![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুশাল থেকে পাঞ্জাবী কিনে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা। ঈদের সময় এতো জ্যাম! এক পাঞ্জাবী কিনতেই সারাটা দিন মাটি। বাসায় এসে আরেকবার গায়ে চড়িয়ে দেখল হৃদ। পাঞ্জাবীটা সত্যিই দারুন মানিয়েছে। রিমি দেখলে নিশ্চয়ই খুশি হবে। দুদিন ধরে ওর সাথে কথা নেই। ইদানীং ঝগড়া হলে দু-তিনদিনও কথা বলা বন্ধ থাকে।
ফোন হাতে নিয়ে রিমি কে ফোন দিতে গিয়েও মত পালটালো ও। ঝগড়ার রেশটা আরও কিছুক্ষণ থাকুক। ফেসবুক অন করে বসল। খানিকক্ষণ বাদে একটুখানি শীতল পরশ পেতেই দেখল জানালা দিয়ে বৃষ্টির ছাঁট আসছে। অনেকক্ষণ অনলাইনে গুঁতোগুঁতি করেও ভালো লাগছেনা। ইতিমধ্যে বৃষ্টির বেগ আরও বেড়েছে। নাহ, এবার ফোনটা করেই বসল। বৃষ্টির ছন্দের সাথে মিতালী করে টানা অনেকক্ষণ কথা বলার পরই স্বস্তি বোধ করল। বাহ, জীবনটা মন্দ না!
ফোন রেখে ফেসবুকে চোখ বুলিয়ে দেখল দুটো নোটিফিকেশন। অলস ভঙ্গীতে ক্লিক করতেই ট্যাগ করা একটা ছবি স্ক্রিনে ভেসে উঠলো। কিছু মানুষের বৃষ্টিভেজা অসহায় ক্লান্ত চেহারা। খাগড়াছড়ির সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ঘরবাড়ী পুড়ে যাওয়ায় তাঁরা আশ্রয়হীন ‘আদিবাসী’। চোখে অসহায়ত্ব না কষ্ট না ক্ষোভ, বোঝা দুঃসাধ্য। এই দেশের মাটিতে জন্ম হলেও মানুষগুলোকে বারবার কেন এই পরিণতি বরণ করতে হয়? কি অপরাধ তাদের? মুহূর্তেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। হৃদের চোখে ভেসে উঠলো বন্ধু ত্রিবেণী, মং, অভিনব, ইপ্সিতা কিংবা অঙ্গীয় দার কথা। ক্যাম্পাসে টিএসসি কিংবা হাকিম চত্বরে কতোদিন একসাথে আড্ডা দিয়েছে। কই, কখনোতো কাউকেই আলাদা মনে হয়নি। তবে কেন এই সংঘাত! আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাইবা কি করছে? মধুর বৃষ্টিটাকে হঠাৎই ভীষণ যন্ত্রণা মনে হল ওর।
‘বৃষ্টি দেখে আমার মনে যখন রোমান্স জাগছে
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ঘর পুড়ে যাওয়া আদিবাসীরা তখন খোলা আকাশের নিচে অসহায় কাঁদছে’
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
নাহিদ তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনারও ঈদ ভালো কাটুক -
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৩
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল
