নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবলীলায় অবরুদ্ধ আমার বাস্তবতা, উপাসনায় জাগ্রত তুমি আমার কবিতা

আমি অতি সাধারন ধ্রুব। নিজেকে মানুষ ভাবতে ভালবাসি। ভালবাসি কবিতাকে। কবিতা মূলত আমার নেশা , পেশা ও প্রতিশোধ গ্রহনের হিরন্ময় হাতিয়ার। যেখানে অবলীলায় অবরুদ্ধ আমার বাস্তবতা, সেখানে উপাসনায় জাগ্রত সদাই আমার কবিতা। বেঁচে থাকতে চাই একটি পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে। ভাল

নাহিদ ধ্রুব

নিম্নগামী অতীত নিয়েই আমার বেঁচে থাকা, চায়ের দোকানে বসে ধূসর ধোঁয়ায় উড়িয়ে ছিলাম স্বপ্নের ঘুড়ি, চেতনা জুড়ে ছিল একটু ছেলে মানুষী, কল্পনা ছিল অচেনা পৃথিবীর অঙ্গ জুড়ে, কণ্ঠে ছিল মিছিলের উষ্ণতা, দৃষ্টি ছিল অসীমের কাছে, অজানা একটা ঝড় আসলো, পাল্টে গেলো চিত্র, আমি প্রস্তুত ছিলাম না, ছিলাম না সিদ্ধহস্ত, সময়ের স্রোতে আমি অচেনা হলাম, সময় টা কি খরস্রোতা নাকি কালস্রোতা তাও জানা হোল না, জানা হয় নি অনেক কিছুই- যৌনতায় গড়া প্রেম পিপাশার কথা, নিঃসঙ্গতায় বন্ধুর জন্য অপেক্ষা, পিয়াসী চলে যাওয়ায় কষ্টের তীব্রতা, ভরা যন্ত্রণায় আত্মঘাতি হওয়া , এখানে এখন কিছুই নেই, আছে কিছু মধ্য রাতের বোধ, কলুষ মনের হাহাকার, প্রতিস্থাপিত নিঃস্পৃহ বিদ্বেষ, আপন মনেই কেঁদে ফেলার ভয়, সমানুপাতিক সমীকরণ, আমার মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে, অহমিকার দেয়ালে লেগেছে ঘৃণার পোস্টার, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হয়ে এলো, প্রক্রিয়া চলছে পাপ ধুয়ে ফেলার, মনুষ্যত্বের অন্বেষণে ব্রতী দেহ মন, বিশ্বাস করবে না কেউ তবু আমি বলব আমি তোমাদেরই একজন।

নাহিদ ধ্রুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্নঃকবে আলো আসবে?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

প্রতিনিয়ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কে স্তগিত করার নিকৃষ্ট উদ্দেশে হরতালের আহবান করা হচ্ছে এবং আমাদের কতিপয় শিক্ষিত জনতা যারা কিনা আল্লাহ'র পথে জিহাদ করেন তারা এর পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছেন। এমনকি আমাদের দেশের প্রধান বিরোধী দল ও বিপুল উৎসাহে এতে অংশগ্রহণ করছেন।



প্রথম প্রশ্নঃ হরতালের জন্য তারা যে কারন ব্যাখ্যা করছেন তা কতটুকু যুক্তিযুক্ত!?



দ্বিতীয় প্রশ্নঃ মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে যেই বক্তব্য দিয়েছেন তা কি দেশদ্রোহিতার আয়তায় পরে না?



তৃতীয় প্রশ্নঃ আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বর্তমানে পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থায়নে করতে চাচ্ছেন এবং প্রথম বারের মত বিশ্ব ব্যাংকের মুখে ঝামা ঘষেছেন - যদি তাই হয় তবে এতো দিন কেন বিশ্ব ব্যাংকের কাছে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুরেছেন? প্রথমেই কেন সেনা বাহিনী মোতায়েন করে শেয়ার মার্কেট থেকে টাকা তুলে পদ্মা সেতু করেন নি? আবুল হাসান ও আবুল হোসেন রা এখন কোথায়?কি করে একটি দেশের অর্থ মন্ত্রী সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছে মত আজে বাজে কথা বলতে পারেন? আপনাদের কাজের স্বচ্ছতা তবে কোথায়? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুন কে কেন পদ ত্যাগ করতে হোল? সাগর - রুনী কিংবা বিশ্বজিৎ এর হত্যাকারীরা কোথায়?



চতুর্থ প্রশ্নঃ যদি জামায়েত ইসলামী রাজাকার হয় তবে আমাদের সরকারী দল কেন ১৯৯৬ এ ক্ষমতায় আসার আন্দোলনে জামায়েত ইসলামীর সাহায্য গ্রহন করেছিলেন?



পঞ্চম প্রশ্নঃ তারেক রহমান , কোকো থেকে শুরু করে যখন বি । এন । পি এর সকল নেতা কর্মী বিপুল পরিমান অর্থ চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে সকল ধরনের অপকর্মের মাধ্যমে উপার্জন করেছিলেন তখন কি তা দুর্নীতি ছিল না?



ষষ্ঠ প্রশ্নঃ বাংলা ভাই ও সায়ক আব্দুর রহমান কাদের সৃষ্টি ছিল তা কি বিরোধী দল ভুলে গেছেন?



সপ্তম প্রশ্নঃ একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, আহসান মাস্টার হত্যা মামলা ও শতাধিক কর্মী হত্যা মামলার বিচারে বিরোধী দল কেন অপারগ ছিল?



অষ্টম প্রশ্নঃ স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও কেন আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক কে তা ছায়ার অন্তরালে?



নবম প্রশ্নঃ এই প্রশ্নটি জামায়েত রুপী ইসলামী ভক্ত দের জন্য। আপনারা যখন ৭১ এ রাজাকার ছিলেন তখন ইসলামের কোন আয়াতে আপনারা পেয়েছিলেন যে বিনা অপরাধে নিরস্ত্র মানুষ কে হত্যা করার কথা ? ধর্ষণের কথা? কোথায় লিখা ছিল জিহাদ মানে ধর্ষণ?



দশম প্রস্নঃ কতিপয় বাঙ্গালীর কাছে- আপনারা কোন ধারায় চিন্তা করে এই সব নিকৃষ্ট মানুষের জন্য প্রান বিসর্জন দিচ্ছেন? আপনারা কি জানেন কালকের হরতালের পিছনে মূল উদ্দেশ্য কি? জামায়েত ইসলামী রুপে যারা ইসলামের বানী ছড়ায় তাদের মূল নীতি কি?তারা কি করে প্রতিনিয়ত ইসলাম কে ইসলামের নীতি কে অসম্মান করছেন তা কি আপনাদের ধারনা আছে?



আমরা ভুলে গেছি আমরা সেই দেশের নাগরিক যে দেশে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে মূল জনসংখ্যার শতকরা ৯৮ ভাগ মানুষ, আমরা সেই দেশে জন্ম নিয়েছি যেখানে স্বাধীনতার জন্য প্রান দিয়েছে ৩০ লক্ষ কিংবা তারও অধিক মানুষ। তাই আজও স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও সেই সব নর পিশাচরা আমাদের শাসন করতে পারছে। সেই নিজামি , গোলাম আযমরা আজও মাথা উচু করে নিজেদের রাজাকার বলে আখ্যায়িত করার সাহস পাচ্ছে। এ লজ্জা কার? আমরা কি চাইলেই সব দায়িত্ব অবহেলা করে ঘরে হাতে চুরি পরে বসে থাকতে পারি? এই দেশ কি আমাদের না?যদি এই দেশ আমাদের হয় তবে আসুন হাতে হাত ধরে এই অবরুদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দেই, চলুন আবার ৭১ এর গর্জন অনুভব করি নিজের ভিতর। আমরা পেরেছি , জানি আমরাই পারবো।।



*** জয় বাংলা ***

বিঃদ্রঃ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কোন বাংলাদেশ জিন্দাবাদ ছিল না, ছিল জয় বাংলা। জিন্দাবাদ টা মুসলিম লীগ ব্যাবহার করতো। পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলতে। সুতরাং জিন্দাবাদ শব্দ টা বর্জন করা আমাদের নৈতিক কর্তব্য।।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

লেখোয়াড় বলেছেন:
আলো আসবেই।
জামাত মরবেই।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

নাহিদ ধ্রুব বলেছেন: সেই আশাতেই আছি।।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৩

সংকেত মাহমুদ বলেছেন: ছাগুদের বিশ্বাস হয় না, ধৃত ব্যাক্তিরা অরিজিনাল আলবদর- রাজাকার ।আরে হারামজাদা ছাগুর দল- ধৃত ব্যাক্তিরা তো শুধু রাজাকার বাহিনীর একজন সাধারন সদস্যই না বরং রাজাকার-আলবদর-দোষর বাহিনীর কেন্দ্রীয় লিডার ।
যে নিজামী আলবদরে লিড দিছে, "অস্ত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধর "এই কথা বইলা যে মুজাহিদ গনহত্যাকারী রাজাকারদের নির্দেশ দিছে , যে গোলাম আজম তার কর্মীদের খুনী পাক হানাদার বাহিনীরে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিছে , তারা ৭১ এ নিশ্পাপ শিশু । অথচ এরা তো ছিল, গনহত্যাকারী দোষর বাহিনীর কেন্দ্রীয় লিডার ।কেননা ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধকালে রাজাকাররেরা যাদের হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে, তাদের সঙ্গে রাজাকারদের কোনো ব্যক্তিগত বা পারিবারিক শত্রুতা ছিল না। লাখ লাখ মানুষকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছিল দলীয় ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্দিষ্ট আদর্শিক প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে। রাজাকার বাহিনী হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল এই লিডারদের রাজনৈতিক আহ্ববানেই ।
বাংলার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অধিনস্ত রাজাকারদের অস্ত্র হাতে নিতে মুজাহিদের নির্দেশঃ X(( X(( X(( +
১৯৭১ এর গনহত্যাকারী আলবদর বাহিনীকে একশনে উৎসাহিত করতে আলবদরের নেতা নিজামীর প্রচেষ্টার নমুনাঃ



৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৬

সংকেত মাহমুদ বলেছেন: ইসলামের ইতিহাসে খেলাফত কায়েমকারী কাউরে কখনো দেখছেন মিথ্যাচারের চর্চা করতে ??

জামাত-শিবির হল ইসলামের প্রকৃত শত্রু, যারা মুখে খেলাফত কায়েমের কথা কয় আবার মিথ্যাচারের চর্চাও করে ।যেমনঃআদালতে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগের ঘটনাস্হল ঢাকার মিরপুর এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জে ।অথচ এ প্রসঙ্গে আদালতে কাদের মোল্লার পক্ষের সাক্ষী হাফেজ এ আই এম লোকমান আদালতে মিথ্যা জবানবন্দী দিয়ে বলেছেঃ যুদ্ধকালে আব্দুল কাদের মোল্লা নাকি ঢাকাতেই ছিলেন না। তিনি গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে ছিলেন। হানাদার বাহিনীর সাথে কাদের মোল্লার নাকি কোন সম্পর্কই ছিল না !!!!!!! দৈনিক সংগ্রামও কাদের মোল্লার পক্ষের ঐ সাক্ষীর এই মিথ্যা জবানবন্দীটি রিপোর্ট ফলাও করে নিখছে কাদের মোল্লার পক্ষের সাক্ষী লোকমান যে আদালতে মিথ্যা জবানবন্দী দিয়েছে তার প্রমান দেখা মেলে এই ছবিতে যেখানে কাদের মোল্লার{গোল দাগ চিহ্নিত} সাথে পাক বাহিনী সেনাপতি ঘাতক নিয়াজীর সঙ্গে
৭১ এ ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করসে যে রাজাকার বাহিনী, সেই রাজাকার বাহিনীর লিডার গোলাম আজম গং দের কৃতকর্মের কথা মনে করলেই স্পষ্ট হয়ে যায় জামাত- শিবির একটা ধর্ম বেচে খাওয়া মিথ্যাচারের চর্চা করা একটা দল ।মুখে ইসলাম কায়েমের কথা কয় আবার আদালতে মিথ্যাচারও করে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.