নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান মনের জানালা খুলে দায় এবং সেই খোলা জানালা দিয়ে না জানা বিষয় গুলো দেখি যা বাংলাদেশের সীমা ছাড়িয়ে সারা পৃথিবী দেখতে সাহায্য করে ।

এইচ এন নার্গিস

আমি একজন লেখক, সমাজ কর্মি , মা এবং মুক্তিযোদ্ধা

এইচ এন নার্গিস › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকভারত উপমহাদেশে আর্য দের আগমন আর আমাদের আদি অতীত

১৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:৫১

Sanskrit  Latin English (দ্বিতীয় পর্ব )
sama simills simila
septa septan seven
sharkara succaran sugar
 smi  smilen smile
pitra pater Father
Matri mater mother

এটা মাত্র কিছু শব্দের উদাহরণ । এরকম আরও আছে ।

তারও আগে ১৬৫৩ সালে Van boxhorn গবেষণা করে পেয়েছিলেন ইন্ডিয়া এবং ইউরোপিয়ান ভাষার সাথে সংস্কৃত  ভাষার মিল আছে। ১৭৬৭ সালে Gaton Laurent coeurdoux নামক এক ফ্রেঞ্চ ভাষাবিদ যিনি গবেষণা করে একই ব্যাপার  প্রমাণ করে গেছেন । যিনি কিনা সমগ্র জীবন ভারতবর্ষে কাটিয়ে গেছেন ।  

ধর্মঃ 

আর্য  দের ধর্ম ছিল ভেদিক বা বৈদিক। এর উৎপত্তি ১৫০০ থেকে ১১০০ BC। কিন্তু এর রুট ইউরেশিয়া এবং মধ্য এশিয়ায় । Andronovo কালচার এর সাথে এই ধর্মের অনেক মিল আছে । এই ধর্মের চর্চা হতো প্রধানত ভারতের উত্তর পশ্চিম এবং গঙ্গার সমতলের পশ্চিমে ।ভারত বর্ষের উত্তর দিক যেমন কাশ্মীর, হিমাচল, উত্তরখানড, পাঞ্জাব এবং উত্তর প্রদেশ বৈদিক ধর্মর প্রভাব বেশী । বৈদিক ধর্মের অনুসারী আর্জ রা  এই পথ ধরে যে  ভারত বর্ষে প্রবেশ করে ছিল এটাই তা প্রমাণ করে । 

ভারতের পূর্বদিকে তাদের নিজস্ব লোকাল ধর্ম পালন হতো আর ছিল নিজস্ব দেবদেবী । তার সাথে চর্চা ছিল বৌদ্ধ ধর্ম । 

বৈদিক  ধর্মে দেখা যায় তাদের কোন দেবদেবী নাই। লর্ড শীভা বৈদিক ধর্মের অবতার । তারা আগুন, ঘোড়া সাক্রেফাইস এবং মানুষ মারা গেলে পুরানোর পরিবর্তে কবর দেয়ার চর্চা করতো । বেদ ধর্মে ইন্দ্রা,অগ্নি,ভারুনা কে পূজা করা হয় । গ্রীস, ইউরোপ, নোরডিক, রোমান সম্রাজ্জে , এবং আয়ারল্যান্ড  এই বৈদিক ধর্মের  সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায় । ষাঁড়, সাপ, রাগ, সাহস, নাচ, এগুলোকে চর্চার মাধ্যমে ধর্ম পালন করা এই সব অঞ্চলে করে থাকত ক্রিস্তিয়ানিটি আসার আগে  ।অরথাডেক্স গ্রীকরা এখনো আগুনের ব্যাবহার করে ধর্মের চর্চা করে ।  এই ধর্ম পালনের নিয়ম নীতির মিল দেখে 

এবং ভাষার মিল পেয়ে  গবেষকরা প্রমাণ পেলেন যে আর্য  জাতি একই যায়গা থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন যায়গাতে মাইগ্রেসান করেছে ।

খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের মধ্য ভাগে প্রাচীন ভারতের উত্তর পশ্চিমে আর্য  দের প্রভাব পড়তে থাকে 

খ্রিস্ট পূর্ব পাঁচ শতক থেকে থেকে আর্যরা পশ্চিম দিক  থেকে বাংলায় প্রবেশ করতে শুরু করে। সমগ্র বাংলাকে আর্যইতো করতে প্রায় ১০০০ বছর লাগে। আরজদের প্রভাব উত্তর দিকে বেশী প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। আমাদের দিকে তাদের প্রভাব ক্ষীণ হয়ে পড়ে । যার ফলে অনার্য প্রভাব আমাদের জীবন এবং সংস্কৃতিতে এখনো অনেক বেশী । তাছাড়া দ্রাবিড় তিব্বতি-বর্মী ভাষা ভাষী আরও দুইজাতি বাংলায় বসতি স্থাপন করে।নিজেদের সংস্কৃতি ধরে রাখার ভালোই প্রচেষ্টা ছিল । 

 আরযো দের  দেহের গড়নঃ 

আরযরা লম্বা, গায়ের রং সাদা আর টিকালো নাকের অধিকারী ছিল। উত্তর ভারতের অধিবাসীরা এই চেহারার অধিকারী ।  

এই অঞ্চলের প্রাচীন জনপদ: 

BCE ৬ষ্ঠ থেকে ৫ম শতাব্দী এই সময়টা  প্রাচিন ভারতের ইতিহাসে একটা tarning পয়েন্ট অর্থাৎ মোড়  ঘোরানোর সময়  । এই সময়ে ভারতের বড় বড় জনপদের উত্থান হয়। মানব ইতিহাসে প্রথম দিকের মানুষ যখন এক জায়গাতে  স্থায়ি   ভাবে বসবাস শুরু করলো এটা সেই সময় কাল ।  জনপদ বলতে বুঝায় মানুষ যখন এক জায়গাতে স্থায়ী ভাবে  বসবাস শুরু করে তখন কার সময়ে  সে জায়গা গুলোকে  জনপদ বলা হতো। বৌদ্ধ ধর্মের আঙ্গুত্তারা নিকায়াল (Anguttara Nikayal) অনুযায়ী ১৬ টি জনপদের উল্লেখ দেখা যায় ।

  উপমহাদেশের জনপদের ম্যাপ 

 ভারত বর্ষের আদি ইতিহাস লেখা আকারে কোথাও নাই । বিভিন্ন জায়গাতে পাওয়া শিলালিপি, বৌদ্ধ ধর্মের বিবরণী, মহাভারত , পর্জটোক দের লেখা গ্রন্থ বিভিন্ন পুরানো ধ্বংসস্তূপ থেকে আরকেওলজীদের পাওয়া তথ্য ব্যাবহার করে ইতিহাস খোঁজা হয়। 

 
গঙ্গারিডি ছিল ভারতের সর্ব পূর্বের একটি প্রাচীন জনপদ যা বর্তমান বাংলাদেশের গঙ্গানদীর কাছে ছিল। নৃবিজ্ঞানী দের  ধারনা বর্তমানে পাওয়া ওয়ারী  বোটেশ্বরের কাছে  যে প্রাচীন জনপদের চিহ্ন পাওয়া গেছে  হয়তো সেটায়   গঙ্গারিধি”।বঙ্গ, পুণ্ড্র, রাড়হ ,গৌড়, সমতট, হারিকেল জনপদ গুলি ছিল বঙ্গ দেশে।  গৌড়, সমতট, আর হারিকেল অনেক পরের জনপদ। বৌদ্ধ ধর্মের আঙ্গুয়াত্তারে তে এর  উল্লেখ নাই  ।     কিছু কিছু মডার্ন পণ্ডিতের মতে পরুষ ছিলেন purus ( পিউরাস ) কিংডমের রাজা ছিলেন। এরা এতো শক্তিশালী ছিল BC ৩২৬ সালে আলেক্সজান্দারের সৈন্য বাহিনী পূর্ব দিকে আসতে  সাহস পায়নি। এই পরুষ রাই ভেদিক সময় পর্যন্ত শাসক ছিলেন।

মহাভারত অনুযায়ী যে সকল dainesty সে সময়ে ছিল তা হল ব্রিহাধারতা, হারিয়াঙ্ক, শিশুনাগ এবং নন্দ ডাইনেসটি  । 

 পূর্ব দিকের গাঙ্গারিদি ছাড়াও গ্রীক ইতিহাসবিদ ডিওডেরাস, টলেমী, প্লুটারক “ প্রসিয়ি”   নামে আরো একটা মহাজনপদের উল্লেখ করেছেন । তাদের বর্ণনা অনুযায়ী তাদের গাত্র বর্ণ ছিল কাল এবং খুব শক্তিশালী ছিল। এই থেকে আমরা বুঝতে পারি এই অঞ্চলে দ্রাবিড় দের বসবাস ছিল । 

 সেসময় ১৬ টি মহাজনপদ ছিল ভারতবর্ষে  । BCE ৬ সেঞ্চুরি তে তার মধ্যে ৪ টা খুব শক্তিশালী ছিল। এগুলো হল কসালা, অবন্তী, ভাতসা, এবং মাগ্ধা । 

ব্রিহাদারথ 2000 BCE থেকে ৬৮২ BCE ,  শিশুনাগা ডাইনেসটি ছিল ৪১৩BCE থেকে ৩৪৫ BCE পর্যন্ত, হারিয়াঙ্কা ছিল ৫ম সেঞ্চুরি BCE এবং নান্দা ডাইনেসটি BCE ৩৬৪ থেকে ৩৪৫ ।

বৌদ্ধ টেক্সট অনুযায়ী মহাপদ্মানন্দা নন্দা ডাইনেসটির ফাউনডার যা কিনা বিহার আর নেপাল নিয়ে গঠিত । ধানানন্দা কে পরাজিত করে চন্দ্র গুপ্ত এই রাজ্য দখল করেন। 

মাঘদা ডায়নেসটি ছিল শক্তিশালী । নান্দা কালে তার আয়তন  ছোটো থাকলেও BCE ৩২৩ থেকে ২৯৮ পর্যন্ত চন্দ্রগুপ্তা মায়ুরি এটাকে অনেক বর্ধিত করেন। এই আমলে এই সাম্রাজ্য বর্তমান কালের  বাংলাদেশ, নেপাল,  ভারত, পাকিস্থান এবং আফগানিস্থান নিয়ে গঠিত ছিল  ।  

চন্দ্রগুপ্ত মায়ুরা ডাইনেসটির ম্যাপ 

ফটো ক্রেডিটঃ উইকিপেডিয়া  

এই ছিল আদি  ভারতের আদি অতীত  ইতিহাস। বর্তমান কাল অতীতের উপর দাঁড়িয়ে আছে। আর এই অতীত না জানলে  আমাদেরকে জানা হল না । আমাদের পূর্ণতা তখনি হবে যখন আমরা আমাদের  অতীত জানবো । 




গ্রন্থ সূত্রঃ 

Evolution, The Human Story, Dr Alice Roberts

ভারত ইতিহাস , প্রভাতাংশু  মাইতি 

আদিম সমাজ , লুইস হেনরি মর্গান 

ভল্গা থেকে গঙ্গা , রাহুল সাংকৃতয়ন

ফটো ক্রেডিটঃ উইকিপিডিয়া  

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৩৭

বিজন রয় বলেছেন: অনেক বড় ইতিহাস এভাবে লিখলে হয়?

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:০২

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: এটা দ্বিতীয় পর্ব , এর আগের টা আগে পড়ুন ।

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:২৪

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: ভালো সন্নিবেশ।

২০ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:০৯

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.