![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিম্নগামী অতীত নিয়েই আমার বেঁচে থাকা, চায়ের দোকানে বসে ধূসর ধোঁয়ায় উড়িয়ে ছিলাম স্বপ্নের ঘুড়ি, চেতনা জুড়ে ছিল একটু ছেলে মানুষী, কল্পনা ছিল অচেনা পৃথিবীর অঙ্গ জুড়ে, কণ্ঠে ছিল মিছিলের উষ্ণতা, দৃষ্টি ছিল অসীমের কাছে, অজানা একটা ঝড় আসলো, পাল্টে গেলো চিত্র, আমি প্রস্তুত ছিলাম না, ছিলাম না সিদ্ধহস্ত, সময়ের স্রোতে আমি অচেনা হলাম, সময় টা কি খরস্রোতা নাকি কালস্রোতা তাও জানা হোল না, জানা হয় নি অনেক কিছুই- যৌনতায় গড়া প্রেম পিপাশার কথা, নিঃসঙ্গতায় বন্ধুর জন্য অপেক্ষা, পিয়াসী চলে যাওয়ায় কষ্টের তীব্রতা, ভরা যন্ত্রণায় আত্মঘাতি হওয়া , এখানে এখন কিছুই নেই, আছে কিছু মধ্য রাতের বোধ, কলুষ মনের হাহাকার, প্রতিস্থাপিত নিঃস্পৃহ বিদ্বেষ, আপন মনেই কেঁদে ফেলার ভয়, সমানুপাতিক সমীকরণ, আমার মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে, অহমিকার দেয়ালে লেগেছে ঘৃণার পোস্টার, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হয়ে এলো, প্রক্রিয়া চলছে পাপ ধুয়ে ফেলার, মনুষ্যত্বের অন্বেষণে ব্রতী দেহ মন, বিশ্বাস করবে না কেউ তবু আমি বলব আমি তোমাদেরই একজন।
দাবি একটাই- ফাঁসি চাই!! খুব ভালো কথা, এতদিন এই দাবির সপক্ষে অনেক কথা বলেছি, অনেকের চক্ষুশূল হয়েছি, সব ঠিক আছে। কিন্তু আজ কিছু কথা বলবো যা আমাদের অনেক সহোদর সংগ্রামী বন্ধুর ভালো লাগবে নাহ। ( দয়া করে কেউ ছাগু বইলেন না) !
শাহবাগের এই গন জাগরন আজ ১৭ তম দিনে পা রাখল। অনেক হুমকি- ধামকি ও শহীদ রাজিবের রক্তের উপর ভিত্তি করে এই সংগ্রাম আজও উত্তাল। সমগ্র বাংলাদেশ যেন একটি শাহবাগ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত এই তারুণ্য সত্যি আমার মন কে দোলা দিয়েছে। দ্রবীভূত করেছে আমার অনুভূতির সকল দুয়ার কে। সেই কাদের মোল্লার রায় থেকে শুরু করে ছিলাম শাহবাগে, প্রথমে ৫০ জন সেই থেকে ৫০০০০ আজ হয়তো ছিল ৫ লক্ষ মানুষ। ধিরে ধিরে মানুষের ঢল বেড়েই যাচ্ছে। পরিপূর্ণ হচ্ছে আমার অভিজ্ঞতার ঝুলি । অনেক কিছুই দেখেছি এই কদিনে। দেখেছি একটি অবুঝ শিশুর চিৎকারে নূর হোসেনের হাসি, দেখেছি উম্মত্ত তরুনের প্রতিহিংসার আক্রোশে আসাদের রক্তাক্ত শার্ট। আমি দেখেছি নিঃস্বার্থ দেশ প্রেম। আবার অনেক হতাশার গল্পও শুনেছি এখানেই। পেয়েছি বাতাসে গাঁজার তিক্ত গন্ধ, দেখেছি অনেক মুখোশ পরিহিত দেশপ্রেমিক কে , যারা কিনা শুধু মাত্র নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য সমবেত হয়েছিলেন এই মুক্তির শোভাযাত্রায়। অনেকেই এই গন জাগরণ মঞ্চ কে বেছে নিয়েছেন ছবি তোলার আনুষঙ্গ করে। সে যাই হোক ; যে যেই উদ্দেশ্যেই যাক না কেন, শেষ সমীকরণে লাভ মূলত জাতিরই হচ্ছে। আমরা বিশ্ব দরবারে আবারো আমাদের অস্তিত্ব জানান দিতে সক্ষম হয়েছি, এমনকি ৪২ বছরের যে কলঙ্কময় অধ্যায় তারও ইতিটানার দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছি।
দাবি ছিল একটাই , শেষ করতে হবে সেইসব দানবদের যারা জেনসাইড করেছে ৭১ এ, যারা আমার মা-বোনের সম্ভ্রম নিয়ে জুয়া খেলেছে , যারা ৪২ বছর ধরে কুরেকুরে খাচ্ছে আমার দেশ মাতাকে -তাদের। আমাদের ভিতর জ্বলে উঠেছে দাবানল। এবারের সংগ্রাম হয়তো সত্যি মুক্তির সংগ্রাম।
যাই হোক এবার মূল কথায় আসা যাক, রাজনৈতিক মারপ্যাঁচ খুব একটা বুঝি নাহ, তবুও আমার জানা কিছু ইতিহাস অনুসারে, এই আওয়ামীলীগ ৯৬' এর নির্বাচনের পূর্বে এই যুদ্ধাপরাধীদের সাথে জোট বেধে আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছিল, তখন কি এরা যুদ্ধাপরাধী ছিল নাহ! ছিল- তখনও গোলাম আযম রাজাকার ছিল, এখনও রাজাকার। আমার খুব পছন্দের একজন লেখকের একটি কথা মনে পরে গেল, হুমায়ূন আজাদ বলেছিলেন" রাজাকার সবসময়ই রাজাকার" । সুতরাং, ওরা সব সময়ই আমাদের ঘৃণার থুতুতেই বেঁচে ছিল।
প্রশ্নঃ
সেই আওয়ামীলীগ কি করে আজ নিজেদের স্বাধীনতার স্বপক্ষে দাবি করে রাজাকারের ফাঁসির জন্য একাত্মতা প্রকাশ করে? আজ কি করে মহাসমাবেসে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক একটি লম্বা বক্তৃতা রাখেন? কে , কিংবা কোন মহল তাদের এই সাহস প্রদান করেছে? তবে কি পুরো সংগ্রাম টাই এখন চলে গেছে রসাতলে? আমরা কাদের নেতৃত্বে এই সংগ্রাম করছি? কেন কাদের মোল্লার রায় যাবৎ জীবন হোল? আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে কেন কোন বিদেশী আইনজীবী নেই? শাহবাগ চত্বরে কে কিংবা কারা লাকি আক্তারকে আঘাত করেছিল? ৩-১০ টা এই কর্মসূচী যে দিন থেকে রাখা হোল সেই দিনই কেন ব্লগার রাজিব কে মরতে হোল? কে বা কারা তার খুনি?প্রথমে আওয়ামীলীগ নেতার গায়ে বোতল ছুড়ে মারা হয়েছিল , এখন কি করে অর্থমন্ত্রী শাহবাগ চত্বরে গিয়ে গণজাগরণ মঞ্চে উঠে সংহতি প্রকাশ করেন?
অনেক গুলো প্রশ্ন! আমার শুধু একটাই ইচ্ছা , কেউ একজন এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিন। আর একটা কথা বলতে চাই, আমাদের বিরোধী দল যে বলছেন , তারা ক্ষমতায় গেলে এই রাজাকারদের বিচার করবেন, এইটা তারা কোন লজ্জায় বলেন, আমি ভেবে পাই নাহ! যারা এখনও নিতান্তই অর্থলোভে এখনও ১৮ দলে জোঁকের মত লেগে আছেন তাদের মুখে এই ধরনের কথা নিতান্তই হাস্যকর!
শেষ কথাঃ
উপরের আলোচনা থেকে আমি এই সিদ্ধান্তে উপনিত হতে পারি যে, বর্তমানে শাহবাগ গণজাগরণ একটি বিশেষ রাজনৈতিক জাগরনে পরিনত হয়েছে! কে কিংবা কারা এই আন্দোলন থেকে লাভবান হচ্ছেন তা হয়তো অন্য কারো অজানা হতে পারে, কিন্তু আমার না! আমি রাজনীতির মত অখাদ্য গ্রহনের মনবাঞ্ছা নিয়ে এই জাগরনে শরিক হই নি, তাই এখন এই আন্দোলন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছি। তবে , সবার সাথে আমারও এক কথা, এক দাবি, রাজাকারের ফাঁসি দিবি। আমার মনে অনিরুদ্ধ বাসনা আমি এই বাংলায় , একদিন রাজাকারের মুণ্ডুপাত দেখবো। আশা করি , আল্লাহ আমার মনবাঞ্ছা পূরণ করবেন।
জয় বাংলা...।।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৩
নাহিদ ধ্রুব বলেছেন: জয় বাংলা
২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৩
শামীম অহাম্মদ মজুমদার বলেছেন: সহমত
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৩
নাহিদ ধ্রুব বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৪
খালিদ মুহাম্মদ ইফতেখার আবেদীন বলেছেন: 'বুলিং' সারা বিশ্বেই একটি বড় সমস্যা । স্বাধীনতার একটি বড় প্রাপ্তি হলো মত প্রকাশের স্বাধীনতা । তাই কারও ভাল লাগবে কি লাগবে না সে বিষয়ে চিন্তা না করে আপনি কি মনে করেন বা আপনার অবস্থান থেকে কোন বিষয়ে ভাল বা মন্দ আলোচনা করতে পারেন । যতক্ষণ না কেউ ব্যক্তিগত পর্যায়ে কাউকে আক্রমণ না করছে আমি মতামত প্রকাশে কোন সমস্যা আছে বলে মনে করি না ।আপনার বক্তব্য আপনি লিখুন । আমি আপনার সাথে একমত হতেও পারি আবার নাও হতে পারি ।
তবে ব্লগিং করতে এসেও যদি ভয় পেতে হয় তাহলে বুঝতে হবে আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে । নির্ভয়ে নিজের কথা বলুন যতক্ষণ আপনি জানেন আপনার অভিজ্ঞতা থেকে অন্য দশজন কিছু উপলদ্ধি করতে পারবে । 'সাইবার বুলিং'-এ ভয় পাবেন না ।
৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: সহমত +++++
৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: সবার সাথে আমারও এক কথা, এক দাবি, রাজাকারের ফাঁসি দিবি.... দিতে হবেই। আমার মনে অনিরুদ্ধ বাসনা আমি এই বাংলায় একদিন রাজাকারের মুণ্ডুপাত দেখবো। আশা করি , আল্লাহ আমার মনবাঞ্ছা পূরণ করবেন।
আমিন।।
৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪০
নষ্টছেলে তানিম বলেছেন: অমেক প্রশ্ন আছে কিছু প্রশ্নের উত্তর আমিও চেয়েছিলাম আমাকে শুনতে হয়েছে আমি ছাগু আমার মুক্তিযোদ্ধা বাপকেও রাজাকার বানিয়ে ছাড়ছে । আপনার ভাগ্য ভাল এখনও কেউ বলে আপনাকে ছাগু বলে নি । সহমত আপনার সাথে
৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৮
ওছামা বলেছেন: দেশের প্রবীনরা তরুদের অকর্মা বলছে বলে, তাই শূধু নিজেদের কর্মা প্রমান করার জন্যে নামকা-ওয়াস্তে আন্দোলোন করা উচিত না।
৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৮
ওছামা বলেছেন: দেশের প্রবীনরা তরুদের অকর্মা বলছে বলে, তাই শূধু নিজেদের কর্মা প্রমান করার জন্যে নামকা-ওয়াস্তে আন্দোলোন করা উচিত না।
৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২
নাহিদ ধ্রুব বলেছেন: প্রধান কথা আমরা হেরে গেছি, আবারো হেরে গেছি মুখোশধারী এই অপশক্তির কাছে! যেই ছাত্রলীগ এতদিন মানুষের কাছে সবচেয়ে ঘৃণ্য কিট ছিল আজ তারাই নায়ক!! আমি বাকরুদ্ধ। প্রতিনিয়ত আমরা দেশ কে নিয়ে জুয়া খেলেই যাচ্ছি, কখনও ধর্ম, কখনও বহিঃবিশ্বের চাপ এসব অনেক প্রতিকূলতা আর কিছুই না - সবই মিথ্যাচার! হিসেব টা খুব সহজ - আমরা আন্দোলন করবো আর লাভবান হবে নষ্ট রাজনীতির ধারক ও বাহক রা!
এমন আন্দোলনের গুল্লি মারি!!!
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৪
বোকামন বলেছেন: সবার সাথে আমারও এক কথা, এক দাবি, রাজাকারের ফাঁসি দিবি। আমার মনে অনিরুদ্ধ বাসনা আমি এই বাংলায় , একদিন রাজাকারের মুণ্ডুপাত দেখবো। আশা করি , আল্লাহ আমার মনবাঞ্ছা পূরণ করবেন।
জয় বাংলা...।।