নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমার মনে বিষ আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ঔষধ বিষ দিয়েই তৈরী হয়!

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ হিসেবে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে

০৫ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২২

এখনকার সময়ে আমাদের মুসলমানরা কতই না সুবিধা ভোগ করছি। কোনরুপ কঠিন পরীক্ষা ছাড়াই আমরা সারা জীবন পার করে দিচ্ছি। অথচ, আগের কালে ইসলামের নবী - রাসূলদের কতই না পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হতো! সেই পরীক্ষা কখনো আসতো পরিবারকে দিয়ে, আবার কখনো সুন্দরী রমণীকে দিয়ে। আবার, কখনোবা খোদার সৃষ্ট অন্য কোন জীবকে দিয়ে।

হযরত ইউসুফ (আ)-কে রানী জুলায়খাকে দিয়ে পরীক্ষা
ইউসুফ নবীকে অনেক ভাবে পরীক্ষা করা হয়। উনাকে যখন দাস হিসেবে একজন রাজার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়, তখন সেই রাজার স্ত্রী ইউসুফ নবীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। কিন্তু, ইউসুফ নবী তা প্রত্যাখ্যান করেন। ফলে, তাঁকে কারাবরণ করতে হয়।

হযরত ইউসুফ (আ)-কে ভাইয়েরা কুয়ায় ফেলে দিয়েছিলেন
ইউসুফ নবীকে তাঁর বাবা অন্য সন্তানদের তুলনায় বেশি আদর করতেন। ইউসুফ নবীর মাঝে 'নবী' হওয়ার লক্ষণ যখন প্রকাশ পায়, তখন অন্য ভাইয়েরা ঈর্ষা করে তাঁকে একটি কুয়ায় ফেলে দেয়।


হযরত ইউনুস (আ)-কে বড় একটি মাছ খেয়ে ফেলেছিলো
কোন এক কারণে, নিজের গোত্র থেকে নৌকায় করে পালাচ্ছিলেন ইউনুস নবী। সেই সময়ে, কোন এক পর্যায়ে, ইউনুস নবীকে একটি বড় মাছ খেয়ে ফেলে। এটা কত বড় যে একটা পরীক্ষা ছিলো তাঁর জন্য!


মুসা নবীকে তাঁর মা পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন
মিসরে যখন 'নবী' আসার সময় এলো, তখন সেই সময়ের ফেরাউন রাজা রাজ্যের সকল শিশুদের হত্যা করা শুরু করলো। উপায়ান্তর না দেখে, মুসা নবীর মা তাঁর ছেলে মুসা নবীকে পানিতে ভাসিয়ে দেন। ছোট্ট শিশুকে পানিতে ভাসিয়ে দেওয়াটা খুব বড় এক পরীক্ষা ছিলো।


ঈসা নবীকে ক্রুশে বিদ্ধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিলো
ঈসা নবীকে তাঁরই এক সাহাবী ধরিয়ে দিয়েছিলেন। শাসকগোষ্ঠী তাঁকে ক্রুশে বিদ্ধ করেছিলো। চেষ্টা করেছিলো মেরে ফেলতে। কিন্তু, খোদা তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেন।


শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা)-কে অনেক ভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিলো
বিশেষ ভাবে, আমাদের শেষ নবীর ছেলেদের মৃত্যুর মাধ্যমে তাঁকে পরীক্ষা করা হয়। নবীজীর ছোট ছেলের মৃত্যু হওয়ার পরে, তিনি যখন অঝোর ধারায় কাঁদছিলেন, তখন, ইসলামের শত্রুরা তাঁকে নিয়ে হাঁসি-ঠাট্টা করছিলো।


হযরত ইবরাহীম (আ) -কে পুত্র দিয়ে পরীক্ষা
এভাবেই, ইবরাহীম নবীকে তাঁর পুত্রকে দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিলো।

এরকম পরীক্ষা সাধারণ মানুষদের জন্যে নয়। কারণ, আর কখনো নবী বা রাসূল আসবেন না। তাই, তাঁদেরকে যেভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিলো, আমাদেরকে সেইভাবে কোন পরীক্ষা করা হবে না। এজন্যে, খোদাকে ধন্যবাদ।









মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৩

ফেনিক্স বলেছেন:



নবী আব্রাহাম ৪০০০ বছর আগে বাস করতেন, ইহা অবশ্যই রূপকথা; ৪০০০ বছর পুর্বে বাস করা আপনার পুর্ব পুরুষের নাম কি?

আরবেরা পড়াবেরা পড়ালেখা ঠিক মতো এখনো করে না; ওদের লেখাপড়া আপনার থেকে পেছনে; আপনি সুচিন্তিতভাবে মিথ্যা বলেন; কিন্তু বেদুইনদের মিথ্যা ওখানে চাকুরীরত সব বাংগালী সহজে টের পায়।

ব্লগার নতুনকে জিজ্ঞাসা করলে বুঝা যাবে, আরবে সৎ মানুষ নেই।

০৫ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আপনি কি গদ্য লেখা শুরু করেছেন? আপনার কমেন্ট অনেক লম্বা হয়ে যাচ্ছে।

২| ০৫ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৬

আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: আপনি বলেছেনঃ ঈসা নবীকে ক্রুশে বিদ্ধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। ঈসা নবীকে তাঁরই এক সাহাবী ধরিয়ে দিয়েছিলেন। শাসকগোষ্ঠী তাঁকে ক্রুশে বিদ্ধ করেছিলো।

আমার জানা মতে ঈসা(আঃ) নবীকে ক্রুশে বিদ্ধ করা হয়নি। আল্লাহর কুদরতে ওনার মত দেখতে অন্য কাউকে ক্রুশে বিদ্ধ করা হয়েছিল।

০৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:১১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




তাঁকে ক্রুশে বিদ্ধ করে মারতে পারে নাই।

৩| ০৫ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:০১

নতুন বলেছেন: সা নবীকে ক্রুশে বিদ্ধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিলো
ঈসা নবীকে তাঁরই এক সাহাবী ধরিয়ে দিয়েছিলেন। শাসকগোষ্ঠী তাঁকে ক্রুশে বিদ্ধ করেছিলো। চেষ্টা করেছিলো মেরে ফেলতে। কিন্তু, খোদা তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেন।


ঈসা আ: কে নিয়ে অনেক কাহিনি মানুষ বিশ্বাস করে।

যার ভিক্তি কিন্তু খৃস্টানের বই। কিন্তু কাহিনি গুলি মুসলমানেরা ঈসা আ: নবীর কাহিনি হিসেবে বিশ্বাস করে নেয়।

ঈসা আ: ছেলে তাই কুমারি মাতার সন্তান হবার বৈজ্ঞানিক প্রকৃয়ায় সম্ভবনা আছে যদিও সেটা মানুষের লেভেলের প্রানীর প্রায় অসম্ভব কিন্তু যদিও হয় তবে সেটা হবে মায়ের শরিরের এক্স ক্রমজম নিয়ে অর্থ সেই সন্তান হবে নারী। কিন্তু জেসাস কুমারী মেরীর সন্তান বলে দাবী করে। এবং সেটা সম্ভব না।

আবার আরেক কাহিনি আছে কাস্মিরে। সেখানে ঈসা আ: এর কবর আছে । এবং এই কাহিনিটা অনেক বেশি যৌক্তিক।

এই বিষয়ে আমার একটা ব্লগ আছে পড়ে দেখতে পারেন। :)

৪| ০৫ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:০৫

নতুন বলেছেন: আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: আপনি বলেছেনঃ ঈসা নবীকে ক্রুশে বিদ্ধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। ঈসা নবীকে তাঁরই এক সাহাবী ধরিয়ে দিয়েছিলেন। শাসকগোষ্ঠী তাঁকে ক্রুশে বিদ্ধ করেছিলো।

আমার জানা মতে ঈসা(আঃ) নবীকে ক্রুশে বিদ্ধ করা হয়নি। আল্লাহর কুদরতে ওনার মত দেখতে অন্য কাউকে ক্রুশে বিদ্ধ করা হয়েছিল।


কাশ্মিরে ঈসা আ: এর কবর আছে বলে একটা প্রচলিত কাহিনি আছে। সেখানে একটা কবরও আছে, এটা আমার কাছে যথেস্ঠ যৌক্তিক ব্যক্ষা মনে হয়েছে ৪ঠা আসমানে তুলে নিবার চেয়ে।

যদিও একটা মজার জিনিস হইলো। জেসাস কিন্তু হিস্টিক্যাল চরিত্র না। বাস্তবের কোন ঐতিহাসিকের লেখায় জেসাসের কথা নাই। আছে বিবলিক্যাল ইতিহাসে।

৫| ০৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:২৮

আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: নতুন বলেছেনঃ আবার আরেক কাহিনি আছে কাস্মিরে। সেখানে ঈসা আ: এর কবর আছে । এবং এই কাহিনিটা অনেক বেশি যৌক্তিক।

এই বিষয়ে আমার একটা ব্লগ আছে পড়ে দেখতে পারেন। :)


এতক্ষন খুজলাম, কিন্তু পেলাম না। লিঙ্কটি দিলে ভালো হয়।

৬| ০৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: @চিন্তাবিদ,আপনি তখন ওখানে ছিলেন,তা নাহলে জানলেন কিভাবে।এমন ভাবে বলছেন যেনো আপনি প্রত্যক্ষ দেখেছেন।চোরের সাক্ষী গাঁটকাটা।

৭| ০৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:১০

আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: ওহ, অবশেষে আপনার সেই ব্লগ পোস্ট খুজে পেয়েছি।

যীষখৃস্ট স্বগে` আছেন না কি ভারতের কাশ্মীর শ্বায়িত আছেন? _ ইতিহাসের চরম এক রহস্য... পব` -০১

৮| ০৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:১৬

আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: @চিন্তাবিদ,আপনি তখন ওখানে ছিলেন,তা নাহলে জানলেন কিভাবে।এমন ভাবে বলছেন যেনো আপনি প্রত্যক্ষ দেখেছেন।চোরের সাক্ষী গাঁটকাটা।

দেখেন, আমি বলেছিলাম "আমার জানা মতে ঈসা(আঃ) নবীকে ক্রুশে বিদ্ধ করা হয়নি। আল্লাহর কুদরতে ওনার মত দেখতে অন্য কাউকে ক্রুশে বিদ্ধ করা হয়েছিল।"

এখানে উল্লেখ করে দিয়েছি যে, আমার জানা মতে। অর্থাৎ, আমি যেই সোর্স থেকে জেনেছি সেই সোর্স অনুযায়ী। আর আমার সেই সোর্স হচ্ছে আল কোরআন। কোরআন অনুযায়ী ঈসা(আঃ)-কে ক্রুশে বিদ্ধ করা হয়নি। আল্লাহর কুদরতে ওনার মত দেখতে অন্য কাউকে ক্রুশে বিদ্ধ করা হয়েছিল।

৯| ০৬ ই জুন, ২০২৫ রাত ২:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



মানুষ হিসেবে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে - সাধারণত মানুষ ভুল করে, তার মাশুল দিতে গিয়ে এই কথাটি বলে থাকে। পরীক্ষা নরীক্ষা কিছু না।

১০| ০৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: জীবনটাই একটা পরীক্ষা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.