![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিম্নগামী অতীত নিয়েই আমার বেঁচে থাকা, চায়ের দোকানে বসে ধূসর ধোঁয়ায় উড়িয়ে ছিলাম স্বপ্নের ঘুড়ি, চেতনা জুড়ে ছিল একটু ছেলে মানুষী, কল্পনা ছিল অচেনা পৃথিবীর অঙ্গ জুড়ে, কণ্ঠে ছিল মিছিলের উষ্ণতা, দৃষ্টি ছিল অসীমের কাছে, অজানা একটা ঝড় আসলো, পাল্টে গেলো চিত্র, আমি প্রস্তুত ছিলাম না, ছিলাম না সিদ্ধহস্ত, সময়ের স্রোতে আমি অচেনা হলাম, সময় টা কি খরস্রোতা নাকি কালস্রোতা তাও জানা হোল না, জানা হয় নি অনেক কিছুই- যৌনতায় গড়া প্রেম পিপাশার কথা, নিঃসঙ্গতায় বন্ধুর জন্য অপেক্ষা, পিয়াসী চলে যাওয়ায় কষ্টের তীব্রতা, ভরা যন্ত্রণায় আত্মঘাতি হওয়া , এখানে এখন কিছুই নেই, আছে কিছু মধ্য রাতের বোধ, কলুষ মনের হাহাকার, প্রতিস্থাপিত নিঃস্পৃহ বিদ্বেষ, আপন মনেই কেঁদে ফেলার ভয়, সমানুপাতিক সমীকরণ, আমার মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে, অহমিকার দেয়ালে লেগেছে ঘৃণার পোস্টার, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হয়ে এলো, প্রক্রিয়া চলছে পাপ ধুয়ে ফেলার, মনুষ্যত্বের অন্বেষণে ব্রতী দেহ মন, বিশ্বাস করবে না কেউ তবু আমি বলব আমি তোমাদেরই একজন।
একটা কথা নিশ্চিত করে বলাই যায় - শাহবাগ নিয়ে যারা কীবোর্ডে রীতিমত ঝড় তুলেছিলেন আজ তাদের অনেকেই মায়ের আঁচলে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিনিয়ত আন্দোলন টা স্থিমিত হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে নোংরা রাজনীতির দলীয়করণের খেলা তো চলছেই! সব কিছু মিলিয়ে বিষয় টা এখন একটা প্রহসনের সামিল! যেই প্রহসনের মধ্য দিয়ে পুরো জাতি এক হয়ে জন্ম দিয়েছিল প্রজন্ম চত্বরের সেই প্রজন্ম চত্বরই যেন প্রতিনিয়ত প্রহসনে পরিনত হচ্ছে! আমার জানা মতে আমাদের প্রথম থেকেই এক কথা এক দাবি ছিল , সেখান থেকে আসলো ৬ দফা! তা বেশ ভালো সেখান থেকে বিভিন্ন ভাবে আমাদের অবদমিত করার প্রচেষ্টা চালাল বেজন্মা জামাত-শিবির। কখনও আস্তিকতা- নাস্তিকতা নিয়ে ধর্মীয় ব্যাবসা, কখনও বা নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। ওদের কুরুচিপূর্ণ মানসিকতা বারবার আমাদের পথ কে অমসৃণ করে দিল। তার উপর গোঁদের উপর বিষফোঁড়ার মত দেখা দিল স্বাধীনতা বিরোধী সেই অপশক্তি বি এন পি! বেগম খালেদা জিয়া তার অসংলগ্ন বক্তব্যের মাধ্যমে উস্কে দিলেন দ্রোহের আগুন, আমরা রাজনৈতিক কুত্তাদের সামিল হলাম , বিভিন্ন টক শো তে সো কলড জনপ্রিয় নেতা আন্দালিব রহমান পার্থ ও তার সহযোগী ব্যাক্তি বর্গের কাছে হলাম অপমানিত। প্রশ্ন বিদ্ধ হোল শাহবাগ! তবুও আমরা নিশ্চুপ থাকলাম। আমাদের রাজিব মারা গেল , মারা গেল ত্বকি- আজ শাহবাগে হোল ককটেল বিস্ফোরণ তবুও আমরা চুপ করে আছি!! বিস্ময়কর হলেও সত্য! ভাবতে খারাপ লাগে যেই দ্রোহের আগুনে প্রজ্বলিত হয়ে পুরো জাতি সমবেত হয়েছিল মুক্তির শোভাযাত্রায় আজ তারা কিছু রাজনৈতিক কুত্তাদের নীল নকশার শিকার! যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের চেয়ে কি এখন নির্বাচন প্রধান হয়ে গেল কিনা তাই নিয়ে আমি সন্ধিহান!
শাহবাগ চত্বর এক হয়েছিল ৪২ বছরের কলঙ্ক মোচনের উদ্দেশ্যে - কোন নারী মুক্তির শ্লোগান নিয়ে নয়! আমরা নিজেদের অজান্তেই এই আন্দোলন থেকে প্রতিনিয়ত দূরে সরে যাচ্ছি। ডাঃ ইমরান ভাই কে একটি কথা বলতে চাই, ভাই চলুন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্ভাসিত হই, শেখ হাসিনার রাজনীতিতে না। অসহিংস আন্দোলনের গুল্লি মারি! বাংলার মাটিতে আর একটি ককটেল বিস্ফোরিত হলে ৭১ এর মত চলুন ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলি। এই সংগ্রাম হোক আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম, এই সংগ্রাম হোক জাতির পিতার লুণ্ঠিত গৌরব ফিরিয়ে দেবার সংগ্রাম।।
জয় বাংলা, জয় জনতা।।
২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১২
সজল কির্ত্তনিয়া বলেছেন: এমরান এইচ সরকারের কান্ড কারখানা দেখে মনে হয় - উনার টার্গেট ৭১ এর মানবতা বিরোধীদের ফাঁসি নয়, উনার টার্গেট আগামীতে শান্তিতে নোবোল পুরস্কারের মনোনয়ন পাওয়া।
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
তরুন তুর্কী বলেছেন: আপনার বক্তব্যর সঙ্গে একমত হয়েও একটি বিষয়ের দিকে আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করছি .... 'আমাদের রাজীব' হতে পারে না ।
আমি জানি না আপনার তার সাথে ব্যক্তিগত পরিচয় ছিল কি না । তবে এতটুকু জানি রাজীব সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ ছিলেন না । আমি যদিও নাস্তিকতার সাথে সংঘর্ষে যাব না । কিন্তু রাজীবের লেখা পড়ে আমি থরথর করে কেঁপেছি । বিশ্বাস করুন আর নাই করুন আমি যদি তখন তাকে হাতের কাছে পেতাম তবে তাকে চিবিয়ে খেতাম !!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
একরামুল হায়দার বলেছেন: সহমত