![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিম্নগামী অতীত নিয়েই আমার বেঁচে থাকা, চায়ের দোকানে বসে ধূসর ধোঁয়ায় উড়িয়ে ছিলাম স্বপ্নের ঘুড়ি, চেতনা জুড়ে ছিল একটু ছেলে মানুষী, কল্পনা ছিল অচেনা পৃথিবীর অঙ্গ জুড়ে, কণ্ঠে ছিল মিছিলের উষ্ণতা, দৃষ্টি ছিল অসীমের কাছে, অজানা একটা ঝড় আসলো, পাল্টে গেলো চিত্র, আমি প্রস্তুত ছিলাম না, ছিলাম না সিদ্ধহস্ত, সময়ের স্রোতে আমি অচেনা হলাম, সময় টা কি খরস্রোতা নাকি কালস্রোতা তাও জানা হোল না, জানা হয় নি অনেক কিছুই- যৌনতায় গড়া প্রেম পিপাশার কথা, নিঃসঙ্গতায় বন্ধুর জন্য অপেক্ষা, পিয়াসী চলে যাওয়ায় কষ্টের তীব্রতা, ভরা যন্ত্রণায় আত্মঘাতি হওয়া , এখানে এখন কিছুই নেই, আছে কিছু মধ্য রাতের বোধ, কলুষ মনের হাহাকার, প্রতিস্থাপিত নিঃস্পৃহ বিদ্বেষ, আপন মনেই কেঁদে ফেলার ভয়, সমানুপাতিক সমীকরণ, আমার মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে, অহমিকার দেয়ালে লেগেছে ঘৃণার পোস্টার, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হয়ে এলো, প্রক্রিয়া চলছে পাপ ধুয়ে ফেলার, মনুষ্যত্বের অন্বেষণে ব্রতী দেহ মন, বিশ্বাস করবে না কেউ তবু আমি বলব আমি তোমাদেরই একজন।
বর্তমান বাংলাদেশ হোল, মুখোশ উন্মোচনের এক অদ্ভুত রঙ্গমঞ্চ। প্রতি নিয়তই নতুন নতুন করে খোলস পাল্টে যাওয়া অমানুষের চেহারা গুলো আমাদের সামনে উঠে আসছে। ইস্যু টা এসেছিল কাদের মোল্লার ফাঁসি থেকে! সেখানে আমাদের প্রতিবাদ কিংবা বিক্ষোভ টা ছিল সরকারবিরোধী। প্রথমত, বিচার ব্যাবস্থায় বিশাল বড় ফাঁক, তার উপর কাদের মোল্লার মত নর পিশাচের যাবৎজীবন। এটা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই ছিল নাহ, সেখান থেকেই প্রজন্ম চত্বরের সৃষ্টি। সে সব ইতিহাস, এরপর আমরা দেখেছি জামায়াতের মহিলা আমীর বেগুম গুলাপি জিয়া'র সাইদি প্রীতি। তিনি নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য একে একে হরতাল দিয়ে গেলেন, আর সামনে রাখলেন মস্তিষ্ক বিকৃত বুল ডগ ফকু, রিজভি, আর বেশ্যা নিলুফার মনি দের। বিনা কারনে বার বার হরতালের মত একটি অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তিনি দেশ কে অচল করে দেয়াল নীল নকশা আঁকলেন। তার কিছু উদাহরন হোল নিজের সমাবেশে নিজে ককটেল মেরে হরতাল পালন। এখানেই শেষ নয়, জামাত - শিবির কে বাঁচানোর জন্য তিনি করেন নি এমন কোন কাজ নেই! মানিক গঞ্জে তিনি বলেই ফেললেন "হরতাল লাগবে? দিবো হরতাল? "- তাকে তখন নিতান্তই একজন ফেরিওয়ালার মত লাগছিলো!
পক্ষান্তরে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী'র বক্তব্য শুনলাম কাল, কেউ খেয়াল করেছেন কিনা জানি নাহ, প্রধান মন্ত্রী খুব সূক্ষ্ম ভাবে জামায়েত- শিবির নিষিদ্ধ করার ব্যাপার টি এড়িয়ে গেছেন। নিজেদের বিরুদ্ধে যেই আন্দোলন ছিল তাকে খুব সুনিপুণ ভাবে নিজের স্বপক্ষে টেনে নিলেন। ধ্বংস করে দিলেন এ জাতির সম্ভাবনা। তার বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান না, গদি টা টিকিয়ে রাখতে চান। আর তার সকল ভালোমানুষি শুধুই শিশু ভুলানো গান। কোথায় সাগর- রুনি? কোথায় বিশ্বজিৎ? কোথায় কালো বিড়াল? কোথায় ইলিয়াস আলি? কোথায় পদ্মা সেতু? - এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিতে প্রধানমন্ত্রী অপারগ! তাই, সে নতুন অপেরা শুরু করেছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার- কিন্তু তলে তলে তার জামায়েত প্রীতি কোন অংশেই কম নাহ!! তার উপর, মরুভূমির সূর্যের চেয়ে যেমন বালুর উত্তাপ বেশী, ঠিক তেমনই প্রধান মন্ত্রী'র চেয়ে মতিয়া চৌধুরী কিংবা কালো বিড়াল সুরঞ্জিতের কথার ধাঁর বেশী। আমি ভেবে অবাক হই সুরঞ্জিতের মত একজন উৎকৃষ্ট মানের চোর কি করে এতো কথা বলে! আর ওনার বাচন ভঙ্গী কোন অংশেই একজন রাজনীতি বিদের মত নয়! আর চোরের মায়ের বড় গলা- কথা টার মত এক রাজাকার সাজেদা চৌধুরী, আরেক রাজাকারের ফাঁসি চায়। বিষয় টা নিতান্তই হাস্যকর!!
এই সব সমীকরণ মিলিয়ে একটা কথা স্পষ্ট, এরা সবাই দুধের মাছি। আমরা সাধারণ মানুষ বার বার ধর্ষিত হবো আর, ধর্ষণ করে এরা হেসেই যাবে! এই ধরনের অবক্ষয় আর কত দিন চলবে জানতে পারলে হতো, কিন্তু, তা সম্ভব নয়। আমরা কি আসলেই জানি আমরা কিসের জন্য সংগ্রাম করছি!? আমরা নিজেদের অজান্তেই অন্য কারো পা চাটছি। আমরা ভুলে গেছি আমাদের শত্রু শুধু জামায়েত - শিবির না আমাদের সরকারী দলও। তাই- সরকারী দলের চামচা গণজাগরণ মঞ্চের নেতা দের কথা ভুলে নিজের অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করুন।
এটা আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই, এটা আমাদের বেঁচে থাকার লড়াই।।
জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো।।
জয় বাংলা।।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৮
আকাশের অনেক রং বলেছেন: সত্যিই এটা আমাদের বেঁচে থাকার লড়াই,
জয় বাংলা গুরু