষিপ্যমাণ আগুনের গোলা হতে নিজেকে বাঁচাতে,

বাতাসে ভেসে আসছে শুধু বুলেটের তীক্ষ্ণ ঘ্রান,

অন্তরালে কাঁদছে মানুষের খর্বিত প্রান,

রাতের আকাশ চমকিত আগুন বর্ষণে,

উৎকণ্ঠায় অবচেতন মন মুক্তির প্রহর গোনে।







অবাক বিস্ময়ে শিশু দেখছে মসজিদের ভেঙ্গে পড়া,

প্রশ্ন জাগছে মনের কোনে বিধাতা কি দেখছে না?

পৃথিবীর কত বর্ষীয়ান নেতা সাম্যের কথা বলে,

ক্ষমতার জোরে সাম্য কি তবে ভেসে গেছে রক্তের জোয়ারে?

মানবতা কি পাওয়া যায় শুধু অভিধানের পাতায় ,

নরপশুর হিংস্রতা তবে কোন মানবতার গল্প শোনায়?

মানুষ মরছে পিঁপড়ার মত অমানুষের পদতলে,

পুরো পৃথিবী হাতগুটিয়ে দেখছে বিস্মিত নয়নে।







ত্রাতারুপী পূর্ণাত্মার দেখা মিলবে কবে?

মনুষ্যত্বহীন মানুষ গুলোর ধ্বংসলীলা কবে শেষ হবে?

যে শিশু জানে না তার অবরু কে বা কারা,

সে কেন মরবে অবলীলায় কোন বিচার ছাড়া?

শিশুর মনের বদ্ধ ঘরে ঘোর অমানিশা

পতঙ্গ রুপী জন্তু গুলো কখন ফেলে আগুনের গোলা,

কবে কাটবে শহর থেকে কোহেলিকার চাদর?

ঘুমন্ত বোধে শিশুর চাই যুদ্ধ নয়, ঘুমপরীদের আদর।।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২২

পথের বাঁকে বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার কবিতা
আর আপেক্ষায় থাকলাম ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.