নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

সময়, কবিতা, ছোটগল্প, দেশ, দেশাচার

তীরন্দাজ

গান ভালোবাসি, সাহিত্য ভলোবাসি, রাজনৈতিক দায় ও দলবদ্ধতা থেকে মুক্ত থাকতে চাই। সবার উপরে মানুষ, তারপর বাকী যা কিছু।

তীরন্দাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ কি?

১৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২২

অনেক ধর্মান্ধ তাদের মানস ও শিক্ষায় দৈন্যতার প্রকোপে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মহীনতা অর্থ গুলিয়ে একাকার করে ফেলেন। নিজেদের সে দৈন্যতাকে প্রশয় দিয়ে বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা। তাদের সে বানী প্রচার করেনও সরবে। আমরা, যারা ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি ও একে সামাজিক মুক্তির একটি অতি দরকারী পদক্ষেপ হিসেবে ধরি, প্রতিবাদ করি ও চেষ্টা করি তাদের ভুল ভাঙ্গানোর। কিন্তু যে ভুল ইচ্ছাকৃত তাকে ভাঙ্গানোর সাধ্য কার আছে?



যারা চিন্তায় ও মানসে ধর্মীয় সম্প্রসারণবাদী, তারা তাদের ভুল স্বীকার করবে, তা আশা করা অর্থহীন। সব ধর্মের সমান অধিকার তাদের সম্প্রসারণবাদী চিন্তাকে প্রতিহত করবে, এ ভয়ই তাদের বুকে ভেতরে সারাক্ষণ। যারা ধর্মীয় সম্রাজ্যবাদ, তাদের এটা সইবে কেন? এ আলোচনায় তাদের কথা না বলাই ভাল। কিন্তু সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক হতাশার সুযোগ নিয়ে তারা কিছু মানুষকে প্রভাবিত করে। সে সব প্রভাবিত মানুষদের জন্যে ধর্মনিরপেক্ষতা সহজ সংজ্ঞা দরকার।



সেকারণে নিজ প্রচেষ্টায় একটি সংজ্ঞা দাড় করানোর প্রচেষ্টায় আমি। একে সংজ্ঞা না বলে নিজে ধর্মনিরপেক্ষতাকে কিভাবে দেখি, তাও বলা যেতে পারে। এই সংজ্ঞা অবশ্যই সম্পুর্ণ নয়। আপনারা যারা আমার মতোই ধর্মনিরপেক্ষতা তথা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের আদর্শে বিশ্বাস করেন, তাদের প্রতি অনুরোধ, "আসুন সবাই মিলে এই সংজ্ঞাকে পরিপুর্ণ করার চেষ্টা করি।" আপনারা আপনাদের নিজস্ব সংজ্ঞাও দাড় করাতে পারেন। এতে ধর্মান্ধদের চরিত্র বদলানো না গেলেও তাদেরকে প্রতিহত করা শক্তি আমাদের বাড়বে।



১) আমি নিজে ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে যা বুঝি:



এক ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত রাষ্ট্রের ছত্রছায়ায় সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু বিচার নির্বিশেষে স্বেচ্ছায়, চাপমুক্তভাবে ও অবাধে নিজ ধর্ম পালনের ও নিজবিশ্বাসে না পালনেরও সুযোগ।



২) মাহবুব সুমনের মতে:



রাস্ট্রে সকল ধর্ম ও মতের মানুষের সমান অধিকার থাকবে নিজ নিজ ধর্মমত পালন ও বিশ্বাসে।

রাস্ট্রের দ্বায়িত্ব সেই সমানাধিকার রক্ষা করা এবং রাস্ট্রে সব ধর্মই সমান অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে থাকবে।

প্রতিটি মানুষ যেমন নিজের ধর্ম পালন করবে ঠিক সেই ভাবে অন্য ধর্মালম্বীদের বিশ্বাষকে সম্মান করবে ও সেই সম্মান রক্ষা করবে।

রাস্ট্রের কোনো ধর্ম থাকবে না




৩) িদদারুল আলম বাননা বলেছেন



বর্তমান সময়ে ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে বোঝানো হয় কিছু নির্দিষ্ট প্রথা বা প্রতিষ্ঠানকে ধর্ম বা ধর্মীয় রীতিনীতির বাইরে থেকে পরিচালনা করা। এক অর্থে,ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মীয় স্বাধীনতাকে প্রকাশ করে। এই মতবাদ অনুযায়ী, সরকার কোনরূপ ধর্মীয় হস্তক্ষেপ করবে না, কোন ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী হবে না এবং কোন ধর্মে কোন প্রকার অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করা হবে না। ধর্মনরপেক্ষতা সেই বিশ্বাসকে ধারণ করে যাতে বলা হয় মানুষের কর্মকাণ্ড এবং সিদ্ধাণ্তগুলো, বিশেষত রাজনীতিক সিদ্ধান্তগুলো, তথ্য এবং প্রমাণ এর নির্ভর করবে, কোন ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর নয়।



রাজনৈতিক ব্যবহারের দিক থেকে বলা হয়, ধর্মনিরপেক্ষতা হল ধর্ম এবং রাষ্ট্রকে পৃথক করার আন্দোলন,যাতে ধর্মভিত্তিক আইনের বদলে সাধারণ আইন জারি এবং সকল প্রকার ধর্মীয় ভেদাভেদ মুক্ত সমাজ গড়ার আহবান জানানো হয়।




৪) অমি রহমান পিয়াল বলেছেন:



ধর্ম থাকবে একান্তই আমার আচার, সমমনারা একত্রে সামাজিক আচার হিসেবেও পালন করতে পারি (মুসলমান হিসেবে নামাজ/হিন্দুদের পুজা-পার্বন), রাষ্ট্র দেবে সবাইকে সমানভাবে তা পালনের অধিকার। রাষ্ট্র আলাদা একটা ধর্মীয় পরিচয় নেবে না।



৫) মুকুল বলেছেন:



আমি ধর্মনিরেপক্ষ রাষ্ট্র বলতে বুঝি, রাষ্ট্র নিজে কোন ধর্মকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করবে না। বরং সব ধর্মের লোকজনের ধর্ম পালনের অধিকার নিশ্চিত করবে। রাষ্ট্র প্রত্যেকের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করবে। ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে কোন বিভাজন করবে না। ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে কোন বিশেষ সুযোগ সুবিধা হবে না। সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার পাবে।



৬) মানুষ বলেছেন:



আমার মতে ধর্ম হচ্ছে ব্যক্তিগত ব্যাপার। এক সময় ছোট ছোট ট্রাইব ছিল যার ফলে সবার একই ধর্ম পালনে কোন বাধা ছিল না। সে সমাজ ব্যাবস্থা বহু আগেই বিলিন হয়েছে। এখন বৃহত্তর রাষ্ট্র পরিচালনা করে একটি সরকার। এই রাষ্ট্রে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বি মানুষ থাকে এবং সে কারনেই সরকারের ধর্মনিরপেক্ষ হওয়াটা জরুরী মানবাধিকার রক্ষার্থেই।

ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে আমি বুঝি, অন্য কোন ব্যক্তির কোন প্রকার সমস্যা সৃষ্টি না করে নিজ বিশ্বাস পালন করাকে।




৭) এস্কিমো বলেছেন:



আমি সহজ সরল ভাষায় বুঝি -

ধর্ম নিরপেক্ষতা হলো -

"যার ধর্ম তার কাছে, রাষ্ট্রের কি বলার আছে?"



প্রকৃত অর্থে গনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় সকল মতপথকে একই রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে স্থান দেবার জন্যে রাষ্ট্রকে ধর্ম নিরপেক্ষ হওয়া ছাড়া গত্যান্তর নেই। রাষ্ট্র যদি কোন একটা বিশেষ ধর্মের প্রতি ঝুকে যায় -তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই কোন কোন একদল নাগরিকের প্রতি অবিচার করা হবে। আর গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রাথমিক সংজ্ঞায় সেইটা পড়ে না।




৮) স্বাপ্নিক বলেছেন:



রাষ্ট্রধর্ম বা প্রধান ধর্ম বলতে কিছু থাকবে না। সকল ধর্মের মানুষই যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারবে। রাষ্ট্রের সংবিধান ও আইন কোন বিশেষ ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত হবে না। সকল নাগরিকের অধিকার রাষ্ট্র সংরক্ষন করবে।



অবশ্য একটি বিষয় নিয়ে আমি নিশ্চিত না, কন্ট্রাডিকশনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রে সকল ধর্মাবলম্বীদের জন্য অভিন্ন আইন থাকবে না প্রত্যেক ধর্মের জন্য আলাদা আইন হবে। যেমন বিয়ে ও পারিবারিক আইনের ক্ষেত্রে। এ বিষয়েও সবার মতামত আশা করছি।




৯) নাভদ বলেছেন:



ধর্মনিরপেক্ষতা - এই শব্দটার মানে আজও পরিস্কার নয়।



ধর্মনিরপেক্ষতা কে অসাম্প্রদায়িকতার দৃস্টিকোন থেকে দেখতে চাই। রাস্ট্র কারো প্রতি কোন পক্ষপাতিত্ব করবে না, সবার প্রতি সমান আচরন করা হবে - এভাবেই দেখার চেস্টা করি।



ধর্মনিরপেক্ষতা মানে কি হতে পারে ধর্মের প্রতি নিরপেক্ষ হয়ে যাওয়া? মানে সে আর ধর্ম মানবে না? বা ধর্মের প্রতি উদাসীন হয়ে পড়বে? হলে, মানুষের পক্ষে ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া কেন জানি মনে হয় সহজ কাজ নয় - কারন আমাদের প্রত্যেকের জন্মসূত্রে একটা ধর্ম রয়েছে। তার প্রভাব এড়ানো সহজ নয়। অনেকে নাস্তিক হন ।



তবে মানুষ চেস্টা করলে অসাম্প্রদায়িক হয়তো হতে পারে। সে তখন শুধু নিজের সাম্প্রদায়কেই ফেভার করবে না।



আপনাকে পোস্টের জন্য ধন্যবাদ, তীরন্দাজ ভাই। পোস্ট ও তার কমেন্ট থেকে আশা করি কিছু শিখতে পারব, আমার ধারনার কোথাও ত্রুটি থাকলে তা জানতেও পারব।




১০) নাজিম উদদীন বলেছেন:



ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে আমি বুঝি, ধর্ম এবং রাজনীতির পৃথকীকরণ। রাস্ট্র কোন বিশেষ ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করবে না, সব ধর্ম এমনকি ধর্মহীনতাও রাষ্ট্রের দৃষ্টিতে সমান হতে হবে।



১১) সেলিম তাহের বলেছেন:



একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের কাছে ধর্ম তার সমস্ত রাষ্ট্রিক, নৃতাত্বিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। পাশ্চাত্যের ভোগবাদী সমাজে ধর্ম যেমন তার সমস্ত ভাবালুতা নিয়ে সমাজে বিদ্যমান, তেমনি প্রাচ্য বা প্রাতিচ্যের রাষ্ট্রগুলোতেও বিদ্যমান। এটা ধর্মের ঐতিহাসিক সংস্কৃতিগত দিক।



আমার জীবনের ১৭টা বছর আমি বিভিন্ন মধ্যইউরোপীয় দেশে কাটিয়ে এলাম। সমাজের মূলস্রোতকে কর্মসূত্রে দেখার সুযোগ ঘটেছে। কিন্তু কোথাও তো পেলাম না যে রাষ্ট্র তার জাতিগোষ্ঠীর বিভিন্ন ধারার ও পথের ধর্মচর্চাকারীদের তাদের স্ব স্ব ধর্মচর্চা করতে বাধা দিচ্ছে বা আইন করে ধর্মকে গুরুত্বহীণ করে রেখেছে। ওখানে প্রত্যেকটি ধর্মকেই বরং সাংবিধানিক বৈধতা দিয়ে তাদের নিজ নিজ উপশনালয়গুলোর স্বায়ত্বশাসন নিশ্চিত করা হয়েছে, অন্তত সাংবিধানিক ভাবে হলেও।



ফরাসি বিপ্লবের পথ ধরেই প্রথম ধর্মকে রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে পৃথকীকরণের পথ সুগম করা হ্য়েছে। একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের এটাই গোড়ার কথা- ধর্মকে রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে পৃথকীকরণ। এটার অর্থ ধর্মকে বাদ দেয়া বা জনগনের সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় জীবনচারিতা থেকে ধর্মের খোলনলচে সহ তাকে গুরুত্বহীণ করে দেয়া নয়, কারণ রাষ্ট্র ভাল করেই জানে যে এটা একটি উৎকাল্পনিক চিন্তা। রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে ধর্মের পৃথকীকরণের সাথে জনগনের স্বাধীণ ধর্মচর্চার কখনো বিরোধ থাকতে পারে না..অন্তত তাত্ত্বিক অর্থে তো নয়-ই।




১২) মুহিব বলেছেন:



সকল ধর্মকে শ্রদ্ধা করা। ধর্মীয় পরিচয়কে বাধা হিসেবে না দেখা। ধর্মহীনতা বা ধর্ম পালন না করা আর ধর্মনিরপেক্ষতা এক নয়।



১৩) আব্দুন নূর তুষার বলেছেন:



এক ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত রাষ্ট্রের ছত্রছায়ায় সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু বিচার নির্বিশেষে স্বেচ্ছায়, চাপমুক্তভাবে ও অবাধে নিজ ধর্ম পালনের ও নিজবিশ্বাসে না পালনেরও সুযোগ।



সহজ বাংলায় রাষ্ট্র কোন বিশেষ ধর্মের পক্ষ নেবে না এবং কোন ধর্মের বিরুদ্ধাচরন করবে না।



রাষ্ট্র সকল ধর্মের মানুষকে নিরাপদে ধর্ম পালনের সুযোগ দেবে এবং কোন ধর্মের অবমাননা হয় এমন কোন কর্মকান্ড করতে দেবে না।




১৪) আইকোনাস ক্লাস্টাস বলেছেন:



সারমর্ম হল, রাষ্ট্র ও ধর্ম থাকবে আলাদা। এতে করে রাষ্ট্র ও ধর্ম দুইএরই ভাল হবে। দুটোকে মিলিয়ে ফেল্লেই শুরু হবে দ্বন্দ্বের, ভুলবুঝাবুঝির, oppression এর, আধ্যাতিকতার গলাচাপা দেওয়া হবে, গলা চাপা দেওয়া হবে একই ভাবে মুক্তবুদ্ধি চর্চার। এর শেষ হবে রক্তের গঙ্গা বইয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়েই। আমার মনে হয় - এখানেই মানবতাবাদ আর ধর্মীয় মতবাদ একই কথা বলে - তারা সকলেই চায় শান্তি।



১৫) মাদারি বলেছেন:



রাষটোরো একখান সামাজিক পতিষঠান, সমাজ বিকাশের ধারায় এইডা আইসে, এইহানে কোন ঐশ্বরিক নিয়ম চলবো না- সব ইহজাগতিক হোইতে হোইব। হেরা আরেকডা কতা কোইসিল, কোন রাজা বা ধরমোনেতা বা ইমাম রাষটোরের মালিক না, পকরিতো মালিক হোইল রাষটোরের জনগণ।











মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

সমালোচনাকারী বলেছেন: [এক ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত রাষ্ট্রের ছত্রছায়ায় সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু বিচার নির্বিশেষে স্বেচ্ছায়, চাপমুক্তভাবে ও অবাধে নিজ ধর্ম পালনের ও নিজবিশ্বাসে না পালনেরও সুযোগ।]

শুধু এটুক বলবো, শেষে যেনো এই থিউরি যেনো হাতপা বেধে সাতরানোর কথা না বলে!!!
যেমনটা হয়েছিল মিডলএশিয়ান কান্ট্রিগুলিতে সোভিয়েত আগ্রাসনের প্রাক্কালে!!! কামালের বিগত সেন্চুরির তুরকির কথা নাই বা বল্লাম!!

১৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

তীরন্দাজ বলেছেন: ঠিক আছে, তাহলে এই থিওরীকে সংশোধন করুন বা নিজের বক্তব্য বা থিওরী জানান সমালোচনাকারী।

দেখি না, মিলিয়ে মিশিয়ে গ্রহনযোগ্য করা যায় কি না!

২| ১৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মাহবুব সুমন বলেছেন: আমি নিজে ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে যা বুঝি:

রাস্ট্রে সকল ধর্ম ও মতের মানুষের সমান অধিকার থাকবে নিজ নিজ ধর্মমত পালন ও বিশ্বাসে।
রাস্ট্রের দ্বায়িত্ব সেই সমানাধিকার রক্ষা করা এবং রাস্ট্রে সব ধর্মই সমান অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে থাকবে।
প্রতিটি মানুষ যেমন নিজের ধর্ম পালন করবে ঠিক সেই ভাবে অন্য ধর্মালম্বীদের বিশ্বাষকে সম্মান করবে ও সেই সম্মান রক্ষা করবে।

১৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

তীরন্দাজ বলেছেন: আমাদের মতামত প্রায় একই অর্থ বহন করে। আপনি শুধুমাত্র যারা কোন ধর্ম পালন না করে, তাদের কথা বলেন নি প্রত্যক্ষভাবে।

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

সমালোচনাকারী বলেছেন: তিরুদা,
যে দেশে ৯৮% কোনো স্পেশাল ধরমিয় বিশ্বাসের হবে সেখানে আপনার 'এক ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত রাষ্ট্র' এর ডেফিনিশন কি হবে?

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মাহবুব সুমন বলেছেন: তীরুদা,
এ জন্যই আমি " মতের " কথা বলেছি।
যারা কোনোই ধর্মে বিশ্বাষি নয় বা নাস্তিক তাদের কোনো ধর্মালম্বী না বলে "মতাদর্শী" বলা যায়।

১৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

তীরন্দাজ বলেছেন: বুঝেছি, ধন্যবাদ। সেজন্যেই বলেছি প্রত্যক্ষভাবে বলেন নি। পরোক্ষ সুরটি কানে বেজেছিল, ধরতে পারিনি।

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

তীরন্দাজ বলেছেন:

৬| ১৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

িদদারুল আলম বাননা বলেছেন:

বর্তমান সময়ে ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে বোঝানো হয় কিছু নির্দিষ্ট প্রথা বা প্রতিষ্ঠানকে ধর্ম বা ধর্মীয় রীতিনীতির বাইরে থেকে পরিচালনা করা। এক অর্থে,ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মীয় স্বাধীনতাকে প্রকাশ করে। এই মতবাদ অনুযায়ী, সরকার কোনরূপ ধর্মীয় হস্তক্ষেপ করবে না, কোন ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী হবে না এবং কোন ধর্মে কোন প্রকার অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করা হবে না। ধর্মনরপেক্ষতা সেই বিশ্বাসকে ধারণ করে যাতে বলা হয় মানুষের কর্মকাণ্ড এবং সিদ্ধাণ্তগুলো, বিশেষত রাজনীতিক সিদ্ধান্তগুলো, তথ্য এবং প্রমাণ এর নির্ভর করবে, কোন ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর নয়।

রাজনৈতিক ব্যবহারের দিক থেকে বলা হয়, ধর্মনিরপেক্ষতা হল ধর্ম এবং রাষ্ট্রকে পৃথক করার আন্দোলন,যাতে ধর্মভিত্তিক আইনের বদলে সাধারণ আইন জারি এবং সকল প্রকার ধর্মীয় ভেদাভেদ মুক্ত সমাজ গড়ার আহবান জানানো হয়।

১৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

তীরন্দাজ বলেছেন: ধন্যবাদ িদদারুল আলম বাননা।

আপনি খুব স্পষ্ট করে বলেছেন।

৭| ১৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ধর্ম থাকবে একান্তই আমার আচার, সমমনারা একত্রে সামাজিক আচার হিসেবেও পালন করতে পারি (মুসলমান হিসেবে নামাজ/হিন্দুদের পুজা-পার্বন), রাষ্ট্র দেবে সবাইকে সমানভাবে তা পালনের অধিকার। রাষ্ট্র আলাদা একটা ধর্মীয় পরিচয় নেবে না।

৮| ১৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: + দিলাম। এখন ওয়েবস্টার ডিকশনারী নিয়া কে কে হাজির হয় সেটা দেখি

১৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:০২

তীরন্দাজ বলেছেন: ধন্যবাদ অমি!

কারো আসতে ইচ্ছে হলে আসতে পারেন। আমিও অপেক্ষায় আছি। ক্ষতি কি, যদি তা বক্তব্যকে সমৃদ্ধশালী করে।

৯| ১৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:০৩

মুকুল বলেছেন: আমি ধর্মনিরেপক্ষ রাষ্ট্র বলতে বুঝি, রাষ্ট্র নিজে কোন ধর্মকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করবে না। বরং সব ধর্মের লোকজনের ধর্ম পালনের অধিকার নিশ্চিত করবে। রাষ্ট্র প্রত্যেকের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করবে। ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে কোন বিভাজন করবে না। ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে কোন বিশেষ সুযোগ সুবিধা হবে না। সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার পাবে।

১৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:১৮

তীরন্দাজ বলেছেন: ধন্যবাদ মুকুল, আমাদের সবার বক্তব্যই কাছাকাছি।

১০| ১৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:০৯

মানুষ বলেছেন: আমার মতে ধর্ম হচ্ছে ব্যক্তিগত ব্যাপার। এক সময় ছোট ছোট ট্রাইব ছিল যার ফলে সবার একই ধর্ম পালনে কোন বাধা ছিল না। সে সমাজ ব্যাবস্থা বহু আগেই বিলিন হয়েছে। এখন বৃহত্তর রাষ্ট্র পরিচালনা করে একটি সরকার। এই রাষ্ট্রে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বি মানুষ থাকে এবং সে কারনেই সরকারের ধর্মনিরপেক্ষ হওয়াটা জরুরী মানবাধিকার রক্ষার্থেই।

ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে আমি বুঝি, অন্য কোন ব্যক্তির কোন প্রকার সমস্যা সৃষ্টি না করে নিজ বিশ্বাস পালন করাকে।

১৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:১৯

তীরন্দাজ বলেছেন: ধন্যবাদ মানুষ, আমাদের সবার বক্তব্যই কাছাকাছি। সমৃদ্ধ করছে পরস্পরকে।

১১| ১৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:০৭

মাহবুব সুমন বলেছেন: "রাস্ট্রের কোনো ধর্ম থাকবে না"
এ বাক্যটা যোগ করে দিয়েন, বাদ পরে গিয়েছিলো।

১৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:১৬

তীরন্দাজ বলেছেন: যোগ করে দিলাম।

১২| ১৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৪০

এস্কিমো বলেছেন: আমি সহজ সরল ভাষায় বুঝি -

ধর্ম নিরপেক্ষতা হলো -
"যার ধর্ম তার কাছে, রাষ্ট্রের কি বলার আছে?"

প্রকৃত অর্থে গনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় সকল মতপথকে একই রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে স্থান দেবার জন্যে রাষ্ট্রকে ধর্ম নিরপেক্ষ হওয়া ছাড়া গত্যান্তর নেই। রাষ্ট্র যদি কোন একটা বিশেষ ধর্মের প্রতি ঝুকে যায় -তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই কোন কোন একদল নাগরিকের প্রতি অবিচার করা হবে। আর গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রাথমিক সংজ্ঞায় সেইটা পড়ে না।

ধন্যবাদ।

১৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৪২

তীরন্দাজ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় এস্কিমো।

১৩| ১৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৪০

তীরন্দাজ বলেছেন: আমি এই বক্তব্যগুলো নিয়ে একটি নতুন পোষ্ট দাঁড় করাবো। দেখি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের অনুসারীরা কি উত্তর দেন।

১৪| ১৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৪০

বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: +++++

১৫| ১৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৫৪

সমালোচনাকারী বলেছেন: তিরুদা, আমার প্রশ্নটার জবাব দিলেন না?

আমি আপনার ইনটেনশন অর থিউরীর সাথে অবশ্যই অনেকাংশে একমত।

শুধু একটা জিনিস জানতে চেয়েছিলাম, গনতান্ত্রিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রে যদি মেজর আইডলজিতে বিশ্বাসীদের প্রভাব থাকে সেখানে এই নিরপেক্ষ কনসেপ্ট কতটা কারযকর হয়!

১৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:২০

তীরন্দাজ বলেছেন: সেখানেও রাষ্ট্রের একই ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র থাকতে হবে। রাষ্ট্রের উপর সংখ্যাগুরুর কোন প্রভাব থাকবে না।

তবে সেই ধর্মীয় প্রভাব পড়বে সমাজের উপর স্বাভাবিকভাবেই। রাষ্ট্রের সেখানে নজর থাকবে, খবরদারী থাকবে, যাতে সেই সমাজের প্রভাবে সংখ্যালঘুরা তাদের ধর্মীয় অধিকার যাতা না হারান।

উত্তরটি আগেও দিয়েছিলাম। কোন ভুলে হয়তো প্রকাশ হয়নি।

১৬| ১৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:০৮

স্বাপ্নিক বলেছেন: রাষ্ট্রধর্ম বা প্রধান ধর্ম বলতে কিছু থাকবে না। সকল ধর্মের মানুষই যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারবে। রাষ্ট্রের সংবিধান ও আইন কোন বিশেষ ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত হবে না। সকল নাগরিকের অধিকার রাষ্ট্র সংরক্ষন করবে।

অবশ্য একটি বিষয় নিয়ে আমি নিশ্চিত না, কন্ট্রাডিকশনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রে সকল ধর্মাবলম্বীদের জন্য অভিন্ন আইন থাকবে না প্রত্যেক ধর্মের জন্য আলাদা আইন হবে। যেমন বিয়ে ও পারিবারিক আইনের ক্ষেত্রে। এ বিষয়েও সবার মতামত আশা করছি।

১৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৪১

তীরন্দাজ বলেছেন: ধন্যবাদ স্বাপ্নিক। বিয়ে ও পরিবারিক প্রশ্ন নিয়েও আলোচনা করবো।

১৭| ১৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৫৯

নাভদ বলেছেন:
ধর্মনিরপেক্ষতা - এই শব্দটার মানে আজও পরিস্কার নয়।

ধর্মনিরপেক্ষতা কে অসাম্প্রদায়িকতার দৃস্টিকোন থেকে দেখতে চাই। রাস্ট্র কারো প্রতি কোন পক্ষপাতিত্ব করবে না, সবার প্রতি সমান আচরন করা হবে - এভাবেই দেখার চেস্টা করি।

ধর্মনিরপেক্ষতা মানে কি হতে পারে ধর্মের প্রতি নিরপেক্ষ হয়ে যাওয়া? মানে সে আর ধর্ম মানবে না? বা ধর্মের প্রতি উদাসীন হয়ে পড়বে? হলে, মানুষের পক্ষে ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া কেন জানি মনে হয় সহজ কাজ নয় - কারন আমাদের প্রত্যেকের জন্মসূত্রে একটা ধর্ম রয়েছে। তার প্রভাব এড়ানো সহজ নয়। অনেকে নাস্তিক হন ।

তবে মানুষ চেস্টা করলে অসাম্প্রদায়িক হয়তো হতে পারে। সে তখন শুধু নিজের সাম্প্রদায়কেই ফেভার করবে না।

আপনাকে পোস্টের জন্য ধন্যবাদ, তীরন্দাজ ভাই। পোস্ট ও তার কমেন্ট থেকে আশা করি কিছু শিখতে পারব, আমার ধারনার কোথাও ত্রুটি থাকলে তা জানতেও পারব।

:)

১৯ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:০৬

তীরন্দাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাভদ। তোমার প্রশ্নগুলো ভাবছি।

"ধর্মনিরপেক্ষতা মানে কি হতে পারে ধর্মের প্রতি নিরপেক্ষ হয়ে যাওয়া?মানে সে আর ধর্ম মানবে না? বা ধর্মের প্রতি উদাসীন হয়ে পড়বে? হলে, মানুষের পক্ষে ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া কেন জানি মনে হয় সহজ কাজ নয় - কারন আমাদের প্রত্যেকের জন্মসূত্রে একটা ধর্ম রয়েছে। তার প্রভাব এড়ানো সহজ নয়। অনেকে নাস্তিক হন ।"

এখানে কিন্তু রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে কথা বলা হয়েছে। একটি রাষ্ট্র যেহেতু ব্যক্তিবিশেষ নয়, একটি শাসনতান্ত্রিক যন্ত্রবিশেষ, তার পক্ষে তো ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব। একজন ধর্মনিরপেক্ষ নাগরিকের কাছে রাষ্ট্রের চাওয়া থাকবে, সে নাগরিক যাতে নিজের ধর্ম পালন করেও রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রাখে। এবং সেটা যদি হয়, তাহলে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু, যাই হোক না কেন, প্রত্যেকের পক্ষেই নিজ ধর্ম পালন করা সম্ভব হয়। তোমার কি মনে হয়, নাস্তিক না হয়ে এটা অসম্ভব? আমার মনে হয় না।

আমার মনে হয় রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ নীতিই ধর্মপালনের আরো বেশী সহায়ক হয়।

১৮| ১৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১৮

নাজিম উদদীন বলেছেন: ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে আমি বুঝি, ধর্ম এবং রাজনীতির পৃথকীকরণ। রাস্ট্র কোন বিশেষ ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করবে না, সব ধর্ম এমনকি ধর্মহীনতাও রাষ্ট্রের দৃষ্টিতে সমান হতে হবে।

১৯ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:০৭

তীরন্দাজ বলেছেন: ধন্যবাদ নাজিম উদদীন। এবং সহমত!

১৯| ১৯ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৭:১৪

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ধর্ম নিরপেক্ষতা বলতে আমি বুঝি রাস্ট্রের কাছে ধর্ম কোন গুরুত্ব পাবে না। আমি অবশ্য ধর্ম নিরপেক্ষ নই। তা এতদিনে নিশ্চয়ই জেনেছেন।

ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের মডেল হিসেবে দেখেছি ফ্রান্সকে। তবে সেখানে মুসলিমদের প্রতি যে দৃষ্টিভংগি (নামের সাথে "আহমেদ"/"মোহাম্মদ" থাকলে চাকুরীতে নেয়া হয় না - যা আমার পরিচিত আমেরিকানরা স্বচক্ষে দেখে এসে আমাদের জানিয়েছেন), তাতে মতবাদ হিসেবে ধর্ম নিরপেক্ষতা অনেক বেশী প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

আর রক্তাক্ত ফরাসী বিপ্লবের পরে ধর্ম নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠিত হবার পর বিজ্ঞানীর সংখ্যাও অনেক কমে গেছে। মনে রাখা প্রয়োজন, সেই বিপ্লবে ভিন্নমতী বিজ্ঞানীদের গিলোটনে হত্যা করা হয়।

না, এখন সেই মানের কোন বিজ্ঞানীদের আর ফ্রান্সে দেখি না।

১৯ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:১১

তীরন্দাজ বলেছেন: আপনাকে চিনি।

বলেছেন, নামের সাথে আহমেদ থাকলে চাকুরী হয়না। ফ্রান্স যদি তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ না হতো, তাহলে কি 'আহমদ'দের চাকুরী হতো সহজে?

ফরাসী বিপ্লবে ধনীদের বিরুদ্ধে বিপ্লব করেছিল গরীবরা। চার্চ ধনীদের পক্ষে থাকায় তাদেরকেও ধরেছিল বিপ্লবীরা। এর বাইরে ইউরোপীয়ানদের আমি সফল ধর্মনিরপেক্ষ ভাবিনা এদের সাশনতন্ত্রে তার উল্লেখ থাকলেও। তারপরও জার্মানীতে স্কুলে ক্রশ টানানো নিষিদ্ধ ও ২০০০ সাল থেকে ইসলামশিক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আর বিজ্ঞানীদের নিয়ে যে হাস্যকর মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে মন্তব্য নিশ্প্রয়োজন।

ধন্যবাদ।

২০| ১৯ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৮:৪২

সেলিম তাহের বলেছেন: উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ধর্ম নিরপেক্ষতা বলতে আমি বুঝি রাস্ট্রের কাছে ধর্ম কোন গুরুত্ব পাবে না।

>> একমত নই। একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের কাছে ধর্ম তার সমস্ত রাষ্ট্রিক, নৃতাত্বিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। পাশ্চাত্যের ভোগবাদী সমাজে ধর্ম যেমন তার সমস্ত ভাবালুতা নিয়ে সমাজে বিদ্যমান, তেমনি প্রাচ্য বা প্রাতিচ্যের রাষ্ট্রগুলোতেও বিদ্যমান। এটা ধর্মের ঐতিহাসিক সংস্কৃতিগত দিক।

আমার জীবনের ১৭টা বছর আমি বিভিন্ন মধ্যইউরোপীয় দেশে কাটিয়ে এলাম। সমাজের মূলস্রোতকে কর্মসূত্রে দেখার সুযোগ ঘটেছে। কিন্তু কোথাও তো পেলাম না যে রাষ্ট্র তার জাতিগোষ্ঠীর বিভিন্ন ধারার ও পথের ধর্মচর্চাকারীদের তাদের স্ব স্ব ধর্মচর্চা করতে বাধা দিচ্ছে বা আইন করে ধর্মকে গুরুত্বহীণ করে রেখেছে। ওখানে প্রত্যেকটি ধর্মকেই বরং সাংবিধানিক বৈধতা দিয়ে তাদের নিজ নিজ উপশনালয়গুলোর স্বায়ত্বশাসন নিশ্চিত করা হয়েছে, অন্তত সাংবিধানিক ভাবে হলেও।

ফরাসি বিপ্লবের পথ ধরেই প্রথম ধর্মকে রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে পৃথকীকরণের পথ সুগম করা হ্য়েছে। একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের এটাই গোড়ার কথা- ধর্মকে রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে পৃথকীকরণ। এটার অর্থ ধর্মকে বাদ দেয়া বা জনগনের সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় জীবনচারিতা থেকে ধর্মের খোলনলচে সহ তাকে গুরুত্বহীণ করে দেয়া নয়, কারণ রাষ্ট্র ভাল করেই জানে যে এটা একটি উৎকাল্পনিক চিন্তা। রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে ধর্মের পৃথকীকরণের সাথে জনগনের স্বাধীণ ধর্মচর্চার কখনো বিরোধ থাকতে পারে না..অন্তত তাত্ত্বিক অর্থে তো নয়-ই।

২১| ১৯ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:২২

সেলিম তাহের বলেছেন: অফ টপিকঃ

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন:আর রক্তাক্ত ফরাসী বিপ্লবের পরে ধর্ম নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠিত হবার পর বিজ্ঞানীর সংখ্যাও অনেক কমে গেছে। মনে রাখা প্রয়োজন, সেই বিপ্লবে ভিন্নমতী বিজ্ঞানীদের গিলোটনে হত্যা করা হয়।

না, এখন সেই মানের কোন বিজ্ঞানীদের আর ফ্রান্সে দেখি না।

>> হাসালেন! এখন সেই মানের কোন বিজ্ঞানীদের আর ফ্রান্সে দেখেন না? কোন মানের? যে 'ভিন্নমতী বিজ্ঞানীদের গিলোটনে হত্যা করা হয়'?

*Henri Becquerel, Physics Nobel prize laureate in 1903; *Georges Charpak, Physics Nobel prize laureate in 1992; *Marie Curie, Physics Nobel prize laureate in 1903, Chemistry Nobel prize laureate in 1911; *René Descartes, Philosopher, mathematician and physician; *Louis Pasteur, the father of modern medicine---এঁরা তবে কোন মানের? গিলোটিনে হত্যা করা বিজ্ঞানীদের চেয়ে মেধা ও মণীষায় নীচু মানের??

শুধু তর্কের খাতিরে ইতিহাস বিবর্জিত স্বপ্রণোদিত মন্তব্য করলেই কি চলে? ভেবে দেখবেন।

১৯ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:১১

তীরন্দাজ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, সেলিম তাহের।

২২| ১৯ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:১৬

মুহিব বলেছেন: সকল ধর্মকে শ্রদ্ধা করা। ধর্মীয় পরিচয়কে বাধা হিসেবে না দেখা। ধর্মহীনতা বা ধর্ম পালন না করা আর ধর্মনিরপেক্ষতা এক নয়।

১৯ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:১৫

তীরন্দাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুহিব।

২৩| ১৯ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:২৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "বলেছেন, নামের সাথে আহমেদ থাকলে চাকুরী হয়না। ফ্রান্স যদি তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ না হতো, তাহলে কি 'আহমদ'দের চাকুরী হতো সহজে? "

আমি আপনার কথাটা বুঝলাম না। ফ্রান্সে মুসলিমদের বিরুদ্ধে রেসিজমকে এই মতবাদ বন্ধ করতে পারে নি। এটা তো প্রমানিত সত্য।
ধর্ম নিরপেক্ষ না হয়েও তো বৃটেন মাল্টি কালচারকে প্রমোট করেছে। সেখানে মুসলিম সহ সংখ্যালঘুরা ভাল আছে। যে ভালটা ফ্রান্সে নেই।

"আর বিজ্ঞানীদের নিয়ে যে হাস্যকর মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে মন্তব্য নিশ্প্রয়োজন।"

আমরাও তো কিছু জানি। এমনি এমনি তো আমার একাডেমিক সাফল্য আসে নি। যে ল্যাভয়েসিয়ে সহ অনেককে গিলোটিনে হত্যা করা হয় তাদের সমকক্ষ বিজ্ঞানী ফ্রান্সে এসেছে - না আমি মানলাম না। আগের রমরমা অবস্থা নেই। যাক, আপনার সাথে এসব আলোচনা অর্থহীন। তাই ক্ষান্ত দিচ্ছি।

২৪| ১৯ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৫

আব্দুন নূর তুষার বলেছেন: এক ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত রাষ্ট্রের ছত্রছায়ায় সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু বিচার নির্বিশেষে স্বেচ্ছায়, চাপমুক্তভাবে ও অবাধে নিজ ধর্ম পালনের ও নিজবিশ্বাসে না পালনেরও সুযোগ।

আপনি ভালো বলেছেন


সহজ বাংলায় রাষ্ট্র কোন বিশেষ ধর্মের পক্ষ নেবে না এবং কোন ধর্মের বিরুদ্ধাচরন করবে না।

রাষ্ট্র সকল ধর্মের মানুষকে নিরাপদে ধর্ম পালনের সুযোগ দেবে এবং কোন ধর্মের অবমাননা হয় এমন কোন কর্মকান্ড করতে দেবে না।

১৯ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৪২

তীরন্দাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে তুষার। আমি এ ধরণের আরো কিছু আলোচনা তুলে ধরবো সামনে ও সব মিলিয়ে একটি আলোচনার প্লাটফর্ম দাড় করাবো।

২৫| ১৯ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৮

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
সাম্যবাদীর পোস্টে ব্লগার দিনমজুরের কিছু কথা এখানে তুলে দিচ্ছি......

পোস্টের লিংকঃ Click This Link

ওবায়েদ বলেছেন: সাম্যবাদী , আমার জানার ইচ্ছা থাকলেও সময় হয়না। তবে আপনাকে বলি, আমাদের একটা তন্ত্র যেহেতু আছে, সেহেতু আরেকটা তন্ত্রের প্রয়োজন নেই। কোন মুসলমানেরই আরেকটা তন্ত্রের প্রয়োজন হবে না। ইসলামই মুসলমানদের পুর্ণাঙ্গ তন্ত্র।

ওবায়েদ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধর্মতো ধর্মের জায়গায় আর রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। দুটোকে এক্ত্র করছেন কেনো? ধর্ম আর সমাজতন্ত্রের মধ্যেতো কোনো বিরোধ নেই। সমাজতন্ত্র সব ধর্মের স্বাধীনতা এবং সহাবস্থান সমর্থন করে এবং মনে প্রানে অসাম্প্রদায়িক। যে যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে।


আমি মুসলমান হয়ে ধর্মকে ধর্মের জায়গায় রেখে রাজনীতি করতে পারিনা, যেহেতু ইসলাম একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।
এবং যে খানে ইসলাম অন্য ধর্ম পালনে স্বাধীনতা দিয়ে থাকে, সেখানে আমার সমাজতন্ত্রের কি প্রয়োজন।

একজন মুসলমান কি ভাবে অসাম্প্রদায়িক হবেন?

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৩:৩৩
দিনমজুর বলেছেন:
ওবায়েদের তিনটি কমেন্টের মধ্যে প্রথমটি নিয়ে বলার কিছু নেই, কেননা- ইনুকে নিয়ে বলার কিছুই নেই বা তাকে নিয়ে বামপন্থীদের কোনো দায় থাকারো কথা নয়, বা ইনু সম্পর্কে ওবায়েদ যা বলেছেন- তারও কোনো সূত্র তিনি উল্লেখ করেননি।

তার পরের দুটি কমেন্টের দুটি বিষয় নিয়েই বলা যথেস্ট মনে করছিঃ
১। তিনি বলেছেন, "কোন মুসলমানেরই আরেকটা তন্ত্রের প্রয়োজন হবে না। ইসলামই মুসলমানদের পুর্ণাঙ্গ তন্ত্র"।
---------------->

একথাটি যে সঠিক নয়, সামান্য ব্যাখ্যাতেই আশা করি পরিস্কার হবে। কারণ, সময়ের সাথে কোন দেশের বা কোন ভূখণ্ডের সামাজিক/রাজনৈতিক/অর্থনৈতিক কাঠামো পাল্টে যায়। এই পাল্টে যাওয়াটা ঐতিহাসিকভাবেই মানুষের বিকাশের স্বার্থে এসেছে। এই পাল্টে যাওয়া বিভিন্ন সমাজব্যবস্থাকে আমরা বিভিন্ন নামে ডেকেছি..... অর্থনৈতিক কাঠামোগুলোকে কখনও দাসপ্রথা, কখনও সামন্ততন্ত্র আবার কখনও পুঁজিতন্ত্র, তেমনি কখনও সমাজতন্ত্র। ঠিক তেমনি রাজনৈতিক কাঠামোকে কখনও বলেছি- রাজতন্ত্র, কখনও গণতন্ত্র, কখনও একনায়কতন্ত্র... ইত্যাদ.

এখন, খৃস্টীয় ৬ষ্ঠ শতকে, ইসলাম আবির্ভাবের সময়, সমাজ কাঠামোটা ছিল, দাসকেন্দ্রিক- ফলে, মুহাম্মদ সা. এর শত ইচ্ছা থাকা সত্তেও সেই প্রথা তুলে দেয়া সম্ভব হয় নি। এরপরে ধীরে ধীরে যখন দাসপ্রথা ভেঙ্গে সামন্ততন্ত্র আসলো, তখনও কিন্তু ইসলাম বিভিন্ন দেশে ছিল, এবং মুসলমানরা সেই সামন্ততন্ত্রকে মেনেই চলেছিল, এবং সামন্তপ্রভুরা (বিশেষ করে অটোমান সাম্রাজ্যে) তো ইসলামকে রাজ্য টিকিয়ে রাখার হাতিয়ার হিসাবেই ব্যবহার করেছেন। বর্তমানে, যখন দুনিয়া জুড়ে অর্থনৈতিক কাঠামো পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী, তখনও তো মুসলামনরা এই কাঠামোর মধ্যে থেকেই মুসলমান!!

তেমনি, রাজনৈতিক কাঠামোর কথা যদি বলা হয়, তবে বলতে হয়- আবির্ভাবের সময়- মুহাম্মদ সা. ও খলিফার আমলে এবং এর পরেও মূলত একনায়কতন্ত্রই প্রতিষ্ঠিত ছিল। এবং আরব অঞ্চলে, সেটা ধিরে ধীরে রাজতন্ত্রের দিকে ধাবিত হয়, এখনও সৌদিতে ও বিভিন্ন আরব অঞ্চলে বাদশাহী শাসন ব্যবস্থা দেখতে পারবেন। ইসলাম, পরবর্তিতে, যখন- দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে, তখন সেসব দেশের বেশির ভাগ জায়গায় কিন্তু ছিল- রাজতন্ত্র ও অর্থনৈতিক কাঠামো- সামন্ততন্ত্র। এরপরে বুর্জোয়া বিপ্লবের মধ্য দিয়ে পুঁজিতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে- তার রাজনৈতিক বা শাসন পরিচালনার কাঠামোটি আসে, গণতন্ত্র। এবং মজার ব্যাপার হলো- বর্তমান অধিকাংশ ইসলামিক দেশও মোটামুটিভাবে এই গণতান্ত্রিক শাসনপ্রণালীতে পরিচালিত হয়।

এখন যদি কেউ বলে- সেই জামানার মত দাসপ্রথায় ফিরে যাবে- সেটা কি উচিত হবে? হবে না। কেননা- মানব জাতির বিকাশের স্বার্থেই সেই ব্যবস্থার পরিবর্তন/বিবর্তন হতে হতে আজকের এই শাসন কাঠামোতে এসেছে। কিন্তু বর্তমানেও যে অর্থনৈতিক ও শাসন কাঠামোটি আছে, সেটি ও নিখুত নয়, ফলে- এর পরিবর্তনটাও মানব জাতির বিকাশের জন্যই আবশ্যক। সেই বিকাশটা হলো- পরিপূর্ণ গণতন্ত্র বা সাম্যবাদ। সুতরাং, ইসলাম ছাড়া অন্য কোন তন্ত্র মুসলমান মানে না- কথাটি ঐতিহাসিকভাবে ভুল এবং, ঐতিহাসিকভাবেই মুসলান-হিন্দু-জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানব জাতির মুক্তির জন্যই সমাজতন্ত্রের গত্যন্তর নেই।

২। একজন মুসলমান কি ভাবে অসাম্প্রদায়িক হবেন?
----------------->

একটি সম্প্রদায়ভুক্ত হলেই তাকে সাম্প্রদায়িক বলা হয় না।
যতক্ষণ, সে একটা সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ততক্ষণ হয়তো অনেকক্ষেত্রেই তাকে সম্প্রদায়ের অনেক রীতিনীতির সাথে চলতে হয়- নিজ সম্প্রদায়ের দিকে অনেক সময় পক্সপাতিত্বও চলে আসতে পারে, কিন্তু- একাধিক সম্প্রদায় যদি- কোনো ভূখণ্ডে বাস করে এবং সকলে সমাজ গঠন করে, তবে নিজেদের স্বার্থেই- তাদের অনেক ক্ষেত্রেই সম্প্রদায়ের উর্ধে উঠতে হয়।

তেমনি একটি প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্র। যেহেতু- একটি রাষ্ট্রে বিভিন্ন ধর্ম-গোত্র-জাতি-বর্ন-আঞ্চলিক নানাধরণের মানুষের সম্মিলন ক্ষেত্র, সেহেতু রাষ্ট্রকে হতে হয়- অসাম্প্রদায়িক। রাষ্ট্রের অসাম্প্রদায়িক হওয়া মানে এর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুলোরও অসাম্প্রদায়িক হওয়া।

উদাহরণ দেই, রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বিচারালয়, আগে যে কাজটি করতো বিভিন্ন কাজি, এবং রাজা স্বয়ং।

এখন, বিচারককে থাকতে ন্যায়ের পক্ষে, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এটা তখনই সম্ভব, যখন- তার কাছে ভিন্ন ধর্মের বা গোত্রের বিচারপ্রার্থীর কারোর প্রতি তিনি আলাদা পরিচয়গত ফেভার তিনি করবেন না!! অর্থাত, খৃস্টান ও ইহুদি দুই ব্যক্তির বিচার কর্মে- বিচারক কৃস্টান হওয়ার পরেও যদি আইনে প্রমানিত হয় কৃস্টান লোকটি দোষী - তবে খৃস্টান লোকটিরই শাস্তি প্রদান করতে হবে। এটাকেই বলে- ঐ বিচারকের খৃস্টান হওয়ার পরেও অসাম্প্রদায়িক হওয়া। এমনি যেহেতু একটি ভূখণ্ডে রাষ্ট্রই যেহেতু সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান, সেহেতু- সেটিকেও হতে অসাম্প্রদায়িক, মানে তার কাছে- সমস্ত জনগণ সমান গুরুত্ব পাবে- এবং রাষ্ট্রের মুসলামান ও অন্যান্য ধর্মের সমস্ত নাগরিকও কোন ধর্মের জন্যই স্পেশাল ফেভার চাইতে পারবে না!!! এটাকেই বলা হচ্ছে- সেই নাগরিকের অসাম্প্রদায়িকতা। এভাবেই একজন মুসলামানও অসাম্প্রদায়িক হতে পারে।

মুহাম্মদ সা. এর জীবনীতে দেখবেন- তিনিও বিভিন্ন ঘটনায় বিশেষ করে মদীনায় শাসন কার্য পরিচালনা ও মক্কা বিজয়ের পর আরবের রাষ্ট্রের শাসন পরিচালনায়, মুসলমানদেরও শাস্তি দিয়েছেন- অন্য ধর্মের কোন লোকের উপর অন্যায় করার অপরাধে। এইভাবে তিনিও সেক্ষেত্রে অসাম্প্রদায়িক ভূমিকা রেখেছিলেন বলতে হবে।

১৯ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৯

তীরন্দাজ বলেছেন: আমার প্রচেষ্টা হচ্ছে, সমপন্থী সবার বক্তব্য ও আলোচনা মিলিয়ে একটি কল্পিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের শাসনতান্ত্রিক কাঠামোর মূল স্তম্ভ সাজানো।

২৬| ১৯ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৬

তীরন্দাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাস্তিকের ধর্মকথা। এ ধরণের আরো কিছু আলোচনা তুলে ধরবো সামনে ও সব মিলিয়ে একটি আলোচনার প্লাটফর্ম দাড় করাবো।

২৭| ১৯ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৫

আইকোনাস ক্লাস্টাস বলেছেন: ধর্মকে নিয়ে এক এক জন এক এক রকমের চিন্তা করেন। কেউ কেউ হলেন professed atheists, আবার কেউ agnostics, কেউ আবার spiritual আর মনে করেন ধর্ম আসলে সীমাবদ্ধ করে দেয়, কেউ বা বিশ্বাস করেন আবার কেউ বা বলেন এটা ব্যক্তিগত ব্যপার। অনেকেই আবার বলেন এটা একটা social phenomenon। কেউ মনে করে শুধু মাত্র একটা ধর্মই শ্রেষ্ঠত্ব দাবী করতে পারে, আবার অনেকে মনে করেন সব ধর্মই আসলে একই কথা বলে। অন্য দিকে আরো কিছু মানুষ আছেন যারা মনে করেন সব ধর্মই বাজে।

এই positions গুলোর সবই religio-philosophical position। কিছু কিছু arguments এর যৌক্তিক ভিত্তি আছে, আবার অনেকের ভিত্তিটা হল বিশ্বাসে যা নাকি যুক্তি-তর্কের ধার ধারে না। এই যুক্তি-তর্কের পরিধি যেমন academic আবার তেমনি non-academic হতে পারে, কিন্তু সেটা political হবে কি না, সেখানে রাষ্ট্র নাক গলাবে কিনা, সেই সব ব্যপার address করার জন্যই আমরা "secularism" কথাটা নিয়ে আজ বসেছি... দেখি অপারেশন করে কি বের হয়।

এই যদি হয় মানুষজনের অবস্থা, তাহলে এই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কি করা উচিত? এই রাষ্ট্রেই তো ঐ সব মানুষগুলো থাকে একসাথে। ঘটনাটা সম্পূর্নই অন্যরকম হল যদি এক এক টা রাষ্ট্র শুধু মাত্র একটা ধর্মের মানুষ নিয়েই গঠিত হত। তাছাড়া, মানুষের বিশ্বাসের ধরন-ধারন যে কত রকম হতে পারে তার তো কোন exhaustive লিস্ট আমি দেই নি! আমার কাছে মনে হয় - আমার উল্লেখ কথা পজিশন গুলার যে কোন একটা পজিশন যদি রাষ্ট্র নেয়, তাহলেই সে অন্য সব মানুষকে তার ছাতার তলে যায়গা দিতে পারবে না। অথচ, আমার চিন্তায়, রাষ্ট্রকে সকল ধর্মাবলম্বীদের accommodate করতে পারা উচিত তাদের ঐ differing points of views সহ।

কিন্তু কেমন করে?

Well. রাষ্ট্রিয় পর্যায়ে সেকুলারিজম চর্চা করে। রাষ্ট্র যদি ধর্মনিরপেক্ষ হয়, তাহলে আমরা খুব সহজেই এই সব তর্ক বিতর্ক এড়িয়ে যেতে পারব। কে কোন ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী সেটা জানার বা সেই অনুযায়ি তার সাথে oppressive/repressive ব্যবহার করার প্রশ্নই উঠবে না। রাষ্ট্রের তো জানার দরকার নেই আমি সৃষ্ঠিকর্তার ব্যপারে কি মনে করি! অনেকেই মনে করতে পারেন "secularism" ব্যপারটা anti-religion. আমাদের কথায় অনেক সময় সেই রকম ভাব ভঙ্গি ফুটে উঠে - কেউ বলেন ইসলামই শ্রেষ্ঠ, আবার কেউ বলেন বিজ্ঞান ই মুক্তি... এই রকম অবস্থায় দেখা যায় যারা সেকুরালিজমের কথা বলেন তাদের কে ঐ বিজ্ঞান মনস্ক anti-religion গোত্রে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু, অন্য ভাবে চিন্তা করলে (আমি যেমন টা করছি...) দেখা যাবে, এই concept টা আসলে যদি কিছুই হয়ে থাকে, তাহলে সেটা more pro-religion than anti- religion. কেমন করে? সেকুলারিজম মানুষকে তার নিজস্ব ধর্মীয় আচার-অনুচার practice করার সুযোগ করে দেয় এবং অন্য কোণ ধর্ম যদি অন্য ধর্মের প্রতি oppressive হয়ে পড়ে, তাহলে সেই oppressive ধর্মকে তা করা থেকে বিরত রাখারও ব্যবস্থা করে দিতে সাহায্য করে। কিভাবে এক ধরনের ধর্মীয় অনুশাসন অন্য ধর্মের প্রতি oppressive হয়ে যেতে পারে তার উদাহরন সারা পৃথিবীতে হাজারোটা আছে, আর আমাদের দেশের কথাতো বাদ ই দিলাম।

অথএব, আমি চাই "secularism", এই কারনে নয় যে আমি ধর্ম ব্যপারটাই ভাল মনে করি না বা আমাদের ক্ষেত্রে ইসলামকে খারাপ মনে করি। বরং এই জন্য যে, এটা ধর্মকে preserve করতে সাহায্য করে। শুধু ইসলাম না, বরং সকল ধর্মই এই সেকুলারিজম এর আওতায় এক ধরনের রাষ্ট্রীয় protection পায়। Pre-enlightenment Christian যুগে ইউরোপে মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে persecute করা হত - গ্যালিলিও গ্যালিলি শুধু একটা উদাহরন। Taliban style সরকার কিভাবে oppressive হতে পারে অন্য ধর্মের মানুষদের কাছে বা অন্য মুসলিমদের কাছেও যারা নাকি তাদের আদর্শে বিশেয়াস করে না তা তো আর বলে দেওয়ার দরকার নেই। জামাতী নেতৃত্ব কিভাবে কিছু মানুষের সর্বনাশ করতে পারে সেটাও আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু এই সন আমরা খুব সহকেই এড়িয়ে যেতে পারি যদি সরকার বা রাষ্ট্র সেকুরালিজমের চর্চা করে এই ধর্মীয় ব্যপারে বা ধর্ম আর রাষ্ট্রের সম্পর্কের ব্যপারে।

অথএব, সারমর্ম হল, রাষ্ট্র ও ধর্ম থাকবে আলাদা। এতে করে রাষ্ট্র ও ধর্ম দুইএরই ভাল হবে। দুটোকে মিলিয়ে ফেল্লেই শুরু হবে দ্বন্দ্বের, ভুলবুঝাবুঝির, oppression এর, আধ্যাতিকতার গলাচাপা দেওয়া হবে, গলা চাপা দেওয়া হবে একই ভাবে মুক্তবুদ্ধি চর্চার। এর শেষ হবে রক্তের গঙ্গা বইয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়েই। আমার মনে হয় - এখানেই মানবতাবাদ আর ধর্মীয় মতবাদ একই কথা বলে - তারা সকলেই চায় শান্তি।

১৯ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

তীরন্দাজ বলেছেন: আপনার মুল্যবান ও দীর্ঘ মন্তব্যের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ। আলোচনার পরবর্তী পর্ষায়ে এটা খুবই কাজে আসবে। সব আলোচনা মিলিয়ে একটা কাঠামো দাঁড় করানোর চেষ্টা আমার, যা নিয়ে আরো আলোচনা চালানো হবে। আপনাদের সহযোগিতা অবশ্যই কাম্য।

২৮| ১৯ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৬

আইকোনাস ক্লাস্টাস বলেছেন:
অন্য আরেক ভাবে বললে বলতে হয়ঃ Tyranny of majority ঠেকানোর একটা মোক্ষম tool হল এই seculrism.

২৯| ১৯ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৯

মাদারি বলেছেন:

আইজক্যা থাইক্যা ম্যালাদিন আগের কতা, তহন সিল রাজা-বাদশাহগো আমল। গ্যানী লুকেরা কয়েসেন, সামনতীয় যুগ। হেই সময়ে নাকি, রাজা-বাদশারা তাগো খেমতা ধোইরা রাখোনের লাইগ্যা ধরমোরে ইউজ করতো- কয়েসেন ইতিহাসবিদেরা।

তাগো মতে, এই রাজতনতোরোতে রাজার খেমতা নিরোংকুশ, আর রাজার আইনের ভিত্তি সিল ধরমো। হেরা কয়েসেন, বাইজানটাইন সামরাজ্জে আইনের ভিত্তি সিল খৃস্ট ধরমো, আর অটোমান সামরাজ্জে ভিত্তি সিল ইসলাম ধরমো।
রাজা তার খেমতার রোকখাকবচ হিসাবে ধরমোরে কামে লাগাইতো, মানে ঈশ্বরের দোহাই দিত আর গীরজারে কামে লাগাইতো। রাজার জারি করা আইন পাল্টাইতে পারতো খলি রাজায়। অটোমান সামরাজ্জেও দেখোন যায়, রাজা একসাতে শাসনকোরতা ও ধরমোনেতা।

য়ুরোপে সতের শতক থাইক্যাই গীরজার ফালাফালি আর রাজা-রানীগো লাফালাফির বিরুদ্দে মানুষ জোট বাধে, তারপর লড়াই কোইরা- আদুনিক রাষটোরো বানাইসে, তয় বড়ো বাদা সিলো ধরমের আদিপত্য- কয়েসেন ইতিহাসবিদেরা।

রাষটোরোবিগ্যান ও আইন থাইক্যা ধরমো বা ঈশ্বরতত্তো মুক্তো কোরবার মহান কামডা শুরু কোরসিলেন মার্সিলিয়াস, পরে ম্যালা গুরুত্তোপুরণো কামডা করসেন মেকিয়াভেলি, - হেরপর তাগো চিনতাভবনার পত ধোইরা ম্যালা তরকো-বিতরকোর মাদ্যমে- টমাস মুর, হুগো গ্রটিয়াস, বেনেদিক্ত স্পিনোজা, টমাস হবস, জন লক, শার্ল লুই মতেস্কু, জাঁ জাক রুশো, টমাস জেফারসন, ইম্মানুয়েল কান্ট পোরোমুখ মইনষী ও চিনতাবিদ রাষটোরো ও আইনের ম্যালা দিক দেখাইসেন।
হেরা হগ্গোলেই একডা জিনিস দেখাইসেন- রাষটোরো একখান সামাজিক পতিষঠান, সমাজ বিকাশের ধারায় এইডা আইসে, এইহানে কোন ঐশ্বরিক নিয়ম চলবো না- সব ইহজাগতিক হোইতে হোইব। হেরা আরেকডা কতা কোইসিল, কোন রাজা বা ধরমোনেতা বা ইমাম রাষটোরের মালিক না, পকরিতো মালিক হোইল রাষটোরের জনগণ।

ফরাসী বিপলোবের মদ্য দিয়া এইরকোম ইহজাগতিক রাষটোরো আমরা পাই, হের নাম দেওন হয় পোরোজাতনতোরো।


ভাইগো, ম্যালা লড়াই-সংগরাম কোইরা ঐ বেবস্তা পাইসিলাম। অহন, আবার আমরা হেই আগের জামানার লাহান ধরমোরে রাষটোরোর লগে জড়াইয়া ফালাইতাসি। সামরাজ্জোবাদীরা অহন রাজার লাহান। তাগো আইনই আইন। আর ধরমো হোইসে নতুন ফোরমে, নতুন রংগে তাগো হাতিয়ার।
হেরা লাদেন গো তৈরি করবো, লাদেন গো ধরবো, ধরবার লাইগ্যা হের দ্যাশ সাড়খাড় করবো, দখল করবো, আরো কতো কি তামশা করবো, ....................।

আর আমাগো দ্যাশেও, ধরমোর নাম কোইরা সাধরণ মানুষগো ধোকা দেওন, মাইনষের মইদ্যে বিভেদ তৈরি করোন, আর যুদ্দের সময় করা অপকরমো ঢকোনের লাইগ্যা জামাতিরা উইঠ্যা পোইরা লাগসে।

পশনো হোইল গিয়া- আমরা সামনের দিকে আগামু, না সেই ৩০০/৪০০ বসর আগের জামানায় ফইরা যামু?

৩০| ১৯ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৭

মাদারি বলেছেন:
পুশটের লিংক দিতাসি- পোইড়া দ্যাইখেন.....

http://www.somewhereinblog.net/blog/madariblog

৩১| ১৯ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১২

তীরন্দাজ বলেছেন: আপনার সহজ, সরল, দীর্ঘ মন্তব্যের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ। আলোচনার পরবর্তী পর্ষায়ে এটা খুবই কাজে আসবে। সব আলোচনা মিলিয়ে একটা কাঠামো দাঁড় করানোর চেষ্টা আমার, যা নিয়ে আরো আলোচনা চালানো হবে। আপনাদের সহযোগিতা অবশ্যই কাম্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.