![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিম্নগামী অতীত নিয়েই আমার বেঁচে থাকা, চায়ের দোকানে বসে ধূসর ধোঁয়ায় উড়িয়ে ছিলাম স্বপ্নের ঘুড়ি, চেতনা জুড়ে ছিল একটু ছেলে মানুষী, কল্পনা ছিল অচেনা পৃথিবীর অঙ্গ জুড়ে, কণ্ঠে ছিল মিছিলের উষ্ণতা, দৃষ্টি ছিল অসীমের কাছে, অজানা একটা ঝড় আসলো, পাল্টে গেলো চিত্র, আমি প্রস্তুত ছিলাম না, ছিলাম না সিদ্ধহস্ত, সময়ের স্রোতে আমি অচেনা হলাম, সময় টা কি খরস্রোতা নাকি কালস্রোতা তাও জানা হোল না, জানা হয় নি অনেক কিছুই- যৌনতায় গড়া প্রেম পিপাশার কথা, নিঃসঙ্গতায় বন্ধুর জন্য অপেক্ষা, পিয়াসী চলে যাওয়ায় কষ্টের তীব্রতা, ভরা যন্ত্রণায় আত্মঘাতি হওয়া , এখানে এখন কিছুই নেই, আছে কিছু মধ্য রাতের বোধ, কলুষ মনের হাহাকার, প্রতিস্থাপিত নিঃস্পৃহ বিদ্বেষ, আপন মনেই কেঁদে ফেলার ভয়, সমানুপাতিক সমীকরণ, আমার মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে, অহমিকার দেয়ালে লেগেছে ঘৃণার পোস্টার, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হয়ে এলো, প্রক্রিয়া চলছে পাপ ধুয়ে ফেলার, মনুষ্যত্বের অন্বেষণে ব্রতী দেহ মন, বিশ্বাস করবে না কেউ তবু আমি বলব আমি তোমাদেরই একজন।
একটা বৃক্ষ ঠিক তখনই নিজের অবস্থান কে দৃঢ় করতে পারেন যখন তার বীজ ভালো হয়।নিঃসন্দেহে আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রধান বীজ ছিল ৭ ই মার্চের ভাষণ। বাঙ্গালী জাতির বরপুত্র,জাতির জনক ও বাংলাদেশের একমাত্র রাজনৈতিক কবির সেই ১৯ মিনিটের কবিতায় আজও লুকিয়ে আছে আমাদের পরাধীনতার ২৪ বছরের যন্ত্রণা আর এই স্বাধীনতার ৪২ বছরের পূর্ণতা। আজকের এই মহান দিনে জাতি যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই রেসকোর্স ময়দানে সমবেত , ঠিক তখনই স্বাধীনতা বিরোধী সেই অপশক্তি নিজেদের স্বরূপে আবির্ভূত হয়ে নিজেদের কুরুচিপূর্ণ মানসিকতার প্রমান দিলেন। যারা কখনই চায় নি বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের জন্ম হোক তাদের ডাকা অগণতান্ত্রিক হরতালেই জাতি আজ অবরুদ্ধ! বিস্ময়কর হলেও সত্য!
বি এন পি যারা নিজেদের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে জাহির করেন এবং নিজেদের স্বাধীনতার একটি বিরাট অংশ বলে দাবি করেন - এই হরতাল তাদেরই সৃষ্ট।
এখন আমার কথা বলি। আমি বিশ্বাস করি যেই ব্যাক্তি ৭ই মার্চের ভাষণ কে স্বীকার করেন না , সে কখনই বাংলাদেশের স্বাধীনতার সপক্ষে ছিলেন না, এবং এখনও নাই। আমরা স্বাধীনতার ৪২ বছর পর এসেও সন্দিহান কে আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক! ধরে নিলাম বি এন পি 'র কথাই ঠিক, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক - যদি তাই হয় তবে বি এন পি স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় অংশ জুড়ে আছে- এখন যেই রাজনৈতিক দল স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় অংশ জুড়ে আছে তারা কি করে স্বাধীনতার মূল মন্ত্র কে অস্বীকার করে সেই ৭ই মার্চ কে অবমাননা করে সেই মহান গৌরব উজ্জ্বল দিনে হরতাল ডাকে?
আচ্ছা জিয়াউর রহমানের ভাষণের একটি বিশেষ লাইন " অন দা বিহাফ অফ দা গ্রেট লিডার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রাহমান , , , ,"- এই লাইন টি বি এন পি যখন ক্ষমতায় আসে তখন কেন উধাও হয়ে যায় কেউ কি আমাকে জানাবেন? বিষয় টা কি এমন যে বি এন পি শেখ মুজিব ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা কে ভয় পান? তারা যদি স্বাধীনতার স্বপক্ষেই হতেন তাহলে এখন কেন স্বাধীনতা বিরোধী সেই শুয়োরের পালদের স্পষ্ট ভাবেই মদদ জুগিয়ে যাচ্ছেন? প্রশ্ন গুলো রয়েই গেল!
এখন স্পষ্ট কিছু কথা বলি- ৭ই মার্চ কোন ব্যাক্তি বিশেষের কিংবা কোন রাজনৈতিক দলের ব্যাক্তিগত সম্পদ না, সম্পদ নয় জাতির জনক স্বাধীনতার ঘোষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবও। ৭ ই মার্চ আমাদের অস্তিত্বের মূল শিকড়। ৭ ই মার্চ আমাদের স্বাধীনতার মূল মন্ত্র। ৭ ই মার্চ সব বাঙ্গালীর। এই দিন কে যারা অস্বীকার করে , একে অবমাননার জন্য অগণতান্ত্রিক হরতালের আহবান করে তারা কিছুতেই স্বাধীনতার অংশীদার হতে পারে না। সময় এসেছে পরিবর্তনের, মুখোশ পরিহিত রাজাকারদের নোংরা চরিত্র তুলে ধরার , সময় এসেছে স্বাধীনতা কে অন্তরে ধারন করে অবরুদের বিষ দাঁত ভেঙ্গে দেয়ার।
৭১ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।।
©somewhere in net ltd.