নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

না বলা কথা

তুমি যেন কেমন হয়ে গেছো, কিছুটা অপরিচিত ... ... ...

নাসির আকন

একটু অন্যরকম!

নাসির আকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরাও কি পারি না?

১৬ ই মে, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩০

সেদিন শনিবার ছিল বোধ হয়। ঘুম থেকে উঠতে একটু বেশীই দেরী করে ফেললাম অনেকটা ইচ্ছে করে। বাসষ্ট্যান্ড থেকে আমার বাসাটা একটু দূরেই। ঘুম থেকে উঠে তড়িঘড়ি করে ব্রাশ করে, গোসল সেরে সকালের নাস্তাটাও করলাম। যখন ঘড়ির দিকে তাকালাম তখনই আমার মনে হল যে আজকে নিশ্চিত অফিসে লেট হব।



কি -ই বা আর করার। বাসা থেকে বের হয়ে বাসষ্ট্যান্ডে যেতে হলে আমাকে একটি জেব্রা ক্রসিং পার হতে হয়। আসলে আমি যতটুকু জানি "জনগণকে আগে রাস্তা পার হতে দেয়া" -টাই হল জেব্রা ক্রসিং এর উদ্দেশ্য। কিন্তু প্রতিদিনই আমাকে তার উল্টোটা দেখতে হতো, শুধুকি দেখতে সাথে ভোগান্তিও পোহাতে হতো। প্রতিদিনই দেখতাম রাস্তা দিয়ে কে পার হচ্ছে না হচ্ছে তা দেখার কোন সময়ই নেই গাড়ী চালকদের।



প্রতিদিনই একটা জিনিস দেখতে দেখতে কিছুটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল আমার। তাই রাস্তাটা পার হতে হলে একটা সাবধানেই পার হতাম। ঐ দিনও ঠিক তাই এদিক একবার ঐ দিক একবার তাকিয়ে দেখলাম য, একটা গাড়ী আসছে। তাই আমি গাড়ীটাকে কিছুটা সমীহ করে রাস্তার একপাশে দাড়ীয়েই গেলাম।



পরবর্তী যে ঘটনাটা ঘটল তা দেখে আমি অবাক না হয়ে আর পারলামই না। গাড়ী চালক গাড়ীটা থামিয়ে আমাকে হাত ইশারা করে রাস্তাটা পার হতে বললেন, সাথে একটু খানি মুছকি হাসিও হাসলেন।



আমি প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে আমি বাংলাদেশে আছি এবং এও বিশ্বাস হচ্ছিলনা যে, গাড়ীর চালক বাংলাদেশী। কিন্তু পরে তার মুখে বাংলা কথা শুনে বিশ্বাস না করে আর পারলাম না।



তখন আমার সিঙ্গাপুরের কথা খুব মনে পড়ছিল। কারণ দীর্ঘ্য ২ টা বছর আমি সিঙ্গাপুরে কাটিয়ে এসেছি। কি সুন্দর ছিল ওখানকার পরিবেশ, কত পরিচ্ছন্ন রাস্তা সেটা মুখে বলে বুঝানো যাবে না।



ব্লগার বন্ধুরা এটাও জানি বাঙ্গালী শুধু বলতে পারে। তারপরেও বলছি আমরা কি পারি না ওদের মত করে আমাদের দেশটাকে সাজাতে। আসলে আমাদের অভাবটা কোথায়; আসুন একটু আলোচনা করি ....

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

কাঠুরিয়া. বলেছেন: 'অভাব' - - - লিষ্টিটা অ-নে-ক বৃহৎ।
ছোট খাটো কোন বিষয় নয়। এই অঞ্চলে মানুষ বসবাসের প্রাথমিক সময় থেকেই লিষ্টিটা শুরু।
আমরা প্রকৃতির কাছের মানুষ। আমাদের অভাব প্রযুক্তিতে। বর্তমানে নয় শুধু . . . অতীতকাল থেকেই।

২| ১৬ ই মে, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

প্রকৃতি প্রেমিক বলেছেন: 'অভাব' থেকেই বোধহয় অসহিষ্ণুতার জন্ম। এই অসহিষ্ণুতা আমাদের জাতিগত। কাঠুরিয়ার সাথে একমত দিচ্ছি। তবে অভাব পূরণ হলেও এমন সহিষ্ণুতা আসতে অ-নে-ক বছর লাগবে। একটা ঘটনা বলি।

আপনার দেখা ড্রাইভারের এই ব্যবহার হরহামেশাই হয়ে থাকে আমেরিকা বা উন্নত দেশে। কিছুদিন আগে কানাডায় ক্রিসমাস উদযাপনের ১০০ বছর সম্পর্কিত একটি ভিডিওর কাটিং দেখছিলাম। সেখানে দেখলাম ১০০ বছর আগে এই কানাডাতেও রাস্তায় জেব্রা ক্রসিং ছিল। কিন্তু দেখা গেল একজন মানুষ রাস্তা পার হচ্ছে আর ড্রাইভার গাড়ি যেন পারলে তার উপর উঠিয়ে দেয়, তার আর দেরী সহ্য হচ্ছে না।

এরা তো স্বাধীন হয়েছে তিনশ বছরেরও বেশী। অভাব বলে কোন ব্যাপার আছে বলে এরা জানে না। তারপরেও ১০০ বছর আগের ভিডিওতে বর্তমানের চিত্রের বিপরীত রূপ দেখে অবাক হয়েছিলাম।

৩| ১৭ ই মে, ২০০৭ রাত ১:৫০

ধুসর গোধূলি বলেছেন: নাহ্, পারি না!

৪| ১৭ ই মে, ২০০৭ রাত ১:৫২

দ্রোহী বলেছেন: নাহ্, পারি না!

৫| ২২ শে মে, ২০০৭ বিকাল ৩:২৩

আইরিন সুলতানা বলেছেন: এখানে ব্যাপারটা দ্বিপাক্ষীয়, সরকারকে প্রচারমূলক অভিযানে নামতে হবে আমাদের সচেতন করার জন্য। অপরদিকে আমাদের ব্যক্তিগত আচরনেও পরিবর্তন আনতে হবে ব্যাপকভাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.